খুঁজুন
সোমবার, ১২ মে, ২০২৫, ২৯ বৈশাখ, ১৪৩২

`সোশ্যাল মিডিয়ার সদ্ব্যবহার নিরাপদ সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে`

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ৬:৪৭ পিএম
`সোশ্যাল মিডিয়ার সদ্ব্যবহার নিরাপদ সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে`

নারীর মর্যাদা ও উন্নয়নে কাজ করা সংগঠন নন্দিতা সুরক্ষা’র আয়োজনে এবং প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর সমতায় তারুণ্য প্রকল্প, কিংডম অফ দ্যা নেদারল্যান্ডস, জাগো ফাউন্ডেশন এর সহায়তায়  ফরিদপুরে অনুষ্ঠিত হলো একটি ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন—‘ইনক্লুসিভ ইন্টারেক্টিভ ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ডিস্কাশন।’

আলোচনা শেষে মুক্ত পর্বে অংশগ্রহণকারী তরুণরা বলেন, ডিজিটাল সেইফটি এখন একটি অতি প্রয়োজনীয় বিষয় এবং এই বিষয়ে জনসচেতনতা গড়ে তোলার জন্য তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণ অপরিহার্য। তারা আরও বলেন, সচেতনতামূলক কার্যক্রমে সক্রিয় নাগরিক ভূমিকা এবং সোশ্যাল মিডিয়ার সদ্ব্যবহার একটি সমতার ও নিরাপদ সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে।

শনিবার (১০ মে) দিনব্যাপী  ফরিদপুর শহরের টেরাকোটা রেস্টুরেন্টের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এই আলোচনা সভায় অংশ নেন তরুণ অ্যাক্টিভিস্ট, কমিউনিটি  লিডার এবং বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

আয়োজনের শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন নন্দিতা সুরক্ষা–এর প্রতিষ্ঠাতা তাহিয়াতুল জান্নাত রেমি। এরপর পরপর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের তরুণ সদস্যরা। জেন্ডার সমতা বিষয়ে বক্তব্য দেন সোমাইয়া জানাহ উর্মী, ডিজিটাল সেইফটি নিয়ে আলোচনা করেন মোহাম্মদ তুষার আব্দুল্লাহ, স্ট্যান্ডআপ কমেডি পরিবেশন করেন মেহেজাবিন হোসেন দিবা। মিডিয়া স্বাক্ষরের প্রভাব নিয়ে কথা বলেন  তরুণ অ্যাক্টিভিস্ট শাহরীন ইসলাম মাহিন এবং লবিং ও অ্যাডভোকেসি নিয়ে আলোচনা করেন তিহান আহাম্মেদ।

ডিস্কাশনের সঞ্চালিকা এবং সংগঠন এর সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌসী মিতু বলেন, আমাদের আয়োজনটি অংশগ্রহণকারীদের দৃষ্টিভঙ্গিকে সমৃদ্ধ করেছে এবং আগামীর জন্য ইতিবাচক সামাজিক পরিবর্তনের পথ উন্মুক্ত করেছে বলে মনে করছি।

আওয়ামী লীগের ‌‌কর্মকাণ্ড ‌নিষিদ্ধ করায় ‌‌ফরিদপুরে আনন্দ মিছিল

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ৬:৩৮ পিএম
আওয়ামী লীগের ‌‌কর্মকাণ্ড ‌নিষিদ্ধ করায় ‌‌ফরিদপুরে আনন্দ মিছিল
অন্তবর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের ‌সকল রাজনৈতিক ‌কর্মকাণ্ড ‌নিষিদ্ধ করায় আনন্দ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত পথসভা করেছে ফরিদপুর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‌নেতাকর্মীরা। মিছিলে ছাত্র শিবিরের নেতাকর্মীরাও অংশ নেয়।
 ‌‌
শনিবার (১০ মে) দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে‌ শহরের জনতা ব্যাংকের মোড় থেকে ‌একটি আনন্দ মিছিল শুরু হয়ে ফরিদপুর প্রেসক্লাব সামনে গিয়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করা হয়। এ সময় মিষ্টি বিতরণ করেন সমাবেশে আসা নেতাকর্মীরা।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ফরিদপুর শহর শিবিরের ‌সভাপতি মো. আকমল হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‌মুখ্য সমন্বয়ক আনিসুর রহমান সজল, ‌ফরিদপুর জেলা ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি জিহাদুল ইসলাম রত্ন, হাসিবুল হাসান ও মোহাম্মদ আহমাদুল্লাহ প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়া বাংলাদেশের জন্য বড় বিজয়। আগামীতে কোন‌‌ ফ্যাসিবাদ ‌শক্তি যাতে ‌দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ না করতে পারে সেজন্য সকলকে সচেতন থাকতে হবে।
আওয়ামী লীগের ‌বিগত দিনের বিভিন্ন কার্যক্রমকে‌‌ সমালোচনা করে তারা বলেন, ‌দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ করার পায়তারা করলে তাদেরকে শক্ত হাতে দমন করা হবে। বক্তারা আরো বলেন, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম‌ নিষিদ্ধ হলেও তারা আগামীতে ‌ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে ‌এজন্য সবাইকে ‌ লক্ষ্য রাখতে হবে। আগামী ৩০ কার্য দিবসের মধ্যে ‌জুলাই ঘোষনা পত্র‌ প্রকাশ করার কথা জানান তারা।
অপরদিকে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের খবরে জেলার বোয়ালমারী পৌরসদরে আনন্দ মিছিল করেছে ছাত্রশিবির।

