খুঁজুন
মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৮ আশ্বিন, ১৪৩২

ফরিদপুরে বসতবাড়ির আঙ্গিনা থেকে ককটেল উদ্ধার

শ্রাবণ হাসান, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ৭:১২ পিএম
ফরিদপুরে বসতবাড়ির আঙ্গিনা থেকে ককটেল উদ্ধার

ফরিদপুরে ওবায়দুর মোল্যা (৫৫) নামে সাবেক এক ইউপি সদস্যের বসতবাড়ির আঙ্গিনা থেকে বিস্ফোরক জাতীয় ককটেল সদৃশ দুটি বস্তু উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষকে সন্দেহ করছেন ওই বাড়ির সদস্যরা। তবে প্রতিপক্ষের দাবি, ষড়যন্ত্র করে নাম বলা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (০৫ আগস্ট) দুপুর ১ টার দিকে জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের ভাটিকানাইপুরের দোতলা ভবন বিশিষ্ট মমতাজ মঞ্জিল নামক ওই বাড়ির আঙিনায় ফুলের বাগান থেকে বস্তু দুটি উদ্ধার করে পুলিশ ও র‍্যাব সদস্যরা। এর আগে সকালে ওই স্থানে লালটেপে মোড়ানো বস্তু দুটি দেখতে পান বাড়ির সদস্যরা। পরে কোতয়ালী থানা পুলিশকে জানান।

বাড়িওয়ালার ছেলে মিজানুর মোল্যা দাবি করেন, প্রতিবেশী ও ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কবির মোল্যা ও আফজাল মাতুব্বরদের সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে তাঁদের। তিনি বলেন, এর জেরে গত তিনদিন যাবৎ বাড়ির সামনে লোকজন নিয়ে মহড়া দেয়া হচ্ছে। আমাদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি ঘরের সামনেই ককটেল। আমাদের ধারণা, ভয় দেখানোর জন্য তাঁরাই রেখে গেছে। আমরা এখন মামলা করব।

অপরদিকে বিএনপি নেতা কবির মাতুব্বর দাবি করেন, ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানো হচ্ছে। তিনি বলেন, ওবায়দুরদের সাথে আমাদের জমি সংক্রান্ত কোনো বিরোধ বা ঝামেলা নেই। অন্য একজনের সাথে ঝামেলা চলতেছে। আমার বড় ভাই আমিন মাতুব্বরকে (৭৫) ওই জমির মামলায় স্বাক্ষী সন্দেহ করে তিনদিন আগে মারধর করে মিজানুর মোল্যা৷ এরপর বিষয়টি জানতে গিয়েছিলাম, কোনো মহড়া দেয়া হয়নি। আবার আজ সকালে শুনলাম, ওদের বাড়িতে ককটেল পাওয়া গেছে। পরিকল্পিতভাবে আমাদের ফাঁসানোর জন্য নাম বলতেছে।

এ বিষয়ে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে ওই বস্তু দুটি উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্তপূর্বক মূল ঘটনা জানা গেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কনসার্ট না করার সিদ্ধান্ত, কারণ জানালেন তাহসান

বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:০৪ পিএম
কনসার্ট না করার সিদ্ধান্ত, কারণ জানালেন তাহসান

সংগীতশিল্পী তাহসান খান ২৫ বছরের সংগীত জীবনের বিশেষ মুহূর্ত উদ্‌যাপন করতে অস্ট্রেলিয়া সফরে রয়েছেন। সেখানকার পাঁচটি শহরে কনসার্টে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে তার।

তেমন একটি আয়োজনে তাহসান জানান কনসার্ট থেকে সরে আসার কথা।

 

সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল একটি ভিডিওতে তেমনটি ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। সেখানে তাহসানকে বলতে শোনা যায়, এটাই আমার লাস্ট কনসার্ট। আস্তে আস্তে মিউজিক ক্যারিয়ারটাও গুটিয়ে ফেলবো।
মেয়ে বড় হচ্ছে, এখন কি দাঁড়ি রেখে স্টেজে দাঁড়িয়ে এমন লাফালাফি করতে ভালো লাগে?

