খুঁজুন
বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২ পৌষ, ১৪৩২

মাদারীপুরে ৩ খুনের নেপথ্যে আ.লীগের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ভয়াবহ ইতিহাস

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ১১:১৪ এএম
মাদারীপুরে ৩ খুনের নেপথ্যে আ.লীগের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ভয়াবহ ইতিহাস

মাদারীপুর সদর উপজেলার খোঁয়াজপুরে আপন দুই ভাইসহ তিনজনকে কুপিয়ে হত্যার নেপথ্যে রয়েছে ভয়াবহ নির্যাতনের ঘটনা। একইসঙ্গে আওয়ামী শাসনামলে দিনের পর দিন অত্যাচার ও আধিপত্যজনিত তীব্র ক্ষোভও রয়েছে এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে।

 

জানা গেছে, গত বছর নিজের চাচা হোসেন সরদারকে হাতুড়িপেটা করে হাঁটু ভেঙে দেওয়ার প্রতিশোধ হিসেবে খুন হয়েছেন সাইফুল সরদার (৩৫), তার ভাই আতাউর সরদার (৪০) ও চাচাত ভাই পলাশ সরদার (১৫)।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার খোঁয়াজপুর ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন নিহত সাইফুল সরদার। সাংগঠনিক পদ পাওয়ার পর নিজ এলাকায় একক আধিপত্য বিস্তার করেন তিনি। নদী থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলনের ব্যবসায় থেকে শুরু করে বিচার-সালিশসহ একক আধিপত্য ছিল সাইফুলের। আধিপত্যের জের ধরে গত বছর নিজের চাচা হোসেন সরদারকে হাতুড়িপেটা করে পঙ্গু করে দেয় সাইফুল ও তার লোকজন। ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর নিজ এলাকায় আধিপত্য ধরে রাখতে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলতে চেষ্টা করেন সাইফুল। এরপর স্থানীয় হাটের ইজারাও নিয়ে নেন।

ফের আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টার জের এবং পুরানো প্রতিশোধ নিতেই প্রতিপক্ষের লোকজন শনিবার (৮ মার্চ) হামলা চালায় সাইফুল ও তার লোকজনের ওপর। এ সময় দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এবং সাইফুল ও তার ভাইসহ তিনজনের মৃত্যু হয়।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল সরদার দীর্ঘদিন ধরেই নিজ এলাকার কীর্তিনাশা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিল। এলাকায় বালু ব্যবসায় একক আধিপত্য ছিল তার। গত বছর আরেক বালু ব্যবসায়ী হোসেন সরদারকে (৬০) প্রকাশ্যে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে দুই পা ভেঙে দেন সাইফুল সরদার। এলাকায় মাদকের সিন্ডিকেটও নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি হাটের ইজারাও নিয়েছিলেন সাইফুল।

এলাকায় হিটার সাইফুল হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। মাদারীপুর সদর থানায় এসব ঘটনায় ৭টি মামলা হয়েছিল সাইফুলের বিরুদ্ধে। এসব মামলা হলেও কিছুদিন জেল খেটে আবার শুরু করতেন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। এসব কারণে এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধও ছিল সাইফুলের ওপর।

দীর্ঘদিন এলাকায় কোণঠাসা হয়ে থাকা এবং হাঁটু ভেঙে দেওয়ার প্রতিশোধ নিতে হোসেন সরদার নতুন করে দ্বন্দ্বে জড়ান সাইফুলের সঙ্গে! শনিবার সংঘর্ষের এক পর্যায়ে সাইফুল, আতাউর ও পলাশকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গেছে, মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগ অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় আ.লীগের দুটি বলয় ছিলে এখানে। এক পক্ষের নেতৃত্ব দিতেন সাবেক নৌ-পরিবহন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান এবং অপর পক্ষের নেতৃত্ব দিতেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাসিম। নিহত সাইফুল বাহাউদ্দীন নাসিম সমর্থিত খোয়াজপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। আর তার প্রতিপক্ষ অভিযুক্ত হোসেন সরদার (৬০) ছিলেন শাজাহান খান সমর্থিত আওয়ামী লীগ নেতা। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থাকাকালীন নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সিন্ডিকেট ও খোয়াজপুর-টেকেরহাট বাজারের ইজারা দখল নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এই দ্বন্দ্বের জেরে ২০২৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে খোয়াজপুর বাজারের মধ্যে প্রকাশ্যে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হোসেন সরদারের দুই পা ভেঙে দেন সাইফুল সরদার ও তার লোকজন। তারা সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা।

৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাইফুল বিএনপি নেতাদের সঙ্গে সখ্য বাড়ানোর চেষ্টা করেন। এতে আরও ক্ষুব্ধ হয় স্থানীয়রা। পরে পা ভাঙার প্রতিশোধ ও পুরো সিন্ডিকেট দখলে নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে হোসেন সরদার। এ নিয়ে মাসখানেক আগে দুই গ্রুপের মধ্যে হামলা- ভাঙচুরেরও ঘটনা ঘটে। এই জেরেই শনিবার (৮ মার্চ) হামলা চালিয়ে সাইফুল ও তার ভাই আতাউরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে হোসেন সরদারের লোকজন। একই সঙ্গে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয় নিহত সাইফুলের আরেক ভাই অলিল সরদার ও চাচাতো ভাই পলাশসহ আরো ৮ জনকে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠালে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পলাশের মৃত্যু হয়।

নিহত সাইফুলের পরিবারের সদস্যরা জানান, ড্রেজার ব্যবসায় ছিল তাদের। সরকারের কাছ থেকে হাঁট ইজারা নিয়েছিলেন সাইফুল। হাট-ঘাট, ব্যবসা-বাণিজ্য দখল করে নেওয়ার জন্যই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।

নিহত সাইফুলের মা সুফিয়া বেগম বলেন,‘আমার ছেলেদের মেরে ফেলতেই শনিবার পরিকল্পিতভাবে ওরা হামলা করে। তিনদিক থেকে ঘেরাও করে। ওরা মানুষ ভাড়া করে অস্ত্র এনে আমার ছেলেরে মারে। বোমা মেরে আমার ছেলেকে ধাওয়া করে। প্রাণ বাঁচাতে মসজিদে আশ্রয় নেয়। সেখানে কুপিয়ে দুই ছেলেকে হত্যা করে। ’

এদিকে হোসেন সরদার ও তার ঘনিষ্ঠরা সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর থেকেই তারা গা-ঢাকা দিয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর সাহা বলেন, ‘বালু ব্যবসা ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এই মামলার ভিকটিম সাইফুল তার বংশীয় চাচা হোসেন সরদারকে পিটিয়ে পা ভেঙে দেন। সেই ঘটনায় মামলা হলে জেলা পুলিশ সাইফুলকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে বালু ব্যবসাকে কেন্দ্র করে হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ ঘটনায় নিহত সাইফুলের মা সুফিয়া বেগম বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তার করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ’

কচুলতায় জেগে উঠছে সম্ভাবনা, বদলাচ্ছে কৃষকের ভাগ্য

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:৫৭ এএম
কচুলতায় জেগে উঠছে সম্ভাবনা, বদলাচ্ছে কৃষকের ভাগ্য
কচুলতায় এসেছে কৃষকের ভাগ্য পরিবর্তনের বার্তা। দেড়শ বিঘা দিগন্তজুড়ে কচুর লতার সফল চাষ মৌলভীবাজার জেলায় সৃষ্টি করেছে নতুন সম্ভাবনা। তুলনামূলক কম খরচ, কম পরিশ্রম এবং বেশি লাভজনক হওয়ায় কচুর লতা চাষে এক ধরনের কৃষি বিপ্লব দেখা যাচ্ছে এ জেলায়।

জেলার বিভিন্ন উপজেলার কৃষকরা প্রচলিত অনেক ফসলের তুলনায় বেশি আয়ের আশায় কচুর লতি চাষে ঝুঁকছেন। স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি মৌলভীবাজার থেকে প্রতিদিনই লতি পাঠানো হচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।

মৌলভীবাজার জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে জেলায় প্রায় তিনশ হেক্টর জমিতে কচুর লতি চাষ হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার গিয়াসনগর, শ্রীমঙ্গল উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের যাত্রাপাশা এবং কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর গ্রামে।

গিয়াসনগর এলাকায় দেখা গেছে, পুরো গ্রামজুড়ে এখন বাণিজ্যিকভাবে লতি চাষ হচ্ছে। স্থানীয় কৃষকরা জানান, কয়েক বছর আগেও দুই-তিন বিঘা জমিতে বিচ্ছিন্নভাবে লতি চাষ হলেও বর্তমানে তা ব্যাপক বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে। শুধু গিয়াসনগর এলাকাতেই মৌসুমে প্রায় ১৫০ বিঘা জমিতে লতির চাষ হচ্ছে।

