খুঁজুন
শুক্রবার, ৮ আগস্ট, ২০২৫, ২৪ শ্রাবণ, ১৪৩২

‘আমার সভায় আসতে নিষেধ করা ও মামলা দেওয়ার ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে’ — এ.কে. আজাদ

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বুধবার, ১১ জুন, ২০২৫, ৭:৪৭ পিএম
‘আমার সভায় আসতে নিষেধ করা ও মামলা দেওয়ার ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে’    — এ.কে. আজাদ
ফরিদপুর সদরের বিভিন্ন স্থানে জনগণের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন আসনটির (ফরিদপুর-৩) সাবেক স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য এ. কে. আজাদ। এ সময় তিনি দুটি ইউনিয়নে গোরস্থান নির্মাণে অনুদান দেন।
বুধবার (১১ জুন) দিনব্যাপী ফরিদপুর সদর উপজেলার চারটি ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে গণসংযোগ করেন হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. কে. আজাদ।
এ সময় তিনি বলেন, ‘আমি ও আমার পরিবার গত দুই যুগ ধরে ফরিদপুরের অসহায় মানুষের পাশে আছি। বিপদে-আপদে এই অঞ্চলের মানুষ আমাদের ভরসা করে। ভবিষ্যতে আমরা তাদের পাশেই থাকতে চাই।’
স্থানীয় বিএনপির একটি পক্ষের দিকে ইঙ্গিত করে এ. কে. আজাদ বলেন, ‘আমার সভায় আসতে অনেককে ফোন করে নিষেধ করা হয়েছে, এখানে এলে তাদের নামে মামলা দেওয়া হবে বলেও ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে। আমি এটা জানার পর পুলিশ কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসা করলাম- আমার সভা-সমাবেশে এলে কোনো সমস্যা আছে কিনা। পুলিশ জানিয়েছে, অসম্ভব, কোনো সমস্যা নেই, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আপনি নির্বাচনের প্রার্থী হতে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাবেন, এ ক্ষেত্রে পুলিশ আপনাকে সব ধরনের সহযোগিতা করবে। এটা কথা তাদের জানানোর পর এখনও অনেকে ভয়ে আছেন। আশা করি, আস্তে আস্তে তাদের ভয় কেটে যাবে।’
গণসংযোগকালে জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহিদ আল ফারুক বলেন, ‘আমরা ফরিদপুর সদরের এমপি হিসেবে এ. কে. আজাদকে দেখতে চাই। তিনি ফরিদপুরের অভিভাবক।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন হা-মীম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. মোতালেব হোসেন, পরিচালক বেলাল হোসেন, অ্যাডভোকেট শামসুল হক ভোলা মাস্টার, সমাজসেবক শাহ আলম মুকুল, শহিদুল ইসলাম নিরু, শিক্ষক নেতা আক্কাস পরামানিক, স্থানীয় ডিক্রীর চর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিন্টু, ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সোবহান মোল্লা, সমাজসেবক উজ্জ্বল সরকার লোটন, মজিদ ফকির, মানোয়ার হোসেন, আবুল বাতিন, আক্তার হোসেন, সিরাজ মীর প্রমুখ।
এদিন বেলা ১১টায় ডিক্রীর চর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে মতবিনিময় সভা শেষে নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের কামার ডাঙ্গীতে মরহুম সালাম চেয়ারম্যানের বাড়ি-সংলগ্ন গোরস্থান সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের জন্য ১০ লাখ টাকা অনুদান দেন এ. কে. আজাদ। এ সময় তিনি স্থানীয়দের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
এরপর পার্শ্ববর্তী ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের দুই ও তিন নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যবর্তী নির্মাণাধীন কবরস্থানের জন্য ১৬ লাখ টাকা অনুদান দেন। কবরস্থান-সংলগ্ন মসজিদ ও মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয়দের সঙ্গে এ সময়ে মতবিনিময় করেন তিনি।
বিকেলে স্থানীয় কানাইপুর ইউনিয়নের সিকদার বাড়ি মন্দিরে কীর্তন পরিদর্শন করেন ও অনুদান দেন এ. কে. আজাদ।

ভাঙ্গায় ১৪ কেজি গাঁজাসহ যুবক গ্রেপ্তার

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৮ আগস্ট, ২০২৫, ৫:৩৩ পিএম
ভাঙ্গায় ১৪ কেজি গাঁজাসহ যুবক গ্রেপ্তার

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ১৪ কেজি গাঁজা সহ মো. রমজান মোল্লা (২৮) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১০।

শুক্রবার (০৮ আগস্ট) সকালে উপজেলার ভাঙ্গা টোল প্লাজার পশ্চিম পাশের এক্সপ্রেসওয়েতে চেকপোস্ট বসিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার হওয়া রমজান মোল্লা নড়াইলের নড়াগাতীর
পাখিমারা এলাকার মো. মোস্তফা মোল্লার ছেলে।

গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১০) এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তাপস কর্মকার বলেন, গ্রেপ্তারকৃত মো. রমজান মোল্লা সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাসের যাত্রী সেজে যাত্রীবাহী বাস ব্যবহার করে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের নিকট অভিনব কায়দায় সরবরাহ করত। তার বিরুদ্ধে মাদক আইনের ২ টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মাদক মামলা রুজু করতে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

চরভদ্রাসনে মৎস্য সম্পদ রক্ষায় আড়াআড়ি বাঁধ অপসারণ  

মুস্তাফিজুর রহমান শিমুল, চরভদ্রাসন:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৮ আগস্ট, ২০২৫, ২:১৬ পিএম
চরভদ্রাসনে মৎস্য সম্পদ রক্ষায় আড়াআড়ি বাঁধ অপসারণ  

ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে মৎস্য সম্পদ রক্ষায় মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করে একটি আড়াআড়ি বাঁধ অপসারণের পাশাপাশি ১০টি চায়না দুয়ারী বিনষ্ট করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (০৭ আগস্ট) বিকেল হতে সন্ধা ৬টা পর্যন্ত উপজেলার লোহারটেক কোলের সর্দার বাড়ি ব্রীজের সন্নিকটে এ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বাঁধ ও চায়না দুয়ারী ধ্বংস করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনিরা খাতুন।

অভিযানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নাঈম হোসেন বিপ্লব, ক্ষেত্র সহকারী শামিম আরেফিন ও পুলিশ সদস্য।

এ সময় আড়া আড়ি বাঁধটি অপসারণের পাশাপশি জব্দকৃত চায়না দুয়ারী আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা খাতুন বলেন, চলতি বর্ষা মৌসুমে সর্দার বাড়ি ব্রীজের সন্নিকটে একটি আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে মাছের অবাধ বিচরণ ও বংশবৃদ্ধি রোধ করা হচ্ছিল। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বাঁধটি অপসারণের পাশাপাশি ১০টি চায়না দুয়ারী বিনষ্ট করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় নদী ও কোলে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান ইউএনও।

সালথায় ফুটবল খেলার মাঠ বেড়া দিয়ে দখলের অভিযোগ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট, ২০২৫, ৮:০০ পিএম
সালথায় ফুটবল খেলার মাঠ বেড়া দিয়ে দখলের অভিযোগ

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের উত্তর চণ্ডীবরদী গ্রামের একমাত্র ফুটবল খেলার মাঠটি দখলের অভিযোগ উঠেছে। ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাশে অবস্থিত এই মাঠটি এলাকার প্রায় দশটি গ্রামের শিশু-কিশোর ও তরুণদের খেলার একমাত্র স্থান। সম্প্রতি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি মাঠটিতে বেড়া দিয়ে দখলের চেষ্টা করছেন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।

জানা যায়, সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমি অধিগ্রহণের পর ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কাজ শেষ হলে জায়গাটি খালি পড়ে থাকে। প্রায় ১৭ বছর ধরে উত্তর চণ্ডীবরদী এবং আশপাশের গ্রামের ফুটবলপ্রেমীরা এটিকে খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন। জমির মূল মালিকরা সরকারের কাছ থেকে তাদের প্রাপ্য ক্ষতিপূরণ বুঝে পেয়েছেন।

অভিযোগ উঠেছে, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর পৌরসভার বাসিন্দা আব্দুল জলিল সরদারের ছেলে, পৌরসভার সাবেক কমিশনার ও মুকসুদপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বাকি সরদার, তার ভাই মুকসুদপুর উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির সরদার, বোন নিলুফা বেগম এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পলাশ সরদার এই মাঠ দখলের সঙ্গে জড়িত।

মাঠে খেলতে আসা খেলোয়াড় ও দর্শকরা খেলার মাঠটি দখলমুক্ত করাসহ দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে সালথা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মোহাম্মদ আবুল ফজল বলেন, “স্থানীয়দের খেলাধুলার মাঠটি দখল হয়ে যাওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সালথা থানার ওসি ও ইউএনও-কে জানিয়েছি। অন্যথায়, সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলে দখলদারদের প্রতিহত করা হবে।”

স্থানীয় সাংবাদিক আর. টি. হাসান জানান, বিষয়টি সমাধানের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানানো হয়েছে এবং তিনি ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

এ বিষয়ে সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনিছুর রহমান বালী বলেন, “মাঠ দখলের বিষয়টি আমি শুনেছি। স্থানীয়রা আমাকে জানিয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত সমাধান করা হবে।”

এ বিষয়ে অভিযুক্তদের বক্তব্য জানতে দখলকৃত স্থানে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি এবং তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব না হওয়ায় বক্তব্য নেওয়া যায়নি।