খুঁজুন
বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২ পৌষ, ১৪৩২

মধুখালীতে বিধবার সম্পত্তি দখলের অভিযোগ ভাতিজা ও দেবরের বিরুদ্ধে

ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ১০:৪৫ এএম
মধুখালীতে বিধবার সম্পত্তি দখলের অভিযোগ ভাতিজা ও দেবরের বিরুদ্ধে
চার কন্যা সন্তানের জননী বিধবা সুরাইয়া বেগম (৬০) এর বসতভিটা জবরদখল করে উচ্ছেদ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে আপন দেবর ও ভাতিজার বিরুদ্ধে। কন্যাদের উপরে মারপিট করে শারীরিক ও পাশবিক নির্যাতনের মতোও গর্হিত কাজ করেছে চাচা ও চাচাতো ভাইয়েরা।
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার গাজনা ইউনিয়নের আশাপুর গ্রামের ঐতিহ্যবাহি মিয়া বাড়ির ঘটনা এটি।
এ বিষয়ে মধুখালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও এখনও কোন আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
জানা যায়, সুরাইয়া বেগমের স্বামী হামিদুর রহমান মিয়া ২০০৭ সালে মারা যান। হামিদুর রহমান মারা যাওয়ার পর তাদের  কোন পুত্র সন্তান না থাকায় সুরাইয়া বেগমের কাছে আফসা সম্পত্তি দাবী করে ভিটে ছাড়া করার চেষ্টা করেন মৃত হামিদুর রহমানের ছোট ভাই শহিদুর রহমান মিয়া ও আরেক ভাই ফজলুর রহমান মিয়ার ছেলে তাওয়াবুর রহমান বাবু।
এ ঘটনার পর সুরাইয়া বেগম তার শশুর মৃত আব্দুল জলিল মিয়ার জমি-সম্পত্তি বাটোয়ারার আবেদন করেন এবং তার দেবর ও ভাতিজাদেরকে জমিজমা বাগবাটোরে করে দিতে বলেন। এরপর থেকেই শুরু হয় সুরাইয়া বেগম ও তার চার কন্যার উপরে নানা ভাবে নির্যাতন। এমনকি তাদের লাগানো ফসলি জমি থেকেও ফসল তুলতে দেন না তার শরিকেরা।
সর্বশেষ গত ২৫ ফ্রেব্রুয়ারী সুরাইয়া বেগম ও তার কন্যাদের বিবস্ত্র করে নির্যাতন করেন তাদের চাচাতো ভাই বাবু মিয়া ও তপু মিয়া। তৎক্ষণাৎ নির্যাতনের শিকার সুরাইয়া বেগমের ছোট কন্যা সাজিয়া আফরিন মধুখালি থানায় উপস্থিত হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও তাওয়াবুর রহমান বাবু বিএনপি নেতা হওয়ায় পুলিশ ভয়তে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে নি।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, আশাপুর গ্রামের মিয়া বাড়ির মৃত আব্দুল জলিল মিয়ার চার সন্তানের মধ্যে হাবিবুর রহমান মিয়ার কোন পুত্র সন্তান নেই। ২০০৭ সালে হামিদুর রহমান মিয়া মারা গেলে মুসলিম আইন অনুযায়ী এখন তার জীবি এক চাচা ও অন্যান্য চাচতো ভায়েরা। কিন্তু এই আফসা সম্পত্তির দাবির ছলে চাচা ও চাচাতো ভাইয়েরা বিধবা সুরাইয়া বেগম ও তার কন্যাদের উপর হামলা চালিয়ে বসত ভিটা থেকে উচ্ছেদ চেষ্টা করে।
বিধবা সুরাইয়া বেগম বলেন, আমার চার কন্যা সন্তানের মধ্যে তিন কন্যার বিবাহ হয়ে গেছে। আমি এক কন্যা নিয়ে আমার স্বামীর ভিটায় বসবাস করি। আমার স্বামীর অন্যান্য ভাইয়েরাও পাশাপাশি আলাদা বাড়ি করে বসবাস করে। তাদের সকলের জমি বাটোয়ারা করা। আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর এখন আমাদের ভিটার জমিতে আফছা জমির দাবী করে নির্যাতন চালানো শুরু করে। তারা পাশেই থাকে, আমার ঘরে কোন পুরুষ মানুষ নেই। সারাক্ষণ নিরাপত্তা হীনতায় ভুগি। গত ২৫ তারিখে আমার ছোট কন্যার জামাকাপড় ছিড়ে মারপিট করে। আমার ভাতিজা তাওয়াবুর রহমান বাবু বিএনপি নেতা হওয়ায় পুলিশও কিছু বলে না।
