খুঁজুন
শনিবার, ১ নভেম্বর, ২০২৫, ১৬ কার্তিক, ১৪৩২

বোয়ালমারীতে একটি ক্লিনিকের ভুয়া কিডনি নষ্টের রিপোর্টে বিপাকে রোগীর পরিবার  

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বুধবার, ২৩ জুলাই, ২০২৫, ৪:০৫ পিএম
বোয়ালমারীতে একটি ক্লিনিকের ভুয়া কিডনি নষ্টের রিপোর্টে বিপাকে রোগীর পরিবার  

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে অবস্থিত মর্ডান ল্যাবরেটরীর কিডনির ওপরে ভুয়া রিপোর্ট তৈরি করে বিপাকে ফেলেছে একটি শিশুর পরিবারকে। এ ঘটনা জানাজানি হলে বিভিন্ন মহলে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বিভিন্ন লোকজন বলছে খারাপ এবং নষ্ট মেশিন দিয়ে মর্ডান ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয় এবং অনভিজ্ঞ লোক দিয়ে ল্যাবরেটরিটি পরিচালনা করা হচ্ছে। যার কারণে ভুয়া রিপোর্ট করে।

এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ জুলাই উপজেলার হাসামদিয়া গ্রামের জাহিদুল বেগের আড়াই বছরের ছেলে জিহাদের প্রসাবে জ্বালাপোড়া হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এসে ৫ টাকার টিকিট কেটে হাসপাতালে কর্মরত ডা. মোহাম্মদ মফিজ উদ্দিনকে দেখান। তিনি দেখে প্রসাব ও কিডনি পরীক্ষা দেন। জাহিদুল বেগ তার বাচ্চাকে নিয়ে মর্ডান ল্যাবরেটরীতে পরীক্ষা করতে দেন। মর্ডান ল্যাবরেটরির লোকজন পরীক্ষার কাগজে লেখে তার কিডনি ড্যামেজ(নষ্ট) হয়ে গেছে। পরে ওই রিপোর্ট ডাক্তারকে দেখালে ডাক্তার দ্রুত ফরিদপুর নিয়ে যেতে বলেন। তারা ওই দিনই ফরিদপুর গিয়ে শিশুটিকে ডা. এসি পালকে দেখান। তিনি নতুন করে পরীক্ষা দেন। ওই পরীক্ষাগুলো ফরিদপুরে অবস্থিত ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতলে পরীক্ষা করেন। সেখানে সকল রিপোর্টগুলোই ভালো আসে। প্রসাবে সামান্য একটু সমস্যা পায়। যা ওষুধে ঠিক হয়ে যাবে বলে ডাক্তার জানান।

এ ব্যাপারে বুধবার (২৩ জুলাই) ওই শিশু জিহাদের দাদি জবেদা বেগম অভিযোগ করে বলেন, বোয়ালমারী হাসপাতালের সামনে মর্ডান ল্যাবরেটরী থেকে পরীক্ষা করানোর পর তাদের রিপোর্টে লেখা হয়েছে শিশুটির কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে। পরে সেই রিপোর্ট হাসপাতালে গিয়ে ডা. মফিজ উদ্দিনকে দেখালে তিনি রিপোর্ট অনুযায়ী বলেন বাচ্চার কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে তাকে দ্রুত ফরিদপুরে নিয়ে যান। এ কথা শুনে পরিবারের সকলের কান্নাকাটি শুরু হয়ে যায়। ওই দিনই ফরিদপুর গিয়ে ডাক্তার দেখিয়ে নতুন করে রিপোর্ট করানো হয়। সেখানে রিপোর্টে আসছে কিডনিতে কোন সমস্যা নেই প্রসাবে একটু সমস্যা আছে। তিনি আরও বলেন, এভাবে ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে মানুষকে বিপদে ফেলানো ঠিক না।

জানতে চাইলে বোয়ালমারী মর্ডান ল্যাবরেটরির মালিক জিয়া বলেন, রিপোর্ট ভূয়া না। রিপোর্টে কমবেশি হতে পারে। আমি আলফাডাঙ্গায় আছি ফ্রি হয়ে পরে কল দিব বলে লাইনটি কেটে দেন।

বোয়ালমারী হাসপাতালের কর্মরত ডা. মফিজ উদ্দিন বলেন, পরীক্ষার মান যে বিষয়টা এটা আমরা সব সময় ভালো চাই তাহলে নির্ভুল চিকিৎসা দিতে সমস্যা হয় না। আর যদি রিপোর্ট ভালো না হয় ওই রিপোর্টের ওপরেই আমাদের ডিসিশন নিতে হয়। আমরা চাই নিয়ম মেনে সঠিক রিপোর্ট দিক সকলে। যেহেতু রোগীর ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব আসে সেই জন্য ফরিদপুর এসি পাল স্যারের কাছে পাঠিয়েছি।

এ বিষয়ে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মাহমুদ বলেন, একই দিনে দুটি রিপোর্ট করা হয়েছে বোয়ালমারীর মর্ডান ল্যাবরেটরির রিপোর্টে আসছে ২.৩৫ আর ফরিদপুরের রিপোর্ট আসছে ০৩। একই তারিখে রিপোর্ট এত পার্থক্য হওয়া উচিত না। বোয়ালমারী ক্লিনিকদের দেখভাল করা আমাদের পক্ষে কষ্টসাধ্য। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষদের দেখা উচিত।

চরভদ্রাসনে পদ্মার ভাঙনে ৩০ মিটার জিওব্যাগের বাঁধ বিলীন

মুস্তাফিজুর রহমান শিমুল, চরভদ্রাসন:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:৫২ পিএম
চরভদ্রাসনে পদ্মার ভাঙনে ৩০ মিটার জিওব্যাগের বাঁধ বিলীন

oplus_0

ফরিদপুরের চরভদ্রাসনের সদর ইউনিয়নের টিলারচর গ্রামে হঠাৎ করে দেখা দিয়েছে পদ্মা নদীর ভাঙ্গন।

গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকালে এ ভাঙনে ওই এলাকার নদী পাড়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জিওব্যাগের ডাম্পিং করা প্রায় ত্রিশ মিটার বাঁধ ও ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

ভাঙন এলাকা হতে প্রায় ৯০ মিটার দূরে রয়েছে এমপি ডাঙ্গী ও জাকেরেরশুরা হয়ে জেলা শহর ফরিদপুরের যাতায়াতের পাকাসড়ক, শতশত বসত বাড়ি ও সরকারী স্কুল।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পদ্মা নদীর পানি কমতে থাকা অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে হঠাৎ করে নদী ভাঙন দেখা দেওয়ায় আতঙ্কে রয়েছে নদী পাড়ের মানুষ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সরজমিনে ভাঙন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, এখানে নদীর তীর রক্ষা স্থায়ী বাঁধের সাথে আপদকালীন সময়ে জিওব্যাগের ডাম্পিং করা বাঁধের বড় একটা অংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া কয়েকটি অংশের মাটিতে ফাটল দেখা দিয়েছে।

ভাঙনের বিষয়ে নদী পাড়ের বসতি শেক মেতালেব (৫৩) ও মো. ইমারত হোসেন (২৫) জানায়, বুধবার সকাল থেকে ওই এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। কিছু সময় পর পর মাটির বড় বড় অংশ পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে।

তারা বলেন, দ্রুত ভাঙন রোধে কাজ না করলে বিলীন হয়ে যাবে ফসলি জমি, পাকা সড়ক সহ স্থানীয় শত শত বসত বাড়ি।

ভাঙনের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনিরা খাতুন বলেন, “আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার নিকট থেকে ওই এলাকায় নদী ভাঙনের খবর পেয়েছি। জায়গাটি পরিদর্শন করে দ্রুত ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলব।

ভাঙনের বিষয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন বলেন, “ টিলারচর গ্রামের কয়েকটি পয়েন্টে আপদকালীন ভাঙন রোধে বর্ষা মৌসুমে জিওব্যাগের ডাম্পিং করা হয়েছিল। ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া ভাঙন রোধে চরভদ্রাসন উপজেলার কয়েকটি পয়েন্ট মিলে ৩.১৫ কি.মি. জায়গায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের একটি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে রয়েছে বলেও জানান পাউবোর এই নির্বাহী প্রকৌশলী।

ফরিদপুরে কলেজ গেট স্টেশনে ট্রেন থামানোর দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:৩৬ পিএম
ফরিদপুরে কলেজ গেট স্টেশনে ট্রেন থামানোর দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

ফরিদপুর শহরের এডুকেশন জোন খ্যাত বাইতুল আমান কলেজ গেট স্টেশনে ট্রেন থামানোর দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাতে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন ফরিদপুর রেল স্টেশন পরিদর্শনে আসলে তার কাছে বাইতুল আমান এলাকাবাসী ও আশেপাশে কলেজগুলোতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা তাদের এই দীর্ঘদিনের দাবি তুলে ধরেন এবং স্মারকলিপি প্রদান করেন।

স্মারকলিপি প্রদানের সময় ফরিদপুর কলেজ গেট স্টেশনে ট্রেন থামানো দাবি কমিটির সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর সৈয়দ আলাওল হোসেন তনু, ফরিদপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সৈয়দ আদনান হোসেন অনু, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি মো. পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাহিম, ফরিদপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের সভাপতি মো. পার্থ আহমেদ, মোহাম্মদ আতিয়ার রহমান,মোহাম্মদ রোমন চৌধুরী, মো. আব্দুস সালাম সহ স্থানীয় এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, বাইতুল আমান কলেজগেটে বহু আগে থেকেই রেলের একটি স্টেশন রয়েছে, সেখানে আগে ট্রেন এসে থামতো, অজ্ঞাত কারণে এখন আর এখানে ট্রেন থামে না । এলাকাটি ফরিদপুরের মধ্যে এডুকেশন জোন নামে খ্যাত। যেখানে রয়েছে‌ ফরিদপুরের ঐতিহ্যবাহী সরকারী রাজেন্দ্র কলেজ, ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, সরকারি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট, ফরিদপুর সরকারি কলেজ, ফরিদপুর সিটি কলেজ সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ।

সবগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মিলে ৫০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। এই শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের একেক জেলার একেক প্রান্ত থেকে তারা শিক্ষা লাভের জন্য কেউ বাসে, কেউ লঞ্চে করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এবং অধিক ভাড়া দিয়ে তারা ফরিদপুর থেকে যাতায়াত করেন। অথচ বায়তুল আমান কলেজগেট স্টেশন থেকে কলেজের কোনোটির দূরত্ব ৪০০ মিটার, ৫০০ মিটার, ৬০০ মিটার। বাইতুল আমান কলেজ গেট স্টেশনে যদি ট্রেন থামানো হয় তাহলে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি দূর হবে তাদের সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমবে, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য স্বল্প ভাড়ায় তারা বাড়িতে যাতায়াত করতে পারবে।

এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি দূর করতে বাইতুল আমান রেলগেট স্টেশনে পুর্বের মতো ট্রেন থামানো নির্দেশনার মতো একটি সুন্দর সিদ্ধান্ত নিতে রেলের মহাপরিচালকের কাছে আবেদন এলাকাবাসী ও প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষার্থীর।

‘আমি এমপি হলে আমার কাছে আসতে কোন নেতা ধরতে হবে না’ — স্থপতি মুজাহিদ বেগ

সোহাগ মাতুব্বর, ভাঙ্গা:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:১৩ পিএম
‘আমি এমপি হলে আমার কাছে আসতে কোন নেতা ধরতে হবে না’ — স্থপতি মুজাহিদ বেগ

‘আমি এমপি হলে আমার কাছে আসতে কোন নেতা ধরতে হবে না। সরাসরি আমার সাথে দেখা করতে পারবেন। কথা বলতে পারবেন বলে মন্তব্য করেছেন ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মো. মুজাহিদ বেগ।’

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার তুজারপুর ইউনিয়নের উচাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এক উঠান বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মুজাহিদ বেগ বলেন, ‘আমি যদি ফরিদপুর-৪ আসনের এমপি নির্বাচিত হতে পারি তাহলে আমি আপনাদেরকে নিয়ে এই আসনটি এমনভাবে সাজাবো যাতে বাংলাদেশের মধ্যে রোল মডেল হিসেবে তৈরি হয়।’

এসময় তিনি আরো বলেন, ফরিদপুর-৪ আসনের একটা যুবক ভাই বেকার থাকবে না। যুবক ভাইয়েরা আমার হৃদয়ে আছে। তাদের শিক্ষা নিশ্চিত করা, খেলাধুলা করার সুযোগ তৈরি করার জন্য সব করব।

হাফেজ কুব্বাত মাতুব্বরের সভাপতিত্বে ও সাগর বেগের সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন- হায়দার হোসেন, সোবাহান হোসেন, বাকী মাতুব্বর, সেলিম মাহমুদ, সহিদুল ইসলাম, আল-আমিন, মো. রাসেল মোল্লা ও সৌরভ বিশ্বাস প্রমূখ।