খুঁজুন
বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২ পৌষ, ১৪৩২

আয়কর আদায়ে সরকার পুরোনো পথে হাঁটছে কেন?

আনোয়ার ফারুক তালুকদার
প্রকাশিত: সোমবার, ২১ জুলাই, ২০২৫, ২:৫৪ পিএম
আয়কর আদায়ে সরকার পুরোনো পথে হাঁটছে কেন?

টেলিভিশনের একটি বিজ্ঞাপনে দেখা যায়, মাটি যতই চাপ দিক না কেন, তাদের পণ্যটি ১২৫০ ফুট গভীরে যেয়েও সেই চাপ নিতে পারবে। আমাদের দেশের কেউ কেউ করদাতাদেরও ওই পণ্য মনে করেন। অর্থাৎ আপনাকে যতই চাপ দেওয়া হোক, আপনি সেই চাপ নিতে পারবেন। আপনি তা নিতে বাধ্য। আপনার কাছে কোনো উপায় নেই। কারণ আপনার বেতনদাতা বেতন দেওয়ার সময়ই আপনার কাছ থেকে কর কেটে রাখে। এটা আমাদের কর কর্তৃপক্ষের কাছে কর আদায়ের অনেক সহজ সমাধান। বাড়তি কর দরকার– করের হার বাড়িয়ে দাও। তাতে আপনার আয় কত কমলো, সে জন্য তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। এত সহজভাবে সরকারের আয় বাড়ানোর উপায় বোধ হয় এই দুনিয়ায় আর কোথাও নেই। যারা ব্যক্তি করদাতা বিশেষ করে বেসরকারি চাকরিজীবী, তাদের কপালে বছর ঘুরলেই নেমে আসে বাড়তি করের এ খড়্গ। 

প্রতিবছর বাজেট আসে; আর করদাতারা আশায় বুক বাঁধেন, কিছুটা বুঝি করের বোঝা কমবে। বাস্তবে দিন দিন এই বোঝা বেড়েই চলেছে। এদিকে নজর দেওয়ার যেন কেউ নেই। বিগত সরকার গণবিরোধী বলে পরিচিত ছিল। তাই গণআন্দোলনের মুখে সরকারটি চলে যাওয়ার পর বেসরকারি চাকরিজীবী এবং নিয়মিত করদাতারা ভেবেছিলেন, এবার হয়তো সেই দুঃখের দিনের অবসান ঘটবে। অন্তত তাদের জন্য ভালো কিছু একটা হয়তো আসবে।

এখন যিনি সরকারপ্রধান তিনি বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তি, অর্থনীতিরও শিক্ষক। বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে যারা আছেন তাদেরও অনেকে স্বনামধন্য অর্থনীতিবিদ। তারা সব সময় দেশের মানুষ, অর্থনীতি নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করে আসছেন। তাদের কাছে ন্যায়পরায়ণতা ও জনহিতৈষী পদক্ষেপ আশা করা খুব বেশি কিছু ছিল না। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, বাজেটে এ নিয়ে সদর্থক চিন্তা-চেতনার প্রতিফলন ঘটেনি। মানুষ হতাশ বললে অতিরঞ্জন হবে না।
আরও হতাশার বিষয়, পূর্বের ধারাবাহিকতায় এসেছে গতানুগতিক এক বাজেট। যেখানে সহজ পন্থায় রাজস্ব বাড়ানোর চিরাচরিত পথেই হেঁটেছে বর্তমান সরকার। যারা নিয়মিত কর দেন তাদের করের বোঝা আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। করের হার ও ধাপ বাড়িয়ে এ অপকর্মটি করা হয়েছে। আগের আয়ে যে কর আসত, নতুন নিয়মে অর্থাৎ ২০২৫-২৬ করবর্ষে তার চেয়ে ৯ শতাংশ হারে করের বোঝা বেড়ে গেছে অনেক করদাতার। আর ২০২৬-২৭ করবর্ষে কারও বার্ষিক করযোগ্য আয় (৫০ হাজার প্রতি মাসে) যদি হয়, তাঁর আয়কর বাড়বে ১২ দশমিক পাঁচ শতাংশ। এভাবে আসলে সবার করই বেড়ে গেল। তার মানে, চলমান অর্থবছর থেকে আপনার বেতন কমে গেল। এ দুঃসংবাদটা এমন সময়ে এসেছে যখন মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের ব্যয়যোগ্য আয় কমে গেছে। অর্থাৎ কর বৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষ দ্বিগুণ হারে ক্ষতিগ্রস্ত হলো। একদিকে দেখানো হয়েছে, আপনার কর রেয়াত বেড়েছে। অন্যদিকে করহার বাড়িয়ে যা রেয়াত দেওয়া হয়েছে, তার চেয়ে অধিক পরিমাণে টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে। এটাকে শুভঙ্করের ফাঁকি বললেও কম বলা হয়।

এভাবে কিন্তু খুব বেশি আয়কর সরকার পায়, তা নয়। বিশেষ করে বেসরকারি খাতে এমন পরিস্থিতিতে ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। এই যে বছরে যে পরিমাণ রিটার্ন জমা পড়ে, তার ধারকদের কিয়দংশও আয়কর দেয় না। তার কারণ বের করতে হলেও আলোচ্য বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হবে আমাদের নীতিনির্ধারকদের।
আমাদের সুস্পষ্ট প্রস্তাব হচ্ছে; করের আওতা বাড়িয়ে কর আদায় বাড়ানো হোক। করমুক্ত আয়সীমা পাঁচ লাখ টাকায় উন্নীত করার কথাও অনেক দিন যাবৎ বলা হচ্ছে। করের ধাপগুলো সমন্বয় করার গুরুত্বও উপলব্ধি করা দরকার। আমরা বলেছি, পাঁচ লাখের পরবর্তী ১,০০,০০০ পর্যন্ত ৫ শতাংশ,  পরবর্তী চার লাখ ১০ শতাংশ, পরবর্তী পাঁচ লাখ ১৫ শতাংশ, পরবর্তী ছয় লাখ ২০ শতাংশ, পরবর্তী ৩০ লাখ ২৫ শতাংশ, এর পর ৩০ শতাংশ হতে পারে। সর্বজনীন পেনশন স্কিমের মধ্যে যারা কর দিচ্ছেন, তাদের করের টাকা থেকে একটা অংশ পেনশন স্কিমে রেখে করদাতাদের জন্য আজীবন পেনশনের ব্যবস্থা করা যায়। কর থেকে সবার জন্য পেনশন স্কিমের সঙ্গে সঙ্গে হেলথ ইন্স্যুরেন্সেরও ব্যবস্থা করা কঠিন কিছু না। সহনীয় মাত্রায় কর আরোপ হলে এবং করদাতার জন্য ভবিষ্যৎ পেনশনের ব্যবস্থা করলে অধিক সংখ্যক মানুষ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে কর প্রদান করবেন– এ কথাও জোর গলায় বলা যায়।

আনোয়ার ফারুক তালুকদার: অর্থনীতি বিশ্লেষক

 

সালথায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে কৃষকলীগ নেতা আটক

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৯:০৯ পিএম
সালথায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে কৃষকলীগ নেতা আটক

ফরিদপুরের সালথায় ওয়ারেন্টভুক্ত এক আসামীকে ধরতে গিয়ে খোরশেদ খান (৪৫) নামে এক কৃষক লীগ নেতার হামলার শিকার হয়েছেন পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক মুকুল। এ ঘটনায় ওই হামলাকারী কৃষকলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৭ টার দিকে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের আগুলদিয়া মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

খোরশেদ খান গট্টি ইউনিয়নের কৃষকলীগের সহ-সভাপতি ও ওই গ্রামের উচমান খানের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের আগুলদিয়া মোড় এলাকায় এক ওয়ারেন্টভুক্ত আসামীকে ধরতে যায় একদল পুলিশ। এ সময় ওই আসামীকে ধরতে বাধা দেন কৃষক লীগ নেতা খোরশেদ খান। এক পর্যায়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক মুকুল আহত হন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলু রহমান খান বলেন, ওয়ারেন্টভুক্ত এক আসামীকে ধরতে গেলে খোরশেদ খান বাধা প্রদান করেন এবং পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক মুকুল আহত হন। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

মহান বিজয় দিবসে চরভদ্রাসনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা

মুস্তাফিজুর রহমান শিমুল, চরভদ্রাসন:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৬:৩৩ পিএম
মহান বিজয় দিবসে চরভদ্রাসনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা

মহান বিজয় দিবসে ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে চরভদ্রাসন সরকারী কলেজ মাঠে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জালাল উদ্দিন।

সভার শুরুতে উপজেলার প্রায়াত মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

পরে ইউএনও জালাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) যায়েদ হোছাইন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুর রাজ্জাক, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ ও মো. ফখরুজ্জামান প্রমুখ।

মধুখালীতে গড়াই সেতুর নবনির্মিত ডিজিটাল টোল ঘরের উদ্বোধন

মো. ইনামুল খন্দকার, মধুখালী:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৬:১৩ পিএম
মধুখালীতে গড়াই সেতুর নবনির্মিত ডিজিটাল টোল ঘরের উদ্বোধন

ফরিদপুরের মধুখালীর কামারখালীতে গড়াই সেতুর নবনির্মিত টোল ঘরের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে নবনির্মিত ডিজিটাল এ টোল ঘর উদ্বোধন করেন সড়ক ও জনপথের (সওজ) গোপালগঞ্জ অঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. সাদিকুল ইসলাম।

এসময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- টোলের ইজাদার প্রতিষ্ঠান ও লোকমান হোসেন খান টেডার্সের স্বত্বাধিকার এবং পান্না গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আলহাজ্ব লোকমান হোসেন খান।

অন্যান্যর মধ্যে এাময় উপস্থিত ছিলেন- পান্না গ্রুপের পরিচালক আরিয়ান খান, মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফকির তাইজুর রহমান, পান্না গ্রুপের জিএম (প্রশাসন) শেখ মো. আবুল কালাম, মধুখালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ সতেজ, টোলের ম্যানেজার মো. মিজানুর রহমান সহ সাংবাদিক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

এসময় সড়ক ও জনপথের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সাদেকুল ইসলাম বলেন, টোল ঘরের কারণে অতিরিক্ত যানজট যেন সৃষ্টি না হয়, এতে জনগণের দুর্ভোগ হয়। সেদিকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখার জন্য ইজারাদার প্রতিষ্ঠানকে অনুরোধ করেন।

একই সময় মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফকির তাইজুর রহমান বলেন, টোল ঘর এলাকার যেকোনো প্রকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ প্রশাসন সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।