খুঁজুন
রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ, ১৪৩২

ফরিদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলায় গ্রেপ্তার ১

ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ৫ মার্চ, ২০২৫, ৭:০৫ পিএম
ফরিদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলায় গ্রেপ্তার ১
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলার আসামি ফরিদপুরের সিকদার লিটনকে অবশেষে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
বুধবার বেলা ১২টার দিকে ফরিদপুর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল তাকে গ্রেফতার করে।
ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফয়েজ আহম্মেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিকদার লিটন সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নানা ধরনের প্রতারণা করে আসছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
মামলা বাণিজ্যে পারদর্শী সিকদার লিটনের বিরুদ্ধে মামলার ভয় দেখিয়ে অর্থ উপার্জনের অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তার বিকাশ হিসাব নম্বরে তিনমাসে সাড়ে ২২ লাখ টাকা লেনদেনের তথ্য পেয়েছে।
জানা গেছে, সিকদার লিটন পুলিশের তালিকায় একজন চিহ্নিত প্রতারক ও দাগী আসামি। গত ২০ জুলাই কুড়িল জোয়ার সাহারা কেন্দ্রীয় মসজিদের গলির মুখে পাকা রাস্তার ওপর গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন মারা যান।
এই ঘটনায় শফিকুল ইসলাম নামে একজন মামলা করেন। আদালতের আদেশে ২৫ ফেব্রুয়ারি ভাটারা থানা পুলিশ মামলাটি নথিভুক্ত করে। সেই মামলায় এজাহারনামীয় ২৭ নম্বর আসামি কদমতলী থানা আওয়ামী লীগের সদস্য সিকদার লিটন।
এছাড়া মোহাম্মদপুর থানায় মোছা. নাদিরা বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।
মামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট দুপুরে মোহাম্মদপুরের বছিলা ব্রিজের সন্নিকটে রাস্তার ওপর জনতার ওপর হত্যার উদ্দেশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি করে গুরুতর জখম ও হুকুম প্রদানের অপরাধ সংগঠনের অভিযোগ করেছেন বাদী। মামলায় সিকদার লিটনকে মূল পরিকল্পনাকারী ও অর্থদাতা বলে অভিযুক্ত করেছেন বাদী। যেখানে তাকে ১১ নম্বর আসামি করা হয়েছে। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সিআর-১২৫/২৫ মামলাটির এজাহার থানায় রুজু করা হয়।
২০২০ সালে এক মামলায় দীর্ঘ চারবছর কারাগারে ছিল সিকদার লিটন।
এর আগেও বিভিন্ন অপরাধে কারাগারে থেকেছে এই প্রতারক। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জেল থেকে বেরিয়ে এসে এই প্রতারক মামলা বাণিজ্যসহ নানা প্রতারণামূলক কাজ শুরু করে।

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ফরিদপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫, ৩:২৯ পিএম
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ফরিদপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ফরিদপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের আয়োজনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

শনিবার (০২ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলী এলাকায় এ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- বসুন্ধরা শুভসংঘের ফরিদপুর জেলা শাখার উপদেষ্টা হারুন-অর-রশীদ, সংগঠনটির সভাপতি তন্ময় রায়, সাধারণ সম্পাদক সোনিয়া সুলতানা, আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক বিপ্লব, সদস্য সোহেলা, মুক্তা, লাতিফুল খাবির প্রমূখ।

বসুন্ধরা শুভসংঘ দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন সামাজিক, ধর্মীয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গাছ রোপণ করে যাচ্ছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় তাদের এই উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এই কর্মসূচির মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের মধ্যে গাছপালার প্রতি ভালোবাসা তৈরি হবে।

“ঘুম”

মাহমুদুল হাসান
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১ আগস্ট, ২০২৫, ৮:২৫ পিএম
“ঘুম”

ঘুম—সে কি কেবল জৈবিক নিঃশেষে এক নিথরতা? নাকি সময়ের অদৃশ্য ভারে গঠিত কোনো আধ্যাত্মিক বিন্দু, যার প্রতিটি নক্ষত্রজালেই ঘুমিয়ে থাকে একটি বিলুপ্ত আলো?
আমি জানি না। বরং জানি—ঘুম আসলে অনস্তিত্বের সীমানায় একটি নরম ছায়া, যাকে ধরা যায় না, ছুঁয়ে ফেলা যায় না, কেবল অনুভবে তার উপস্থিতির কম্পন মাত্র।

ঘুম কখনো আত্মার প্রান্তে অপেক্ষমাণ এক ছায়াপথ, আবার কখনো মস্তিষ্কের গহ্বর-জুড়ে এক বিপরীত সংবেদন। সে এসে চোখের পাতায় ফেলে নিরাকার শব্দের ধুলো। তখন সময়ও থেমে যায়—এক অনিয়মিত তালে, যেখানে ঘুম নিজেই নিজের সংজ্ঞা অস্বীকার করে।

