খুঁজুন
বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২ পৌষ, ১৪৩২

বোয়ালমারীতে ভূমি অফিসে ঘুষ ছাড়া মিলছেনা সেবা, ঘুরতে হচ্ছে অফিসের বারান্দায়

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫, ৭:১০ পিএম
বোয়ালমারীতে ভূমি অফিসে ঘুষ ছাড়া মিলছেনা সেবা, ঘুরতে হচ্ছে অফিসের বারান্দায়

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার চতুল ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ঘুষ ছাড়া মিলছে না কোনো সেবা—এমন অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় সেবাপ্রত্যাশীরা। অতিরিক্ত অর্থ না দিলে দিনের পর দিন অফিসের বারান্দায় ঘুরতে হচ্ছে অনেককেই।

জমির নামজারি, খতিয়ান দেখানো, তদন্ত প্রতিবেদন কিংবা খাজনা আদায়—প্রতিটি ধাপে টাকা না দিলে কাজ হয় না বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।

তহসিল অফিসের চার পাশে রয়েছে সেলিম মুন্সি, পান্নু শেখ, জাহিদ ঠাকুর, সাইফার হোসেন, রবিউল ইসলামের কম্পিউটারের দোকানে ভূমি সংশ্লিষ্ট অনলাইনে কাজ সম্পন্ন করা হয় দোকানগুলোতে । এ সকল দোকান থেকেই মক্কেল ধরে নিয়ে যাওয়া হয় তহসিলদারদের কাছে। যেখানে একটি মিউটেশনের সরকারি চার্জ ১১৭০ টাকা, অথচ সেবাগ্রহীতার কাজ থেকে নেওয়া হচ্ছে প্রকারভেদে দুই হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত। এই দালালদের প্রধান পছন্দ থাকে প্রবাসীদের।

মঙ্গলবার ও বুধবার এই তহসিল অফিসের সামনে কথা হয়, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আহসান হাবিব , চতুল নিচে বাইখীর গ্রামের নিয়ামুল হক ফয়সাল, বাইখীর চৌরাস্তার মিলন শেখের সাথে। এরা সকলেই জানান, ভূমি অফিসের অতিরিক্ত অর্থ ছাড়া কোন ফাইল এসিল্যান্ড অফিসে যায় না, তাদের কোন মিউটেশন ৪/৫ হাজার টাকার কমে কাজ সম্পন্ন হয়নি।

ভূমি অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত তহসিলদার জহিরুল হকের বিরুদ্ধে এসব অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। শুধু চতুল তহসিল অফিস নয় এমন চিত্র পুরো বোয়ালমারি ইউনিয়ন ভূমি অফিস জুড়ে।

চতুল ইউপির সেবাগ্রহীতাদের দাবি,জহিরুল হক নিজের নিয়ন্ত্রণে কয়েকজন দালাল রেখে সেবা গ্রহীতাদের সাথে কথা বলান। কোন কোন ক্ষেত্রে তিনি নিজেই অফিসের খরচের কথা বলে অতিরিক্ত অর্থ নেন।

এ প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় ইতালি প্রবাসী শামিমা ইয়াসমিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, জুলাই ১০ তারিখে আমার ফ্লাইট রয়েছে ইটালিতে যাওয়ার। যে কারণে চতুল ইউনিয়নের একটি জমির মিউটেশন খুবই জরুরি ছিল।

ভেবেছিলাম ভূমি ব্যবস্থাপনার ডিজিটালাইজেশন হয়েছে, আমার কাজটি ভোগান্তি ছাড়া দ্রুতই হয়ে যাবে। বাইরের দোকান থেকে অনলাইনে আবেদন করে প্রয়োজনীয় সব কাজপত্র নিয়ে আমি ভূমি অফিসে যাই। সমস্যা হয় সেখানেই। অতিরিক্ত টাকা ছাড়া তারা ফাইল ফরওয়ার্ড দেয় না এসিল্যান্ড অফিসে। পরে নিজের ভাইকে দিয়ে এক হাজার টাকা পাঠিয়ে কাজটি করতে হয়েছে।

