খুঁজুন
সোমবার, ২ জুন, ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

ক্যান্সারে আক্রান্ত নাজমুলকে বাঁচাতে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে অসহায় বাবা-মা

সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩০ মে, ২০২৫, ৯:৩০ পিএম
ক্যান্সারে আক্রান্ত নাজমুলকে বাঁচাতে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে অসহায় বাবা-মা

filter: 0; fileterIntensity: 0.0; filterMask: 0; brp_mask:0; brp_del_th:null; brp_del_sen:null; delta:null; module: photo;hw-remosaic: false;touch: (-1.0, -1.0);sceneMode: 8;cct_value: 0;AI_Scene: (-1, -1);aec_lux: 0.0;aec_lux_index: 0;albedo: ;confidence: ;motionLevel: -1;weatherinfo: null;temperature: 40;

দিনমুজুরের ছেলে নাজমুল মৃধা পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াকালিন সময় মেধাবী ছাত্র ছিল। তখন প্রতিবেশী শিক্ষার্থীরা তার কাছে এসে প্রাইভেট পড়তো। নাজমুলের স্বপ্ন ছিল উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে একদিন দিনমুজুর বাবার পরিবারে হাঁসি ফুটাবেন। তবে ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে গত আট বছর আগে গাব গাছ থেকে পড়ে নাজমুলের দুটি পা ও কোমরের হাড় ভেঙে যায়। পরে ভাঙা পায়ে ঘা (ক্ষত) দেখা দেয়। অনেক চিকিৎসার পরেও তার পায়ের ঘা আর ভাল হয়নি। একপর্যায় তার পায়ের ঘা ধীরে ধীরে ক্যান্সারে রূপ নেয়। বর্তমানে নাজমুলের বয়স ১৯ বছর। ইতিমধ্যে তার দুটি পায়ের ৬০ শতাংশ পঁচে গেছে। আর এতে তার সেই স্বপ্ন এখন মৃত্যুর অপেক্ষায় প্রহর গুনছে।

ক্যান্সারে আক্রান্ত নাজমুল ফরিদপুরের সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের বড়দিয়া গ্রামের দিনমুজুর মো. লাল মৃধার ছেলে। তার পরিবারের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে নাজমুল সেজো।

সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ছোট একটি টিনের ছাপড়া ঘরের অন্ধকার শয়ন কক্ষে শুয়ে অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে নাজমুল। সাংবাদিকদের দেখে বিছানা থেকে ওঠে বসেন তিনি। এরপর নাজমুল ছলছল চোখে বলেন, আমার স্বপ্ন ছিল পড়ালেখা করে আমার দিনমুজুর বাবার সংসারে হাঁসি ফুটাবো। কিন্তু হাঁসি ফোটানো থাক দূরের কথা, চিকিৎসা করাতে গিয়ে আমার পরিবার কাঁদতে কাঁদতে শেষ হয়ে যাচ্ছে। প্রতিমাসে আমার ৩২ ব্যাগ বি-পজিটিভ রক্ত লাগে।

তিনি আরো বলেন, অনেক সময় রক্তও পাওয়া যায়। রক্ত দিতে গেলে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা লাগে। সেই টাকাটাও এখন আমাদের নেই। তাছাড়া প্রতিদিন ওষুধ খাওয়া লাগে। বর্তমানে টাকার অভাবে ওষুধও খেতে পারছি না। ঠিকমতো ওষুধ না খাওয়াতে আমার খাওয়া-দাওয়াও বন্ধ হয়ে গেছে। কিডনি-লিভার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় আমি বাঁচতে চাই। আমি সরকারি সহযোগিতা চাই।

