খুঁজুন
শনিবার, ১ নভেম্বর, ২০২৫, ১৬ কার্তিক, ১৪৩২

ক্যান্সারে আক্রান্ত নাজমুলকে বাঁচাতে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে অসহায় বাবা-মা

সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩০ মে, ২০২৫, ৯:৩০ পিএম
ক্যান্সারে আক্রান্ত নাজমুলকে বাঁচাতে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে অসহায় বাবা-মা

filter: 0; fileterIntensity: 0.0; filterMask: 0; brp_mask:0; brp_del_th:null; brp_del_sen:null; delta:null; module: photo;hw-remosaic: false;touch: (-1.0, -1.0);sceneMode: 8;cct_value: 0;AI_Scene: (-1, -1);aec_lux: 0.0;aec_lux_index: 0;albedo: ;confidence: ;motionLevel: -1;weatherinfo: null;temperature: 40;

দিনমুজুরের ছেলে নাজমুল মৃধা পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াকালিন সময় মেধাবী ছাত্র ছিল। তখন প্রতিবেশী শিক্ষার্থীরা তার কাছে এসে প্রাইভেট পড়তো। নাজমুলের স্বপ্ন ছিল উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে একদিন দিনমুজুর বাবার পরিবারে হাঁসি ফুটাবেন। তবে ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে গত আট বছর আগে গাব গাছ থেকে পড়ে নাজমুলের দুটি পা ও কোমরের হাড় ভেঙে যায়। পরে ভাঙা পায়ে ঘা (ক্ষত) দেখা দেয়। অনেক চিকিৎসার পরেও তার পায়ের ঘা আর ভাল হয়নি। একপর্যায় তার পায়ের ঘা ধীরে ধীরে ক্যান্সারে রূপ নেয়। বর্তমানে নাজমুলের বয়স ১৯ বছর। ইতিমধ্যে তার দুটি পায়ের ৬০ শতাংশ পঁচে গেছে। আর এতে তার সেই স্বপ্ন এখন মৃত্যুর অপেক্ষায় প্রহর গুনছে।

ক্যান্সারে আক্রান্ত নাজমুল ফরিদপুরের সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের বড়দিয়া গ্রামের দিনমুজুর মো. লাল মৃধার ছেলে। তার পরিবারের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে নাজমুল সেজো।

সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ছোট একটি টিনের ছাপড়া ঘরের অন্ধকার শয়ন কক্ষে শুয়ে অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে নাজমুল। সাংবাদিকদের দেখে বিছানা থেকে ওঠে বসেন তিনি। এরপর নাজমুল ছলছল চোখে বলেন, আমার স্বপ্ন ছিল পড়ালেখা করে আমার দিনমুজুর বাবার সংসারে হাঁসি ফুটাবো। কিন্তু হাঁসি ফোটানো থাক দূরের কথা, চিকিৎসা করাতে গিয়ে আমার পরিবার কাঁদতে কাঁদতে শেষ হয়ে যাচ্ছে। প্রতিমাসে আমার ৩২ ব্যাগ বি-পজিটিভ রক্ত লাগে।

তিনি আরো বলেন, অনেক সময় রক্তও পাওয়া যায়। রক্ত দিতে গেলে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা লাগে। সেই টাকাটাও এখন আমাদের নেই। তাছাড়া প্রতিদিন ওষুধ খাওয়া লাগে। বর্তমানে টাকার অভাবে ওষুধও খেতে পারছি না। ঠিকমতো ওষুধ না খাওয়াতে আমার খাওয়া-দাওয়াও বন্ধ হয়ে গেছে। কিডনি-লিভার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় আমি বাঁচতে চাই। আমি সরকারি সহযোগিতা চাই।

নাজমুলের দিনমুজুর বাবা লাল মৃধা বলেন, আমার ছেলেটা অনেক মেধাবী ছিল। আমাদের পাড়ার পোলাপানকে প্রাইভেট পড়াতো। ছেলেটার অনেক স্বপ্ন ছিল। তবে স্বপ্ন পূরণের আগেই গাব পাড়তে গিয়ে গাছ থেকে পড়ে দুটি পা ও কোমরের হাড় ভেঙে যায়। এরপর আমার টুকটাক সম্পত্তি যা ছিল, তা বিক্রি করে ওর চিকিৎসায় ব্যয় করেছি। কিন্তু ভাল করতে পারিনি। ঘরে শুয়ে থাকতে থাকতে একপর্যায় কান্সারে আক্রান্ত হয়ে পড়ে।

