খুঁজুন
শনিবার, ১ নভেম্বর, ২০২৫, ১৬ কার্তিক, ১৪৩২

সদরপুরে অবাধে বালুর ব্যবসা : বালুবাহী ড্রাম ট্রাক চাকায় পিষ্ট গৃহবধূ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১৯ মার্চ, ২০২৫, ১২:১৩ পিএম
সদরপুরে অবাধে বালুর ব্যবসা : বালুবাহী ড্রাম ট্রাক চাকায় পিষ্ট গৃহবধূ
ফরিদপুরের সদরপুরে অবাধে চলে দিনরাত অবৈধভাবে বালুর ব্যবসা। স্থানীয়রা বাধা দিলেও প্রশাসনের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই বরং প্রশাসনকে বৃদ্ধাআঙুল দেখিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে বালুর ব্যবসা। অনেকের অভিযোগ স্থানীয় বিএনপি ও আ’লীগের লোকজন যোগসাযোগে মিলিত হয়ে অবাধে লুটে নিচ্ছে পদ্মা-আড়িয়াল খাঁ নদ নদী থেকে বালুমাটি। তাদের বেপরোয়ারা ও খামখেয়ালীপনায় সোমবার অবৈধ বালুবাহী ড্রাম ট্রাকের চাকায় পৃষ্ট হয়ে এক গৃহবধুর নির্মম মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ ওই ঘাতক ড্রামচালক ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে চাপা দিয়ে হত্যা করেছে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকালে নিহতের মরদেহ ফরিদপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে সোমবার রাত ১০টার দিকে ভাষানচর ইউনিয়নের আদু বেপারীর ডাঙ্গী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই গৃহবধু উপজেলার ভাষানচর ইউনিয়নের আদু বেপরীর ডাঙ্গী গ্রামের বাচ্চু বেপারীর স্ত্রী রোজিনা বেগম (৩৫)। তার সংসারে দুই পুত্র ও দুই কন্যা সন্তান রয়েছে।  তার বড় ছেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যায়নরত ও প্রথম কন্যার বিয়ে হয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, নিহত পরিবারের নিচু ভিটা বালু দিয়ে ভরাটের জন্য স্থানীয় বালু ব্যবসায়ী রিংকু খানের সাথে চুক্তি করে তার স্বামী বাচ্চু বেপারী। এক সপ্তাহ ধরে ওই বাড়ির ভিটায় বালু ফেলানোর কার্যক্রম চলছে।  ওইদিন রোজিনার স্বামী বাচ্চু ও রিংকু খানের সাথে ভরাটের টাকা নিয়ে মনমানিল্য সৃষ্টি হয়।
সোমবার (১৭মার্চ) রাত ১০টার দিকে রোজিনা বাড়ির উঠানের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল রোজিনা বেগম ও বালু ব্যবসায়ী রিংকু খান। বালুর ট্রাকের ড্রাইভার সোহেল মাতুব্বর (২৭) অন্যত্র অর্ধেক ট্রাক বালু ফেলায় রোজিনার সাথে ড্রাইভারের ও কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায় ড্রাইভার ক্ষিপ্ত হয়ে রোজিনার শরীরের উপর দিয়ে ড্রাম ট্রাক চালিয়ে চাপা দেয় ড্রাইভার সোহেল চাপরাশি।  ওই সময় রোজিনার স্বামী বাচ্চু চিৎকার শুরু করলে ড্রাইভার ও রিংকু খান ট্রাক রেখে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন বাচ্চু বেপারী। ঘটনাস্থলেই রোজিনার শরীরের বুকের নিচের অংশ পৃষ্ট হয়ে দেহের বিভিন্ন অংশ বের হয়ে নিহত হয়। এ ঘটনায় বাদী হয়ে রোজিনার স্বামী বাচ্চু বেপারী ৫ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। সদরপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বালুবাহী  ড্রাম ট্রাক জব্দ করে ওই গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
ঘটনার বিষয়ে সদরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মামুন জানান, রোজিনার স্বামী বাদী হয়ে ঘাতকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবেন। থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মঙ্গলবার সকালে নিহতের মরদেহ ফরিদপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বালু ভরাট প্রসঙ্গে জানা যায়, ঢেউখালী ইউনিয়নের পিয়াজখালী গ্রামের আকবর আলী খানের পুত্র বালু ব্যবসায়ী রিংকু খানকে চুক্তি দেওয়া হয় ভরাটের জন্য। প্রতি গাড়ি দুই হাজার টাকা দরে। রিংকু খান দিনে বালু মাটি দিতে পারবেনা, দিতে পারবে শুধু রাতে। ওই কারণে রিংকু খান রাতে অবৈধভাবে নলেরটেক আকোটেরচর থেকে বালু এনে ভরাট করছিল। ঘাতক ড্রাইভার সোহেল চাপরাশি ঢেউখালী ইউনিয়নের বাবুরচর নতুন ডাঙ্গী গ্রামের নুরু চাপরাশির পুত্র। সোহেল একই ইউনিয়নের চরবলাশিয়া গ্রামের হায়দার বেপারীর ট্রাক চালক।
রিংকু প্রসঙ্গে এলাকাবাসীর অভিযোগ, তার পিতা আলী আকবর খা স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির নেতা হওয়ার কারণে তার দাপটে অবাধে বালুর ব্যবসা করে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে রিংকু খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমার বিরুদ্ধে অহেতুক অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে। বাবা বিএনপির নেতা প্রসঙ্গে জানান, আ’লীগের পোলাপান তো এখন কথা বলতে পারে না তাই এমন অভিযোগ।

