খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৫, ২৪ আশ্বিন, ১৪৩২

পানির অভাবে বিলীনের পথে ৫০ নদী!

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১০:১৭ এএম
পানির অভাবে বিলীনের পথে ৫০ নদী!

‘আমাদের ছোটো নদী চলে বাঁকে বাঁকে/বৈশাখ মাসে তার হাঁটু জল থাকে। /পার হয়ে যায় গোরু, পার হয় গাড়ি/দুই ধার উঁচু তার, ঢালু তার পাড়ি।

’-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই কবিতার বাস্তব চিত্র মিলছে পঞ্চগড়ে।

সময়ের সাথে সাথে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনে এক বিরূপ প্রভাব পড়েছে পঞ্চগড়ের ছোট-বড় প্রায় ৫০টি নদীর ওপর। পানির অভাবে বিলীনের পথে আজ নদীগুলো। জেলায় পানির স্তর কমে যাওয়ার পাশাপাশি নদীগুলোতে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ কমে আসায় পঞ্চগড়ের করতোয়া, তালমা, মহানন্দাসহ সব কটি নদী শুকিয়ে এখন খালে পরিণত হয়েছে।

নদীগুলোতে পানি স্বল্পতার কারণে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে নদীনির্ভর কৃষক ও শ্রমিকদের। একইসঙ্গে মাছসহ জলজ প্রাণী মারা যাচ্ছে। অন্যদিকে ঝুঁকিতে পড়েছে নদীর ওপরে দাঁড়িয়ে থাকা সেতুগুলো। আর ভরাট নদীর চরকে কৃষি জমি হিসেবে ব্যবহার করছে স্থানীয় নিম্নআয়ের মানুষরা।

স্থানীয়রা বলছেন, ভরা বর্ষা মৌসুমে পঞ্চগড়ের অধিকাংশ নদীতে হাঁটুপানি থাকে। বর্তমানে নদীগুলো দেখে মনে হচ্ছে, শীর্ণকায় এক একটি খাল। জেলার অধিকাংশ নদীর উৎপত্তিস্থল ভারতে হওয়ায়, ভারত তাদের অভ্যন্তরে দেওয়া বাঁধসহ নদীর গতিপথ পরিবর্তন করে নদীর পানি নিজস্ব সেচ কাজে ব্যবহার করায় নদীগুলোতে ভরা মৌসুমে পানির স্বল্পতা দেখা দিয়েছে।

জেলা শহরের করতোয়া নদীর চরে ধান চাষ করা কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, একসময় নদীতে প্রচুর পরিমাণ পানি দেখা যেত। তবে দিন যতই যাচ্ছে পানিশূন্য হয়ে পড়ে হারিয়ে যাচ্ছে নদী। তাই আবাদের নিজস্ব জমি না থাকায় পড়ে থাকা নদীর চরে ধান চাষ করে পরিবার চালাচ্ছি।

অন্যদিকে নদী থেকে নুড়ি পাথর সংগ্রহে আসা মোস্তফা বলেন, আমরা নদীতে নুড়ি পাথর সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করি। কিন্তু নদীতে পানি না থাকায় বর্তমানে পাথর পাওয়া যায় না। এতে চরম সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে তাদের।

তালমা নদীতে মাছ ধরতে আসা বৃদ্ধ হোসেন আলী বলেন, জীবনের একটা বড় সময় নদীতে বিলিয়ে দিয়েছি। এই করতোয়া নদীতে একসময় প্রচুর মাছ শিকার করতাম। বর্তমানে উজানে বাঁধের কারণে আর নদীতে পানিও নেই, মাছও নেই। এই কাজ করে এখন আর সংসার চালানো যায় না।

এদিকে পরিবেশকর্মীরা বলছেন, ভারতের অভ্যন্তরে নদীর বাঁধ নির্মাণসহ খননে পরিকল্পনার অভাব থাকাসহ দখল-দূষণ, পানির স্তর নেমে যাওয়ায় বিলীন হচ্ছে নদীগুলো। এতে পরিবেশের ওপরেও নানা প্রভাব পড়ছে। তাই জেলার সব নদী রক্ষায় সরকারিভাবে স্থায়ী সমাধান বের করা জরুরি হয়ে পড়েছে।

