খুঁজুন
শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৫, ৮ কার্তিক, ১৪৩২

ফরিদপুরে আট মাস ধরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন দেড় হাজার পরিবারে

তানভীর তুহিন, সদরপুর (ফরিদপুর)
প্রকাশিত: বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫, ১১:২৬ এএম
ফরিদপুরে আট মাস ধরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন দেড় হাজার পরিবারে
হঠাৎ করে সাবমেরিন ক্যাবলে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় প্রায় ৮ মাস ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার দিয়ারা নারিকেল বাড়িয়া ও চরনাসিরপুর ইউনিয়নের বাসিন্দারা। এতে চরম দুর্ভোগে দিন পার করছে ইউনিয়ন দুটির প্রায় দেড় হাজার পরিবার। দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে। চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
জানা গেছে, জনবসতি স্থাপনের ২ যুগেরও বেশি সময় পর ২০২০ সালে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয় ইউনিয়ন দুটিতে। বিদ্যুৎ পৌঁছে যাওয়ায় বদলে যায় চরের ২০ হাজার বাসিন্দাদের জীবনযাত্রা। কিন্তু গত ৮ মাস আগে সাবমেরিন ক্যাবলটিতে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখনো মেরামত না হওয়ার বিদ্যুৎহীন দুই চরের বাসিন্দারা। নষ্ট হয়ে গেছে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম। স্বাভাবিক জীবনযাপনের পাশাপাশি ব্যহত হচ্ছে ব্যবসা ও শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা।
চরনাসিরপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা আমেনা খাতুন বলেন, আমার স্বামী পরিশ্রম করে বাড়িতে এসে গরমে কষ্ট করে। টাকা পায়সা খরচ করে বাড়িতে ফ্রিজ এনেছি, বিদ্যুৎ এর লাইন নিয়েছি। এই সবইতো এখন কাজে আসছে না৷
দিয়ারা নারিকেল বাড়িয়া ইউনিয়নের এসএসসি পরীক্ষার্থী লিমা আক্তার বলেন, বাসায় বিদ্যুৎ নেই। অন্ধকারের মধ্যে লেখাপড়া করতে হচ্ছে। এই গরমে এতো কষ্ট করে পরীক্ষা দিয়ে ভালো ফল করতে পারবো বলে মনে হয়না। আমরা তাড়াতাড়ি বিদ্যুৎ চাই।
দিয়ারা নারিকেল বাড়িয়া ইউনিয়নের আরেক বাসিন্দা রাজা মিয়া বলেন, ঘরে ঘরে ফ্রিজ ও টেলিভিশন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ডিস ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। এলাকাবাসী অনেকটা আপসেট রয়েছে যে এই বিদ্যুৎ আবার কবে আসবে।
দিয়ারা নারিকেল বাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির সরদার বলেন, কর্তৃপক্ষেকে জানাতে চাই, যত দ্রুত সম্ভব আমাদের এ ইউনিয়নে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হোক৷ আমাদের এ ইউনিয়নের বাসিন্দারা এই গরমে অনেক কষ্টে আছে।
সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিয়া সুলতানা বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ এর জিএমকে বিষয়টি আমি পত্রের মাধ্যমে বলেছি এবং ওভার ফোনে আমি রেগুলার কমিনিউকেশন করছি। উনি খুব দ্রুতই এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিবে। আবার যাতে বিদ্যুৎ এই জনপদে আসে উনি এটা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
পল্লী বিদ্যুৎ-২ ঢাকা অঞ্চলের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মো. শাখাওয়াত হোসেন মুঠোফোন বলেন, বহুবার চেষ্টা করা হয়েছে, ক্যাবলের উপর এমন বালি পড়ে এটা দিয়ে হয়না৷ বিকল্প কিভাবে বিদ্যুৎ দেওয়া যায় এটা নিয়ে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের বড় একটা কমিটি কাজ করছে।

ভাঙ্গায় নকশা পরিবর্তন করে বহুতল ভবন নির্মাণ, ১৫ দিনের মধ্যে অপসারণের নির্দেশ

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:৫৮ পিএম
ভাঙ্গায় নকশা পরিবর্তন করে বহুতল ভবন নির্মাণ, ১৫ দিনের মধ্যে অপসারণের নির্দেশ

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৌরসভার নকশা পরিবর্তন করে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় অনুমোদন বহির্ভূত ভবনের অংশ অপসারণের জন্য পৌর কতৃপক্ষ নির্দেশ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে (২৩ অক্টোবর) হোগলাডাংগী সদরদী গ্রামের মো. আমিনুল ইসলাম খালাসী ওরফে আদমকে চিঠি দেওয়া হয়েছে এবং তাকে অপসারণের জন্য ১৫ দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। পৌর কর্তৃপক্ষের আদেশ অমান্য করিলে ভবন মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে পৌর কর্তৃপক্ষ।

ওই ভবনের মালিক আমিনুল ইসলাম আদমের বাড়ি ভাঙ্গা পৌরসভার ০৮ নং ওয়ার্ডের হোগলাডাঙ্গী সদরদী গ্রামে। সে ওই গ্রামের আলেপ খালাসীর পুত্র।