গিয়াসনগর গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমান জানান, তিনি ২১ শতাংশ জমিতে লতিরাজ বারি কচু–১ রোপণ করেছেন। প্রায় এক মাস ধরে তিনি লতি তুলছেন। প্রতি সপ্তাহে ৭০ থেকে ৭৫ কেজি লতি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। মৌসুম যত এগোচ্ছে, দামও বাড়ছে। প্রায় ৩০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে তিনি দেড় থেকে দুই লাখ টাকা লাভের আশা করছেন।

একই গ্রামের কৃষক আবদুল আজিজ জানান, তিনি এক কিয়ার জমিতে লতি চাষ করেছেন এবং আরও জমিতে চারা রোপণের পরিকল্পনা করছেন। কৃষক মিলন, কাজিম ও আফাই মিয়াসহ অনেকেই বড় পরিসরে লতি চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।

কমলগঞ্জ উপজেলায় কচুর লতি চাষে সফল হয়েছেন বিমান বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রঞ্জন কুমার। উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামে তার উদ্যোগে লতি চাষ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। তার দেখাদেখি স্থানীয় অন্যান্য কৃষকরাও লতি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

এ ছাড়া শ্রীমঙ্গল উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের যাত্রাপাশা গ্রামের এংরাজ মিয়া, রোকন মিয়া, আব্দুল মজিদ ও ইউনুস মিয়া বাণিজ্যিকভাবে কচুর লতি চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার পথ খুঁজে পেয়েছেন।

স্থানীয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নিরোজ কান্তি রায় বলেন, গিয়াসনগর গ্রামে লতি এখন একটি সমৃদ্ধ ফসলে পরিণত হয়েছে। চার-পাঁচ বছর আগে যেখানে দুই-তিন বিঘা জমিতে লতি চাষ হতো, এখন সেখানে মৌসুমে ১৫০ বিঘা জমিতে লতির আবাদ হচ্ছে। সারা বছর ৫০ থেকে ৭০ বিঘা জমিতে লতি চাষ হয়। লতি অত্যন্ত লাভজনক ফসল এবং এতে রোগবালাই তুলনামূলক কম। গ্রামটি যেন এখন ‘লতার গ্রাম’ হয়ে উঠছে।

মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দিন বলেন, কচুর লতি এ অঞ্চলে একটি দীর্ঘমেয়াদি ও লাভজনক ফসল। অল্প খরচে কৃষকরা বেশি লাভবান হচ্ছেন। লতি চাষ সম্প্রসারণে কৃষি বিভাগ সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছে।

সালথায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে কৃষকলীগ নেতা আটক

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৯:০৯ পিএম
সালথায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে কৃষকলীগ নেতা আটক

ফরিদপুরের সালথায় ওয়ারেন্টভুক্ত এক আসামীকে ধরতে গিয়ে খোরশেদ খান (৪৫) নামে এক কৃষক লীগ নেতার হামলার শিকার হয়েছেন পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক মুকুল। এ ঘটনায় ওই হামলাকারী কৃষকলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৭ টার দিকে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের আগুলদিয়া মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

খোরশেদ খান গট্টি ইউনিয়নের কৃষকলীগের সহ-সভাপতি ও ওই গ্রামের উচমান খানের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের আগুলদিয়া মোড় এলাকায় এক ওয়ারেন্টভুক্ত আসামীকে ধরতে যায় একদল পুলিশ। এ সময় ওই আসামীকে ধরতে বাধা দেন কৃষক লীগ নেতা খোরশেদ খান। এক পর্যায়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক মুকুল আহত হন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলু রহমান খান বলেন, ওয়ারেন্টভুক্ত এক আসামীকে ধরতে গেলে খোরশেদ খান বাধা প্রদান করেন এবং পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক মুকুল আহত হন। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

মহান বিজয় দিবসে চরভদ্রাসনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা

মুস্তাফিজুর রহমান শিমুল, চরভদ্রাসন:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৬:৩৩ পিএম
মহান বিজয় দিবসে চরভদ্রাসনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা

মহান বিজয় দিবসে ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে চরভদ্রাসন সরকারী কলেজ মাঠে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জালাল উদ্দিন।

সভার শুরুতে উপজেলার প্রায়াত মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

পরে ইউএনও জালাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) যায়েদ হোছাইন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুর রাজ্জাক, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ ও মো. ফখরুজ্জামান প্রমুখ।