প্রাণ, প্রকৃতি পরিবেশ ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নবিষয়ক সংস্থা এবং কারিগরের নির্বাহী পরিচালক সরকার হায়দার বলেন, নদীর পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অনেক নিচে নেমে যায়। এতে এলাকায় মরুকরণসহ কৃষি উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। এই সমস্যা দ্রুত সমাধান করা না গেলে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হবে। নদীগুলোকে দখল ও দূষণমুক্ত করতে সমন্বিত পরিকল্পনা নেওয়া দরকার।

এদিকে পঞ্চগড় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আশুতোষ বর্মন বলেন, জেলার অধিকাংশ নদী ভারত থেকে এসেছে। আর ভারতীয় উজান থেকে নদীর পানির সাথে আসা পলির কারণে নদীগুলো ভরাট হচ্ছে। ইতোমধ্যে ভরাট নদী পুনঃ খননসহ নদীগুলোকে আগের রূপে ফিরিয়ে আনতে নানা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৯৬ লাখ ৮৮ হাজার ৫৫০ টাকা ব্যয়ে জেলার ১৭৮ দশমিক ৫০ কিলোমিটার পূর্ণ খনন করা হয়। এদিকে গত এক দশক ধরে এভাবে প্রবাহ কমতে থাকা নদীগুলো খননে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে নতুন করে জেলার ছয়টি নদীর দৈর্ঘ্যে ২০ দশমিক ৩৩ কিলোমিটার খননের প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলছে কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ সফরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দল ঘোষণা, নতুন মুখ আকিম

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৫, ২:০১ পিএম
বাংলাদেশ সফরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দল ঘোষণা, নতুন মুখ আকিম

বাংলাদেশ সফরের জন্য দল ঘোষণা করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড। চলতি মাসেই সাদা তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের দুটি সিরিজ খেলবে টাইগাররা।

মিরপুরে ১৮ অক্টোবর শুরু হবে ওয়ানডে সিরিজ, এরপর ২৭ অক্টোবর থেকে চট্টগ্রামে গড়াবে টি-টোয়েন্টি সিরিজিটি।

 

দুই ফরম্যাটেই নেতৃত্বে থাকছেন নিয়মিত অধিনায়ক শাই হোপ। তার সঙ্গে থাকছেন গুডাকেশ মতি, রোমারিও শেফার্ড, শারফেইন রাদারফোর্ড, জেডন সিলস ও ব্র্যান্ডন কিংয়ের মতো পরিচিত মুখরা।

সবচেয়ে বড় চমক প্রথমবারের মতো ওয়ানডে দলে ডাক পেয়েছেন সাবেক অনূর্ধ্ব-১৯ অধিনায়ক আকিম অগাস্ট। তরুণ এই ব্যাটারকে ভবিষ্যতের তারকা হিসেবে দেখছে দল। অভিজ্ঞ ওপেনার এভিন লুইস চোটের কারণে ছিটকে গেছেন। কব্জির ইনজুরি থেকে তিনি এখনও পুরোপুরি সেরে ওঠেননি।

আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপকে সামনে রেখে এই সিরিজকে গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতি হিসেবেই দেখছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ টিম ম্যানেজমেন্ট। দলের প্রধান কোচ ড্যারেন স্যামি বলেন, ‘আমরা এমন একটি দল গড়েছি, যারা জয়ের মানসিকতা ধরে রাখতে পারবে এবং শক্ত দলীয় সংহতি তৈরি করতে সক্ষম হবে। দীর্ঘমেয়াদে সফলতার জন্য এই দুটি বিষয়ই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘বাংলাদেশের বিপক্ষে এই সিরিজ আমাদের জন্য দারুণ সুযোগ এনে দেবে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট অর্জনের, যা বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে। ’

