খুঁজুন
মঙ্গলবার, ২২ জুলাই, ২০২৫, ৭ শ্রাবণ, ১৪৩২

ফরিদপুরে স্কুল শিক্ষক অপহরণ কান্ডের নেপথ্যে যা পাওয়া গেল!

ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৭:২৩ পিএম
ফরিদপুরে স্কুল শিক্ষক অপহরণ কান্ডের নেপথ্যে যা পাওয়া গেল!
ফরিদপুরে শংকর বৈরাগী (৪৫) নামে এক স্কুল শিক্ষক অপহরণের তুলকালাম কান্ডের তথ্যা খুঁজতে গিয়ে নেপথ্যে বেরিয়ে এসেছে তার সাথে একাধিক ছাত্রীর অশ্লীলতার ঘটনা। এ ঘটনায় এক ছাত্রীর সাথে অশ্লীল ছবি আদান-প্রদান, কথাবার্তার তথ্য বের হয়েছে। শিক্ষকের সাথে ওই ছাত্রীর অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে অভিযোগ উঠেছে।
বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অভিযোগ দিয়েছেন। এদিকে অপহরণের ঘটনায় কোতয়ালী থানায় গতকাল রোববার মামলা দায়ের করেছেন ওই শিক্ষক শংকর বৈরাগী। আজ সোমবার মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান।
জানা যায়, শংকর বৈরাগী শহরের ঈশান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের আইসিটি বিভাগের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি ওই স্কুলের নবম-দশম শ্রেণিতে গণিতের ক্লাস নিতেন। গত ৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় শহরের অম্বিকা মেমোরিয়াল হলের সামনে থেকে একটি রিক্সা যোগে কয়েক যুবকের সাথে চলে যায়। এরপর আধাঘন্টার মধ্যে তার স্ত্রী কোতয়ালী থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করেন এবং তাঁর স্বামী অপহরণের শিকার হয়েছেন বলে পুলিশকে জানান।
ওই শিক্ষকের স্ত্রীর কথামত কোতয়ালী থানা পুলিশ ৩ ফেব্রুয়ারি রাত ১০ টার দিকে ফরিদপুর শহরের আদমপুর মোল্যাডাঙ্গীর কালাম মোল্যার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে শিক্ষক শংকর বৈরাগীকে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষক বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় অপহরণ মামলা করেছেন। মামলায় শহরের গুহলক্ষীপুরের সেকেন্দার আলী মোল্যার ছেলে আশিকুজ্জামান সানিমকে (২৮) একমাত্র আসামী করা হয়েছে।
তবে এ ঘটনায় নেপথ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। বিদ্যালয়টি দুইজন এসএসসি পরীক্ষার্থীর (ক ও খ) সাথে কথা বলে জানা গেছে, ওই শিক্ষক তার বাসায় ছাত্রীদের প্রাইভেট পড়াতেন। সেই সুবাদে ছাত্রীদের পরীক্ষায় ভাল ফলাফলের আশ্বস্ত করে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিতেন। রাজি না হলে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকিও দিত শিক্ষখ। এই সুযোগে এক ছাত্রীর সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে সে (শিক্ষক)। পরে ওই ছাত্রীর সাথে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি তারা স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা শামসুন নাহারকে গত তিন মাস আগে অবগত করেন। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ধামাচাপা দেন এবং ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ না নেওয়ায় আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠেন ওই শিক্ষক।
এ ব্যাপারে ঈশান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) শামসুন নাহারের কাছে জানতে চাইলে তিনি সবকিছুর উর্ধ্বে শিক্ষক অপহরণের বিচারের দাবি করেন। এ ঘটনায় কিছু অভিযোগ পাওয়ার পরও প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমি আজ পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাইনি এবং অশ্লীল কিছু দেখিনি। তারপরও মৌখিকভাবে আমাকে জানালে, আমি ওই শিক্ষককে নবম-দশম শ্রেণির ক্লাস নিতে নিষেধ করেছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রী (ক) জানান, স্যারের (শংকর বৈরাগী) একাধিক ছাত্রীর সাথে কুকর্ম রয়েছে। কিছুদিন আগে স্কুল থেকে স্যার আমাকে ডেকে শারিরীক সম্পর্কের প্রস্তাব দেয় এবং টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখায়। আমি রাজি না হওয়ায় পরীক্ষা দিতে দিবে না বলে হুমকি দেয়। স্যারের অনেক বড় আপুদের সাথেও এরকম ঘটনা এর আগে ঘটিয়েছে। আমার এক বান্ধবীর (গ) সাথেও শারিরীক সম্পর্ক করেছে। বিষয়টি প্রধান শিক্ষককে বললে তিনি চুপ থাকার কথা বলেন। বিষয়টি জানাজানি করলে পরীক্ষা দিতে দিবে না বলে ম্যাডামও হুমকি দেন। তখন আমার পরিবারকে জানাই। পরে এলাকার বড় ভাইদের ঘটনাটি জানানো হয়। বর্তমানে আমি স্কুলেও যেতে পারতেছি না।
