খুঁজুন
শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

‘সঙ্কট থেকে উত্তরণে জাতীয় নির্বাচনই একমাত্র পথ’ – ফরিদপুরে আসাদুজ্জামান রিপন

ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৮:৩৬ পিএম
‘সঙ্কট থেকে উত্তরণে জাতীয় নির্বাচনই একমাত্র পথ’  – ফরিদপুরে আসাদুজ্জামান রিপন
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, যারা সংস্কারের নামে বছর পর বছর ক্ষমতা থাকতে চায়, তাদেরকে আমরা হুঁশিয়ারি করে দিতে চাই। জাতীয় নির্বাচনের আগে দেশে কোন স্থানীয় সরকার নির্বাচন নয়। আগে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। অক্টোবরের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করুন। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিন। সঙ্কট থেকে উত্তরণে জাতীয় নির্বাচনই একমাত্র পথ। নো স্থানীয় সরকার নির্বাচন।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বিকেলে শহরের থানা রোডে আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আসাদুজ্জামান রিপন একথা বলেন।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য উর্দ্ধগতি, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রোডম্যাপ ঘোষণা এবং ফ্যাসিবাদের দোসরদের গ্রেফতার দাবিতে দেশব্যাপী দশদিনের গণসমাবেশ কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, যারা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়, নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে চায় তারা খুবই তৎপর। গত মঙ্গলবার খুলনায় একটি ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার জন্যই খুলনার তথ্য ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
তিনি বলেন, সারা পৃথিবীতে গণ-অভ্যুত্থানের পরপরই নির্বাচন হয়। এর আগে সেনাবাহিনী প্রধান বলেছেন একটি ভাল নির্বাচনের জন্য ১৮ মাসই যথেষ্ট। সেনা বাহিনী আমাদের গণঅভ্যুত্থানের সহযোগী। আমরা চাই তার এই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করুক সরকার।
রিপন বলেন, সরকারের ভিতরে কেউ কেউ উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলছে। আমরা তাদের এই উস্কানিমূলক কথাবার্তা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানাই। গণঅভ্যুত্থানের পর অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শক্তির মধ্যে একটি প্রতিযোগিতা থাকে। তবে সেই প্রতিযোগিতা হতে হবে রাজনৈতিক। গণঅভ্যুত্থানের সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ঐক্যই হচ্ছে আমাদের একমাত্র পথ।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের  সদস্য  ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জহিরুল হক শাহজাদা মিয়া, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান মাশুক ও সেলিমুজ্জামান সেলিম, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল ও কেন্দ্রীয় কমিটির মহিলা দলের যুগ্ন সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ প্রমূখ।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ইছার সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য দেন- মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এএফএম কাইয়ুম জঙ্গি, সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফা মিরাজ, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক খন্দকার ফজলুল হক টুলু, আলী আশরাফ নান্নু, দেলোয়ার হোসেন দিলা, গোলাম রব্বানী ভুঁইয়া রতন, আতাউর রশীদ বাচ্চু, কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সাবেক এমপি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম প্রমুখ।
সমাবেশে সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশ ও জুলফিকার হোসেন জুয়েল। জেলা সদর সহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে বাস সহ বিভিন্ন যানবাহনযোগে নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা সমাবেশস্থলে যোগ দেন। বক্তাগণ সকল ধরনের ষড়যন্ত্র ও অপকৌশলের বিরুদ্ধে সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পরিবর্তে অবিলম্বে সংসদ নির্বাচন আয়োজন করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিকট জোর দাবি জানান।

সালথায় ঈদের দিনে জিকা গাছে ঝুলছিল যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ 

সালথা প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ১:০২ পিএম
সালথায় ঈদের দিনে জিকা গাছে ঝুলছিল যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ 
ফরিদপুরের সালথায় ঈদুল আজহার দিনে আকাশ মোল্লা (২০) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (০৭ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের কাউলিকান্দা মোল্লার মোড় নামক একটি জিকা গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত আকাশ মোল্লা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের মৃত হারুন মোল্লার ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আকাশের মা দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎ ফরিদপুর সদরের তালতলা এলাকায় একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। গতকাল (৬ জুন) শুক্রবার  রাত ১১টার দিকে ওই বাসা থেকে অজ্ঞাত কারণে বের হয় আকাশ। পরে শনিবার ঈদের দিন সালথা’র কাউলিকান্দা মোল্লার মোড় মেইন সড়কের পশ্চিম পাশে একটি জিকা গাছের সাথে লাইলনের রশি পেঁচানো আকাশের ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, আকাশ মাদকাসক্ত হওয়ায় দীর্ঘদিন ফরিদপুর রিহ্যাব সেন্টারে থেকে চিকিৎসা নিয়ে তিন মাস পূর্বে বের হয়। গতকাল রাতে ভাড়া বাসা থেকে অজ্ঞাত কারণে বের হওয়ার পর ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
সালথা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মারুফ হাসান রাসেল বলেন, খবর পেয়ে যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ফরিদপুরে উৎসের উদ্যোগে স্বামীহারা এক নারীর দোকান ‘সকাল টি স্টোর’ পুনর্গঠন ও হস্তান্তর

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ১০:১১ এএম
ফরিদপুরে উৎসের উদ্যোগে স্বামীহারা এক নারীর দোকান ‘সকাল টি স্টোর’ পুনর্গঠন ও হস্তান্তর

