খুঁজুন
শুক্রবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৫, ২২ কার্তিক, ১৪৩২

বিনয় মুমিনের সৌন্দর্য

ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২ মার্চ, ২০২৫, ১২:২৬ পিএম
বিনয় মুমিনের সৌন্দর্য

বিনয় মানুষের জীবনে শোভা-সৌন্দর্য বাড়ায়। বিনয়ী সবসময় ভালোবাসা, শ্রদ্ধা-সম্মান ও মর্যাদায় অভিষিক্ত হয়।

বিনয়ের মাধ্যমে সহজে অন্যের সঙ্গে সৌহার্দ্য ও ভালোবাসার বন্ধন তৈরি করা যায়। পবিত্র কোরআনে বিনয়ীদের আল্লাহর বন্ধু বলা হয়েছে, ‘তোমাদের বন্ধু তো আল্লাহ, তার রাসুল ও মুমিনগণ, যারা বিনত হয়ে নামাজ কায়েম করে ও জাকাত দেয়। ’ (সুরা মায়েদা, আয়াত: ৫৫)

 

রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে আল্লাহর জন্যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে মর্যাদাসিক্ত করেন। তখন সে নিজের চোখে তুচ্ছ হলেও মানুষের চোখে অনেক বড় বিবেচিত হয়।

’ (বায়হাকি, হাদিস নং: ৭৭৯০)
মুমিনের বিনয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রকাশ পায়। তার কথাবার্তা, ওঠা-বসা, হাঁটা-চলা ও অন্যান্য প্রতিটি কাজে-কর্মে। যারা আল্লাহর প্রকৃত প্রিয় বান্দা, তাদের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করে কোরআনে বলা হয়েছে, ‘‘রাহমান’-এর বান্দা তো তারাই, যারা পৃথিবীতে নম্রভাবে চলাফেরা করে। ’ (সুরা ফুরকান, আয়াত: ৬৩)

বিনয় ও নম্রতার আদেশ দিয়ে অন্য আয়াতে বলা হয়েছে, ‘ভূপৃষ্ঠে দম্ভভরে বিচরণ করো না, পদভারে তুমি তো কখনোই ভূপৃষ্ঠ বিদীর্ণ করতে পারবে না এবং উচ্চতায় তুমি কখনোই পর্বতসম হতে পারবে না। (সুরা বনি ইসরাঈল, আয়াত : ৩৭)

প্রিয় নবী (সা.)-এর ব্যবহার-আচরণ ছিল বিনয় ও নম্রতার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। কোমল আচরণে তিনি মানুষকে আপন করে নিতেন। তার মুগ্ধকরা ব্যবহারের কারণে কেউ বুঝতেই পারতো না যে, তিনিই আল্লাহর প্রিয় রাসুল (সা.)। সমাজের প্রত্যেক শ্রেণির মানুষের কাছে তিনি অত্যন্ত প্রিয় ছিলেন এবং তাদের হৃদয়ের মণিকোঠায় বাস করতেন। যে কেউ যেকোনো মুহূর্তে তার সঙ্গে কথা বলতে পারতো।

হাদিসে এসেছে, ‘তিনি ছিলেন সুবিশাল হৃদয়ের মহানুভব। সত্যবাদিতায় সর্বাগ্রে, নম্রতা আর কোমলতায় অনন্য, আচার-আচরণে অভিজাত। যে প্রথম তাকে দেখতো, ভয় করতো। কিন্তু যে-ই তার সঙ্গে মিশতো, তাকে ভালোবাসতে শুরু করতো। (তিরমিজি, হাদিস নং: ৩৬৩৮)

আল্লাহর রাসুলের বিনয় ও নম্রতার কথা কোরআনে উল্লেখ হয়েছে এভাবে, ‘আল্লাহর অনুগ্রহে আপনি তাদের প্রতি কোমল হৃদয় হয়েছিলেন। আপনি যদি রূঢ় ও কঠোর চিত্ত হতেন, তবে তারা আপনার কাছ থেকে সরে পড়তো। (সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৫৯)

অহংকার ত্যাগ করে বিনয় ও নম্রতাকে আপন করে নেওয়া সর্বাত্মক জরুরি। হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘আমি আদম-সন্তানের সর্দার, তবে এতে গর্বের কিছু নেই। কেয়ামতের দিন আমার কবরের মাটিই প্রথম সরানো হবে, এটাও গর্বের কিছু নয়। সেদিন আমিই প্রথম সুপারিশ করবো, আমার সুপারিশই প্রথম গৃহীত হবে; এতেও অহংকার করার কিছু নেই। সেদিন ‘হামদে’র পতাকা আমার হাতে থাকবে, তাতেও কোনো বড়াই নেই। (ইবনু মাজাহ, হাদিস নং: ৪৩০৮)

প্রতিটি আচরণে ও উচ্চারণে বিনয় মুমিনের অপরিহার্য অনুষঙ্গ। আল্লাহর প্রকৃত বান্দা হতে চাইলেও বিনয় আবশ্যক। যে বিনয়কে নিজের ভূষণ বানিয়ে নেবে, দুনিয়া ও আখেরাতে তার সম্মান বাড়বে। মানুষের ভালোবাসায় সে সিক্ত হবে, আল্লাহর নৈকট্য লাভেও ধন্য হবে।

চরভদ্রাসনে আওয়ামী লীগের তিন নেতা গ্রেপ্তার

মুস্তাফিজুর রহমান শিমুল, চরভদ্রান:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৫, ৫:৪০ পিএম
চরভদ্রাসনে আওয়ামী লীগের তিন নেতা গ্রেপ্তার

ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে উপজেলা আওয়ামী লীগের তিন নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (০৭ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে উক্ত আইনে তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (০৬ নভেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত ব্যাক্তিরা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শেখ আবুল খায়ের (৫৮), প্রচার সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোতালেব হোসেন মোল্যা (৫৪) ও আওয়ামীলীগ নেতা কামাল হোসেন মোল্যা (৫০)।

 

গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে চরভদ্রাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রজিউল্লাহ খান বলেন, সন্ত্রাস বিরোধী আইনে তাদের তিনজনকে গ্রেতার করে শুক্রবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ফরিদপুরে এম-ট্যাবের আঞ্চলিক কমিটির অনুমোদন

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৫, ১:৩৩ পিএম
ফরিদপুরে এম-ট্যাবের আঞ্চলিক কমিটির অনুমোদন

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র অন্যতম পেশাজীবি সংগঠন এম-ট্যাব (মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ) এর ফরিদপুর আঞ্চলিক শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে।

এম-ট্যাবের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি এ কে এম মুসা লিটন ও মহাসচিব বিপ্লবুজ্জামান বিপ্লব বৃহস্পতিবার (০৬ নভেম্বর) ফরিদপুর, রাজবাড়ি, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ জেলা নিয়ে এ আঞ্চলিক কমিটির অনুমোদন দেন।

এতে মোহাম্মদ আকতার হোসেনকে সভাপতি ও আব্দুল হাফিজকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩৭ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করা হয়।

এতে বিএমএ ও ড্যাবের জেলা সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান শামীমকে প্রধান করে ৬ জনকে উপদেষ্টা করা হয়েছে। উপদেষ্টাদের অন্যান্যরা হলেন, অধ্যাপক ডা. মোঃ রফিকুল ইসলাম, ডা. তানসিভ জুবায়ের (নাদিম), মো. আক্তারুজ্জামান খান, মো. মোফাজ্জেল হোসেন, মো. ওবায়দুল্লাহ।

কমিটির অন্যান্যরা হলেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি- মো. নুরুল আলম রাসেল, সহ-সভাপতি- মোহাম্মদ আলী, মোঃ ইমরান আলী, বুলবুল হুসাইন, উত্তম কুমার মজুমদার, সঞ্জিত বালা, মোঃ ওমর আলী মনির, মোঃ উজ্জল হোসাইন, আব্দুল হাফিজ ও আবুল হোসাইন রামিম, সহ- সাধারণ সম্পাদক- মোঃ মাহবুব হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক- ইমাম হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক- মোঃ নাহিদুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক- মোঃ জাহাঙ্গীর আলম তামিম, সহ-প্রচার সম্পাদক- মোঃ আল হাসিব রাব্বি, দপ্তর সম্পাদক- মোঃ শাহিদুল ইসলাম, সহ-দপ্তর সম্পাদক- হাসান মাহমুদ, অর্থ সম্পাদক- মোঃ আসাদুল ইসলাম শান্ত, সহ-অর্থ সম্পাদক- মোঃ মনিরুজ্জামান, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক- মোঃ ওহাব আলী, সমাজকল্যাণ সম্পাদক- ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক- সঞ্জয় মন্ডল, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক- রাইয়ানুর রহমান, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক- মাহমুদা হক, সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক- ইতি আক্তার, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক- সৌরভ মল্লিক, সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক- মোঃ মেহেদী হাসান, শিক্ষা ও ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক- মোঃ হাসান রাসেল, সহ-শিক্ষা ও ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক- বায়েজীদ বোস্তামী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক- মোঃ মুনিবুর রহমান, সহ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক- মোঃ গোলাম রাব্বী, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক- মোঃ আকাশ কুমার প্রামানিক, সহ-ক্রীডা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক- মোঃ ওয়াসিম শেখ, কার্যকারী সদস্য- মোঃ আনিস শেখ, পারুল আক্তারী, মোঃ জিহাদুল ইসলাম, মোঃ ইমরান নাজির।

ফরিদপুরে হেমন্ত ঋতুতেই প্রকৃতিতে শীতের আগমনী বার্তা

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৫, ৭:৪০ এএম
ফরিদপুরে হেমন্ত ঋতুতেই প্রকৃতিতে শীতের আগমনী বার্তা

প্রকৃতিতে এখন ঋতুবদলের আয়োজন। শরৎ শেষে হেমন্ত নামছে। এরপর শীতকাল। কিন্তু এখনই প্রকৃতি যেন জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। দক্ষিণের জেলা ফরিদপুরে শীত নামা শুরু হয়েছে। এরই মধ্যেই প্রকৃতিতে বইতে শুরু করেছে মৃদু হিম বাতাস।

শিশির ভেজা সবুজ ঘাসের ওপর ভোরের সূর্যের আলো হালকা লালচে রঙয়ের ঝিলিক দেখা গেছে। দূর থেকে দেখলে মনে হয় ঘাসের মাথায় যেন মুক্তোর মতো শিশির কণা জমে আছে।

সারদিনের তীব্র গরম শেষে গভীর রাত থেকে শুরু হচ্ছে হালকা হিমেল হাওয়া, সঙ্গে নামছে হালকা কুয়াশা। শীতকে ঘিরে সক্রিয় হচ্ছে গ্রাম অঞ্চলের পিঠাপুলির দোকানগুলো।

ফরিদপুরের সালথার রিপন মাতুব্বর বলেন, ঘাসের ওপর শিশির কণা রৌদ্রে ঝলমল করে, হাঁটাচলা করলে শীতে পা ভিজে যায়। আমাদের এলাকায় শীতের আগমন ঘটে গেছে। শীত এলাকার মানুষের জন্য কষ্টের সঙ্গে আনন্দেরও।

ফরিদপুর সদরের সমির খাঁ বলেন, ফরিদপুরে এবার আগাম শীতের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। শীতে শাকসবজির বেশি আবাদ হয়। নতুন ধান কাটা শুরু হয়।

ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানান, ফরিদপুরে সকালে ও রাতে আমরা শীতের ছোঁয়া পাচ্ছি। তাপমাত্রারও কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে।