খুঁজুন
বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৯ পৌষ, ১৪৩২

‘আমি দীর্ঘ ১৭টি বছর এই সালথা-নগরকান্দার মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি’ — শামা ওবায়েদ

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৫, ৭:০১ পিএম
‘আমি দীর্ঘ ১৭টি বছর এই সালথা-নগরকান্দার মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি’ — শামা ওবায়েদ

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু বলেছেন, ‘আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে যে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনটা সঠিক ও সুষ্ঠু হবে। এবং দেশের আপামর জনতা সার্বিকভাবে ভোট দিতে পারবে। আমরা মনে করি, সেই নির্বাচনে জনগণের ভোটে বিএনপি নির্বাচিত হবে।’

বৃহস্পতিবার (০৬ নভেম্বর) বিকেলে নিজ নির্বাচনী এলাকা ফরিদপুরের সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের ভাবুকদিয়া গ্রামে বিএনপি নেতা ফজলুল মতিন বাদশা মিয়ার বাড়িতে আয়োজিত এক কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শামা ওবায়েদ বলেন, ‘আমরা বিগত দিনে দেখেছি, কিছু মানুষ হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছে আবার কিছু মানুষ না খেয়ে থেকেছে। সরকার দলীয় লোকের চাকরি হয়েছে, মেধাবী শিক্ষার্থীদের চাকরি হয় নাই। এটা তো বৈষম্য। এই বৈষম্যের জন্যই কিন্তু আমাদের ছোট ছোট ভাইবোনেরা মাঠে নেমেছিল। এই মাঠে নামতে গিয়ে বহু ছেলে-মেয়ে জীবন ও রক্ত দিয়েছে। তাদের রক্তের বিনিময় আজকে আমরা গণতন্ত্রের পথে হাঁটতেছি।’

খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া চেয়ে শামা ওবায়েদ বলেন, ‘আশির দশকে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ৯ বছর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন হয়েছিল। এরপর দেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়। দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসে। এবং ৯১ সালে জনগণের বিপুল ভোটে বিএনপি বিজয়ী হয়েছিল। বেগম খালেদা জিয়া উপমহাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। অত্যন্ত দুঃখজনক- ওনাকে জঘন্য মিথ্যা মামলায় ৬টি বছর জেলে থাকতে হয়েছে। তারপরেও দীর্ঘ ১৭টি বছর তিনি আন্দোলন করে গেছেন। তিনি এখন অসুস্থ, সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।’

নিজের বাবা বিএনপির সাবেক মহাসচিব মরহুম কেএম ওবায়দুর রহমানের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘অনেক রাজনীতিবিদ আছে টাকা-পয়সা বাড়ি-গাড়ি বানিয়েছে। অবৈধ উপায়েও অনেকে সম্পদ করেছেন। কিন্তু আমি গর্বিত, কারণ আমার বাবা মরহুম কেএম ওবায়দুর রহমান ব্যাংকে দেনা রেখে মারা গেছেন। তিনি মারা যাওয়ার পর সবচেয়ে বড় সম্পদ আমার জন্য রেখে গেছেন, সেটা হলো সালথা-নগরকান্দার মানুষ। আমি দীর্ঘ ১৭টি বছর এই সালথা-নগরকান্দার মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আগামীতে যদি সংসদে যেতে পারি তাহলে আরো অনেক বেশি কাজ করতে পারবো।’

সাবেক বিএনপি নেতা ফজলুল মতিন বাদশা মিয়ার সভাপতিত্বে কর্মীসভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সালথা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান তালুকদার, নগরকান্দা উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান বাবুল তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান মুকুল, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ওয়াহিদুজ্জামান, ভাইস চেয়ারম্যান আসাদ মাতুব্বর, সালথা উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি শাহিন মাতুব্বর, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক খন্দকার খায়রুল বাসার আজাদ, বিএনপি নেতা রাশেদ মিয়া, কামরুল ইসলাম মজনু, যুবদল নেতা হাসান আশরাফ, পাভেল রায়হান, এনায়েত হোসেন, কামরুল ইসলাম, মুরাদুর রহমান, ইব্রাহিম মেম্বার, রফিক মাতুব্বর প্রমূখ।

জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়ে ফরিদপুর-৪ আসনে মাঠে নামছেন সেই আলোচিত রায়হান জামিল

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৮:১২ পিএম
জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়ে ফরিদপুর-৪ আসনে মাঠে নামছেন সেই আলোচিত রায়হান জামিল

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন) আসন থেকে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ফরিদপুরের আলোচিত সমাজসেবক ও মানবিক কর্মী রায়হান জামিল।

বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঢাকার উত্তরায় অবস্থিত জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, তৃণমূল পর্যায়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা, দীর্ঘদিনের সামাজিক ও মানবিক কর্মকাণ্ড এবং সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতার কারণেই কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে রায়হান জামিলকে এই আসনে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়। এর আগে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালালেও দেশ ও মানবতার বৃহত্তর স্বার্থে জাতীয় পার্টির ব্যানারে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

