খুঁজুন
শনিবার, ১ নভেম্বর, ২০২৫, ১৬ কার্তিক, ১৪৩২

ফরিদপুরে শিক্ষক নিয়োগে আ’লীগ নেতার অনিয়ম, অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

আনোয়ার জাহিদ, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৯:৪৪ এএম
ফরিদপুরে শিক্ষক নিয়োগে আ’লীগ নেতার অনিয়ম, অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
ফরিদপুরের ঈশান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় নামের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক এবং অফিস সহকারী নিয়োগে স্বেচ্ছাচারিতা ও লাখ লাখ টাকা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এতে অনেক যোগ্য প্রার্থী চাকুরি পাওয়া থেকে বঞ্চিত হওয়ায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে প্রার্থীদের মাঝে। এসংক্রান্ত কয়েকটি অভিযোগ জেলা প্রশাসক, মাউশির ডিজি ও দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। তবে অদৃশ্য কারণে এর কোনো সুরাহা মিলেনি আজও।
চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগ, ফরিদপুর শহরের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত ঈশান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয়ে ২০১৫ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি শওকত আলী জাহিদ ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব নেন। এই কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৪ সালের ১৩ জুন। তবে কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তড়িঘড়ি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে অযোগ্য প্রার্থীদের কাছে থেকে টাকা নিয়ে নিয়োগ দেন। এ বিষয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে চাকরি প্রার্থী মো. সালাউদ্দিন আহমেদ নামের এক প্রার্থী সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার পাননি।
অন্যদিকে, স্কুলটির নিয়োগ পক্রিয়ায় লাখ লাখ টাকা অনিয়মের অভিযোগ উঠা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির সভাপতি শওকত আলী জাহিদের বিরুদ্ধে স্কুলটির কয়েকজন শিক্ষক দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, বিধিবহির্ভূতভাবে স্কুলটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বহাল তবিয়তে থাকেন। এরপর শুরু করেন নিয়োগ বাণিজ্য আর স্বেচ্ছাচারিতা। লাখ লাখ টাকা নিয়োগ প্রার্থীদের কাছে থেকে হাতিয়ে নেন। তবে, সভাপতি প্রভাবশালী হওয়ায় টু শব্দ করতে পারেনি কেউ।
এই বিষয়ে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা ও ঈশান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি শওকত আলী জাহিদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করে তার মোবাইলফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এই বিষয় কথা হয় ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের (ডিসি) প্রতিনিধি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) অমিত দেবনাথের সঙ্গে।
তিনি বলেন, কোন অভিযোগই সঠিক নয়। এসব মিথ্যা, বানোয়াট এবং ভিওিহীন কথা।
এব্যাপারে সে সময়ের ডিজির প্রতিনিধি ও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নাসিমা বেগম বলেন, ‘অনেক  সময় সব জায়গায় প্রতিরোধ গড়ে তোলা যায় না। আগে জেলা প্রশাসকের কোন প্রতিনিধি নিয়োগ কমিটির সদস্য ছিলেন না। জেলা প্রশাসন এবং আ’লীগ নেতা ছিলেন স্কুলের সভাপতি। এটা যেমন একটা প্রতিবন্ধকতা এবং ২০২৪ সালের ১৫ জানুয়ারী  বছরই এই সর্ব  প্রথম শিক্ষক নিয়োগে জেলা প্রশাসকের  প্রতিনিধি নিয়োগ বোর্ডে যোগ  হয়েছেন। তাই কিছুটা এলোমেলো হয়েছে।’
এই বিষয়ে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ কামরুল আহসান মোল্যা বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আর ওই নিয়োগ চলাকালীন অবস্থায় আমি এই জেলার দায়িত্বে ছিলাম না। তবে কেউ অভিযোগ দিলে বিষয়টি খতিয়ে দেখব।