একই রকম কথা বলেন প্রয়াত আশরাফুজ্জামান সাইফার মিয়ার ছেলে এহরামুজ্জামান। তিনি বলেন, বাবা মারা গেছে বেশ কিছুদিন হল। বাবার নামে রেকর্ডীয় সম্পত্তি নামজারি করার জন্য গিয়েছিলাম চতুল ভূমি অফিসে। ওই অফিসে ৩-৪ কার্যদিবস যাওয়ার পর তহসিলদার সাহেব বললেন অফিস খরচ না দিলে কিভাবে ফরওয়ার্ডিং হবে। বাধ্য হয়ে এক হাজার টাকা দিয়ে আমার কাজটা আমি করেছি। তারপরও খুশি আমার কাজতো হলো।

গুনবহা ইউনিয়নের চাপলডাঙ্গা থেকে মিউটেশন করতে এসেছেন নাজমুল হোসেন। তিনি সৌদি প্রবাসি, ৮ শতাংশ জমির নিউটেশন করতে সরকারি জমা টাকার বাইরে ১০ হাজার টাকা দিয়েন। তাকে বলা হয়েছে সাত দিনের মধ্যে কাজটি করে দেয়া হবে।

চতুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, আমার ইউনিয়নের অনেকের কাছ থেকেই উনার (তহসিলদার) সম্পর্কে বিভিন্ন রকম খবর পেয়েছি, তবে আমি নিজে কখনো যাইনি।

ভূমি ব্যবস্থাপনায় ডিজিটালাইজেশন হওয়ার পরেও মানুষের ভোগান্তি বা প্রতারনা মুক্ত কেন হয়নি এ প্রসঙ্গে ফরিদপুর সচেতন নাগরিক কমিটির টিআইবির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট শিপ্রা গোস্বামী বলেন, কেন্দ্র সরকার যেভাবে সংস্কারের মাধ্যমে মানুষের সেবা নিশ্চিত করতে চান, তৃণমূল পর্যায়ে আসলে সেই মেসেজটি এখনো সেভাবে পৌঁছায়নি। যে কারণেই শত চেষ্টার ফলেও ভূমি ব্যবস্থাপনায় সেবাগ্রহীতার হয়রানি রোধ করা যাচ্ছে না। এক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন থেকে শুরু করে উপজেলা প্রশাসনেরও সদয় আন্তরিকতা ও কঠোর তদারকি দরকার। তবেই হয়তো আমরা ভূমি ব্যবস্থাপনায় দুর্নীতিমুক্ত করতে পারবো।

এ প্রসঙ্গে কথা হয় ফরিদপুরের বৈষ্ণম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব সোহেল রানার সাথে। তিনি জানান, বতর্মান সরকার তৃণমূল পর্যায়ে মানুষের সেবা দেয়ার জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন, তারপরেও এ কাজে যারা বাধা হয়ে দাঁড়াবে প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন গড়ে তুলবো।

ভূমি (তহসিল) অফিসের দুর্নীতি ও হয়রানির প্রসঙ্গে ফরিদপুর দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাসানউজ্জামান বলেন, ২৪ এর আন্দোলন একটি পরিবর্তনের জন্য হয়েছে, সেখানে যারা প্রতিবন্ধক হয়ে দাড়াবে তাদেরকে অবশ্যই আইনে আওতায় আনা উচিত এবং প্রশাসনের যে পর্যায় গুলোতে দুর্নীতির হওয়ার সম্ভাবনা বেশি সেখানে তদারকি হওয়া দরকার। আর এক্ষেত্রে স্থানীয় জনসাধারণেরও সক্রিয় হওয়া উচিত, সরকারের যেসব দপ্তরের দুর্নীতিবাজ লোক রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হইতে হবে সকলকেই ।

