খুঁজুন
মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৮ পৌষ, ১৪৩২

আলফাডাঙ্গায় সিগারেটের বাকি টাকা চাওয়ায় দোকান ভাঙচুর-গুলির হুমকি

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বুধবার, ১১ জুন, ২০২৫, ৯:০২ এএম
আলফাডাঙ্গায় সিগারেটের বাকি টাকা চাওয়ায় দোকান ভাঙচুর-গুলির হুমকি
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের কামারগ্রামে সিগারেটের বাকি টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে মুদি দোকানে হামলা ও গুলি করে হত্যার হুমকির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় যুবদল নেতা শাহেদ মোল্লার বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১০ জুন) সকালে রফিকুল শেখ আলফাডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এর আগে গত সোমবার (০৯ জুন) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে শাহেদ রফিকুলের দোকানে গিয়ে সিগারেট খান। রফিকুল পূর্বের বাকি টাকার কথা তুললে শাহেদ ক্ষিপ্ত হয়ে দোকানের ভেতর ভাঙচুর চালান এবং তাকে গুলি করে মারার হুমকি দিয়ে চলে যান।
ভুক্তভোগী রফিকুল শেখ (৩৫), পিতা দেলোয়ার শেখ—একজন মুদি ব্যবসায়ী। অভিযুক্ত শাহেদ মোল্লা (৩০), পিতা জুয়েল মোল্লা—উভয়ের বাড়ি কামারগ্রামে। শাহেদ পৌর যুবদলের আহবায়ক সৈয়দ মিজানুর রহমানের একনিষ্ঠ কর্মী।
রফিকুল বলেন, “সে অনেক দিন ধরে আমার দোকান থেকে সিগারেট নিয়ে টাকা দেয় না। টাকা চাইলে আমাকে আগেও মারার চেষ্টা করেছে। কয়েকদিন আগে থানার এসআই মফিজুর স্যারকে মৌখিকভাবে জানাই। পরে পৌর যুবদলের আহ্বায়ক সৈয়দ মিজানুর রহমান বলেন, তিনি মিটিয়ে দেবেন। কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি। এরপর সোমবার রফিকুল এ ঘটনা ঘটায়।”
তিনি আরও বলেন, “এসআই মফিজ স্যারকে  বলার পর সে আরও ক্ষেপে যায়। দোকানে এসে আবার হুমকি-ধামকি দিতে থাকে, একপর্যায়ে আমার কাছে চাঁদা দাবি করে। এরপর সিগারেট চায়, আমি না দিলে দোকানে ভাঙচুর চালায়, মালামাল ছুঁড়ে ফেলে দেয়। তারপর বলে ‘তোকে গুলি করে মেরে ফেলবো’, এই হুমকি দিয়ে আমাকে দোকানের ভেতরে রেখেই সাঁটার টেনে দেয় এবং বাইরে থেকে লাঠিসোটা দিয়ে সাঁটারে আঘাত করে। আমি ভিতরে আতঙ্কে থাকি। পরে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে সে পালিয়ে যায়।”
রফিকুল অভিযোগ করার কয়েক ঘণ্টা পরই দুপুর আড়াইটার দিকে প্রতিশোধমূলক হামলার শিকার হন তার আত্মীয় কাওছার খান। তিনি পেশায় একজন গার্মেন্টস কর্মী। কাওছার তার মামাতো ভাই মান্দার ও ৮ বছরের ছেলে আলিফকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হলে কামারগ্রামের দারোগা বাড়ীর সামনে শাহেদ ও তার দলবল তাদের গতিরোধ করে।
কাওছার খান জানান, “মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যাওয়ার পর শাহেদ ও তার লোকজন আমাকে ও আমার ছেলেকে বেধড়ক মারধর করে। এতে আমরা গুরুতর আহত হই।”
এই হামলার ঘটনায় কাওছার খান মঙ্গলবার (১০ জুন) বিকেলে আলফাডাঙ্গা থানায় পৃথক একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন যুবদল নেতা শাহেদের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে পৌর যুবদলের আহ্বায়ক সৈয়দ মিজানুর রহমান এবং অভিযুক্ত যুবদল নেতা শাহেদ মোল্যাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাদের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. শাহিন মোল্লা বলেন, “শাহেদ নামে আমি কোনো যুবদল নেতাকে চিনিনা। ইউনিয়ন পর্যায়ে এখনও কোনো কমিটি হয়নি। কেউ ওই পরিচয় ব্যবহার করলে সেটা তার ব্যক্তিগত বিষয়, এর দায় দল নেবে না।”
আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল বলেন, “আমরা রফিকুল শেখ ও কাওছার খানের দুটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাগুলো তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ফরিদপুর-১ আসনে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের প্রার্থী সাবেক এমপি শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৯:২০ পিএম
ফরিদপুর-১ আসনে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের প্রার্থী সাবেক এমপি শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-১ (বোয়ালমারী, মধুখালী ও আলফাডাঙ্গা) আসনে সাবেক সংসদ সদস্য শাহ মোহাম্মদ আবু জাফরকে মনোনয়ন দিয়েছে নবগঠিত রাজনৈতিক জোট জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর বনানীর হোটেল শেরাটনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির নির্বাহী চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চুন্নু জোটের ১১৯টি আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। এ সময় ফরিদপুর-১ আসনের প্রার্থী হিসেবে শাহ মোহাম্মদ আবু জাফরের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়।

