খুঁজুন
সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ৮ বৈশাখ, ১৪৩২

হাতকড়া হাতেই মায়ের লাশ কাঁধে নিলেন বিএনপি নেতা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৭:৪৮ পিএম
হাতকড়া হাতেই মায়ের লাশ কাঁধে নিলেন বিএনপি নেতা

হাতকড়া নিয়েই মায়ের জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন করলেন পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির নেতা, যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. বাচ্চু গাজি।

মায়ের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে জেলা কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি পান তিনি।

পরে উত্তর বাঁশবাড়িয়া গ্রামে নিজ বাড়িতে পুলিশের পাহারায় মায়ের জানাজায় উপস্থিত হন।

 

বাচ্চু গাজির মা সাফিয়া বেগম বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় বাঁশবাড়িয়া গ্রামে নিজ বাড়িতে মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৮০ বছর।

স্বজনেরা জানান, শেষবার মাকে দেখতে ও মায়ের দাফন সম্পন্ন করতে রোববার বিকেলে জেলা প্রশাসক বরাবর প্যারোলে মুক্তির আবেদন করেন বাচ্চু গাজি। কিন্তু ওই দিন দাপ্তরিক কাজ শেষ না হওয়ায় সোমবার সকালে মুক্তি মেলে বিএনপির এই নেতার।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্যারোলে মুক্তি পেয়ে সোমবার সকাল ১০টার দিকে নিজ বাড়িতে এসে মায়ের জানাজায় উপস্থিত হন বাচ্চু গাজি। পুরোটা সময় হাতকড়া পরা অবস্থায় ছিলেন তিনি।

এ সময় উপজেলা বিএনপি, ইউনিয়ন বিএনপি ও ওয়ার্ড বিএনপির এবং তার সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

দশমিনা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম শানু বলেন, আমি নিজেও জানাজায় উপস্থিত ছিলাম। তবে প্যারোলে মুক্তি দিয়ে তার মায়ের দাফন কার্যক্রমে সুযোগ করে দেওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ।

এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ভারপ্রাপ্ত জুয়েল রানা বলেন, বাচ্চু গাজির মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় রোববার প্যারোলে মুক্তির আবেদন করেন। সোমবার সকালে তাকে তার মায়ের জানাজায় পুলিশ পাহারায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পুনরায় তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

গত ২৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় উপজেলা বহরমপুর ইউনিয়নের বগুড়া গ্রাম থেকে ১১৫ পিস ইয়াবাসহ বাচ্চু গাজিকে গ্রেপ্তার করে দশমিনা থানা পুলিশ। পরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের হওয়া মামলায় ২৬ জানুয়ারি তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

হাতকড়া পরানো নিয়ে জানতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহমেদ মঈনুল হাসান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাজেদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে নারী দালাল আটক

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:৩৮ পিএম
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে নারী দালাল আটক
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে হেলেনা আক্তার (৪৫) নামের এক নারী দালালকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
রবিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
থানা ও এলাকা সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিয়োগকৃত কর্মচারী না হয়েও রোগীদের জিম্মি করে অর্থ আদায় করে আসছিলেন হেলেনা আক্তার। হাসপাতালের আইডি কার্ড ব্যবহার করে রোগীদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে নানা সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ওই নারীর বিরুদ্ধে।
বিষয়টি জানতে পেরে রবিবার দুপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরাসহ স্থানীয়রা হেলেনা আক্তারকে হাতে নাতে আটক করে। পরে পুলিশের কাছে তাকে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় হাসপাতালের পক্ষ থেকে কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেছে।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পিযুষ কান্তি বিশ্বাস জানান, হাসপাতালের কর্মচারী না হয়েও দীর্ঘদিন যাবত হাসপাতালে আসা রোগীদের সাথে প্রতারণা করছিল হেলেনা আক্তার। এমন অভিযোগে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা তাকে হাতে নাতে আটক করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালে ওই নারীকে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় হেলেনা আক্তারের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাদি হয়ে মামলা করেছেন।