তিনি আরো বলেন, আমি দিন আয় করে দিন খাই। টাকার অভাবে আমার সংসারই চলে না। এর ভেতরে ছেলের চিকিৎসায় সব শেষে হয়ে গেছে। বর্তমানে অর্থের অভাবে উন্নত চিকিৎসা করাতে পারছি না। ছেলেকে বাঁচাতে আমি আর আমার স্ত্রী মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে সাহায্য চাচ্ছি। তবে মানুষের দেওয়া অল্প সাহায্যে তার উন্নত চিকিৎসা থাক দূরের কথা ওষুধও কিনতে পারছি না। এমন অবস্থায় ছেলেকে বাঁচাতে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন। পাশাপাশি সমাজের বিত্তশালীদেরও সাহায্য চাই।

সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বালী বলেন, ক্যান্সারে আক্রান্ত নামজুলের পরিবার যদি সহযোগিতার জন্য আবেদন করে তাহলে উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে সহযোগিতা করা হবে। তাছাড়া সরকারিভাবে তার উন্নত চিকিৎসার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

ক্যান্সারে আক্রান্ত নামজুলের পার্সনাল বিকাশ ০১৩১৯১০৫৯৭৯ এই নম্বরে সকলকে সাহায্য পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেছেন তিনি।

চরভদ্রাসনে পদ্মার ভাঙনে ৩০ মিটার জিওব্যাগের বাঁধ বিলীন

মুস্তাফিজুর রহমান শিমুল, চরভদ্রাসন:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:৫২ পিএম
চরভদ্রাসনে পদ্মার ভাঙনে ৩০ মিটার জিওব্যাগের বাঁধ বিলীন

oplus_0

ফরিদপুরের চরভদ্রাসনের সদর ইউনিয়নের টিলারচর গ্রামে হঠাৎ করে দেখা দিয়েছে পদ্মা নদীর ভাঙ্গন।

গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকালে এ ভাঙনে ওই এলাকার নদী পাড়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জিওব্যাগের ডাম্পিং করা প্রায় ত্রিশ মিটার বাঁধ ও ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

ভাঙন এলাকা হতে প্রায় ৯০ মিটার দূরে রয়েছে এমপি ডাঙ্গী ও জাকেরেরশুরা হয়ে জেলা শহর ফরিদপুরের যাতায়াতের পাকাসড়ক, শতশত বসত বাড়ি ও সরকারী স্কুল।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পদ্মা নদীর পানি কমতে থাকা অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে হঠাৎ করে নদী ভাঙন দেখা দেওয়ায় আতঙ্কে রয়েছে নদী পাড়ের মানুষ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সরজমিনে ভাঙন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, এখানে নদীর তীর রক্ষা স্থায়ী বাঁধের সাথে আপদকালীন সময়ে জিওব্যাগের ডাম্পিং করা বাঁধের বড় একটা অংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া কয়েকটি অংশের মাটিতে ফাটল দেখা দিয়েছে।

ভাঙনের বিষয়ে নদী পাড়ের বসতি শেক মেতালেব (৫৩) ও মো. ইমারত হোসেন (২৫) জানায়, বুধবার সকাল থেকে ওই এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। কিছু সময় পর পর মাটির বড় বড় অংশ পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে।

তারা বলেন, দ্রুত ভাঙন রোধে কাজ না করলে বিলীন হয়ে যাবে ফসলি জমি, পাকা সড়ক সহ স্থানীয় শত শত বসত বাড়ি।

ভাঙনের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনিরা খাতুন বলেন, “আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার নিকট থেকে ওই এলাকায় নদী ভাঙনের খবর পেয়েছি। জায়গাটি পরিদর্শন করে দ্রুত ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলব।

ভাঙনের বিষয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন বলেন, “ টিলারচর গ্রামের কয়েকটি পয়েন্টে আপদকালীন ভাঙন রোধে বর্ষা মৌসুমে জিওব্যাগের ডাম্পিং করা হয়েছিল। ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া ভাঙন রোধে চরভদ্রাসন উপজেলার কয়েকটি পয়েন্ট মিলে ৩.১৫ কি.মি. জায়গায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের একটি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে রয়েছে বলেও জানান পাউবোর এই নির্বাহী প্রকৌশলী।

ফরিদপুরে কলেজ গেট স্টেশনে ট্রেন থামানোর দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:৩৬ পিএম
ফরিদপুরে কলেজ গেট স্টেশনে ট্রেন থামানোর দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