বোয়ালমারী সহকারি কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল আমিন বলেন, ভূমি ব্যবস্থাপনায় অনলাইন সার্ভিস চালু হওয়ার ফলে অনেক ক্ষেত্রে দুর্নীতি কমেছে, তবে অনেকই এই বিষয়টি ভালোভাবে না বুঝতে পারায় দালালের খপ্পরে পড়ে। তখন তাদের অতিরিক্ত অর্থ নষ্ট হয়। আমরা বলবো সরাসরি এসি ল্যান্ড অফিসে আসুন, মিডিল ম্যানের কাছে না গিয়ে।

সালথায় মাছ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আরেক আসামি গ্রেপ্তার

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১২:৪৬ পিএম
সালথায় মাছ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আরেক আসামি গ্রেপ্তার

ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (২৬) নামে এক মাছ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় হওয়া মামলায় জড়িত অভিযোগে জাফর মোল্যা (৪২) নামের আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১০, সিপিসি-৩, ফরিদপুর ক্যাম্পের সদস্যরা।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে র‌্যাব-১০, সিপিসি-৩, ফরিদপুর ক্যাম্পের দেওয়া এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জাফর মোল্যাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানানো হয়।

এর আগে মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে ঢাকার সাভারের পশ্চিম ব্যাংক টাউন এলাকা থেকে জাফরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জাফর মোল্যা ফরিদপুরের কোতয়ালী থানাধীন তেঁতুলিয়া এলাকার মৃত কাদের মোল্যার ছেলে।

এদিকে, গত ১৩ ডিসেম্বর এ হত্যার ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ফিরোজ মাতুব্বর নামের অপর এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছিল র‌্যাব-১০।

র‌্যাব-১০, সিপিসি-৩, ফরিদপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লীডার তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় জাফর মোল্যাকে সাভারের ব্যাংক টাউন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মাছ ব্যবসায়ী উৎপল হত্যায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিতে তার নাম এসেছিল। জাফরকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান র‌্যাবের এ কর্মকর্তা।’

প্রসঙ্গ, গত ৫ ডিসেম্বর ভোর রাতে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌড়দিয়া গ্রামের কালীতলা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় মাছ ব্যবসায়ী উৎপল সরকারকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এসময় তার কাছে থাকা টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় হত্যার একদিন পর উৎপলের বাবা অজয় কুমার সরকার বাদী হয়ে সালথা থানার একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

কচুলতায় জেগে উঠছে সম্ভাবনা, বদলাচ্ছে কৃষকের ভাগ্য

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:৫৭ এএম
কচুলতায় জেগে উঠছে সম্ভাবনা, বদলাচ্ছে কৃষকের ভাগ্য
কচুলতায় এসেছে কৃষকের ভাগ্য পরিবর্তনের বার্তা। দেড়শ বিঘা দিগন্তজুড়ে কচুর লতার সফল চাষ মৌলভীবাজার জেলায় সৃষ্টি করেছে নতুন সম্ভাবনা। তুলনামূলক কম খরচ, কম পরিশ্রম এবং বেশি লাভজনক হওয়ায় কচুর লতা চাষে এক ধরনের কৃষি বিপ্লব দেখা যাচ্ছে এ জেলায়।

জেলার বিভিন্ন উপজেলার কৃষকরা প্রচলিত অনেক ফসলের তুলনায় বেশি আয়ের আশায় কচুর লতি চাষে ঝুঁকছেন। স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি মৌলভীবাজার থেকে প্রতিদিনই লতি পাঠানো হচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।

মৌলভীবাজার জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে জেলায় প্রায় তিনশ হেক্টর জমিতে কচুর লতি চাষ হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার গিয়াসনগর, শ্রীমঙ্গল উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের যাত্রাপাশা এবং কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর গ্রামে।

গিয়াসনগর এলাকায় দেখা গেছে, পুরো গ্রামজুড়ে এখন বাণিজ্যিকভাবে লতি চাষ হচ্ছে। স্থানীয় কৃষকরা জানান, কয়েক বছর আগেও দুই-তিন বিঘা জমিতে বিচ্ছিন্নভাবে লতি চাষ হলেও বর্তমানে তা ব্যাপক বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে। শুধু গিয়াসনগর এলাকাতেই মৌসুমে প্রায় ১৫০ বিঘা জমিতে লতির চাষ হচ্ছে।

গিয়াসনগর গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমান জানান, তিনি ২১ শতাংশ জমিতে লতিরাজ বারি কচু–১ রোপণ করেছেন। প্রায় এক মাস ধরে তিনি লতি তুলছেন। প্রতি সপ্তাহে ৭০ থেকে ৭৫ কেজি লতি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। মৌসুম যত এগোচ্ছে, দামও বাড়ছে। প্রায় ৩০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে তিনি দেড় থেকে দুই লাখ টাকা লাভের আশা করছেন।

একই গ্রামের কৃষক আবদুল আজিজ জানান, তিনি এক কিয়ার জমিতে লতি চাষ করেছেন এবং আরও জমিতে চারা রোপণের পরিকল্পনা করছেন। কৃষক মিলন, কাজিম ও আফাই মিয়াসহ অনেকেই বড় পরিসরে লতি চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।

কমলগঞ্জ উপজেলায় কচুর লতি চাষে সফল হয়েছেন বিমান বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রঞ্জন কুমার। উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামে তার উদ্যোগে লতি চাষ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। তার দেখাদেখি স্থানীয় অন্যান্য কৃষকরাও লতি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

এ ছাড়া শ্রীমঙ্গল উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের যাত্রাপাশা গ্রামের এংরাজ মিয়া, রোকন মিয়া, আব্দুল মজিদ ও ইউনুস মিয়া বাণিজ্যিকভাবে কচুর লতি চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার পথ খুঁজে পেয়েছেন।

স্থানীয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নিরোজ কান্তি রায় বলেন, গিয়াসনগর গ্রামে লতি এখন একটি সমৃদ্ধ ফসলে পরিণত হয়েছে। চার-পাঁচ বছর আগে যেখানে দুই-তিন বিঘা জমিতে লতি চাষ হতো, এখন সেখানে মৌসুমে ১৫০ বিঘা জমিতে লতির আবাদ হচ্ছে। সারা বছর ৫০ থেকে ৭০ বিঘা জমিতে লতি চাষ হয়। লতি অত্যন্ত লাভজনক ফসল এবং এতে রোগবালাই তুলনামূলক কম। গ্রামটি যেন এখন ‘লতার গ্রাম’ হয়ে উঠছে।

মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দিন বলেন, কচুর লতি এ অঞ্চলে একটি দীর্ঘমেয়াদি ও লাভজনক ফসল। অল্প খরচে কৃষকরা বেশি লাভবান হচ্ছেন। লতি চাষ সম্প্রসারণে কৃষি বিভাগ সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছে।

সালথায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে কৃষকলীগ নেতা আটক

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৯:০৯ পিএম
সালথায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে কৃষকলীগ নেতা আটক

ফরিদপুরের সালথায় ওয়ারেন্টভুক্ত এক আসামীকে ধরতে গিয়ে খোরশেদ খান (৪৫) নামে এক কৃষক লীগ নেতার হামলার শিকার হয়েছেন পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক মুকুল। এ ঘটনায় ওই হামলাকারী কৃষকলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৭ টার দিকে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের আগুলদিয়া মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

খোরশেদ খান গট্টি ইউনিয়নের কৃষকলীগের সহ-সভাপতি ও ওই গ্রামের উচমান খানের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের আগুলদিয়া মোড় এলাকায় এক ওয়ারেন্টভুক্ত আসামীকে ধরতে যায় একদল পুলিশ। এ সময় ওই আসামীকে ধরতে বাধা দেন কৃষক লীগ নেতা খোরশেদ খান। এক পর্যায়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক মুকুল আহত হন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলু রহমান খান বলেন, ওয়ারেন্টভুক্ত এক আসামীকে ধরতে গেলে খোরশেদ খান বাধা প্রদান করেন এবং পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক মুকুল আহত হন। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।