খুঁজুন
শুক্রবার, ৬ জুন, ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

নতুন দলের আত্মপ্রকাশ ‘২৬ ফেব্রুয়ারি’, মতবিরোধের পর শীর্ষ পদ চূড়ান্ত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৫:৪৩ পিএম
নতুন দলের আত্মপ্রকাশ ‘২৬ ফেব্রুয়ারি’, মতবিরোধের পর শীর্ষ পদ চূড়ান্ত

দীর্ঘ কয়েকদিনের অস্থিরতার পর নতুন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ পদে কারা থাকবেন, তা অনেকটাই চূড়ান্ত। দলের কাঠামো নাগরিক কমিটির মতোই থাকছে।

তবে সমঝোতার ভিত্তিতে নতুন দুটি পদ ‘সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক’ ও ‘সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব’ পদ তৈরি করা হয়েছে।

 

ইতোমধ্যে সংগঠনের আত্মপ্রকাশকে কেন্দ্র করে একটি প্রস্তুতি কমিটি করা হয়েছে। এই কমিটি গত বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ও শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সভা করেছে। প্রথম সভায় দলের আত্মপ্রকাশের সময়, অনুষ্ঠানের ধরন, শৃঙ্খলা, উপস্থিতিসহ নানা বিষয় আলোচনা হয়েছে। আয়োজনের শৃঙ্খলার জন্য কমিটি গঠন এবং দলের গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্র প্রণয়নের জন্য প্রস্তুতি কমিটি করা হয়েছে।

সমঝোতার ভিত্তিতেই দলের শীর্ষ পদের নেতারা নির্বাচিত হবেন বলে নাগরিক কমিটির একাধিক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন।

তারা জানিয়েছেন, দলের আহ্বায়ক পদে নাহিদ ইসলামকে নিয়ে তেমন কারও আপত্তি ছিল না। তিনি যেকোনো সময় অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করে নতুন দলের দায়িত্ব নেবেন। সদস্য সচিব পদ নিয়ে দীর্ঘ সময় মতবিরোধ ছিল। শিবিরের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এমন অনেকেই শিবিরের সাবেক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ও বর্তমানে জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদকে এ পদে চাইছিলেন। তবে আলাপ-আলোচনার পর এই পদে নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেনের আসাটা অনেকটাই নিশ্চিত হয়েছে।

এছাড়াও দলের মুখ্য সংগঠক ও মুখপাত্র পদে সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহকে দেখা যেতে পারে বলে এই নেতারা জানিয়েছেন। অন্যদিকে সমঝোতার ভিত্তিতে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক পদে আলী আহসান জুনায়েদ ও সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব পদে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসিরুদ্দীন পাটোয়ারী আসতে পারেন বলে জানা গেছে।

নতুন দল ২৬ ফেব্রুয়ারি আত্মপ্রকাশ করতে পারে। শুরুর দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আত্মপ্রকাশের কথা থাকলেও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে দলটি আত্মপ্রকাশ করতে পারে। দলটির আয়োজনে নানা কমিটি ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। তবে দলের নাম এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

এর আগে গত কয়েক সপ্তাহে নাগরিক কমিটির শীর্ষ পদে কারা আসবেন, তা নিয়ে মতবিরোধ তৈরি হয়। জাতীয় নাগরিক কমিটির বিভিন্ন ভাবধারার রাজনীতি করা তরুণরা রয়েছেন। এরমধ্যে একটি অংশ সাবেক ছাত্রশিবিরের নেতা রয়েছেন। এছাড়াও বাম ঘরানার ও মধ্যমপন্থি রাজনীতি করা তরুণরাও রয়েছেন। ছাত্রশিবিরের তরুণরা নতুন দলের শীর্ষ পদে নিজেদের পছন্দের নেতা বসাতে চাইছিলেন।

বিষয়টি শেষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও আসে। এসময় শিবিরের নেতা আরেফীন মোহাম্মদ, রাফে সালমান রিফাত গণঅভ্যুত্থানে নিজেদের অবদানের কথা তুলে ধরেন।

তবে নাগরিক কমিটির শীর্ষ এক নেতা  বলেছেন, নতুন দল গঠনের আগে এ ধরনের মতবিরোধকে তারা স্বাভাবিকভাবেই দেখছেন। আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে তার সমাধানও হয়েছে। তবে কেবল অভ্যুত্থানের অবদান নয়, বরং রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্যতা ও নাগরিক কমিটির সাংগঠনিক কার্যক্রম বিবেচনায় রয়েছে বলেও জানান তিনি।

