খুঁজুন
সোমবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৫, ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

ফরিদপুরের মধুমতি নদীতে এক মৎস্যজীবীর বৈঠার আঘাতে নিখোঁজ অপর মৎস্যজীবী 

তৈয়বুর রহমান কিশোর, বোয়ালমারী:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন, ২০২৫, ৩:২৬ পিএম
ফরিদপুরের মধুমতি নদীতে এক মৎস্যজীবীর বৈঠার আঘাতে নিখোঁজ অপর মৎস্যজীবী 

ফরিদপুরের মধুমতি নদীতে মাছ ধরার সময় শৌখিন খান (৩৮) নামে এক মৎস্যজীবী প্রতিপক্ষ মৎস্যজীবী জব্বার মোল্যার (৩৭) হাতে থাকা বৈঠার আঘাতে নিখোঁজ রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দুপুর ২টা পর্যন্ত নদীতে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল অভিযান চালিয়েও নিখোঁজ মৎস্যজীবী শৌখিনের সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে ঘটনাস্থল এলাকায় গিয়ে জানা গেছে।

এর আগে বুধবার (২৫ জুন) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী ও মধুখালী উপজেলা এবং মাগুরা জেলার মহম্মদপুর সীমান্তে মধুমতি নদীতে এ ঘটনা ঘটে।

নিখোঁজ মৎস্যজীবী শোখিন খান মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার দীঘা ইউনিয়নের পাল্লা চরপাড়া গ্রামের ছাত্তার খানের ছেলে। সকাল থেকেই নিখোঁজের স্বজনরা ও এলাকাবাসী মধুমতি নদীর বোয়ালমারী উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের মাঝিপাড়া ঘাটে আহাজারি করতে দেখা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী, এলাকাবাসী ও নিখোঁজ মৎস্যজীবীর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের ন্যায় মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার দীঘা ইউনিয়নের পাল্লা চরপাড়া গ্রামের ছাত্তার খানের ছেলে মৎস্যজীবী শোখিন খান ও ফরিদপুর জেলার নওপাড়া গ্রামের আহমদ শেখের ছেলে হুমায়ূন শেখ নৌকায় চায়না জাল নিয়ে বুধবার রাত ১০টার দিকে মাছ ধরতে বের হয়। একই সময়ে পাশেই মাছ ধরতেছিল ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার নওপাড়া গ্রামের ছলেমান মোল্লার ছেলে জব্বার মোল্লা (৩৮), রবিউল মোল্লা (৩০) ও একই গ্রামের নৌকা চালক ছলেমানের ছেলে সানি শেখ।
ওইদিন রাত পৌনে ৩টার দিকে বোয়ালমারী ও মধুখালী উপজেলার সীমান্তবর্তী চন্ডিবিলা মাঝিপাড়া ঘাট এলাকা দিয়ে মৎস্যজীবী শোখিন খান ও হুমায়ূন শেখ নৌকা নিয়ে ফিরছিলেন। এ সময় অপর মৎস্যজীবী জব্বার মোল্লা (৩৮) ও রবিউল মোল্লা (৩০) শৌখিনদের বলে, আমাদের জালের উপর আসলি কেন? ঘটনার সময় দুই মৎস্যজীবী পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে জব্বার মোল্লা শৌখিনের মাথায় বৈঠা দিয়ে আঘাত করলে নদীর পানিতে ডুবে যায়।

খবর পেয়ে ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালিয়েও নিখোঁজ মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করতে পারেনি। সকাল থেকেই নিখোঁজের স্বজনরা ও এলাকাবাসী মধুমতি নদীর বোয়ালমারী উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের মাঝিপাড়া ঘাটে আহাজারি করতে দেখা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও সৌখিনের সাথে থাকা অপর মৎস্যজীবী হুমায়ুন শেখ জানান, রবিউল ও জব্বারের পেতে রাখা কারেন্ট জালের উপর দিয়ে নৌকা চালানো হয়েছে দাবী করে জব্বার সৌখিনের মাথায় আঘাত করলে সে নদীর মধ্যে পড়ে যায়। তাৎক্ষণিক তাকে পাওয়া না গেলে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা এসে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। কিন্তু বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত তার কোন সন্ধান মেলেনি।

উদ্ধার কাজে অংশ নেওয়া ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি গনি আমিন জানান, আমরা ঘটনাস্থলে এসে জানতে পারি রাতে মাছ মারার সময় এক মৎস্যজীবী অপর মৎস্যজীবীকে আঘাত করলে একজন পানিতে পড়ে নিখোঁজ হন। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে ১০টা পর্যন্ত প্রথম পর্যায়ে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে নিখোঁজের সন্ধান পাওয়া যায়নি। অক্সিজেন শেষ হয়ে যাওয়ায় মাঝখানে অভিযান স্থগিত করা হয়। পরে পুনরায় উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়েছে। এখনো ওই ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছে।

মধুখালীতে নকল কীটনাশক জব্দ, প্রস্তুতকারককে ১ বছরের কারাদণ্ড

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: সোমবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৫, ৬:৪০ পিএম
মধুখালীতে নকল কীটনাশক জব্দ, প্রস্তুতকারককে ১ বছরের কারাদণ্ড

ফরিদপুরে অবৈধভাবে নকল সার, কীটনাশক তৈরি ও বাজারজাত করার অভিযোগে দাউদ মোল্লা (৩৫) নামে এক যুবককে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অনাদায়ে তাকে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

সোমবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে জেলার মধুখালী উপজেলার বাগাট ইউনিয়নের বাগাট গ্রামের কবির মোল্লার ছেলে মো. দাউদ মোল্লাকে এ দণ্ড প্রদান করা হয়।

মধুখালী কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মাহবুব এলাহী বলেন, গ্রাম পুলিশকে সোর্স হিসেবে ব্যবহার করে সোমবার দুপুরে সেখানে অভিযান চালানো হয়। এসময় প্রায় লক্ষাধিক টাকার নকল সার ও কীটনাশক জব্দ করা হয় এবং প্রায় ৫০ লক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন কৃষি উপকরণে (বালাইনাশক ও অনুখাদ্য) মোড়ক জব্দ করে ধ্বংস করা হয়। পরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯-এর ৪৩ ধারায় দাউদ মোল্লাকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু রাসেল জানান, দীর্ঘদিন ধরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, বাগাট দাখিল মাদরাসার পূর্ব পাশে গোরস্থানসংলগ্ন একটি বসতবাড়িতে দাউদ মোল্লা বিভিন্ন পরিচিত কোম্পানির লোগো ও প্যাকেট ব্যবহার করে নকল সার–কীটনাশক প্রস্তুত ও বাজারজাত করছেন।

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন মধুখালী থানা পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর তন্ময় সাহা সঙ্গীয় ফোর্সসহ স্থানীয় কৃষক ও সাধারণ মানুষ।

‘নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিবাহ বৈধ নয়’ — ফরিদপুরের ডিসি

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: সোমবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৫, ৬:২৬ পিএম
‘নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিবাহ বৈধ নয়’ — ফরিদপুরের ডিসি

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদ হলরুমে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে অংশীজনদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

সোমবার (২৪ নভেম্বর) সকাল ১১টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক,শিক্ষাথী,সাংবাদিক, এনজিও কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় প্রধান অতিথি ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান মোল্যা বলেন, নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিবাহ সম্পন্ন করা কোনোভাবেই বৈধ নয়। নোটারি বিবাহের আইনি স্বীকৃতি নেই। এটি প্রতারণা ও দণ্ডনীয় অপরাধ। তিনি বাল্যবিবাহ রোধে ভ্রাম্যমাণ আদালতসহ সব ধরনের আইনি ব্যবস্থা আরও জোরদার করার ঘোষণাও দেন।

বক্তারা বলেন, বাল্যবিবাহ শুধু একটি আইনি অপরাধ নয়; এটি শিশুর শারীরিক-মানসিক স্বাস্থ্য, শিক্ষাজীবন ও সমাজে দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে পরিবার, সমাজ ও প্রশাসনের সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তারা।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন চরভদ্রাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রজিউল্লাহ খান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হাফিজুর রহমান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন, গাজিরটেক ইউপি চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী, সাংবাদিক আব্দুস সবুর মোল্লা (কাজল) ও লিতাকত আলী (লাভ্লু) আব্দুস সালাম মোল্লা প্রমুখ।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জাহিদ তালুকদার। সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরা খাতুন।

জেলা প্রশাসন জানায়, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে নিয়মিত সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি আইন প্রয়োগে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

আলফাডাঙ্গায় জুতার দোকানে ভয়াবহ আগুন, ২০ লাখ টাকার ক্ষতি

মো. ইকবাল হোসেন, আলফাডাঙ্গা:
প্রকাশিত: সোমবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৫, ৬:০৯ পিএম
আলফাডাঙ্গায় জুতার দোকানে ভয়াবহ আগুন, ২০ লাখ টাকার ক্ষতি

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় ভয়াবাহ আগুনে জুতার দোকানের গোডাউনে থাকা মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ অগ্নিকান্ডে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দোকান মালিক।

রোববার (২৩ নভেম্বর) দিনগত রাত দেড়টার দিকে আলফাডাঙ্গা সদর বাজারে বাশার সু-স্টোরে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। বৈদ্যুতিক সট সার্কিট থেকে এ আগুণের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

বাজার ব্যবসায়ী সূত্রে জানা যায়, রবিবার রাত দেড়টায় সদর বাজারের মেসার্স বাশার সু স্টোরের দোকানের মধ্যে থেকে আগুনের ধোঁয়া দেখতে পেয়ে দোকান মালিককে ফোন করে জানানো হয়। এর মধ্যে আলফাডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। ফায়ার সার্ভিস প্রায় এক ঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে নেয়। এসময়ের মধ্যে দোকানের গোডাউন আন্ডার গ্রাউন্ডে থাকা প্রায় ২০ লাখ টাকার বাটাসহ বিভিন্ন কোম্পানির জুতা-সেন্ডেল পুড়ে যায়।

বাশার সু স্টোরের মালিক আবুল বাশার শেখ জানান, রাত দেড়টার দিকে এক ব্যবসায়ীর মাধ্যমে জানতে পারলাম আমাদের দোকানে আগুন লেগেছে। এসে দেখি দোকানের নিচ তলার গোডাউনের আন্ডার গ্রাউন্ডের মধ্যে থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। এরমধ্যে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে প্রায় এক ঘন্টা চেষ্টা করে আগুণ নিয়ন্ত্রণে আনে। দোকানে কত টাকার মালামাল ছিল তার কোনো সঠিক হিসেব নেই তার কাছে। তবে ধারণা করছে প্রায় ২০ লাখ টাকার জুতা-সেন্ডেল পুড়ে গেছে।

আলফাডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন লিডার (ভারপ্রাপ্ত) ওবাইদুল রহমান জানান, জুতার দোকানের নিচে একটি গোডাউন ছিল আমরা সেখানে গিয়ে শুধু ধোঁয়া দেখতে পাই। পানির পাইপ ঢুকিয়ে ভিতরে পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিট থেকে এ আগুণের সূত্রপাত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে আমাদের সঠিক ধারণা দিতে পারছি না। তবে গোডাউনে থাকা মালামাল পুড়ে গেছে।