চারবারের সংসদ সদস্য শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর ফরিদপুর-১ আসনের একজন পরিচিত ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ। তিনি বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সর্বশেষ জাতীয় পার্টি ও জেপির সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে এবার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

মনোনয়ন পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, “আমি আজীবন এলাকার মানুষের পাশে ছিলাম। ইনশাআল্লাহ, আগামীতেও তাঁদের সেবা করে যেতে চাই।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তাঁর এই মনোনয়ন ফরিদপুর-১ আসনের নির্বাচনী সমীকরণে নতুন আলোচনা তৈরি করেছে।

তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে ফরিদপুরে অভিনন্দন মিছিল

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৯:০৯ পিএম
তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে ফরিদপুরে অভিনন্দন মিছিল

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগামী ২৫ ডিসেম্বর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে ফরিদপুরে এক অভিনন্দন মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। খায়রুল ইসলাম-এর নেতৃত্বে আয়োজিত এ মিছিলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে থেকে মিছিলটি বের করা হয়।

মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জনতা ব্যাংকের মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় নেতাকর্মীরা তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন।

মিছিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন সংগঠনের নেতারা। বক্তব্যে তারা বলেন, তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন আরও বেগবান হবে এবং বিএনপির সাংগঠনিক শক্তি নতুনভাবে উজ্জীবিত হবে।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সমিরুল ইসলাম, মুন্সি আনোয়ার পাশা, সাইদুল ইসলাম সাঈদ ও সাজ্জাদ হোসেন সজল। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন- সহ-সাধারণ সম্পাদক নীলয় চৌধুরী রেজা ও হাসান মীর, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রাহাদ খান এবং সহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক পাভেল আহমেদ।

এসময় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ দ্বীপ ও তাহসান অয়নসহ জেলা ছাত্রদলের নেতা রবিন, মেহেদী হাসান শাওন, দ্বীন, রাব্বি, আহাম্মেদ সায়েম অমি, সালমান এফ রহমান, শামিম খানসহ বিএনপি ও ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

নেতারা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনকে ঐতিহাসিক ও তাৎপর্যপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন।

তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে ফরিদপুরে কৃষকদলের আনন্দ মিছিল

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৬:৪০ পিএম
তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে ফরিদপুরে কৃষকদলের আনন্দ মিছিল

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সম্ভাব্য স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের উদ্যোগে আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ফরিদপুর সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের সামনে থেকে আনন্দ মিছিলটি শুরু হয়। পরে এটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জনতা ব্যাংকের মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে জেলা ও মহানগর কৃষক দলের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।

ফরিদপুর মহানগর কৃষক দলের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোহা. মামুনুর রশিদের সভাপতিত্বে আয়োজিত কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. মুরাদ হোসেন, মহানগর কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. জহির রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রতন, মহানগর কৃষক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু বক্করসহ জেলা ও মহানগর কৃষক দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

আনন্দ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তনকে ঐতিহাসিক ও সময়োপযোগী বলে মন্তব্য করেন। তারা বলেন, আগামী ২৫ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বাংলাদেশে আগমন করবেন—এই খবরে দেশবাসীর মাঝে নতুন প্রত্যাশা ও উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। তার নেতৃত্বেই আগামী দিনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল আরও শক্তিশালী ও সুসংগঠিত হবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বক্তারা আরও বলেন, দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তারেক রহমানের নেতৃত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়।

এর আগে শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে একাধিক মিছিল বের হয়ে আনন্দ মিছিলে যোগ দেয়। এ সময় তারেক রহমানের আগমনকে স্বাগত জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয় এবং নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ লক্ষ্য করা যায়।

error: Content is protected !!