দল গঠনের বিষয়ে নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ‘আপনার চোখে নতুন বাংলাদেশ’ জনমত জরিপ যে কর্মসূচি শুরু করেছি। সেখানে আমাদের কাছে লক্ষাধিক উপাত্ত এসেছিল। আমরা সেগুলো নিজেদের মধ্যে পর্যালোচনা করেছি। পার্টি তৈরির জন্য ইতোমধ্যে নানা ধরনের প্রস্তুতিমূলক কমিটি হয়েছে। সামনের সপ্তাহের শেষদিকে আমরা আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করতে পারব বলে আশা রাখি।

গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার দলের প্রস্তুতির বিষয়ের সভা সম্পর্কে তিনি বলেন,  সভায় আত্মপ্রকাশের সময়, আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানের ধরন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। শৃঙ্খলা, গঠনতন্ত্র, ঘোষণাপত্র প্রণয়নসহ বিভিন্ন কমিটি করা হয়েছে।

তবে নেতৃত্ব এখনো পুরোপুরি চূড়ান্ত নয় বলে জানিয়েছেন আখতার। তিনি বলেন, সংগঠনের নেতৃত্ব এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এ বিষয়ে আলাপ আলোচনা চলমান আছে। গ্রহণযোগ্যতা, রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা এবং আমাদের রাজনৈতিক লক্ষ উদ্দেশ্য ও ভীষণ-মিশনে একাত্মবোধের জায়গাগুলো বিবেচনা নিয়ে আমরা বোঝাপড়ার মধ্য দিয়েই নেতৃত্ব নির্বাচন করব।

ফরিদপুরে বেহাল মহাসড়কে ঈদ যাত্রায় ভোগান্তি, ডাকাতির শঙ্কা

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫, ৬:২৪ পিএম
ফরিদপুরে বেহাল মহাসড়কে ঈদ যাত্রায় ভোগান্তি, ডাকাতির শঙ্কা

 

 

ভাঙ্গা উপজেলা থেকে ফরিদপুর জেলা সদর পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় এবারের ঈদ যাত্রায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ঘর মুখো মানুষকে।

একদিকে খানাখন্দে ভরপুর সড়ক দিয়ে চলাচলে প্রায়শ ভেঙ্গে যাচ্ছে যানবাহনের যন্ত্রপাতি, অন্যদিকে ওই সড়ক অতিক্রমে ভোগান্তির পাশাপাশি ধীর গতির কারণে যথাসময়ে গন্তব্যে পৌছাতে না পারাসহ রাতে ছিনতাই ও ডাকাতির শংকা রয়েছে ঘরমুখো যাত্রীদের মাঝে। যদিও ফরিদপুরের পুলিশ সুপার বলছেন, ঘরমুখো যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ওই অংশে রাতের বেলায় পুলিশ টহল বাড়ানো হয়েছে। তাই শংকিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।

বরিশাল-ফরিদপুর মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলা এক্সপ্রেসওয়ের শেষ প্রান্ত থেকে ফরিদপুরের দুরত্ব ৩০ কিলোমিটার, যা দীর্ঘদিন প্রয়োজনীয় সংস্কারের অভাবে খানাখন্দে ভরে গেছে। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে বেড়েছে খানা-খন্দের পরিমান।

এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ওই সড়ক ব্যবহার করে যাতায়াত করা ফরিদপুরসহ অন্তত ১০ জেলার মানুষ। ফরিদপুরের সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মকর্তাদের এই সড়কটির ব্যাপারে উদাসীনতাকে দায়ি করছে এই সড়কে যাতায়াতকারীরা।

ওই সড়ক ব্যবহারকারী যানবাহন চালক ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খানাখন্দের কারণে প্রায়শ গাড়ীর যন্তপাতি ভেঙ্গে যাচ্ছে। এছাড়া ধীর গতিতে যানবাহন চালাতে হচ্ছে, ফলে নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পেছানো যাচ্ছেনা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা।

এই সড়ক দিয়ে ঢাকাগামী মাইক্রোচালক আবুল হোসেন বলেন, এয়ারপোর্টে যাচ্ছি যাচ্ছি আনতে ভাঙ্গা থেকে ফরিদপুর পর্যন্ত সড়কের যে অবস্থা তাতে গাড়ির গতিসিমা সর্বোচ্চ ১৫ বেশি চালানো যায় না। মহাসড়কের গতি যদি এরকম হয় সে ক্ষেত্রে ডাকাতি সহ নানা পদের ঝামেলার আশঙ্কা থাকে।

