ভাঙ্গায় মহাসড়কে ৫ জন নিহতের ঘটনায় অভিযুক্ত চালক আটক
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় বাল্কহেড থেকে পড়ে পদ্মা নদীতে এক সুকানী নিখোঁজ হয়েছেন।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের টিলারচর ও সবুল্লা সিকদারের ডাঙ্গী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ সুকানীর নাম আরিফ শেখ (৪৬)। তিনি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার শোলমারী গ্রামের মজিবর শেখের ছেলে। চার ভাইবোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। তিনি বিবাহিত এবং এক মেয়ে ও দুই ছেলের জনক।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আরিফ শেখ বাল্কহেডের সুকানী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার খালু আবুল সরকার জানান, মঙ্গলবার বিকেলে বালু নিয়ে ফরিদপুর সদরের সিএনবি ঘাট নৌবন্দরে আসেন আরিফ। বালু খালাস শেষে ফেরার পথে চরভদ্রাসনের টিলারচর ও সবুল্লা সিকদারের ডাঙ্গী এলাকায় অসাবধানতাবশত তিনি পদ্মা নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন।
খবর পেয়ে ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযানে নামে। বুধবার দুপুর ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত নদীতে তল্লাশি চালিয়েও নিখোঁজ সুকানীর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। সন্ধ্যা নামায় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়।
চরভদ্রাসন ফায়ার সার্ভিসের লিডার মোর্তজা ফকির জানান, ফরিদপুর থেকে দুই সদস্যের একটি ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে এসে কয়েক দফায় নদীতে নেমে তল্লাশি চালায়। তবে তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পুনরায় উদ্ধার অভিযান শুরু করা হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর সিএনবি ঘাট নৌপুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ বলেন, খবর পেয়ে নৌ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়। তবে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত নিখোঁজ ব্যক্তির কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
নিখোঁজ সুকানীর সন্ধানে বৃহস্পতিবার পুনরায় ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশের যৌথ উদ্ধার অভিযান চলবে বলে জানানো হয়েছে।
হঠাৎ করেই মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা রিয়াজ আহমেদের মৃত্যুর খবর। তবে এ নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য মেলেনি। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিরও এ বিষয়ে ধারণা নেই।
এ বিষয়ে জানতে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রিয়াজের ঘনিষ্ঠ একজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এমনটা হওয়ার কথা না। আপনার কাছেই প্রথম শুনলাম। এমন কিছু হয়ে থাকলে এতক্ষণে তোলপাড় হয়ে যেত।’
৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকেই আত্মগোপনে চলে যান রিয়াজ। তার বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কেউই জানেন না। গুঞ্জন রয়েছে, পালিয়ে ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। আবার কেউ বলছেন, দেশেই আছেন কোথাও। রিয়াজের ব্যবহৃত নম্বরটিও বন্ধ রয়েছে।
শেখ হাসিনার পতনের আগ পর্যন্ত কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বেশ সরব ছিলেন রিয়াজ। বেশ কয়েকবার তাকে শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হতেও দেখা গেছে।
নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি থেকে টানা দুই যুগ রিয়াজ ছিলেন ঢালিউডের শীর্ষ জনপ্রিয় মুখ। ‘বাংলার নায়ক’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে নাম লেখান তিনি। এরপর একে একে অসংখ্য সুপারহিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন।
২০২২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রিয়াজ অভিনীত সর্বশেষ ‘অপারেশন সুন্দরবন’ সিনেমাটি মুক্তি পায়। এরপর আর নতুন কাজে তার দেখা মেলেনি।
তথ্য সূত্র : জাগোনিউজ
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর সদর-৩ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেলেন এডভোকেট মো. সরোয়ার হোসেন।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) তার পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ফরিদপুর জেলা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়কারী খন্দকার ওহিদুজ্জামান।
মনোনয়নপত্র সংগ্রহকালে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কোতোয়ালি থানা শাখার সভাপতি হাফেজ আবু দাউদ, ফরিদপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ইয়াকুব আলী, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা ডা. আবু জাফর, পৌরসভা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আ. করিম, ইসলামী আন্দোলনের নেতা এমদাদুল হক টিটুসহ সংগঠনের অন্যান্য দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ।
এ সময় নেতারা বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। এডভোকেট মো. সরোয়ার হোসেন একজন সৎ, যোগ্য ও জনবান্ধব নেতা হিসেবে ফরিদপুর সদর-৩ আসনের জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হবেন বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এডভোকেট মো. সরোয়ার হোসেন বলেন, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন এবং ইসলামী মূল্যবোধভিত্তিক সমাজ গঠনে তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ফরিদপুর সদর-৩ আসনের সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেন।
আপনার মতামত লিখুন
Array