নাজমুলের দিনমুজুর বাবা লাল মৃধা বলেন, আমার ছেলেটা অনেক মেধাবী ছিল। আমাদের পাড়ার পোলাপানকে প্রাইভেট পড়াতো। ছেলেটার অনেক স্বপ্ন ছিল। তবে স্বপ্ন পূরণের আগেই গাব পাড়তে গিয়ে গাছ থেকে পড়ে দুটি পা ও কোমরের হাড় ভেঙে যায়। এরপর আমার টুকটাক সম্পত্তি যা ছিল, তা বিক্রি করে ওর চিকিৎসায় ব্যয় করেছি। কিন্তু ভাল করতে পারিনি। ঘরে শুয়ে থাকতে থাকতে একপর্যায় কান্সারে আক্রান্ত হয়ে পড়ে।

তিনি আরো বলেন, আমি দিন আয় করে দিন খাই। টাকার অভাবে আমার সংসারই চলে না। এর ভেতরে ছেলের চিকিৎসায় সব শেষে হয়ে গেছে। বর্তমানে অর্থের অভাবে উন্নত চিকিৎসা করাতে পারছি না। ছেলেকে বাঁচাতে আমি আর আমার স্ত্রী মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে সাহায্য চাচ্ছি। তবে মানুষের দেওয়া অল্প সাহায্যে তার উন্নত চিকিৎসা থাক দূরের কথা ওষুধও কিনতে পারছি না। এমন অবস্থায় ছেলেকে বাঁচাতে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন। পাশাপাশি সমাজের বিত্তশালীদেরও সাহায্য চাই।

সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বালী বলেন, ক্যান্সারে আক্রান্ত নামজুলের পরিবার যদি সহযোগিতার জন্য আবেদন করে তাহলে উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে সহযোগিতা করা হবে। তাছাড়া সরকারিভাবে তার উন্নত চিকিৎসার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

ক্যান্সারে আক্রান্ত নামজুলের পার্সনাল বিকাশ ০১৩১৯১০৫৯৭৯ এই নম্বরে সকলকে সাহায্য পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেছেন তিনি।

ফরিদপুরে ইলেকট্রিক মিস্ত্রী হত্যার ঘটনায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: রবিবার, ১ জুন, ২০২৫, ৮:৫৬ পিএম
ফরিদপুরে ইলেকট্রিক মিস্ত্রী হত্যার ঘটনায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব
ফরিদপুরে নিরব শেখ (১৮) নামে এক ইলেকট্রিক মিস্ত্রী হত্যাকান্ডের ঘটনায় সোহাগ কবির (২০) ও মো. আসিফ ফকির (১৯) নামে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১০।
রবিবার (০১ জুন) দুপুরে র‌্যাব-১০ এর প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানান সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) শামীম হাসান সরদার।
এর আগে ২৯ মে ফরিদপুর সদরের বিল মামুদপুর আকাব্বর মোল্লা ডাঙ্গী এলাকার হায়দার চোকদারের মেহগুনি বাগান থেকে নিরবের অর্ধপচনশীল মরদেহ উদ্ধার করে কোতয়ালী থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় নিরব শেখের বাবা ফরিদপুর পৌরসভার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিলমাহমুদপুর আকব্বর মোল্যা ডাঙ্গি গ্রামের বাসিন্দা রেজাউল শেখ বাদি হয়ে গত ৩০ মে কোতয়ালী থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। নিহত নিরব শেখ ইলেকট্রিক মিস্ত্রীর কাজ করতেন।
এ ঘটনায় এক আসামিকে ৭দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং অপর আসামিকে আগামীকাল সোমবার আদালতে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদউজ্জামান।
র‌্যাবের প্রেসবিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুর পৌরসভার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিলমাহমুদপুর আকব্বর মোল্যা ডাঙ্গি গ্রামের রেজাউল শেখের বড় ছেলে নিহত নিরব শেখ গত ২৬ মে দুপুর আড়াইটার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। ওইদিন রাতে তিনি বাড়িতে না ফেরায় তার স্বজনরা খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। পরেরদিন ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন নিরব শেখের বাবা রেজাউল শেখ। গত ২৯ মে সন্ধ্যার দিকে সদরের বিল মামুদপুর আকাব্বর মোল্লা ডাঙ্গী এলাকার হায়দার চোকদারের মেহগুনি বাগান এলাকায় অর্ধপচনশীল স্থানীয়রা একটি মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। সেখান থেকে ওইদিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে কোতয়ালী থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। খবর পেয়ে নিরবের পরিবারের সদস্যরাও সেখানে গিয়ে নিরব শেখের মরদেহ শনাক্ত করে। এ ঘটনায় পরেরদিন ৩০ মে নিরবের বাবা রেজাউল শেখ বাদি হয়ে কোতয়ালী থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড, ১৮৬০ ধারায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার পর তদন্তকারী কর্মকর্তা নিরব হত্যায় জড়িত আসামীদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে র‌্যাব-১০ এর অধিনায়ক বরাবর একটি অধিযাচনপত্র প্রেরণ করেন। তার ভিত্তিতে র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় ফরিদপুর কোতয়ালী থানার চর কমলাপুর এলাকা থেকে সোহাগ কবিরকে (২০) ও জেলার আলফাডাঙ্গা থানার উত্তর শিরগ্রাম এলাকা থেকে মো. আসিফ ফকিরকে (১৯) গ্রেপ্তার করে কোতয়ালী থানায় হস্তান্তর করেন। নিহত ও আসামিরা সকলেই একই এলাকা ফরিদপুর সদরের আকাব্বর মোল্লা ডাঙ্গী এলাকার বাসিন্দা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ওসি মো. আসাদউজ্জামান জানান, আসামি সোহাগ কবিরকে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ মামলার গ্রেপ্তারকৃত অপর আসামি আসিফ ফকিরকে আগামীকাল সোমবার আদালতে পাঠানো হবে।

ফরিদপুরে বৈষম্য বিরোধী নেত্রীকে মারধরের ঘটনায় তিন মামলা, গ্রেপ্তার ৬

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: রবিবার, ১ জুন, ২০২৫, ৭:০৬ পিএম
ফরিদপুরে বৈষম্য বিরোধী নেত্রীকে মারধরের ঘটনায় তিন মামলা, গ্রেপ্তার ৬
  1. ফরিদপুরে বৈষম্যবিরোধী নেত্রী বৈশাখী ইসলাম বর্ষাকে (১৮) মারধরের ঘটনায় নগরকান্দা থানায় পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ও ঘরবাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় দুটি মামলায় বাদী হয়েছেন বৈশাখী ইসলাম বর্ষা। এছাড়া পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় সরকারি কাজে বাঁধা দেয়ার অভিযোগে থানা পুলিশ বাদী হয়ে আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন। এসব মামলায় ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রবিবার (০১ জুন) বিকেলে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নগরকান্দা সার্কেলের অতিরিক্ত দায়িত্বরত) আসিফ ইকবাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে বৈষম্য বিরোধী নেত্রীর ওপর হামলার ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাহার (স্ট্যান্ড রিলিজ) করা হয়েছে নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: সফর আলীকে। শনিবার (৩১ মে) বিকালে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার এ আদেশ দিয়েছেন। ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মো: শামসুল আজম।
তিনি জানান, জনস্বার্থে ও প্রশাসনিক কারণে নগরকান্দা থানার ওসি মো: সফর আলীকে থানা থেকে ফরিদপুর পুলিশ লাইনস-এ সংযুক্ত করা হয়েছে।
এ ঘটনায় রাজনৈতিক দিক নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ উঠলেও দলমত নির্বিশেষে প্রকৃত হামলাকারীদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন মারধরের শিকার নেত্রীসহ বৈষম্যবিরোধীর নেতৃবৃন্দ। বৈশাখী ইসলাম বর্ষা নগরকান্দা উপজেলার ডাঙ্গী ইউনিয়নের ভবুকদিয়া গ্রামের বাবু শেখের মেয়ে। সে জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক এবং সরকারী রাজেন্দ্র কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী।
ছোট বোনকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় শুক্রবার (৩০ মে) বিকালে তাঁর ওপর হামলা চালায় স্থানীয় সেকেন কাজী ও তার ছেলে সাগর কাজীসহ কয়েকজন। তাঁর চুলের মুঠি ধরে রাস্তায় ফেলে পেটানো হয়। তখন পুলিশের ওপরও হামলা চালায় উত্তেজিতরা। এর প্রতিবাদে সেখানে ছুটে যান বৈষম্যবিরোধীর নেতৃবৃন্দ। তখন তাদেরকে ধাওয়া দেয়া হয়। এর প্রতিবাদে রাত সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী জড়িতদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয় তারা।
এদিকে শনিবার (৩১ মে) দুপুরে বর্ষার বাড়িতে ছুটে যান উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ। তখন নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে বর্ষা তাদের বলেন, হামলাকারীরা যে দলেরই হোক বিচার করতে হবে। বিএনপির বা আওয়ামী লীগের হলেও বিচার করতে হবে।