‘ক’ ছাত্রীর সাথে কথা বলে জানা যায়, একই ‘গ’ ছাত্রীর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ হয় ওই শিক্ষকের। তাকে পড়ালেখার বিভিন্ন খরচের জন্য টাকাও দিতেন এবং প্রাইভেট পড়ানোর নামে বাসায় ডেকে নিতেন। তাঁদের মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাটিংয়ে অশ্লীল কথাবার্তা হয়। এমন কয়েকটি স্ক্রিনশর্ট সংগ্রহ করা হয়েছে। যেখানে দেখা যায়, ওই ছাত্রী একাধিক স্পর্শকাতর ছবি তুলে দেন। শিক্ষকও অশ্লীল কথাবার্তা আদান প্রদান করেন।
বিষয়টি নিয়ে ‘গ’ ছাত্রীর সাথে যোগাযোগের পর তিনি জানান, এই শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়ার সুবাদে তাকে পরীক্ষায় ভাল ফলাফলের এবং চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কুপ্রস্তাবে রাজি হতে বলতেন। এভাবে একদিন সকাল ৯ টায় প্রাইভেট পড়ানো হবে বলে তাকে হোয়াটসঅ্যাপে জানান। পরে সেখানে গেলে অন্য কাউকে দেখতে পায়নি ওই ছাত্রী। তখন তাকে কুপ্রস্তাব দেওয়া হয়। ওই ছাত্রী হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাটিংয়ে অশ্লীল ছবি দেওয়ার বিষয়ে জানান, টেষ্ট পরীক্ষায় ফেলের ভয় দেখিয়ে তার অশ্লীল ছবি নিতেন শিক্ষক শংকর বৈরাগী।
অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা যায়, এসব ঘটনার কয়েকটি স্ক্রিনশর্ট ও ছবি ওই ছাত্রীর মোবাইল থেকে গোপনে নিয়ে নেন আরেক বান্ধবী ‘খ’ (শহরের আদমপুরের বাসিন্দা)। পরে তার বান্ধবীর মাধ্যমে ওই ছবি চলে যায় শিক্ষকের (শংকর বৈরাগী) করা মামলার আসামি আশিকুজ্জামান সানিমের কাছে। এই ছবিগুলো নিয়ে শিক্ষক শংকর বৈরাগীর সাথে তারা যোগাযোগ করেন। এমনকি পূর্বে সানিম এ ঘটনায় টাকাও নিয়েছে বলে ফরিদপুর জিলা স্কুলের ইংরেজী শিক্ষক মো. রেজভী জানান।
ঘটনার দিন শংকর বৈরাগীর সাথে হাটাহাটি করছিলে শিক্ষক মো. রেজভী। রেজভী বলেন, ১০ মিনিট কোচিংয়ে পড়ানোর কথা বলে মোবাইলের মাধ্যমে আমাদের এক ব্যক্তি স্প্রিং হিল হাসপাতালের পাশে যেতে বলেন। আমরা তিনজন শিক্ষক হেঁটেই ওই এলাকায় যাচ্ছিলাম। হঠাৎ সানিমসহ কয়েকজন এসে শংকর স্যারকে রিক্সায় উঠিয়ে নিয়ে যান। স্যারও কোনো ধস্তাধস্তি না করে তাদের সাথে চলে যায়। পরে তার স্ত্রীকে ঘটনাটি আমরা জানাই।
বিষয়গুলো নিয়ে আরো জানতে যোগাযোগ করা হয় আশিকুজ্জামান সানিমের সাথে। তিনি ছাত্রীকে এলাকার ছোটবোন দাবি করে বলেন, শংকর বৈরাগী স্যার ব্ল্যাকমেইল করে আমার এলাকার ছোট বোনকে ধর্ষণ করছে বলে জানতে পারি। এমনকি আমরা প্রমাণও পাই। এসব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য স্যার নামে এক ধর্ষনকারীকে আমরা ধরে নিয়ে আসছিলাম। এটা যদি আমাদের অপরাধ হয়ে থাকে এবং আমরা যদি অপহরণ করে থাকি তাহলে শাস্তি মাথা পেতে নেব। এ ঘটনার পেছনে তথ্যগুলো তদন্ত করে ওই শিক্ষককে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানান তিনি।
তবে শিক্ষক শংকর বৈরাগী অপহরণের বিষয়টি দাবি করে বলেন, ছাত্রীদের সাথে যৌন হয়রানির বিষয়টি মিথ্যা। অপহরণের পর আমাকে মারধর করেন চক্রটি। আমাদেরকে (হাটাহাটি করা তিন শিক্ষক) মিথ্যা কথা বলে ওই চক্রের সদস্যরা অম্বিকার পাশে নিয়ে বলে এক ছাত্রীর সাথে আপনার সম্পর্ক আছে। ওই ছাত্রীর ভাই আপনাকে মারবে। আপনি এখান থেকে দ্রুত চলে যান। এ সময় রিক্সায় উঠে যেতে গেলে সানিম আমার রিক্সায় উঠে মুখ চেপে ধরে নিয়ে যায়। আমার পরিবার পুলিশকে বিষয়টি জানালে আমাকো উদ্ধার করে।
ওই ছাত্রীদের সাথে আচরণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর না দিয়ে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে বলে দাবি করেন। এদিকে ভুক্তভোগী ছাত্রীরা ওই শিক্ষকের বিচারের দাবী জানিয়ে পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ওসি মো. আসাদউজ্জামান জানান, এ ঘটনায় শিক্ষক শংকর বৈরাগী থানায় অপহরণের এজাহার দেওয়ায় আমরা মামলা নিয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া ওই শিক্ষকের বিচারের দাবী জানিয়ে ভুক্তভোগী এক ছাত্রী পুলিশ সুপার স্যারের কাছে অভিযোগ দিয়েছে। ওই অভিযোগটিও আমার কাছে এসেছে। অভিযোগটি তদন্তের জন্য একজন কর্মকর্তার কাছে দিয়েছি।

ফরিদপুরে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে বৃদ্ধের মৃত্যুদন্ড

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২১ জুলাই, ২০২৫, ৩:৫১ পিএম
ফরিদপুরে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে বৃদ্ধের মৃত্যুদন্ড

ফরিদপুরে ১৩ বছর বয়সী এক মানসিক ও শারিরীক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে নুরুদ্দিন মোল্যা (৫৭) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভীন এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত নুরুদ্দিন ফরিদপুর সদরের ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি ওই প্রতিবন্ধি কিশোরীর চাচা। রায় ঘোষণার সময় নুরুদ্দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে পুলিশের পাহারায় কারাগারে নেওয়া হয়।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ওই কিশোরীর বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ঘরে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণ করেন নুরুদ্দিন। ওই সময়ে স্থানীয়রা তাকে হাতেনাতে আটক করেন। পরে মেয়েটিকে অসুস্থ অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করানো হয়। পরদিন তার বাবা কোতয়ালি থানায় মামলা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গোলাম রব্বানী ভূইয়া রতন বলেন, ‘এ রায়ে আমরা রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট প্রকাশ করছি।’

সালথায় ইয়াবাসহ পাঁচ মাদক কারবারি আটক

সালথা প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: সোমবার, ২১ জুলাই, ২০২৫, ৩:১৪ পিএম
সালথায় ইয়াবাসহ পাঁচ মাদক কারবারি আটক

ফরিদপুরের সালথায় ইয়াবা সহ ৫ মাদক কারবারিকে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার (২১ জুলাই) ভোররাতে উপজেলার মাঝারদিয়া এলাকা থেকে ৪০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ৪ জন ও রবিবার দিবাগত রাতে কাগদি এলাকা থেকে ৮০পিস ইয়াবাসহ একজনকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- মাঝারদিয়া গ্রামের মো. মামুন মোল্যা (২৮), মো. সানি মিয়া (২২), মিয়ার গ্রামের আল আমিন (৩৮), কুমারপুটি গ্রামের ইবাদত হোসেন (৩৬) ও কাগদি গ্রামের ইয়ার আলী মোল্যা (৩৮)।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, সোমবার ভোররাতে মাঝারদিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদক সম্রাট মামুন সহ চারজনকে ৪০ পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয়। মামুনের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্টসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এছাড়া রবিবার রাতে কাগদি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইয়ার আলী নামে আরেক মাদক কারবারিকে ৮০ পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয়। আটককৃদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।

অবমাননা ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে ফরিদপুরে জাসাসের মানববন্ধন 

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: সোমবার, ২১ জুলাই, ২০২৫, ৩:১০ পিএম
অবমাননা ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে ফরিদপুরে জাসাসের মানববন্ধন 

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছবি অবমাননা এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে অশালীন বক্তব্যের প্রতিবাদে ফরিদপুরে মানববন্ধন করেছে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সংস্থা-জাসাস।

দেশব্যাপী ‌কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার (২১ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে এর আয়োজন করা হয়।

জেলা জাসাসের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ রাশেদুল আলম তুহিনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন- জেলা যুবদলের সভাপতি রাজিব হোসেন, জেলা তাঁতি দলের সদস্য সচিব শাহেদা বেগম প্রমুখ।

এসময় জেলা জাসাসের সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম বকু, যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম লিটন, মাসুম দেওয়ান, সৈয়দ মাসুদ রানা, নাইমুল হাসান, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য শাহিনুল হক শাহীন, জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বক্তাগণ বলেন, ৫ আগস্টের পর দেশকে রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণের জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সারাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এই অবস্থায় নতুন করে আবারো ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। একটি মহল রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করে ফায়দা হাসিলের জন্য এখন জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছবি অবমাননা করা হচ্ছে। আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বক্তাগণ ‌শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ‌ এবং তারেক রহমানকে নিয়ে অপপ্রচারে জড়িতদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান।

তারা বলেন, বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। এরপর গণতান্ত্রিক সংগ্রামের পথ ধরে বেগম খালেদা জিয়া জনগণের ভোটে তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। আর তাদের যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলিষ্ঠভাবে দলের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। দীর্ঘ ১৭ বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী খুন-গুম হয়েছে। হামলা-মামলার শিকার হয়েছে। আমরা কোনভাবেই তাদের এই আত্মদানকে বৃথা যেতে দিতে পারিনা।