ফরিদপুরে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল কিশোরের

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ৬:৩১ পিএম
ফরিদপুরে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল কিশোরের
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে ইয়াসিন খালাসী (১৬) নামে এক ওয়ার্কশপ শ্রমিক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় রায়হান ও সজীব নামে দুই যুবককে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়।
রবিবার (১১ মে) দুপুরে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শনিবার (১০ মে) দিনগত রাত ১০টার দিকে উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের থানমাত্তা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইয়াসিন খালাসী ওই গ্রামের জাহাঙ্গীর খালাসীর ছেলে।
এদিকে ইয়াসিনের মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে প্রতিপক্ষ বাদশা শরীফের বাড়িসহ অন্তত ১০-১২টি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটের ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার থানমাত্তা গ্রামে বহু পুরাতন একটি বটগাছ রয়েছে। সেই বটগাছের নিচে স্থানীয় নুরা নামে একজন আসর বসিয়ে রাতভর গানবাজনা করতেন। গত দুই বছর হলো তিনি মারা যান। এরপর থেকে তার স্ত্রী হালিমা সেখানে বসবাস করেন। গত কয়েক মাস আগে বটগাছের একটি ডাল দোকানের ওপর পড়লে ডালটি কেটে ফেলেন শরীফ গ্রুপের দোকান মালিক। সেই ডাল কাটাকে কেন্দ্র করে হালিমার পক্ষ নেন জাহাঙ্গীর খালাসী। অন্য গ্রুপের পক্ষ নেন বাদশা শরীফ ও আলমগীর শরীফ।
এ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এর জের ধরে শনিবার রাত ১০টার দিকে থানমাত্তা বটতলা এলাকা থেকে ইয়াসিন খালাসীকে পার্শ্ববর্তী কালামৃধা ইউনিয়নের ফুলমাল্লিক গ্রামের আউয়াল বেপারীর ছেলে ইসমাইল বেপারীকে দিয়ে ইয়াসিনকে ডেকে নেয়। পরে পার্শ্ববর্তী নির্জন এলাকায় ব্রিজের নিচে ধানক্ষেতে নিয়ে ইয়াসিনকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়।
নিহত ইয়াসিনের বাবা জাহাঙ্গীর খালাসি জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা ডেকে নিয়ে নির্জন স্থানে ধানক্ষেতে আমার ছেলেকে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। কিন্তু খুনিদের ভেতরে দুইজন আহত হলে তাদের লোকজনের খবরে আমার ছেলেকে দেখতে পাই। তা না হলে ছেলের মরদেহও পাওয়া যেত না। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আলমগীর সরদার বলেন, খুনে অভিযুক্তদের পক্ষে দুজন ঠেকাতে গিয়ে তারাও আহত হয়েছেন। তারা হচ্ছেন ওই গ্রামের ফকু শেখের ছেলে রায়হান শেখ (১৮) ও তার আত্মীয় সজীব মাতব্বর। তার বাড়ি কাশেমপুর এলাকায়।
আজিমনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাজাহান হাওলাদার বলেন, যতটুকু জানতে পেরেছি নিহত ইয়াসিনের সঙ্গে কালামৃধা গ্রামের কয়েকজন কিশোরের পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, মৌখিকভাবে ঘটনা জানতে পেরেছি। পূর্ব শত্রুতার জেরে ডেকে নিয়ে খুন করা হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল থেকে নিহতের মরদেহ এসে পৌঁছেনি। অফিসিয়াল কোনো কাগজপত্রও পাইনি। নিহতের মরদেহ আসার পর বিস্তারিত তথ্য জানানো সম্ভব হবে।