ফরিদপুরের একটি মানবিক উদ্যোগে আবারও প্রমাণ হলো-একটি সামান্য সহায়তাও বদলে দিতে পারে একটি মানুষের জীবন। কুরবানির পবিত্র সময়কে সামনে রেখে ধলার মোড়ে উৎস সোশ্যাল অর্গানাইজেশন এর পক্ষ থেকে এক স্বামীহারা নারীর জীবিকার একমাত্র উৎস ‘সকাল টি স্টোর’ নতুনভাবে নির্মাণ ও পূর্ণ মালপত্রসহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

দোকানটির টিনের চালা ছিল চৌচির আর ভেতরে ছিল না ন্যূনতম প্রয়োজনীয় মালামাল। এমন অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে জীবন চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন ওই নারী। বিষয়টি জানতে পেরে উৎস সোশ্যাল অর্গানাইজেশন তার পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়।

উৎস-এর স্বেচ্ছাসেবীরা দোকানটি নতুনভাবে নির্মাণ করে, ছাউনির সমস্যা মেরামত করে এবং প্রয়োজনীয় চা-নাস্তার মালামাল সরবরাহ করে পুনরায় ব্যবসা শুরু করার উপযোগী করে তোলে।
সংগঠনের এক স্বেচ্ছাসেবক বলেন,

“এই ঈদে আমরা শুধু পশু কোরবানি নয়, ত্যাগ ও ভালোবাসার কোরবানিকেই সবচেয়ে বড় করে দেখেছি। একজন মায়ের মুখে হাসি ফোটাতে পারা-এটাই আমাদের ঈদের আনন্দ।”

‘সকাল টি স্টোর’ এখন শুধুই একটি দোকান নয়, বরং একজন নারীর আত্মমর্যাদায় ফিরে আসার প্রতীক হয়ে উঠেছে।

ফরিদপুরে বেহাল মহাসড়কে ঈদ যাত্রায় ভোগান্তি, ডাকাতির শঙ্কা

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫, ৬:২৪ পিএম
ফরিদপুরে বেহাল মহাসড়কে ঈদ যাত্রায় ভোগান্তি, ডাকাতির শঙ্কা

 

 

ভাঙ্গা উপজেলা থেকে ফরিদপুর জেলা সদর পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় এবারের ঈদ যাত্রায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ঘর মুখো মানুষকে।

একদিকে খানাখন্দে ভরপুর সড়ক দিয়ে চলাচলে প্রায়শ ভেঙ্গে যাচ্ছে যানবাহনের যন্ত্রপাতি, অন্যদিকে ওই সড়ক অতিক্রমে ভোগান্তির পাশাপাশি ধীর গতির কারণে যথাসময়ে গন্তব্যে পৌছাতে না পারাসহ রাতে ছিনতাই ও ডাকাতির শংকা রয়েছে ঘরমুখো যাত্রীদের মাঝে। যদিও ফরিদপুরের পুলিশ সুপার বলছেন, ঘরমুখো যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ওই অংশে রাতের বেলায় পুলিশ টহল বাড়ানো হয়েছে। তাই শংকিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।

বরিশাল-ফরিদপুর মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলা এক্সপ্রেসওয়ের শেষ প্রান্ত থেকে ফরিদপুরের দুরত্ব ৩০ কিলোমিটার, যা দীর্ঘদিন প্রয়োজনীয় সংস্কারের অভাবে খানাখন্দে ভরে গেছে। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে বেড়েছে খানা-খন্দের পরিমান।

এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ওই সড়ক ব্যবহার করে যাতায়াত করা ফরিদপুরসহ অন্তত ১০ জেলার মানুষ। ফরিদপুরের সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মকর্তাদের এই সড়কটির ব্যাপারে উদাসীনতাকে দায়ি করছে এই সড়কে যাতায়াতকারীরা।

ওই সড়ক ব্যবহারকারী যানবাহন চালক ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খানাখন্দের কারণে প্রায়শ গাড়ীর যন্তপাতি ভেঙ্গে যাচ্ছে। এছাড়া ধীর গতিতে যানবাহন চালাতে হচ্ছে, ফলে নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পেছানো যাচ্ছেনা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা।

এই সড়ক দিয়ে ঢাকাগামী মাইক্রোচালক আবুল হোসেন বলেন, এয়ারপোর্টে যাচ্ছি যাচ্ছি আনতে ভাঙ্গা থেকে ফরিদপুর পর্যন্ত সড়কের যে অবস্থা তাতে গাড়ির গতিসিমা সর্বোচ্চ ১৫ বেশি চালানো যায় না। মহাসড়কের গতি যদি এরকম হয় সে ক্ষেত্রে ডাকাতি সহ নানা পদের ঝামেলার আশঙ্কা থাকে।

এদিকে গাড়ী নষ্ট হওয়া ও ধীর গতির কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন ঘরমুখো মানুষেরাও। এছাড়া রাতে ধীর গতির কারণে ছিনতাই বা ডাকাতির মতো ঘটনার শংকাও রয়েছে তাদের মধ্যে। সড়কটি দ্রুত সংস্কার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবী তাদের।

যদিও ছিনতাই ও ডাকাতির বিষয়টি মাথায় রেখে ওই অংশে পুলিশ টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল।

তিনি জানান, ৩০ কিলোমিটার মহাসড়ককে চারটি ভাগে ভাগ করে পুলিশ টহলের ব্যবস্থা করা হযেছে। কোনো ধরনের সমস্যা বা সন্দেহ হলে দ্রুত পুলিশকে জানানোর আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। এদিকে জেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শফিকুর রহমান জানিয়েছে, আপাতত চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক করতে সড়কটির সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে।