খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫, ১৮ বৈশাখ, ১৪৩২

ভাঙ্গায় পৃথক তিনটি স্থানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, আহত ৫০

আব্দুল মান্নান, ভাঙ্গা (ফরিদপুর):
প্রকাশিত: রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:২৫ পিএম
ভাঙ্গায় পৃথক তিনটি স্থানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, আহত ৫০
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তার, বাসস্ট্যান্ড দখল ও তুচ্ছ ঘটনা কেন্দ্র করে পৃথক তিনটি স্থানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় নারী পুরুষ সহ কমপক্ষে ৫০ জন গ্রামবাসী আহত হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে প্রায় ২০টি বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট ও ৫টি ঘরে অগ্নিসংযোগ করেছে গ্রামবাসী। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে করেছে। এ ঘটনায় পুকুরিয়া এলাকা থেকে ৮জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়, রবিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে ভাঙ্গা উপজেলার মানিকদহ ইউনিয়নের পুখুরিয়া বাজার ও বাসস্ট্যান্ড দখল নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে দুই পক্ষের ১০টি বাড়ি ভাংচুর, লুঠপাট  ও ৫টি বাড়ি ঘরে অগ্নিসংযোগ করে প্রতিপক্ষের লোকজন।
আওয়ামী লীগের সাবেক দুই সংসদ সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ পক্ষের সুলতান মাতুব্বর ও মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরীর পক্ষের ইয়াকুব মাতুব্বর গ্রুপের মধ্যে পুখুরিয়া বাজার ও বাসস্ট্যান্ড নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বিগত ১৭ বছর ধরে প্রতিমাসে বাজার ও বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রায় লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা ও খাজনা আদায় করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপ ভাগবাটোয়ারা করে নেয় । রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হলে বিএনপির লোকজন তাদের দুই পক্ষের সাথে মিলিত হয়।
এঘটনা নিয়ে শনিবার রাতে ইয়াকুব মাতুব্বর নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্রে নিয়ে অপর পক্ষে সুলতান মাতুব্বরের দলের জামাল মাতুব্বরের বাড়ি ভাংচুর চালায়। এঘটনার জের ধরে ঘোষণা দিয়ে রবিবার সকালে  দুই পক্ষের শত শত গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্র  নিয়ে তিন ঘন্টাব্যাপী  চলা সংঘর্ষ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এসময় ভাঙ্গা-সদরপুর সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষে দুই পক্ষের ১০টি বাড়ি ভাংচুর, লুঠপাট  ও ৫টি বাড়ি  অগ্নিসংযোগ করে প্রতিপক্ষের লোকজন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে ফরিদপুর জেলা সদর থেকে অতিরিক্ত আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী র‍্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্য এনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। এসময় যৌথ বাহিনীর সদস্যরা একজন মহিলা সহ ৮ জনকে আটক করে।
অপর দিকে, রবিবার সকালে ভাঙ্গা উপজেলা আলগী ইউনিয়নের সুয়াদি গ্রামে আমপাড়া নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সুযাদী গ্রামের আলী মিয়া লোকজন ও দেলোয়ার মিয়ার গ্রুপের লোকজন বেশীয় অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় এলাকায় রণক্ষেত্র পরিনত হয়।  সংঘর্ষে চলাকালে দুই পক্ষের প্রায় ৩০ জন গ্রামবাসী আহত হয়। আহতদের ভাঙ্গা ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়, রোববার সকালে আলীমিয়ার দলের শাজাহান মিয়ার আম গাছে দেলোয়ার মিয়া দলের সোহাগের ছেলে তানভীর কয়েকটা আম পাড়ে। আমপাড়া নিয়ে গাছের মালিক শাহজাহান এসে তানভীরকে চড়থাপ্পড় মারে। এঘটনাকে কেন্দ্র করে দেলোয়ারের লোকজন বেশীয় অস্ত্র নিয়ে আলী মিয়ার লোকজন উপর হামলা চালায়। পরে দুই পক্ষের লোকজন ২ ঘণ্টা ব্যাপী সংঘর্ষে ১০ জন গ্রামবাসী আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
অন্যদিকে, শনিবার রাতে ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় নারী সহ উভয় পক্ষের অন্তত ১০/১৫ জন গ্রামবাসী আহত হয় ।
গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়, আজিমনগর গ্রামের জাহাঙ্গীর মাতুব্বর ও একই গ্রামের ফারুক ফকিরের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। বিকেলে  বিরোধপূর্ণ জমির মাপঝোপ করার জন্য স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সালিশ বৈঠক করা হয়। সালিশের  উপস্থিতিতে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।  উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র অস্ত্র, লাঠিসোটা ও ইটপাটকেল  নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। রাতে আহতরা ভাঙ্গা হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার সময় আবারো দুই পক্ষের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটে।  সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১০/১৫ জন লোক আহত হয়। আহতদেরকে ভাঙ্গা ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছে । দুই পক্ষের ২টি মামলা দায়ের করেছে।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, গত দুদিন ধরে পুখুরিয়া, শুয়াদী ও আজিমনগর গ্রামের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।  খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে পুলিশের পাশাপাশি যৌথ বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে পুকুরিয়া এলাকা থেকে ৮জনকে আটক করেছি। এঘটনায় ভাঙ্গা থানায় মামলা হয়েছে। দাঙ্গা হাঙ্গামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৩০

আব্দুল মান্নান, ভাঙ্গা (ফরিদপুর)
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:৩৮ পিএম
ভাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৩০
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের পশ্চিম আলগী গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এঘটনায় নারী পুরুষ সহ কমপক্ষে ৩০ জন গ্রামবাসী আহত হয়েছেন।
আহতদের ভাঙ্গা ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংবাদ পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটানাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের হরিরহাট বাজারের ২টি দোকান ঘরের পজিশন কেনাবেচা নিয়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। এঘটনা নিয়ে আজ (২৯ এপ্রিল) সকালে কয়েক গ্রামের মাতুব্বরদের নিয়ে এক সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
শালির বৈঠক চলাকালে পশ্চিম আলগী গ্রামের আলী মাতুব্বরের লোকজনের সাথে ও একই গ্রামের দেলোয়ার মাতুব্বরের লোকজনের কথা কাটাকাটির সূত্র ধরে সংঘর্ষে শুরু করে।
দুই দল গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্র, ঢাল, কাতরা, টেটা রামদা, ইট ও রেললাইনের পাথর নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় এলাকায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে আলী মাতুব্বরের লোকজন রেল রাস্তা থেকে পাথর এনে দেলোয়ার মাতুব্বরের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট শুরু করে। পরে দেলোয়ার মাতুব্বরের লোকজন পাল্টা হামলা চালায়। সংঘর্ষের ঘটনায় নারী পুরুষ সহ ৩০ জন লোক আহত হয়। সংবাদ পেয়ে ভাঙ্গার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
এ ঘটনায় দেলোয়ার মাতুব্বর বলেন, আলী মাতুব্বর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার থাকাকালে হরিরহাট বাজার থেকে প্রায় ১০টা দোকানঘর দখল করে। পরে সে ধীরে ধীরে ৬/৭টি দোকান বিক্রি করে দেয়। আমাদের দুটি দোকান গোপনে পাশের এক গ্রামের লোকের কাছে বিক্রি করে দেয় এই ঘটনা নিয়ে আজকে সালিশ বৈঠক চলছিল। সেখানে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আলী মেম্বারের লোকজন দেশীয় অস্ত্র সহ রেললাইন থেকে পাথর এনে আমাদের উপর হামলা করে। তাতে আমাদের ১৫/২০ জন লোক আহত হয়। তাছাড়া কমপক্ষে ১০/১৫  বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করে।
এ ঘটনা আলী মাতুব্বর বলেন, আমাদের লোকজনের উপর দেলোয়ারের লোকজনের সাথে কথা কাটাকাটির একরপর্যায় সংঘর্ষ লেগে যায়। তারা আমাদের লোক জনের উপর হামলা করে ১০/১৫ জন লোককে আহত করে ।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, আলগী ইউনিয়নের হরির হাট বাজারে দোকানের পজিশন কেনাবেচা দিয়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ দ্রুত  ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। এঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাই নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফরিদপুরে যুবলীগের বিক্ষোভ মিছিল 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:৩৪ পিএম
ফরিদপুরে যুবলীগের বিক্ষোভ মিছিল 
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে নানা স্লোগানে একটি বিক্ষোভ মিছিল করেছে যুবলীগ ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাত ৮ টার দিকে ফরিদপুর সদরের ধুলদী জোড়া ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

বর্তমান নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ফরিদপুর জেলার সাবেক সহ-সভাপতি এবং বর্তমান জেলা যুবলীগের কর্মী দেবাশীষ নয়নের উদ্যোগে এসময় উপস্থিত ছিল বোয়ালমারী উপজেলা যুবলীগ নেতা গালিবুর রহমান গালিব মিয়া সহ বিভিন্ন যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মী।

ফরিদপুরে নিখোঁজের তিনদিন পর মাদরাসা শিক্ষকের মরদেহ উদ্ধার

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৩:২৪ পিএম
ফরিদপুরে নিখোঁজের তিনদিন পর মাদরাসা শিক্ষকের মরদেহ উদ্ধার
ফরিদপুরের মধুখালীতে নিখোঁজের ৩ দিন পর মাদরাসা শিক্ষক শেখ আল কালাম আজাদের (৬০) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার জাহারপুর ইউনিয়নের কোঠরাকান্দি বিল থেকে মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত শেখ আল কালাম আজাদ মধুখালীর মেগচামী ইউনিয়নের চরবামুনদি ইয়াসিন আলী দাখিল মাদরাসার ইংরেজি বিষয়ের সিনিয়র শিক্ষক ছিলেন। তিনি উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ শিমুলের বাবা।
তানভীর আহমেদ শিমুল জানান, গত ২৭ এপ্রিল রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিলআড়ালিয়া বাজার থেকে নিখোঁজ হন তার বাবা। এ ঘটনায় সোমবার মধুখালী থানায় একটি জিডি করেন তিনি।
পুলিশ জানায়, জিডির সূত্র ধরে ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। একপর্যায়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আল কালাম আজাদের দ্বিতীয় স্ত্রী তিথি আক্তার (২৮), তার শ্বাশুড়ি ও মেগচামীর খালপাড়ি গ্রামের সোহরাব শেখের ছেলে রাসেল শেখ (২৮) নামে তিনজনকে থানায় নিয়ে আসা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী নিখোঁজ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করা সম্ভব হয়। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী দ্বিতীয় স্ত্রীর পরকিয়ার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়। পরবর্তীতে বিস্তারিত জানাতে পারবো।