ফরিদপুর শহরের এডুকেশন জোন খ্যাত বাইতুল আমান কলেজ গেট স্টেশনে ট্রেন থামানোর দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাতে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন ফরিদপুর রেল স্টেশন পরিদর্শনে আসলে তার কাছে বাইতুল আমান এলাকাবাসী ও আশেপাশে কলেজগুলোতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা তাদের এই দীর্ঘদিনের দাবি তুলে ধরেন এবং স্মারকলিপি প্রদান করেন।

স্মারকলিপি প্রদানের সময় ফরিদপুর কলেজ গেট স্টেশনে ট্রেন থামানো দাবি কমিটির সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর সৈয়দ আলাওল হোসেন তনু, ফরিদপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সৈয়দ আদনান হোসেন অনু, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি মো. পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাহিম, ফরিদপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের সভাপতি মো. পার্থ আহমেদ, মোহাম্মদ আতিয়ার রহমান,মোহাম্মদ রোমন চৌধুরী, মো. আব্দুস সালাম সহ স্থানীয় এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, বাইতুল আমান কলেজগেটে বহু আগে থেকেই রেলের একটি স্টেশন রয়েছে, সেখানে আগে ট্রেন এসে থামতো, অজ্ঞাত কারণে এখন আর এখানে ট্রেন থামে না । এলাকাটি ফরিদপুরের মধ্যে এডুকেশন জোন নামে খ্যাত। যেখানে রয়েছে‌ ফরিদপুরের ঐতিহ্যবাহী সরকারী রাজেন্দ্র কলেজ, ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, সরকারি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট, ফরিদপুর সরকারি কলেজ, ফরিদপুর সিটি কলেজ সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ।

সবগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মিলে ৫০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। এই শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের একেক জেলার একেক প্রান্ত থেকে তারা শিক্ষা লাভের জন্য কেউ বাসে, কেউ লঞ্চে করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এবং অধিক ভাড়া দিয়ে তারা ফরিদপুর থেকে যাতায়াত করেন। অথচ বায়তুল আমান কলেজগেট স্টেশন থেকে কলেজের কোনোটির দূরত্ব ৪০০ মিটার, ৫০০ মিটার, ৬০০ মিটার। বাইতুল আমান কলেজ গেট স্টেশনে যদি ট্রেন থামানো হয় তাহলে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি দূর হবে তাদের সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমবে, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য স্বল্প ভাড়ায় তারা বাড়িতে যাতায়াত করতে পারবে।

এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি দূর করতে বাইতুল আমান রেলগেট স্টেশনে পুর্বের মতো ট্রেন থামানো নির্দেশনার মতো একটি সুন্দর সিদ্ধান্ত নিতে রেলের মহাপরিচালকের কাছে আবেদন এলাকাবাসী ও প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষার্থীর।

‘আমি এমপি হলে আমার কাছে আসতে কোন নেতা ধরতে হবে না’ — স্থপতি মুজাহিদ বেগ

সোহাগ মাতুব্বর, ভাঙ্গা:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:১৩ পিএম
‘আমি এমপি হলে আমার কাছে আসতে কোন নেতা ধরতে হবে না’ — স্থপতি মুজাহিদ বেগ

‘আমি এমপি হলে আমার কাছে আসতে কোন নেতা ধরতে হবে না। সরাসরি আমার সাথে দেখা করতে পারবেন। কথা বলতে পারবেন বলে মন্তব্য করেছেন ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মো. মুজাহিদ বেগ।’

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার তুজারপুর ইউনিয়নের উচাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এক উঠান বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মুজাহিদ বেগ বলেন, ‘আমি যদি ফরিদপুর-৪ আসনের এমপি নির্বাচিত হতে পারি তাহলে আমি আপনাদেরকে নিয়ে এই আসনটি এমনভাবে সাজাবো যাতে বাংলাদেশের মধ্যে রোল মডেল হিসেবে তৈরি হয়।’

এসময় তিনি আরো বলেন, ফরিদপুর-৪ আসনের একটা যুবক ভাই বেকার থাকবে না। যুবক ভাইয়েরা আমার হৃদয়ে আছে। তাদের শিক্ষা নিশ্চিত করা, খেলাধুলা করার সুযোগ তৈরি করার জন্য সব করব।

হাফেজ কুব্বাত মাতুব্বরের সভাপতিত্বে ও সাগর বেগের সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন- হায়দার হোসেন, সোবাহান হোসেন, বাকী মাতুব্বর, সেলিম মাহমুদ, সহিদুল ইসলাম, আল-আমিন, মো. রাসেল মোল্লা ও সৌরভ বিশ্বাস প্রমূখ।