পৌরসভার চিঠি সূত্রে জানা যায়, বিগত ১৯/০১/১২ তারিখে ভাঙ্গা পৌরসভা প্রকৌঃ ২০১২/৩৪৪ স্মারক মূলে আমিনুল ইসলামকে পাঁচতলা ইমারত নির্মাণের অনুমোদন দেন পৌরসভা। কিন্তু বিল্ডিং এর মালিক আমিনুল ইসলাম ওরফে আদম নকশা পরিবর্তন করে পাঁচতলার উপর অবৈধভাবে ছয়তলা ভবন নির্মাণ করেন। যাহা ইমারত নির্মাণ আইন বহির্ভূত। তাই পৌর কর্তৃপক্ষ ১৫ দিনের মধ্যে অবৈধ অংশটি ভেঙে ফেলার জন্য নির্দেশ দিয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযোগকারী পার্শ্ববর্তী ভবনের মালিক হাজী আব্দুল মান্নান বলেন, নকশা পরিবর্তন করে ভবনের মালিক আমিনুল ইসলাম আদম পৌরসভার নিয়ম বহির্ভূতভাবে নকশা পরিবর্তন করে ৫ তলার স্থলে ৬তলা ভবন নির্মাণ করাতে ভবনটি ঝুঁকিতে পড়েছে। তার বিডিং এর পাশে আমার ভবনটি ও ঝুঁকিতে পড়েছে। আদমের ছয়তলা ভবনটি যেমন ঝুঁকিপূর্ণ ঠিক তেমনি আমার ভবনটিও ঝুঁকিতে পড়েছে। তাই পৌর কর্তৃপক্ষ দ্রুত অবৈধ ৬তলার অংশটি ভেঙে ফেলার জন্য পৌর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।

এ বিষয়ে ভবনের মালিক আমিনুল ইসলাম খালাসী ওরফে আদম বলেন, আমি বিষয়টির না বুঝতে পেরে পাঁচতলার পরিবর্তে ছয় তলা ভবন নির্মাণ করেছি। আমি অতিরিক্ত ৬তলার অংশটি ভেঙে ফেলব।

এ ব্যাপারে পৌরসভার সার্ভেয়ার মো. রাকিব জানান, আমিনুল ইসলাম ওরফে আদম পৌরসভার নকশা ৫তলা অনুমোদন নিয়ে তিনি নকশা পরিবর্তন করে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ৬ তলা নির্মাণ করেছে। আমরা অবৈধ অংশ টি ভেঙে ফেলার জন্য ১৫ দিন সময় দিয়েছি। ১৫দিনের মধ্যে অবৈধ অংশটি না ভাঙলে এবং পৌরসভার আইন অমান্য করিলে তার বিরুদ্ধে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মধুখালীতে বাস-নসিমন মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ গেল নসিমন চালকের

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:০৬ পিএম
মধুখালীতে বাস-নসিমন মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ গেল নসিমন চালকের

ফরিদপুরের মধুখালীতে সোহাগ পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে অপর দিক থেকে আসা নসিমনের মুখোমুখি সংঘর্ষে মামুন শেখ (৩৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তি নসিমন চালক ছিলেন বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার বোয়ালিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত নসিমন চালক মামুন শেখ বোয়ালমারী উপজেলার ভীমপুর-সাতৈর গ্রামের তৈয়ব শেখের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুর্ঘটনার সময় সোহাগ পরিবহনের বাসটি ফরিদপুর থেকে মাগুরার দিকে যাচ্ছিল আর নছিমনটি মধুখালী থেকে ফরিদপুরমুখী ছিল। মুখোমুখি সংঘর্ষের পর নছিমনটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং মামুন সেখ গুরুতরভাবে আহত হন। স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

দুর্ঘটনার পরপরই সোহাগ পরিবহনের বাসচালক ও হেলপার পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে করিমপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং দুর্ঘটনাগ্রস্ত যান দুটি উদ্ধার করে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, মহাসড়কের ওই অংশে অতিরিক্ত গতির কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে, যা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

ফরিদপুরের করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন চৌধুরী বলেন, এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

চরভদ্রাসনের গোপালপুর ঘাটে লাইফ জ্যাকেট ও বয়া বিতরণ

মুস্তাফিজুর রহমান শিমুল, চরভদ্রাসন:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫, ৬:৪১ পিএম
চরভদ্রাসনের গোপালপুর ঘাটে লাইফ জ্যাকেট ও বয়া বিতরণ

ফরিদুপরের চরভদ্রাসন উপজেলার গোপালপুর ও চরমইনুট নৌ পথে স্পীডবোট যাত্রীদের জানমাল রক্ষায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে লাইফ জ্যাকেট ও বয়া বিতরণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টবর) বিকেল ৫ টার দিকে উপজেলার গোপালপুর ঘাটে স্পীডবোট চালকদের হাতে এসকল সামগ্রী তুলেদেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনিরা খাতুন।

জানা যায়, গোপালপুর ঘাট অংশের স্পীডবোট গুলোতে তিনটি করে ত্রিশটি বয়া ও বিভিন্ন সাইজের চল্লিশটি লাইফ জ্যাকেট বিতরণ করা হয়।

ইউএনও মনিরা খাতুন বলেন, গোপালপুর হতে মইনুট ঘাটে যাতায়াতকারী যাত্রীদের ভেতর অনেক শিশু থাকে। এদের মধ্যে অনেকে আবার লাইফ জ্যাকেট পরেননা। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে লাইফ জ্যাকেটের পাশাপাশি প্রতিটি বোটে তিনটি করে বয়া দেওয়া হয়েছে, যাতে করে নৌ দুর্ঘটনায় যাত্রীরা ভেসে থাকতে পারে।

এসময় স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ও স্পীডবোট চালকরা উপস্থিত ছিলেন।