চরভদ্রাসনে পদ্মার ভাঙনে ৩০ মিটার জিওব্যাগের বাঁধ বিলীন

মুস্তাফিজুর রহমান শিমুল, চরভদ্রাসন:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:৫২ পিএম
চরভদ্রাসনে পদ্মার ভাঙনে ৩০ মিটার জিওব্যাগের বাঁধ বিলীন

oplus_0

ফরিদপুরের চরভদ্রাসনের সদর ইউনিয়নের টিলারচর গ্রামে হঠাৎ করে দেখা দিয়েছে পদ্মা নদীর ভাঙ্গন।

গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকালে এ ভাঙনে ওই এলাকার নদী পাড়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জিওব্যাগের ডাম্পিং করা প্রায় ত্রিশ মিটার বাঁধ ও ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

ভাঙন এলাকা হতে প্রায় ৯০ মিটার দূরে রয়েছে এমপি ডাঙ্গী ও জাকেরেরশুরা হয়ে জেলা শহর ফরিদপুরের যাতায়াতের পাকাসড়ক, শতশত বসত বাড়ি ও সরকারী স্কুল।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পদ্মা নদীর পানি কমতে থাকা অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে হঠাৎ করে নদী ভাঙন দেখা দেওয়ায় আতঙ্কে রয়েছে নদী পাড়ের মানুষ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সরজমিনে ভাঙন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, এখানে নদীর তীর রক্ষা স্থায়ী বাঁধের সাথে আপদকালীন সময়ে জিওব্যাগের ডাম্পিং করা বাঁধের বড় একটা অংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া কয়েকটি অংশের মাটিতে ফাটল দেখা দিয়েছে।

ভাঙনের বিষয়ে নদী পাড়ের বসতি শেক মেতালেব (৫৩) ও মো. ইমারত হোসেন (২৫) জানায়, বুধবার সকাল থেকে ওই এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। কিছু সময় পর পর মাটির বড় বড় অংশ পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে।

তারা বলেন, দ্রুত ভাঙন রোধে কাজ না করলে বিলীন হয়ে যাবে ফসলি জমি, পাকা সড়ক সহ স্থানীয় শত শত বসত বাড়ি।

ভাঙনের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনিরা খাতুন বলেন, “আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার নিকট থেকে ওই এলাকায় নদী ভাঙনের খবর পেয়েছি। জায়গাটি পরিদর্শন করে দ্রুত ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলব।

ভাঙনের বিষয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন বলেন, “ টিলারচর গ্রামের কয়েকটি পয়েন্টে আপদকালীন ভাঙন রোধে বর্ষা মৌসুমে জিওব্যাগের ডাম্পিং করা হয়েছিল। ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া ভাঙন রোধে চরভদ্রাসন উপজেলার কয়েকটি পয়েন্ট মিলে ৩.১৫ কি.মি. জায়গায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের একটি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে রয়েছে বলেও জানান পাউবোর এই নির্বাহী প্রকৌশলী।

ফরিদপুরে কলেজ গেট স্টেশনে ট্রেন থামানোর দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:৩৬ পিএম
ফরিদপুরে কলেজ গেট স্টেশনে ট্রেন থামানোর দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

ফরিদপুর শহরের এডুকেশন জোন খ্যাত বাইতুল আমান কলেজ গেট স্টেশনে ট্রেন থামানোর দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাতে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন ফরিদপুর রেল স্টেশন পরিদর্শনে আসলে তার কাছে বাইতুল আমান এলাকাবাসী ও আশেপাশে কলেজগুলোতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা তাদের এই দীর্ঘদিনের দাবি তুলে ধরেন এবং স্মারকলিপি প্রদান করেন।