তিনি আরও বলেন, আমার সব সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট ডিএক্টিভেট করে দিয়েছি।

হঠাৎ করে কেন এমন সিদ্ধান্ত? হয়তো অনেকের মনেই এমন প্রশ্ন। বিষয়টি জানতে যোগাযোগ করা হয় তাহসানের সঙ্গে। অস্ট্রেলিয়া থেকে বাংলানিউজকে এই গায়ক জানালেন, বিষয়টি একান্তই ব্যক্তিগত।

এর আগে গত বছর তাহসান জানিয়েছিলেন, হেটেরোটোপিয়া নামের একটি রোগ বাসা বেঁধেছে তার কণ্ঠনালিতে। এই সমস্যায় গলার কাঠামো পরিবর্তন হয়ে যায়। কমে যায় গান গাওয়ার মনোবল। ২০১৮ সাল থেকে এই সমস্যার শুরু। সে কারণে আগের মতো এখন আর অনায়াসে গানও গাইতে পারছেন না। শুধু তাই নয়, ভবিষ্যতে গান গাওয়া নিয়েও শঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন।

ওই সময় তাহসান বলেছিলেন, যত দিন যাচ্ছে, আমার গান গাওয়ার সক্ষমতাও কমছে। ভক্তদের এ জন্য জানালাম, ধীরে ধীরে যদি কনসার্ট কমে যায় এবং লাইভে গান গাওয়াও কমে যায়, তাহলে আপনারা বুঝে নেবেন, আমার সমস্যা প্রকট হয়েছে।

তাহলে কী হেটেরোটোপিয়া রোগের কারণে কনসার্ট ছাড়ছেন? বিষয়টি তেমন নয়। মূলত ব্যক্তিগত কারণেই কনসার্ট না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কারণটি ব্যক্তিগত হওয়ায় এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে চাননি তাহসান।

বলে রাখা যায়, গানের আগে অভিনয় থেকে ও সরে দাঁড়িয়েছেন তাহসান। গত বছর এ বিষয়ে তিনি বলেছিলেন, আমি ২০ বছর ধরে অভিনয়ে কাজ করছি। নিজেকেই নিজের বিরতি নিতে হয়। যারা আমাকে ভালোবাসে আমার কাজ ভালো লেগেছে বলেই ভালোবাসেন। যখন মনে হয় কাজ একঘেয়েমি হয়ে যাচ্ছে, খুব একটা ভালো কাজ হচ্ছে না তখন নিজেকেই থামিয়ে দিতে হয়।

কথাসাহিত্যিক নির্জনের গল্পে নাটক সুইট প্রেমিক

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:০১ পিএম
কথাসাহিত্যিক নির্জনের গল্পে নাটক সুইট প্রেমিক

এ সময়ের জনপ্রিয়র কথা সাহিত্যেক ফরিদুল ইসলাম নির্জনের গল্প অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে সুইট প্রেমিক। ভিন্ন রকমের এই নাটকটি, অসাধারণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন পরিচালক মিতুল খান।

আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর জাগো ইন্টারটেইনমেন্ট রিলিজ পাচ্ছে।

 

নাটকটি সম্পর্কে পরিচালক মিতুল খান বলেন, নির্জন ভাইয়ের লেখার সাথে আগে থেকেই পরিচিত। সেই সুবাধে নাটকের জন্য গল্প চাই। গল্পটি নিয়ে কাজ করতে নতুন অভিজ্ঞতা সৃষ্টি হয়েছে। দর্শকরা নাটকটি দেখে বিনোদনের পাশাপাশি অনেককিছু  শিখবে।

নাটকটি সম্পর্কে সুইট প্রেমিকখ্যাত নীলয় আলমগীর বলেন,’মিতুল গল্পটি নিয়ে যখন প্রথম আমার কাছে আসে, সত্যিকারভাবে আমি করতেই চাইনি। ভেবেছি এই বয়সে, এমন চরিত্রের অভিনয়। ছয়জন নায়িকার সাথে প্রেম। তাদের মন যোগানো। কিন্তু পরবর্তীতে কাজ শেষ মনে হলো দারুণ কিছু হয়েছে। দশকরা ভালো কিছু দেখবে আশা করি। ‘