চরভদ্রাসনে পদ্মার ভাঙনে ৩০ মিটার জিওব্যাগের বাঁধ বিলীন

মুস্তাফিজুর রহমান শিমুল, চরভদ্রাসন:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:৫২ পিএম
চরভদ্রাসনে পদ্মার ভাঙনে ৩০ মিটার জিওব্যাগের বাঁধ বিলীন

oplus_0

ফরিদপুরের চরভদ্রাসনের সদর ইউনিয়নের টিলারচর গ্রামে হঠাৎ করে দেখা দিয়েছে পদ্মা নদীর ভাঙ্গন।

গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকালে এ ভাঙনে ওই এলাকার নদী পাড়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জিওব্যাগের ডাম্পিং করা প্রায় ত্রিশ মিটার বাঁধ ও ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

ভাঙন এলাকা হতে প্রায় ৯০ মিটার দূরে রয়েছে এমপি ডাঙ্গী ও জাকেরেরশুরা হয়ে জেলা শহর ফরিদপুরের যাতায়াতের পাকাসড়ক, শতশত বসত বাড়ি ও সরকারী স্কুল।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পদ্মা নদীর পানি কমতে থাকা অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে হঠাৎ করে নদী ভাঙন দেখা দেওয়ায় আতঙ্কে রয়েছে নদী পাড়ের মানুষ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সরজমিনে ভাঙন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, এখানে নদীর তীর রক্ষা স্থায়ী বাঁধের সাথে আপদকালীন সময়ে জিওব্যাগের ডাম্পিং করা বাঁধের বড় একটা অংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া কয়েকটি অংশের মাটিতে ফাটল দেখা দিয়েছে।

ভাঙনের বিষয়ে নদী পাড়ের বসতি শেক মেতালেব (৫৩) ও মো. ইমারত হোসেন (২৫) জানায়, বুধবার সকাল থেকে ওই এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। কিছু সময় পর পর মাটির বড় বড় অংশ পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে।

তারা বলেন, দ্রুত ভাঙন রোধে কাজ না করলে বিলীন হয়ে যাবে ফসলি জমি, পাকা সড়ক সহ স্থানীয় শত শত বসত বাড়ি।

ভাঙনের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনিরা খাতুন বলেন, “আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার নিকট থেকে ওই এলাকায় নদী ভাঙনের খবর পেয়েছি। জায়গাটি পরিদর্শন করে দ্রুত ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলব।

ভাঙনের বিষয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন বলেন, “ টিলারচর গ্রামের কয়েকটি পয়েন্টে আপদকালীন ভাঙন রোধে বর্ষা মৌসুমে জিওব্যাগের ডাম্পিং করা হয়েছিল। ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া ভাঙন রোধে চরভদ্রাসন উপজেলার কয়েকটি পয়েন্ট মিলে ৩.১৫ কি.মি. জায়গায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের একটি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে রয়েছে বলেও জানান পাউবোর এই নির্বাহী প্রকৌশলী।

ফরিদপুরে কলেজ গেট স্টেশনে ট্রেন থামানোর দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:৩৬ পিএম
ফরিদপুরে কলেজ গেট স্টেশনে ট্রেন থামানোর দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