এদিকে গাড়ী নষ্ট হওয়া ও ধীর গতির কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন ঘরমুখো মানুষেরাও। এছাড়া রাতে ধীর গতির কারণে ছিনতাই বা ডাকাতির মতো ঘটনার শংকাও রয়েছে তাদের মধ্যে। সড়কটি দ্রুত সংস্কার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবী তাদের।

যদিও ছিনতাই ও ডাকাতির বিষয়টি মাথায় রেখে ওই অংশে পুলিশ টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল।

তিনি জানান, ৩০ কিলোমিটার মহাসড়ককে চারটি ভাগে ভাগ করে পুলিশ টহলের ব্যবস্থা করা হযেছে। কোনো ধরনের সমস্যা বা সন্দেহ হলে দ্রুত পুলিশকে জানানোর আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। এদিকে জেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শফিকুর রহমান জানিয়েছে, আপাতত চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক করতে সড়কটির সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে।

‘জিয়াউর রহমান ছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা’– এ্যাড. বুলু

এহসানুল হক, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫, ৬:১৪ পিএম
‘জিয়াউর রহমান ছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা’– এ্যাড. বুলু

‘জিয়াউর রহমান ছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা’ বলে মন্তব্য করেছেন ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড. লিয়াকত আলী খান বুলু।

ফরিদপুরের নগরকান্দায় জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।  এসময় লিয়াকত আলী খান বুলু জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক জীবন নিয়ে বিস্তর আলোচনা করেন।

বুধবার (৪ জুন) নগরকান্দা পৌর বিএনপির সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মো. জাহিদুল ইসলাম জাহিদ।

 

এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রফিকুজ্জামান অনু, উপজেলা ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা দেলোয়ার হোসেন ঝিলু, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি মো. বিল্লাল হোসেন মোল্লা, পৌর ছাত্রদলের সভাপতি মহিদ বিল আল মাহিম প্রমুখ।

আলোচনাসভা শেষে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি করেন তাঁরা।

ফরিদপুরে গরু বোঝাইকৃত পিকআপ উল্টে এক ব্যবসায়ী নিহত

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ৯:৩৩ পিএম
ফরিদপুরে গরু বোঝাইকৃত পিকআপ উল্টে এক ব্যবসায়ী নিহত
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে গরু বোঝাইকৃত পিকআপ উল্টে লিয়াকত মোল্যা (৪০) নামে এক ব্যবসায়ী নিহতের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (৩ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মাঝকান্দি-বোয়ালমারী-ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের কাদিরদী বাজার সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোয়ালমারী উপজেলার কাদিরদী এলাকার ইউপি সদস্য বুলবুল আহমেদ।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মাগুরা জেলার গোপালনগর ইউনিয়নের সংকোচ খালী এলাকার তিন ব্যবসায়ী কয়েকটি গরু বোঝাইকৃত ট্রাক নিয়ে ফরিদপুর টেপাখোলা গরুর হাটে যাচ্ছিলেন। তারা মহম্মদপুর-বোয়ালমারী উপজেলার সীমান্ত ব্রীজ পার হয়ে ফরিদপুর জেলার কাদিরদী বাজার এলাকায় পৌঁছালে পিকআপ থেকে গরু লাফ দিলে গরু বোঝাইকৃত পিকআপ উল্টে যায়। এ সময় পিকআপে থাকা লিয়াকত মোল্যাসহ দুই ব্যবসায়ী আহত হয়। স্থানীয়রা মারাত্মক আহত অবস্থায় দুই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক লিয়াকত মোল্যাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় অপর ব্যবসায়ী ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।
এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বোয়ালমারী উপজেলার কাদিরদী এলাকার ইউপি সদস্য বুলবুল আহমেদ জানান, মাগুরা সদর থেকে গরু বোঝাইকৃত পিকআপটি ফরিদপুর শহরের টেপাখোলা গরুর হাটে যাচ্ছিল। গরুর গাড়িটি কাদিরদী বাজারে আসলেই একটি গরু লাফ দিলে গাড়ীটি উল্টে ব্যবসায়ীরা চাপা পড়ে। সেখান থেকে আহত দুইজনকে ফরিদপুর মেডিক্যালে পাঠানো হয়। পরে জানতে পেরেছি লিয়াকত নামে ব্যবসায়ী মারা গেছে।
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানার ওসি মাহমুদুল হাসান জানান, বিষয়টি নিয়ে আমরা এখনো অবগত নই। এমনকি ঘটনাটি আমাদের কেউ জানায়নি।