নাটকটি সম্পর্কে তানিয়া বৃষ্টি বলেন, ভিন্ন এক ক্যারেক্টর। অভিনয় করতে সত্যি দারুণ অভিজ্ঞতা হয়েছে। দর্শক নাটকটি দেখে আনন্দিত হবে।

নাটকটির লেখক নির্জন বলেন, আমি সব সময় জনপ্রিয় ধারায় লিখতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। জনপ্রিয়তার মাধ্যমে সমাজে কিছু বার্তা দিয়ে থাকি। সুইট প্রেমিক নাটকের ক্ষেত্রেও দর্শক তেমনটি পাবে।

এ ছাড়া নাটকটিতে অভিনয় থাকছেন বাশার মাসুম, মনিরা মিঠু, শান্তি রহমান, অর্পা, স্নেহা, অরিন,অনেষ্বাসহ আরও অনেকেই।

প্রথম সম্পর্ক ভাঙার পর আর বিয়ে করেননি তারা!

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১১:৫৮ এএম
প্রথম সম্পর্ক ভাঙার পর আর বিয়ে করেননি তারা!

শোবিজ তারকারা প্রায়ই তাদের ব্যক্তিগত জীবনের জন্য আলোচনায় থাকেন। আজ বলিউডের সেই সব অভিনেত্রীদের সম্পর্কে জানাব যারা সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর আর কখনও বিয়ে করেননি।

 

২০০৩ সালে অভিনেত্রী কারিশমা কাপুর প্রয়াত ব্যবসায়ী সঞ্জয় কাপুরকে বিয়ে করেন। এই দম্পতির ঘরে ২০০৫ সালে জন্মগ্রহণ নেয় কন্যা সামাইরা, এরপর ২০১১ সালে তাদের ঘরে আসে পুত্র সন্তান কিয়ান। তবে ২০১৬ সালে এই দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদ চূড়ান্ত হয়। বিবাহবিচ্ছেদের পর করিশমা আর কোনও বিয়ে করেননি।

বলিউড অভিনেত্রী রেখার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। রেখা ১৯৯০ সালে মুকেশ আগরওয়ালকে বিয়ে করেছিলেন। তবে, মুকেশ পরে আত্মহত্যা করে মারা যান। তার মৃত্যুর পর, রেখা আর কখনও বিয়ে করেননি এবং এই বিবাহ থেকে তার কোনও সন্তানও হয়নি।

অভিনেত্রী অমৃতা সিং ভালোবেসে অভিনেতা সাইফ আলি খানের সঙ্গে বিয়ে করেছিলেন। তাদের ঘরে দুই সন্তান সারা আলি খান এবং ইব্রাহিম। সারা এই সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী। সাইফের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের অমৃতা আর বিয়ে করেননি। দুই সন্তানকে ঘিরেই জীবন কাটছে তার। অন্যদিকে সাইফ অভিনেত্রী কারিনা কাপুরের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।

২০১২ সালে সম্রাট দাহালের সঙ্গে অভিনেত্রী মনীষা কৈরালা বিবাহবিচ্ছেদ করেন। তাদের বিবাহবিচ্ছেদের পর থেকে মনীষা আর কোনও বিয়ে করেননি। তিনি তার কেরিয়ার এবং পরিবারের নিয়ে মনোযোগী।

২০১৩ সালে অভিনেত্রী মহিমা চৌধুরী স্বামী ববি মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ করেন। বিবাহবিচ্ছেদের পর তিনি আর কখনও বিয়ে করেননি।

১৯৯৪ সালে গুজরাটি বংশোদ্ভূত ফারহান ফার্নিচারওয়ালাকে বিয়ে করেন অভিনেত্রী পূজা বেদী। ২০০৩ সালে বেদী এবং ফারহানের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। এরপর আর অভিনেত্রী বিয়ে করেননি।

অভিনেত্রী জেনিফার উইঙ্গেট ২০১২ সালে করণ সিং গ্রোভারের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তবে ২০১৪ সালের নভেম্বরে তাদের মাঝে বিচ্ছেদ ঘটে। করণ পরবর্তীতে বিপাশা বসুকে বিয়ে করেন, কিন্তু জেনিফার আর কখনও বিয়ে করেননি।