তখন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান তারা মোল্যা দাবি করেন হামলাকারীরা আওয়ামী লীগ কর্মী। তিনি বলেন, হামলাকারীদের কেউ যদি বলতে পারে বিএনপির লোক আমার যে শাস্তি হয় মেনে নেব। হামলাটা আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা করেছে।
নগরকান্দা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত শরীফ বলেন, বিএনপিকে দায়ী করার জন্য মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে। বিএনপির কেউ এঘটনার সাথে জড়িত নয়।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নগরকান্দা সার্কেলের অতিরিক্ত দায়িত্বরত) আসিফ ইকবাল জানান, এ ঘটনায় নগরকান্দা থানায় পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ও ঘরবাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় দুটি মামলায় বাদী হয়েছেন বৈশাখী ইসলাম বর্ষা। এছাড়া পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় সরকারি কাজে বাঁধা দেয়ার অভিযোগে থানা পুলিশ বাদী হয়ে আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন। এসব মামলায় উত্ত্যক্তকারী শরিফ বেপারী সহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শত কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন: ফরিদপুরের খন্দকার মোশাররফের নামে দুদকের মামলা

বিশেষ প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: রবিবার, ১ জুন, ২০২৫, ৬:৫৯ পিএম
শত কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন: ফরিদপুরের খন্দকার মোশাররফের নামে দুদকের মামলা

জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৩৫ কোটি টাকারও বেশি সম্পদ অর্জন এবং শত কোটি টাকার বেশি সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে ফরিদপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার (১ জুন) দুূদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

 

 

 

তিনি জানান, আসামি খন্দকার মোশাররফ হোসেন দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৩৫ কোটি ১৮ লাখ ৭৯ হাজার ৭৭ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জনপূর্বক নিজ দখলে রেখেছেন। একইসঙ্গে ৭ কোটি ৭২ লাখ ১৮ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে গোপন করেছেন।

 

 

 

 

সব মিলিয়ে মোট ৯৯ কোটি ২১ লাখ ১৮ হাজার ৮৪২ টাকা ও ১১ লাখ ৩৩ হাজার ৮১৬ মার্কিন ডলারের অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন তিনি।

অপরাধলদ্ধ অবৈধ অর্থ হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে গোপন করায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা; মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) (৩) ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় একটি মামলা রুজু করা হয়।

 

 

 

খন্দকার মোশাররফ হোসেন দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে বসবাস করছেন। তিনি ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের সাবেক স্বামী খন্দকার মাশরুর হোসেন মিতুর বাবা।

হাসিনার নেতৃত্বাধীন ২০০৯-২০১৪ সরকারের মন্ত্রিসভায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় (এলজিআরডি) এবং ২০১৪-২০১৮ সরকারের মন্ত্রিসভায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন মোশাররফ।