সুরাইয়া বেগমের সেজ কন্যা নুপুর সুলতানা বলেন, মা আর বোন একা বাড়িতে থাকে। কখন কি হয় এ দুশ্চিন্তার থাকি। কয়েকদিন আগে তারা একবার আক্রমণ করে। এজন্য আমি বাড়িতে এসেছি। বাড়ি এসে স্থানীয় গন্যমান্যদের সাথে কথা বলেছি, কেউ কোন কথা বলেন না আমাদের হয়ে। স্থানীয় মেম্বারের সহায়তায় জমির বাটোয়ারা মামলা করতে কাজ শুরু করেছি। মেম্বার মাধ্যমে ওয়ারিশ সনদের ব্যবস্থা করেছি। সেখানেও তারা বিপত্তি বাধিয়েছে। আমার তৈরি ওয়ারিশ সনদকে ভুল প্রমান করাতে তারা জন্ম তারিখ বাড়িয়ে জন্মসনদ তৈরি করে আমার কাজে ক্ষতি করছে। স্থানীয় মেম্বার নজরুল ইসলাম আমাদের পাশে দাড়ালে তাকেও নানা ভাবে হয়রানি করছে। আমরা আমার বাবার পৈতৃক সম্পত্তি থেকে মুসলিম আইন অনুযায়ী আফসা সম্পত্তি প্রদান করতে চাই। এজন্য বাটোয়া মামলা করে আইনগত ভাবে সমাধান করতে চাই। কিন্তু আমার বাবার সম্পত্তি জোর করে জবরদখল হতে দেবো না।
মিয়া বাড়ির মুরব্বি ও সন্তান লুৎফর রহমান মিয়া বলেন, সুরাইয়া ও তার কন্যাদের উপর অন্যায়ভাবে নির্যাতন করছে তারা। তারা আমার কথা শোনেন না। আমি একাধিকবার বলেছি। বাবু এখন বিএনপি নেতা হওয়ায় সে কাউকে গোনেন না।
গাজনা ইউনিয়নের স্থানীয় মেম্বার নজরুল ইসলাম বলেন, এলাকার কেউ অসহায় বিধবা পরিবারটির পাশে এসে দাড়াতে সাহস পান না বিএনপি নেতা তাওয়াবুর রহমান বাবুর ভয়ে। আমি তাদের বাটোয়ারা মামলা করার বিষয়টি সমাধানের জন্য এগিয়ে যাই। মামলার প্রয়োজনীয় বিষয়ে সহায়তা করি। তাদের দেওয়া তথ্য মতে পরিষদ থেকে ওয়ারিশ সনদ বের করে দেই। এতে বাবু ক্ষিপ্ত হয় আমার উপর। আমার বিরুদ্ধে বাবু মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
গাজনা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো: গোলাম কিবরিয়া বলেন, মৃত হামিদুর রহমানের পরিবারটি একটি অসহায় পরিবার। হামিদুরের ভাই ভাতিজারা তাদের সাথে ভালো আচরণ করছেন না। আমি একাধিক বার তাদের বলেছি। তাদের নিয়ে সালিশও করেছি। কিন্তু দু পক্ষই কেউ কারো কথা শোনেন না।
মৃত হামিদুর রহমানের ভাই শহিদুর রহমান মিয়া বলেন, আমরা আমাদের জমির বাটোয়ারা করায় জন্য প্রায় ১০ বারের বেশি বসা হয়েছে। কেউই কথা শুনতে চায় না। আমার ভাই মৃত হামিদুর রহমানের পরিবার বাটোয়ারা মূলে ৩ একরের বেশি সম্পত্তি পাওয়ার কথা। কিন্তু তারা ভোগদখলে প্রায় সাড়ে ৪ একর জমি ব্যবহার করছে। তারা তা ছাড়তে চায় না। আর তারা অসহায় নয় তারা সবাই স্বাবলম্বী। আমাদের পৈতৃক ভিটায় তাদের জন্য পা রাখতে পারি না। পৈতৃক ভিটায় তো আমাদের ভাগ আছে স্মৃতি আছে। তার মেয়েরা সেখানে গেলে বলে আমাদের কুপায় দেবে। এ কথা শুনে আমার মানবতা থাকে না।
এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী সার্কেল) মো: ইমরুল হাসান বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধ বিষয়টি আসলে বিজ্ঞ আদালতের বিষয়, এ বিষয়ে তো সিদ্ধান্ত আদালতের। তবে তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি আমরা খেয়াল রাখবো।

কচুলতায় জেগে উঠছে সম্ভাবনা, বদলাচ্ছে কৃষকের ভাগ্য

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:৫৭ এএম
কচুলতায় জেগে উঠছে সম্ভাবনা, বদলাচ্ছে কৃষকের ভাগ্য
কচুলতায় এসেছে কৃষকের ভাগ্য পরিবর্তনের বার্তা। দেড়শ বিঘা দিগন্তজুড়ে কচুর লতার সফল চাষ মৌলভীবাজার জেলায় সৃষ্টি করেছে নতুন সম্ভাবনা। তুলনামূলক কম খরচ, কম পরিশ্রম এবং বেশি লাভজনক হওয়ায় কচুর লতা চাষে এক ধরনের কৃষি বিপ্লব দেখা যাচ্ছে এ জেলায়।

জেলার বিভিন্ন উপজেলার কৃষকরা প্রচলিত অনেক ফসলের তুলনায় বেশি আয়ের আশায় কচুর লতি চাষে ঝুঁকছেন। স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি মৌলভীবাজার থেকে প্রতিদিনই লতি পাঠানো হচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।

মৌলভীবাজার জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে জেলায় প্রায় তিনশ হেক্টর জমিতে কচুর লতি চাষ হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার গিয়াসনগর, শ্রীমঙ্গল উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের যাত্রাপাশা এবং কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর গ্রামে।

গিয়াসনগর এলাকায় দেখা গেছে, পুরো গ্রামজুড়ে এখন বাণিজ্যিকভাবে লতি চাষ হচ্ছে। স্থানীয় কৃষকরা জানান, কয়েক বছর আগেও দুই-তিন বিঘা জমিতে বিচ্ছিন্নভাবে লতি চাষ হলেও বর্তমানে তা ব্যাপক বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে। শুধু গিয়াসনগর এলাকাতেই মৌসুমে প্রায় ১৫০ বিঘা জমিতে লতির চাষ হচ্ছে।

গিয়াসনগর গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমান জানান, তিনি ২১ শতাংশ জমিতে লতিরাজ বারি কচু–১ রোপণ করেছেন। প্রায় এক মাস ধরে তিনি লতি তুলছেন। প্রতি সপ্তাহে ৭০ থেকে ৭৫ কেজি লতি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। মৌসুম যত এগোচ্ছে, দামও বাড়ছে। প্রায় ৩০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে তিনি দেড় থেকে দুই লাখ টাকা লাভের আশা করছেন।

