খুঁজুন
রবিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৫, ১৭ কার্তিক, ১৪৩২

নিউজের ভয় দেখিয়ে নারীকে ব্লাকমেইল,  ভূয়া সাংবাদিককে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:০০ পিএম
নিউজের ভয় দেখিয়ে নারীকে ব্লাকমেইল,  ভূয়া সাংবাদিককে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা
  1. ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় রফিক মোল্যা  (৩৫) নামের এক ভূয়া সাংবাদিককে জরিমানা করেছে  ভ্রাম্যমাণ আদালত৷ নিউজের ভয় দেখিয়ে ব্লাকমেইলের অপরাধে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে মুচলেকায় তার মুক্তি মিলে।
শনিবার (১২ এপ্রিল) সকালে আলফাডাঙ্গা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ.কে.এম রায়হানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে  বৃহস্পতিবার রাত ১০ টায় ভূয়া সাংবাদিক রফিকের বাড়িতে গিয়ে  আলফাডাঙ্গা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ.কে.এম রায়হানুর রহমান ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ অভিযান পরিচালনা করেন।
 দৈনিক অগ্নীবিনা নামের এক নাম সর্বস্ব পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয়দানকারী রফিক উপজেলার বানা ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামের মৃত জাহাঙ্গীর মোল্লার ছেলে।  সে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিলেও তার প্রকাশিত কোন সংবাদ এ পর্যন্ত সে দেখাতে পারেনি।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ৫ এপ্রিল এক নারী ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা বুড়াইচ ইউনিয়নে শিয়ালদী গ্রামে  বেড়াতে গেলে সেখানে ওই নারীকে এবং  তার চাচাতো দুলাভাইকে নিয়ে মিথ্যা অনৈতিক আপত্তিকর অপবাদ দিয়ে ওই নারীর দুলাভাই এর কাছে একবার  ৭ লক্ষ টাকা দাবি করে রফিক নামের ওই ভূয়া সাংবাদিক। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে ভুক্তভোগী নারী ও তাদের স্বজনরা জানালে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাংবাদিক নামধারী প্রতারক রফিকের বাড়িতে যায়। সেখানে গিয়ে  ঘটনার সত্যতার পেলে  নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে  রফিককে জরিমানা করে এবং মুচলেকা নিয়ে রফিককে প্রথমবারের মত ক্ষমা করে।
ভুক্তভোগী ওই নারীর মা বলেন সাংবাদিক পরিচয় রফিকুল আমার বাড়িতে এসে মেয়ের  নামে মিথ্যা অপবাদ  ছড়ানোর ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবি করে। আমার স্বামী ভ্যান চালায় কোথা থেকে এত টাকা দেব। তারপরে বলে তাহলে  মেয়েকে দিয়ে তোমার জামাইয়ের নামে অপবাদ দিতে হবে,আমরা সালিশ মীমাংসা করে ৫ লক্ষ টাকা এনে তোমাদের দুই লক্ষ দিয়ে বাকি টাকা আমরা নিয়ে যাবো।
সহকারী কমিশনার ভূমি এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ.কে.এম রায়হানুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়ে রফিকুলকে তার বাড়িতে গিয়ে আটক করি  সকল তথ্য প্রমান ও কল রেকর্ডিং পর্যালোচনা করে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় ও নিজে ভুল স্বীকার করায় প্রথমে ৫০০০ টাকা জরিমানা করা হলে, তার মা ব্রেন স্ট্রোকের রোগী ও ১৯ মাসের ছেলে সহ দুই সন্তান নিয়ে অভাব অনটনের জীবনযাপন করছে এই বলে পা জড়িয়ে ধরায় মানবিক বিবেচনায়  ২০০০ টাকা জরিমানা করা হয় এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কোন কাজ করবে না বলে মুচলেকা দেয়।
তিনি আরো বলেন, রফিকুল নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘আমি আলফাডাঙ্গা  উপজেলা প্রেসক্লাবের সদস্য ও অগ্নিশিখার উপজেলা প্রতিনিধি  এবং এই বাংলার স্টাফ রিপোর্টার।’ আইডি কার্ড দেখতে চাইলে এই বাংলার কার্ড নেই ও অগ্নিশিখার কার্ডের মেয়াদ নেই বলে জানায়।

ফরিদপুরের পদ্মা নদীতে নিখোঁজের ২৩ ঘন্টা পরেও উদ্ধার হয়নি শিশু খাদিজা

মুস্তাফিজুর রহমান শিমুল, চরভদ্রাসন:
প্রকাশিত: রবিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৫, ২:২৯ পিএম
ফরিদপুরের পদ্মা নদীতে নিখোঁজের ২৩ ঘন্টা পরেও উদ্ধার হয়নি শিশু খাদিজা

ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে শনিবার (০১ নভেম্বর) নিখোঁজ হওয়ার ২৩ ঘন্টা পার হলেও আজ রবিবার (০২ নভেম্বর) এখনও উদ্ধার হয়নি ১৫ মাস বয়সী শিশু খাদিজা। খাদিজা চরভদ্রাসন উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাজীডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা শাকিল সিকদারের ছোট মেয়ে। এক ভাই এক বোনের মধ্যে খাদিজা ছোট।