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ সূচি ও স্কোয়াড

ওয়ানডে দল: শাই হোপ (অধিনায়ক), অ্যালিক আতানাজে, আকিম অগাস্ট, জেদিয়া ব্লেডস, কেসি কার্টি, রস্টন চেজ, জাস্টিন গ্রিভস, আমির জাঙ্গু, শামার জোসেফ, ব্র্যান্ডন কিং, গুডাকেশ মতি, খারি পিয়ার, শারফেইন রাদারফোর্ড, জেডেন সিলস ও রোমারিও শেফার্ড।

টি-টোয়েন্টি দল: শাই হোপ (অধিনায়ক), অ্যালিক আতানাজে, আকিম অগাস্ট, রস্টন চেজ, জেসন হোল্ডার, আকিল হোসেইন, আমির জাঙ্গু, শামার জোসেফ, ব্র্যান্ডন কিং, গুডাকেশ মতি, রোভম্যান পাওয়েল, শারফেইন রাদারফোর্ড, জেডেন সিলস, রোমারিও শেফার্ড ও র‌্যামন সিমন্ডস।

ওয়ানডে সিরিজ
  • ১ম ওয়ানডে – ১৮ অক্টোবর, মিরপুর, ঢাকা
  • ২য় ওয়ানডে – ২১ অক্টোবর, মিরপুর, ঢাকা
  • ৩য় ওয়ানডে – ২৩ অক্টোবর, মিরপুর, ঢাকা
টি-টোয়েন্টি সিরিজ
  • ১ম টি-টোয়েন্টি – ২৭ অক্টোবর, চট্টগ্রাম
  • ২য় টি-টোয়েন্টি – ২৯ অক্টোবর, চট্টগ্রাম
  • ৩য় টি-টোয়েন্টি – ৩১ অক্টোবর, চট্টগ্রাম

ফরিদপুরে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর বিলীন হচ্ছে নদীতে, মালামাল যাচ্ছে ভাঙ্গাড়ির দোকানে

নুর ইসলাম, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৫, ১:৪৬ পিএম
ফরিদপুরে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর বিলীন হচ্ছে নদীতে, মালামাল যাচ্ছে ভাঙ্গাড়ির দোকানে

এক সময় জায়গা ছিলো না, ঘর ছিলো না। এই রকম ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য তের বছর আগে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার চাপুলিয়া গ্রামে সরকারি খাস জমিতে নির্মাণ করা হয়েছিল আশ্রায়ণ প্রকল্পের ১৩০টি ঘর। সাথে করা হয়েছিল একটি অফিস ঘর। তখন আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলি থেকে মধুমতি নদীর দূরত্ব ছিল এক কিলোমিটার বেশি। গত ২০২১ সালে ওই এলাকায় মধুমতি নদীর তীব্র ভাঙ্গন শুরু হলে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আশ্রায়ণ প্রকল্পের কমপক্ষে একশটি ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। সেখানে থাকা একটি অফিস ঘরসহ ৩০টি বসতঘরের মধ্যে এ বছর ভাঙ্গনের কবলে পড়ে অফিস ঘরসহ চারটি ঘর। এই সুযোগে প্রকল্প এলাকার একটি চক্র রাতের আঁধারে ঘরগুলোর মালামাল ভাঙারির দোকানে বিক্রি করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১১-২০১২ অর্থ বছরে জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার টগরবন্ধ ইউনিয়নের চাপুলিয়া গ্রামে মধুমতি নদীর তীর ঘেঁষে ১৩০টি পরিবারের আবাসনের জন্য নির্মাণ করা হয় আশ্রায়ণ প্রকল্প নামে। বসবাসের কয়েক বছরের মাথায় নদীভাঙনের কবলে পড়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পটির ঘরগুলি। তবে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ১০০টি ঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ বছর ভাঙন ঝুঁকিতে প্রকল্পের চারটি পরিবার অন্যত্র চলে যায়। এই সুযোগে সেসব ঘরের ঢেউটিন, লোহার এঙ্গেল ও ইট খুলে নিয়ে রাতের আঁধারে ভ্যান ভর্তি করে নামমাত্র মূল্যে ভাঙারির দোকানে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ওই প্রকল্পের কয়েকজন বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চাপুলিয়া গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, ‘আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা ইমরুল শেখ ইমুল, আরিফুল শেখ ও মুকুল শেখ রাতের আঁধারে ভ্যান ভর্তি করে কয়েকটি ঘরের ঢেউটিন ও লোহার এঙ্গেল পাশ্ববর্তী বোয়ালমারী উপজেলার সহস্রাইল বাজারের বিভিন্ন ভাঙারির দোকানে বিক্রি করেছে। এখনো ওইসব ঘরের কিছু মালামাল তাদের বাড়ির সামনে জমা আছে। যেকোন সময় চক্রটি ওইসব মালামালও বিক্রি করে দিতে পারে।’