স্মারকলিপি প্রদানের সময় ফরিদপুর কলেজ গেট স্টেশনে ট্রেন থামানো দাবি কমিটির সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর সৈয়দ আলাওল হোসেন তনু, ফরিদপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সৈয়দ আদনান হোসেন অনু, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি মো. পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাহিম, ফরিদপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের সভাপতি মো. পার্থ আহমেদ, মোহাম্মদ আতিয়ার রহমান,মোহাম্মদ রোমন চৌধুরী, মো. আব্দুস সালাম সহ স্থানীয় এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, বাইতুল আমান কলেজগেটে বহু আগে থেকেই রেলের একটি স্টেশন রয়েছে, সেখানে আগে ট্রেন এসে থামতো, অজ্ঞাত কারণে এখন আর এখানে ট্রেন থামে না । এলাকাটি ফরিদপুরের মধ্যে এডুকেশন জোন নামে খ্যাত। যেখানে রয়েছে‌ ফরিদপুরের ঐতিহ্যবাহী সরকারী রাজেন্দ্র কলেজ, ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, সরকারি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট, ফরিদপুর সরকারি কলেজ, ফরিদপুর সিটি কলেজ সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ।

সবগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মিলে ৫০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। এই শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের একেক জেলার একেক প্রান্ত থেকে তারা শিক্ষা লাভের জন্য কেউ বাসে, কেউ লঞ্চে করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এবং অধিক ভাড়া দিয়ে তারা ফরিদপুর থেকে যাতায়াত করেন। অথচ বায়তুল আমান কলেজগেট স্টেশন থেকে কলেজের কোনোটির দূরত্ব ৪০০ মিটার, ৫০০ মিটার, ৬০০ মিটার। বাইতুল আমান কলেজ গেট স্টেশনে যদি ট্রেন থামানো হয় তাহলে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি দূর হবে তাদের সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমবে, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য স্বল্প ভাড়ায় তারা বাড়িতে যাতায়াত করতে পারবে।

এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি দূর করতে বাইতুল আমান রেলগেট স্টেশনে পুর্বের মতো ট্রেন থামানো নির্দেশনার মতো একটি সুন্দর সিদ্ধান্ত নিতে রেলের মহাপরিচালকের কাছে আবেদন এলাকাবাসী ও প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষার্থীর।

‘আমি এমপি হলে আমার কাছে আসতে কোন নেতা ধরতে হবে না’ — স্থপতি মুজাহিদ বেগ

সোহাগ মাতুব্বর, ভাঙ্গা:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:১৩ পিএম
‘আমি এমপি হলে আমার কাছে আসতে কোন নেতা ধরতে হবে না’ — স্থপতি মুজাহিদ বেগ

‘আমি এমপি হলে আমার কাছে আসতে কোন নেতা ধরতে হবে না। সরাসরি আমার সাথে দেখা করতে পারবেন। কথা বলতে পারবেন বলে মন্তব্য করেছেন ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মো. মুজাহিদ বেগ।’

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার তুজারপুর ইউনিয়নের উচাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এক উঠান বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মুজাহিদ বেগ বলেন, ‘আমি যদি ফরিদপুর-৪ আসনের এমপি নির্বাচিত হতে পারি তাহলে আমি আপনাদেরকে নিয়ে এই আসনটি এমনভাবে সাজাবো যাতে বাংলাদেশের মধ্যে রোল মডেল হিসেবে তৈরি হয়।’

এসময় তিনি আরো বলেন, ফরিদপুর-৪ আসনের একটা যুবক ভাই বেকার থাকবে না। যুবক ভাইয়েরা আমার হৃদয়ে আছে। তাদের শিক্ষা নিশ্চিত করা, খেলাধুলা করার সুযোগ তৈরি করার জন্য সব করব।

হাফেজ কুব্বাত মাতুব্বরের সভাপতিত্বে ও সাগর বেগের সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন- হায়দার হোসেন, সোবাহান হোসেন, বাকী মাতুব্বর, সেলিম মাহমুদ, সহিদুল ইসলাম, আল-আমিন, মো. রাসেল মোল্লা ও সৌরভ বিশ্বাস প্রমূখ।