খুঁজুন
শুক্রবার, ৮ আগস্ট, ২০২৫, ২৪ শ্রাবণ, ১৪৩২

সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার ভাগিনা ফরিদপুরে গ্রেফতার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:৪৯ এএম
সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার ভাগিনা ফরিদপুরে গ্রেফতার

আলোচিত সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার ভাগিনা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ইব্রাহিম শেখ ওরফে কলম মেম্বারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার দুপুরে ফরিদপুর শহরের আদালতপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। দুপুরের পর তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

 

কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ইব্রাহিম শেখ ওরফে কলম মেম্বার আলফাডাঙ্গা উপজেলার কামার গ্রামের বাসিন্দা। তিনি গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য।

কোতোয়ালি থানার এসআই ফাহিম ফয়সাল তরফদার বলেন, দুপুর দেড়টার দিকে শহর থেকে ইব্রাহিম শেখকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত ২৫ সেপ্টেম্বর কোতোয়ালি থানায় হওয়া দ্রুতবিচার আইনের একটি মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি ইব্রাহিম শেখ ওরফে কলম। এছাড়াও তিনি ঢাকার খিলগাঁওয়ে একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।

 

জানা গেছে, সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার ভাগিনা হওয়ার সুবাদে অঢেল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন ইব্রাহিম শেখ ওরফে কলম মেম্বার। গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কেওয়া মৌজায় ইব্রাহিম শেখ কলমের নামে ১৬০ শতাংশ জমি আছে। যার বাজার মূল্য প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। এই জমির প্রকৃত মালিক সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।

 

এছাড়াও ‘সবুজ ছায়া’ নামে ইব্রাহীম শেখ একটি ঋণদান সংস্থার মালিক। যেখানে কমপক্ষে ১০ কোটি টাকার বিনিয়োগ আছে তার। কিন্তু দৃশ্যত তার কোনো ব্যবসা নেই। সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার অবৈধ অর্থেই এ প্রতিষ্ঠানটি (সবুজ ছায়া) পরিচালিত হতো বলে স্থানীয়রা জানান।

 

আলোচিত ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াকে গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) গ্রেফতার করে। এরপর থেকেই বিভিন্ন মামলায় কারারুদ্ধ আছেন তিনি। এছাড়া গত ১৮ ফেব্রুয়ারি আছাদুজ্জামান মিয়ার শ্যালক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হারিচুর রহমান সোহানকে গ্রেফতার করেন কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।

 

প্রসঙ্গত, আছাদুজ্জামান মিয়া ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডিএমপি কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন।

ভাঙ্গায় ১৪ কেজি গাঁজাসহ যুবক গ্রেপ্তার

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৮ আগস্ট, ২০২৫, ৫:৩৩ পিএম
ভাঙ্গায় ১৪ কেজি গাঁজাসহ যুবক গ্রেপ্তার

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ১৪ কেজি গাঁজা সহ মো. রমজান মোল্লা (২৮) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১০।

শুক্রবার (০৮ আগস্ট) সকালে উপজেলার ভাঙ্গা টোল প্লাজার পশ্চিম পাশের এক্সপ্রেসওয়েতে চেকপোস্ট বসিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার হওয়া রমজান মোল্লা নড়াইলের নড়াগাতীর
পাখিমারা এলাকার মো. মোস্তফা মোল্লার ছেলে।

গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১০) এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তাপস কর্মকার বলেন, গ্রেপ্তারকৃত মো. রমজান মোল্লা সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাসের যাত্রী সেজে যাত্রীবাহী বাস ব্যবহার করে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের নিকট অভিনব কায়দায় সরবরাহ করত। তার বিরুদ্ধে মাদক আইনের ২ টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মাদক মামলা রুজু করতে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

চরভদ্রাসনে মৎস্য সম্পদ রক্ষায় আড়াআড়ি বাঁধ অপসারণ  

মুস্তাফিজুর রহমান শিমুল, চরভদ্রাসন:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৮ আগস্ট, ২০২৫, ২:১৬ পিএম
চরভদ্রাসনে মৎস্য সম্পদ রক্ষায় আড়াআড়ি বাঁধ অপসারণ  

ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে মৎস্য সম্পদ রক্ষায় মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করে একটি আড়াআড়ি বাঁধ অপসারণের পাশাপাশি ১০টি চায়না দুয়ারী বিনষ্ট করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (০৭ আগস্ট) বিকেল হতে সন্ধা ৬টা পর্যন্ত উপজেলার লোহারটেক কোলের সর্দার বাড়ি ব্রীজের সন্নিকটে এ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বাঁধ ও চায়না দুয়ারী ধ্বংস করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনিরা খাতুন।

অভিযানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নাঈম হোসেন বিপ্লব, ক্ষেত্র সহকারী শামিম আরেফিন ও পুলিশ সদস্য।

এ সময় আড়া আড়ি বাঁধটি অপসারণের পাশাপশি জব্দকৃত চায়না দুয়ারী আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা খাতুন বলেন, চলতি বর্ষা মৌসুমে সর্দার বাড়ি ব্রীজের সন্নিকটে একটি আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে মাছের অবাধ বিচরণ ও বংশবৃদ্ধি রোধ করা হচ্ছিল। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বাঁধটি অপসারণের পাশাপাশি ১০টি চায়না দুয়ারী বিনষ্ট করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় নদী ও কোলে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান ইউএনও।

সালথায় ফুটবল খেলার মাঠ বেড়া দিয়ে দখলের অভিযোগ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট, ২০২৫, ৮:০০ পিএম
সালথায় ফুটবল খেলার মাঠ বেড়া দিয়ে দখলের অভিযোগ

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের উত্তর চণ্ডীবরদী গ্রামের একমাত্র ফুটবল খেলার মাঠটি দখলের অভিযোগ উঠেছে। ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাশে অবস্থিত এই মাঠটি এলাকার প্রায় দশটি গ্রামের শিশু-কিশোর ও তরুণদের খেলার একমাত্র স্থান। সম্প্রতি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি মাঠটিতে বেড়া দিয়ে দখলের চেষ্টা করছেন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।

জানা যায়, সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমি অধিগ্রহণের পর ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কাজ শেষ হলে জায়গাটি খালি পড়ে থাকে। প্রায় ১৭ বছর ধরে উত্তর চণ্ডীবরদী এবং আশপাশের গ্রামের ফুটবলপ্রেমীরা এটিকে খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন। জমির মূল মালিকরা সরকারের কাছ থেকে তাদের প্রাপ্য ক্ষতিপূরণ বুঝে পেয়েছেন।

অভিযোগ উঠেছে, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর পৌরসভার বাসিন্দা আব্দুল জলিল সরদারের ছেলে, পৌরসভার সাবেক কমিশনার ও মুকসুদপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বাকি সরদার, তার ভাই মুকসুদপুর উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির সরদার, বোন নিলুফা বেগম এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পলাশ সরদার এই মাঠ দখলের সঙ্গে জড়িত।

মাঠে খেলতে আসা খেলোয়াড় ও দর্শকরা খেলার মাঠটি দখলমুক্ত করাসহ দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে সালথা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মোহাম্মদ আবুল ফজল বলেন, “স্থানীয়দের খেলাধুলার মাঠটি দখল হয়ে যাওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সালথা থানার ওসি ও ইউএনও-কে জানিয়েছি। অন্যথায়, সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলে দখলদারদের প্রতিহত করা হবে।”

স্থানীয় সাংবাদিক আর. টি. হাসান জানান, বিষয়টি সমাধানের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানানো হয়েছে এবং তিনি ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

এ বিষয়ে সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনিছুর রহমান বালী বলেন, “মাঠ দখলের বিষয়টি আমি শুনেছি। স্থানীয়রা আমাকে জানিয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত সমাধান করা হবে।”

এ বিষয়ে অভিযুক্তদের বক্তব্য জানতে দখলকৃত স্থানে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি এবং তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব না হওয়ায় বক্তব্য নেওয়া যায়নি।