প্রার্থীতা প্রসঙ্গে রায়হান জামিল বলেন,“জনগণের আস্থাই আমার সবচেয়ে বড় শক্তি। নির্বাচিত হলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান ও অবকাঠামো উন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবো। সাধারণ মানুষের অধিকার ও ন্যায্য প্রাপ্য নিশ্চিত করাই হবে আমার প্রধান লক্ষ্য।”

উল্লেখ্য, মুফতি রায়হান জামিল ফরিদপুর-৪ আসনে দীর্ঘদিন ধরে সমাজসেবা ও মানবিক কার্যক্রমের মাধ্যমে পরিচিত মুখ। ব্যতিক্রমী উদ্যোগের মাধ্যমে তিনি দেশব্যাপী আলোচনায় আসেন। গত ১৭ সেপ্টেম্বর ১০ টাকায় ইলিশ মাছ বিতরণ, ৩০ নভেম্বর ১ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস এবং ১১ জুলাই ২ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণের মতো উদ্যোগ সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলে।

আলফাডাঙ্গায় ৬০ জন জেলের জীবনে নতুন আশার আলো, মিলল বকনা বাছুর

মো. ইকবাল হোসেন, আলফাডাঙ্গা:
প্রকাশিত: বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৭:৪৯ পিএম
আলফাডাঙ্গায় ৬০ জন জেলের জীবনে নতুন আশার আলো, মিলল বকনা বাছুর

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় মৎস্য অধিদপ্তরধীন ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের দেশীয় প্রজাতির মাছ ও শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্প (১ম সংশোধিত)–এর আওতায় নিবন্ধিত সুফলভোগী জেলেদের মাঝে বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বকনা বাছুর বিতরণ করা হয়েছে।

বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে ১২টি গ্রুপের ৬০ জন জেলের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিফাত নূর মৌসুমী।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপ-প্রকল্প পরিচালক খাইরুল ইসলাম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ.কে.এম. রায়হানুর রহমান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ভবেন বাইন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তুসার সাহা এবং উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তরুণ বসু।

অনুষ্ঠানে বক্তব্যে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তরুণ বসু বলেন, মাছ ও শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার নিবন্ধিত ৬০ জন জেলের জীবিকায় বৈচিত্র্য আনতে এবং বিকল্প কর্মসংস্থান গড়ে তুলতেই এই বকনা বাছুর প্রদান করা হয়েছে। এতে জেলেদের আয় বাড়বে এবং তাদের জীবনমান উন্নয়নে সহায়ক হবে।

উপস্থিত অতিথিরা বলেন, প্রকল্পটির মাধ্যমে জেলেরা শুধু মাছ আহরণের ওপর নির্ভরশীল না থেকে গবাদিপশু পালনসহ অন্যান্য আয়ের উৎস গড়ে তুলতে পারবে, যা দীর্ঘমেয়াদে তাদের আর্থিক স্বচ্ছলতা নিশ্চিত।

চরভদ্রাসনে পদ্মায় পড়ে বাল্কহেডের সুকানী নিখোঁজ, সন্ধ্যা পর্যন্ত উদ্ধার হয়নি

পান্না বালা, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৭:৩২ পিএম
চরভদ্রাসনে পদ্মায় পড়ে বাল্কহেডের সুকানী নিখোঁজ, সন্ধ্যা পর্যন্ত উদ্ধার হয়নি

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় বাল্কহেড থেকে পড়ে পদ্মা নদীতে এক সুকানী নিখোঁজ হয়েছেন।

বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের টিলারচর ও সবুল্লা সিকদারের ডাঙ্গী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিখোঁজ সুকানীর নাম আরিফ শেখ (৪৬)। তিনি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার শোলমারী গ্রামের মজিবর শেখের ছেলে। চার ভাইবোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। তিনি বিবাহিত এবং এক মেয়ে ও দুই ছেলের জনক।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আরিফ শেখ বাল্কহেডের সুকানী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার খালু আবুল সরকার জানান, মঙ্গলবার বিকেলে বালু নিয়ে ফরিদপুর সদরের সিএনবি ঘাট নৌবন্দরে আসেন আরিফ। বালু খালাস শেষে ফেরার পথে চরভদ্রাসনের টিলারচর ও সবুল্লা সিকদারের ডাঙ্গী এলাকায় অসাবধানতাবশত তিনি পদ্মা নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন।

খবর পেয়ে ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযানে নামে। বুধবার দুপুর ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত নদীতে তল্লাশি চালিয়েও নিখোঁজ সুকানীর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। সন্ধ্যা নামায় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়।

চরভদ্রাসন ফায়ার সার্ভিসের লিডার মোর্তজা ফকির জানান, ফরিদপুর থেকে দুই সদস্যের একটি ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে এসে কয়েক দফায় নদীতে নেমে তল্লাশি চালায়। তবে তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পুনরায় উদ্ধার অভিযান শুরু করা হবে বলে জানান তিনি।

এদিকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর সিএনবি ঘাট নৌপুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ বলেন, খবর পেয়ে নৌ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়। তবে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত নিখোঁজ ব্যক্তির কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

নিখোঁজ সুকানীর সন্ধানে বৃহস্পতিবার পুনরায় ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশের যৌথ উদ্ধার অভিযান চলবে বলে জানানো হয়েছে।