খাদিজার বাবা শাকিল সিকদার জানায়, ‘শুক্রবার দুপুর ১ টার দিকে খাওয়া দাওয়া শেষ করে ঘরে বিশ্রাম করতে যেয়ে ঘুমিয়ে পরেন তিনি। এসময় খাদিজা তার পাশেই ছিল। কিছু সময় পর উঠে দেখেন খাদিজা তার পাশে নেই। স্থানীয়দের কাছে জানতে পারেন খাদিজাকে নদী পাড়ে খেলা করতে দেখেছেন তারা। পরে পরিবারের সদস্যরা নদীতে জাল ফেলে অনেক খোঁজ করেও মেয়েটির সন্ধান পাননি। খাদিজাদের বাড়ি নদীর তীরে হওয়ায় সুযোগ পেলেই নদীর পাড়ে চলে আসত সে।

খবর পেয়ে চরভদ্রাসন ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে যায় এবং শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত নদীতে শিশুটির খোঁজ করেন। পরেরদিন রবিবার (০২ নভেম্বর) সকালে ফরিদপুর শহর থেকে চার সদস্যের একটি ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে এসে বেলা বারোটা পর্যন্ত উদ্ধার কাজ পরিচালনা করে শিশুটির কোন সন্ধান পাননি।

শিশু খাদিজাকে উদ্ধারের বিষয়ে চরভদ্রাসন ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন অফিসার মুর্তজা ফকির বলেন, শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য তারা কাজ করে যাচ্ছেন। সকালে ডুবুরি দল কাজ করে শিশুটির কোন সন্ধান পাননি। চব্বিশ ঘন্টা পরে শিশুটি ভেসে উাঠার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

রবিবার বিকেল পর্যন্ত পদ্মা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে নৌকা নিয়ে শিশুটির সন্ধান করবেন বলে জানান চরভদ্রাসন ফায়ার সার্ভিস।

ফরিদপুরে নির্মাণাধীন ব্রিজ থেকে পড়ে শ্রমিক নিহত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:১৫ এএম
ফরিদপুরে নির্মাণাধীন ব্রিজ থেকে পড়ে শ্রমিক নিহত

ফরিদপুরে নির্মাণাধীন একটি ব্রিজ থেকে পড়ে জহুরুল ইসলাম (৩২) নামে এক শ্রমিক নিহতের ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে ফরিদপুর শহরতলীর ভাজনডাঙ্গা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।


নিহত জহুরুল ইসলাম নওগাঁ জেলার ভীমপুর গ্রামের বাসিন্দা গিয়াস উদ্দিনের ছেলে।


জানা যায়, ফরিদপুর শহরতলীর ভাজনডাঙ্গা এলাকায় পদ্মা নদীর ধারায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে একটি সেতু নির্মাণের কাজে নিয়োজিত ছিলেন নির্মাণ শ্রমিক জহুরুল ইসলাম। নির্মাণ কাজ করার সময় অসাবধানতাবশত তিনি নির্মাণাধীন সেতু থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন।


এ সময় সেখানে থাকা অপর শ্রমিকরা তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আব্দুল্লাহ বিশ্বাস জানান, এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ফরিদপুরে ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিএনপির মতবিনিময় সভা

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: রবিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৫, ৭:৫৩ এএম
ফরিদপুরে ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিএনপির মতবিনিময় সভা

ফরিদপুরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা রাষ্ট্রকাঠামো মেরামত ও সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে ফরিদপুর শহরের টেপাখোলা বেলতলায় পৌরসভার ১৮ ও ১৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র আয়োজনে এ মতবিনিময় সব অনুষ্ঠিত হয়।

১৯ নং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি মো. মিরু খানের সভাপতিত্বে এবং ফরিদপুর জেলা বিএনপির সাবেক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মো. আশরাফ হোসেনের পরিচালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন- ফরিদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ন-আহবায়ক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল।

এ সময় জেলা বিএনপি যুগ্ন আহবায়ক ফাত্তাউল ইসলাম ফাত্তাহ, মহানগর বিএনপি যুগ্ন আহবায়ক শামসুল আরেফিন সাগর, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মোজাম্মেল হোসেন খান মিঠু, ফরিদপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. হাসানুর রহমান মৃধা, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন আহবায়ক রাকিবুল ইসলাম রনি, ১৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সৈয়দ এখলাছুর রহমান, ১৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি গোলাম মোস্তফা খোকা, ১৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার কাদির রুবেল, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য মো. সাব্বির হোসেন খান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সাহিদুল ইসলাম মহব্বত, বিএনপি নেতা শাহাদাত হোসেন শাহীন সহ বিএনপি অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বক্তারা বলেন, ‘রাজনীতিতে মতপার্থক্য ভেদাভেদ থাকলেও ধানের শীষের স্বার্থে ফরিদপুর জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সবাই আমরা ঐক্যবদ্ধ। আমরা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুরে যারাই ধানের শীষ প্রতীক পাবে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে বিজয় নিশ্চিত করব। এ সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা সম্পর্কে উপস্থিত স্থানীয় সাধারণ জনগণ ও নেতাকর্মীদেরকে তা বাস্তবায়নের জন্য সহযোগিতা কামনা করা হয়। এবং আগামীতে একমাত্র দল বিএনপি ক্ষমতায় আসলেই দেশের ও জাতির উন্নয়ন করা সম্ভব বলে ব্যক্ত করেন নেতাকর্মীরা।’