একই গ্রামের কৃষক আবদুল আজিজ জানান, তিনি এক কিয়ার জমিতে লতি চাষ করেছেন এবং আরও জমিতে চারা রোপণের পরিকল্পনা করছেন। কৃষক মিলন, কাজিম ও আফাই মিয়াসহ অনেকেই বড় পরিসরে লতি চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।

কমলগঞ্জ উপজেলায় কচুর লতি চাষে সফল হয়েছেন বিমান বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রঞ্জন কুমার। উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামে তার উদ্যোগে লতি চাষ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। তার দেখাদেখি স্থানীয় অন্যান্য কৃষকরাও লতি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

এ ছাড়া শ্রীমঙ্গল উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের যাত্রাপাশা গ্রামের এংরাজ মিয়া, রোকন মিয়া, আব্দুল মজিদ ও ইউনুস মিয়া বাণিজ্যিকভাবে কচুর লতি চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার পথ খুঁজে পেয়েছেন।

স্থানীয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নিরোজ কান্তি রায় বলেন, গিয়াসনগর গ্রামে লতি এখন একটি সমৃদ্ধ ফসলে পরিণত হয়েছে। চার-পাঁচ বছর আগে যেখানে দুই-তিন বিঘা জমিতে লতি চাষ হতো, এখন সেখানে মৌসুমে ১৫০ বিঘা জমিতে লতির আবাদ হচ্ছে। সারা বছর ৫০ থেকে ৭০ বিঘা জমিতে লতি চাষ হয়। লতি অত্যন্ত লাভজনক ফসল এবং এতে রোগবালাই তুলনামূলক কম। গ্রামটি যেন এখন ‘লতার গ্রাম’ হয়ে উঠছে।

মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দিন বলেন, কচুর লতি এ অঞ্চলে একটি দীর্ঘমেয়াদি ও লাভজনক ফসল। অল্প খরচে কৃষকরা বেশি লাভবান হচ্ছেন। লতি চাষ সম্প্রসারণে কৃষি বিভাগ সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছে।

সালথায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে কৃষকলীগ নেতা আটক

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৯:০৯ পিএম
সালথায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে কৃষকলীগ নেতা আটক

ফরিদপুরের সালথায় ওয়ারেন্টভুক্ত এক আসামীকে ধরতে গিয়ে খোরশেদ খান (৪৫) নামে এক কৃষক লীগ নেতার হামলার শিকার হয়েছেন পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক মুকুল। এ ঘটনায় ওই হামলাকারী কৃষকলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৭ টার দিকে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের আগুলদিয়া মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

খোরশেদ খান গট্টি ইউনিয়নের কৃষকলীগের সহ-সভাপতি ও ওই গ্রামের উচমান খানের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের আগুলদিয়া মোড় এলাকায় এক ওয়ারেন্টভুক্ত আসামীকে ধরতে যায় একদল পুলিশ। এ সময় ওই আসামীকে ধরতে বাধা দেন কৃষক লীগ নেতা খোরশেদ খান। এক পর্যায়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক মুকুল আহত হন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলু রহমান খান বলেন, ওয়ারেন্টভুক্ত এক আসামীকে ধরতে গেলে খোরশেদ খান বাধা প্রদান করেন এবং পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক মুকুল আহত হন। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

মহান বিজয় দিবসে চরভদ্রাসনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা

মুস্তাফিজুর রহমান শিমুল, চরভদ্রাসন:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৬:৩৩ পিএম
মহান বিজয় দিবসে চরভদ্রাসনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা

মহান বিজয় দিবসে ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে চরভদ্রাসন সরকারী কলেজ মাঠে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জালাল উদ্দিন।

সভার শুরুতে উপজেলার প্রায়াত মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

পরে ইউএনও জালাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) যায়েদ হোছাইন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুর রাজ্জাক, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ ও মো. ফখরুজ্জামান প্রমুখ।