ফরিদপুরের অবৈধ পাঁচ দোকানঘর ভেঙ্গে দিল ইউএনও

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:৩৫ পিএম
ফরিদপুরের অবৈধ পাঁচ দোকানঘর ভেঙ্গে দিল ইউএনও
ফরিদপুরের সদরপুরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে ৫টি দোকান ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। অভিযানকালে ৫টি দোকান ঘর ভাঙ্গা ছাড়াও সদর বাজারের একটি শেড ঘর দখলমুক্ত করা হয়।
রবিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলা সদরের স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন ইউএনও জাকিয়া সুলতানা।
অভিযান সূত্রে জানা যায়, জেলার সদরপুর উপজেলা সদর বাজারে সরকারি জায়গায় অবৈধবাবে দোকানঘর উঠিয়ে ব্যবসা করছিল কিছু প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা। উপজেলা প্রশাসন থেকে দোকানঘর সরিয়ে নিতে বার বার নোটিশ দেওয়া হলেও ওই ব্যবসায়ীরা তা কর্নপাত করেনি। এ সময় ৫টি দোকানঘর উচ্ছেদ করে সরকারি জায়গা দখল মুক্ত করা হয়।
সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিয়া সুলতানা জানান, সরকারি জায়গায় অবৈধভাবে দোকানঘর উঠিয়ে ব্যবসা করে আসছিল কতিপয় ব্যবসায়ীরা। তাদেরকে এর আগে দোকান সরিয়ে নিতে নোটিশ দেওয়া হলেও তারা তা ভেঙ্গে না নেওয়ায় অভিযান চালিয়ে ৫টি দোকান ঘর ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। এ সময় বাজারের একটি শেড ঘরও দখলমুক্ত করা হয়। এধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ভাঙ্গায় সরকারি রাস্তা দখল করে দেয়াল নির্মাণের অভিযোগ

সোহাগ মাতুব্বর, ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৪:১১ পিএম
ভাঙ্গায় সরকারি রাস্তা দখল করে দেয়াল নির্মাণের অভিযোগ
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সরকারি রাস্তা দখল করে দেওয়াল নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে বদিউজ্জামান নামে এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে।
উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের শরীফাবাদ এলাকায় ঘারুয়া টু শরীফাবাদ আঞ্চলিক সড়কে এই ঘটনা ঘটেছে। বদিউজ্জামান আব্দুল হক ব্যপারীর ছেলে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার ঘারুয়া বাজার টু শরীফাবাদ আঞ্চলিক সড়কের শরীবাদ স্কুল মোড় ব্রিজের সামনে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডির পাকা রাস্তার পশ্চিম পাশ দখল করে বাড়ির ইটের দেয়াল নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে বড় যানবাহন চলাচলে মারাত্মক দুর্ঘটনা, ব্যঘাত সৃষ্টিসহ ভবিষ্যতে রাস্তা প্রশস্তকরণেও নানা ব্যাঘাত পোহাতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, সরকারি রাস্তা ঘেঁষে বিশাল দেয়াল নির্মাণ করার কারণে বড় যানবাহন চলাচল করতে পারবে না। রাস্তা প্রশস্ত করার পথও বন্ধ করে দিচ্ছে বদিউজ্জামান। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
এই বিষয়ে বদিউজ্জামান বলেন, সরকারি রাস্তা দখলের প্রশ্নই আসে না। আমার জায়গায় রাস্তা। আমি জায়গা না দিলে রাস্তা হতো না। আমার জায়গায় আমি বাড়ির দেয়াল নির্মাণ করছি। আমাকে আপনাদের চেয়ে বড় এসিল্যান্ড ইউএনও জায়গা বুঝিয়ে দিছেন।
এই বিষয়ে ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমি ইতিমধ্যেই খবর পেয়েছি। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।