ফরিদপুর শহরের এডুকেশন জোন খ্যাত বাইতুল আমান কলেজ গেট স্টেশনে ট্রেন থামানোর দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাতে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন ফরিদপুর রেল স্টেশন পরিদর্শনে আসলে তার কাছে বাইতুল আমান এলাকাবাসী ও আশেপাশে কলেজগুলোতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা তাদের এই দীর্ঘদিনের দাবি তুলে ধরেন এবং স্মারকলিপি প্রদান করেন।

স্মারকলিপি প্রদানের সময় ফরিদপুর কলেজ গেট স্টেশনে ট্রেন থামানো দাবি কমিটির সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর সৈয়দ আলাওল হোসেন তনু, ফরিদপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সৈয়দ আদনান হোসেন অনু, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি মো. পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাহিম, ফরিদপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের সভাপতি মো. পার্থ আহমেদ, মোহাম্মদ আতিয়ার রহমান,মোহাম্মদ রোমন চৌধুরী, মো. আব্দুস সালাম সহ স্থানীয় এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, বাইতুল আমান কলেজগেটে বহু আগে থেকেই রেলের একটি স্টেশন রয়েছে, সেখানে আগে ট্রেন এসে থামতো, অজ্ঞাত কারণে এখন আর এখানে ট্রেন থামে না । এলাকাটি ফরিদপুরের মধ্যে এডুকেশন জোন নামে খ্যাত। যেখানে রয়েছে‌ ফরিদপুরের ঐতিহ্যবাহী সরকারী রাজেন্দ্র কলেজ, ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, সরকারি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট, ফরিদপুর সরকারি কলেজ, ফরিদপুর সিটি কলেজ সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ।

সবগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মিলে ৫০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। এই শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের একেক জেলার একেক প্রান্ত থেকে তারা শিক্ষা লাভের জন্য কেউ বাসে, কেউ লঞ্চে করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এবং অধিক ভাড়া দিয়ে তারা ফরিদপুর থেকে যাতায়াত করেন। অথচ বায়তুল আমান কলেজগেট স্টেশন থেকে কলেজের কোনোটির দূরত্ব ৪০০ মিটার, ৫০০ মিটার, ৬০০ মিটার। বাইতুল আমান কলেজ গেট স্টেশনে যদি ট্রেন থামানো হয় তাহলে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি দূর হবে তাদের সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমবে, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য স্বল্প ভাড়ায় তারা বাড়িতে যাতায়াত করতে পারবে।

এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি দূর করতে বাইতুল আমান রেলগেট স্টেশনে পুর্বের মতো ট্রেন থামানো নির্দেশনার মতো একটি সুন্দর সিদ্ধান্ত নিতে রেলের মহাপরিচালকের কাছে আবেদন এলাকাবাসী ও প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষার্থীর।

‘আমি এমপি হলে আমার কাছে আসতে কোন নেতা ধরতে হবে না’ — স্থপতি মুজাহিদ বেগ

সোহাগ মাতুব্বর, ভাঙ্গা:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:১৩ পিএম
‘আমি এমপি হলে আমার কাছে আসতে কোন নেতা ধরতে হবে না’ — স্থপতি মুজাহিদ বেগ

‘আমি এমপি হলে আমার কাছে আসতে কোন নেতা ধরতে হবে না। সরাসরি আমার সাথে দেখা করতে পারবেন। কথা বলতে পারবেন বলে মন্তব্য করেছেন ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মো. মুজাহিদ বেগ।’

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার তুজারপুর ইউনিয়নের উচাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এক উঠান বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মুজাহিদ বেগ বলেন, ‘আমি যদি ফরিদপুর-৪ আসনের এমপি নির্বাচিত হতে পারি তাহলে আমি আপনাদেরকে নিয়ে এই আসনটি এমনভাবে সাজাবো যাতে বাংলাদেশের মধ্যে রোল মডেল হিসেবে তৈরি হয়।’

এসময় তিনি আরো বলেন, ফরিদপুর-৪ আসনের একটা যুবক ভাই বেকার থাকবে না। যুবক ভাইয়েরা আমার হৃদয়ে আছে। তাদের শিক্ষা নিশ্চিত করা, খেলাধুলা করার সুযোগ তৈরি করার জন্য সব করব।

হাফেজ কুব্বাত মাতুব্বরের সভাপতিত্বে ও সাগর বেগের সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন- হায়দার হোসেন, সোবাহান হোসেন, বাকী মাতুব্বর, সেলিম মাহমুদ, সহিদুল ইসলাম, আল-আমিন, মো. রাসেল মোল্লা ও সৌরভ বিশ্বাস প্রমূখ।