ঘুম ঘুম নয়—সে এক অন্তর্বর্তী হ্রস্ব বিস্মৃতি।
সে ‘আমি’ থেকে ‘তুমি’ হয়ে যাওয়া, আবার ‘তুমি’ থেকে ‘কেউ নয়’ হয়ে পড়ার অনিবার্য অন্তর্বিপর্যয়।
সে নিদ্রা নয়, সে নিস্পন্দিত অনুপ্রাণ—এক পরাবাস্তব ঘূর্ণিপাকে অস্তিত্বের জরায়ুতে জমে ওঠা নিরুত্তর অবচেতনতা।

ঘুমের ভেতর আমি হারিয়ে ফেলি আমার ‘আমি’-কে। সেখানে আমার নাম থাকে না, মুখ থাকে না, থাকে কেবল রন্ধ্রে রন্ধ্রে রচিত অপার স্বপ্নাবিষ্টতা।
স্বপ্ন? না, স্বপ্নও নয়।
এ যেন এক বহুতল নিঃসরণ, যেখানে প্রতিটি স্তরেই চৈতন্য নিজেকে উল্টো করে তোলে, নিজের ভাষাকে ছিন্নভিন্ন করে দেয়।

একটা প্রশ্ন—ঘুম কি নিঃশেষে বিস্মৃতি?
না, সে এক পলক-দীর্ঘ মুক্তিপত্র।
যেখানে জন্ম নেয় নীরব চিৎকার, শব্দহীন গল্প, আর অজানা কোনো পুরাকথার অসমাপ্ত অনুরণন।

ঘুম মানে কেবলই চোখ বুজে থাকা নয়।
ঘুম মানে শরীর থেকে মন ছিঁড়ে ফেলা।
ঘুম মানে একটি চলমান ট্রেন, যার গন্তব্য নেই—অথচ গন্তব্যহীনতাই তার একমাত্র পরিচয়।

ঘুম কি কখনো জেগে থাকে?
হ্যাঁ—ঘুম জেগে থাকে, অনেক সময়।
যখন আমাদের চোখ বুজে, কিন্তু চিন্তা ফুঁপিয়ে কাঁদে।
যখন আমরা সুতীব্র ক্লান্তি নিয়ে বিছানায় পড়ি, কিন্তু অবচেতন চেতনায় ফিরে আসে হারিয়ে যাওয়া কোনো অনুক্ত আর্তনাদ।
তখন ঘুম আমাদের শরীরে আসে, মগজে নয়।
তখন ঘুম হয় এক নিষ্ফল অনুগ্রহ।

ঘুমের গভীরে আমি দেখি নিজেকে,
এক ফাঁকা আয়নায়, যেখানে মুখ নেই, ভাষা নেই—
শুধু অসীম সাদা কুয়াশার মধ্যে ডুবে থাকা এক বিকারগ্রস্ত সত্তা।
তুমি যদি সেখানে আমাকে চিনতে চাও—চিনতে পারবে না,
কারণ ঘুমের মাঝখানে মানুষ আর মানুষ থাকে না—থাকে কেবল অভিজ্ঞতার ছায়া, অনুভবের দংশন,
আর অনন্ত বিষণ্ন একাকীত্ব।

ঘুম হয়তো শেষ নয়, শুরুও নয়।
সে কেবলই একটি অন্তরীক্ষ—যেখানে নিজের ভেতরের আলো আর অন্ধকার একে অপরকে গ্রাস করে।

ফরিদপুরে ২০ কেজি গাঁজাসহ ২ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১ আগস্ট, ২০২৫, ৮:১৯ পিএম
ফরিদপুরে ২০ কেজি গাঁজাসহ ২ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার

ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের ফরিদপুরের ভাঙ্গার এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজা এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিশ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে ফরিদপুরের মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ভাঙ্গার এক্সপ্রেস ওয়ের টোল প্লাজা এলাকায় অভিযান চালায়।

এসময় একটি পিকআপ ভ্যানে থাকা ২০ কেজি গাজা, দুইটি মোবাইল ফোন উদ্ধার ও দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ফরিদপুরের ভাঙ্গার চুমুরদী এলাকার সুমন শেখ ও নগরকান্দার ডাঙ্গী এলাকার জুলহাস মুন্সি।

ফরিদপুরের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শেখ মো. হাসেম আলী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এ অভিযান চালানো হয়। এই অভিযানে চিহ্নিত দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার ও ২০ কেজি গাজা উদ্ধার করা হয়।

তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।