সালথায় বসতবাড়িতে হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ৬:২৩ পিএম
সালথায় বসতবাড়িতে হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
ফরিদপুরের সালথায় উপজেলা যুবলীগের নেতা সোহেল রানা ফরহাদ মোল্লার নেতৃত্বে পাশের গ্রাম থেকে সহস্রাধিক লোক ভাড়া করে এনে সোনাপুর ইউনিয়নে বিএনপি’র সমর্থকদের অন্তত ৩০টি বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর, লুটপাট ও আব্দুল হাই নামে এক ব্যক্তির একতলা বিল্ডিংয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।
রবিবার (১১ মে) সকাল ১১ টায় উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের রাঙ্গারদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত মান্নান মাতুব্বর বলেন, আমি কোনো রাজনীতি করি না। তবে ২০১৪ সালে বিএনপির নেত্রী শামা ওবায়েদ আমার বাড়িতে আসে। এরপর পর থেকে সালথা উপজেলা যুবলীগের নেতা সোহেল রানা ফরহাদ মোল্লা আমাদের উপর অত্যাচার শুরু করেন। কিন্তু ৫ আগস্টের পরে ভেবেছিলাম সন্ত্রাসী ফরহাদ মোল্লার হাত থেকে বেঁচে যাব, কিন্তু তা আর হলো না। যুবলীগের নেতা ফরহাদ মোল্লা বিএনপি নেতা ও সালথা সরকারি কলেজের বাংলা প্রভাষক শাখাওয়াত হোসেন জয়নাল ও নান্নু মেম্বারের সাথে হাত মিলিয়ে গতকাল শনিবার সকালে বহিরাগত লোক নিয়ে অতর্কিতভাবে আমার বাড়িসহ অন্তত ৩০টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক তাণ্ডব চালায় এবং আগুন ধরিয়ে দেয় ও লুটতারাজ করে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
এসময় হামলাকারীদের বিচার চেয়ে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় বাদশা মোল্যা, ওবায়দুর খা, সুমন সরদার ও নাছিমা বেগম সহ আরো অনেকে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ফরিদপুর ২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহাদাব আকবর লাবু চৌধুরীর আস্থাভাজন সালথা উপজেলা যুবলীগের নেতা সোহেল রানা ফরহাদ মোল্লার অত্যাচারে অতিষ্ঠা ছিলাম আমরা। ৫ আগস্ট স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ফরহাদ মোল্লা খোলশ পাল্টিয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতা ও সালথা সরকারি কলেজের বাংলা প্রভাষক শাখাওয়াত হোসেন জয়নাল ও নান্নু মেম্বারকে সাথে নিয়ে অত্যাচারের মাত্রা আরও বেড়িয়ে দেন আমাদের উপর। ফরহাদ মোল্লার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড থেকে বাঁচতে ফরহাদ মোল্লার সহযোগী সহ এই হামলার পিছনে জড়িত সকলকে দ্রুত গ্রেফতার করে  বিচারের আওতায় আনার দাবী করছি। যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
এছাড়া এলাকায় শান্ত পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ও সালথা উপজেলা পুলিশ-প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি আকিকার মাংস ভাগাভাগি নিয়ে স্থানীয় সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের রাঙ্গারদিয়া গ্রামে শুক্রবার রাতে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। উত্তেজনার মধ্যেই শনিবার সকালে সালথা উপজেলা যুবলীগ নেতা ফরহাদ, স্থানীয় ইউপি সদস্য নান্নু ও স্থানীয় বিএনপি’র প্রভাবশালী নেতা সালথা সরকারি কলেজের বাংলা প্রভাষক শাখাওয়াত হোসেন জয়নাল পাশের যুদনন্দী ইউনিয়নের খারদিয়া, সোনাপুর ও রঙ্গরায়েরকান্দী গ্রাম থেকে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ সহস্রাধিক লোক ভাড়া করে এনে রাঙ্গারদিয়া গ্রামের ১ টি একতলা বিল্ডিংয়ে আগুন ধরিয়ে ৩০টি বসতঘর ভাঙচুর ও লুট করা হয়। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়। আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলার সময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এসব ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির নারী ও শিশুরা ভয়ে এদিক-ওদিক ছুটাছুটি করতে থাকে। খবর পেয়ে সালথা থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকার পরিবেশ শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।