ভাঙ্গারির দোকানে মালামাল বিক্রির অভিযোগটি অস্বীকার করে শেখ ইমুল বলেন, ‘নদীতে প্রকল্পের অফিস ঘর ভেঙে যাচ্ছিল। তাই অফিস ঘরের মালামাল খুলে এনে আমার ঘরের সামনে রাখা হয়েছে। এসব দিয়ে নতুন করে আবার ঘর করা হবে।

তিনি বলেন, কয়েক বছর আগে একবার ১০ মণ লোহার মালামাল বিক্রি করেছিলাম। পরে ইউএনও অফিস থেকে জানতে পেরে আমাকে গ্রেপ্তার করে। এরপর সেই মালামাল ফেরত দিয়ে আমি মুক্তি পাই। সেই থেকে আমি আর কোন সরকারি মালামাল বিক্রি করিনি।

চাপুলিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকার সভাপতি আকুব্বর শেখ বলেন, ‘আমরা যখন এখানে আসি তখন ১৩০ পরিবারের বসবাস ছিল। প্রতিবছর নদীতে ভাঙতে ভাঙতে এখন আমরা মাত্র ৩০ পরিবার বসবাস করি। প্রকল্পের ঘরগুলোর মালামাল গোপনে বিক্রি হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এসব আমার জানা নেই।’

বিষয়টি নিশ্চিত করে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুল কালাম কালু বলেন, ‘বেশ কয়েকবছর ধরে মধুমতি নদীতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর ভেঙে যাচ্ছে। এই সুযোগে ওখানের কিছু লোকজন সরকারি মালামাল নিয়ে বিক্রি করে দিচ্ছে।’ তিনি বলেন, ঘরগুলি যখন নির্মাণ করা হয় তখন নদী অন্তত এক কিলোমিটার দূরে ছিল। এরপর থেকে নদী ভাঙতে ভাঙতে এ আশ্রয়ণ প্রকল্পে চলে এসেছে।

আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসেল ইকবাল বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের অবশিষ্ট ঘরগুলি ভাঙ্গণের ঝুঁকিতে রয়েছে। এর আগে কয়েক বছরে একশো ঘর নদীতে বিলীন হয়েছে। এ ঘরগুলি সরকারি সম্পত্তি। সরকারি মালমাল গোপনে বিক্রি করা দন্ডনীয় অপরাধ। ঘরের মালামাল গোপনে বিক্রির বিষয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

সালথায় জাতীয় কন্যা শিশু দিবস উপলক্ষে র‍্যালী ও আলোচনা সভা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:৪৭ পিএম
সালথায় জাতীয় কন্যা শিশু দিবস উপলক্ষে র‍্যালী ও আলোচনা সভা

ফরিদপুরের সালথায় “আমি কন্যা শিশু, স্বপ্ন গড়ি, সাহসে লড়ি, দেশের কল্যাণে কাজ করি ”প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা অধিদপ্তরের যৌথ আয়োজনে র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (০৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার সামনে থেকে এক বর্ণাঢ্য র‍্যালী বের করে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

পরে উপজেলার সম্মেলন কক্ষে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামুন সরকারের সভাপতিত্বে ও সালথা উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার শওকত আকবরের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সালথা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফেরদৌস আরা ডলি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- সালথা উপজেলা শিক্ষা অফিসার মহা: তাশেম উদ্দিন, সালথা উপজেলা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ম্যানেজার মো. রফিকুল ইসলাম, সালথা উপজেলা উপ-সহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা আব্দুল বারী, সালথা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।