খুঁজুন
শনিবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৫, ৮ ভাদ্র, ১৪৩২

ভাঙ্গায় ব্রিজের পাশে পড়েছিল অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ

আব্দুল মান্নান মুন্নু, ভাঙ্গা:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২২ আগস্ট, ২০২৫, ২:১০ পিএম
ভাঙ্গায় ব্রিজের পাশে পড়েছিল অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় অজ্ঞাত যুবকের (৩৫) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২২ আগস্ট) সকালে উপজেলার মানিকদাহ ইউনিয়নের ফাজিলপুর মুন্সি বাড়ি ব্রীজের নিকট থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

পরে মরদেহটি পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ হোসেন বলেন, শুক্রবার সকালে ভাঙ্গা উপজেলার মানিকদা ইউনিয়নের মুন্সিবাড়ি – ফাজিলপুর ফিডার সড়কে মুন্সিবাড়ি ব্রিজ এলাকায় এক অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। মরদেহের পরিচয় সনাক্ত করার জন্য পিবিআই ও সিআইডি পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে। মৃত ব্যক্তির সুরতহাল রিপোর্ট সহ প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

তবে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কোন অটো বা ভ্যান গাড়ির সাথে ধাক্কা লেগে যুবকটি মারা যায়। তার পরনে জিন্স প্যান্ট ও ফুল শার্ট পরা রয়েছে।

ভরা মৌসুমেও ইলিশ শূন্য ফরিদপুরের পদ্মা

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শনিবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৫, ৭:১৩ এএম
ভরা মৌসুমেও ইলিশ শূন্য ফরিদপুরের পদ্মা

ইলিশের ভরা মৌসুমেও ইলিশ শূন্য ফরিদপুরের সদরপুরের পদ্মা নদীতে। জেলেদের জালে আগের মতো ধরা পরছেনা ইলিশ। নদীতে জাল ফেলে ইলিশ না পেয়ে জেলেরা ফিরছে শূন্য হাতে। এ উপজেলার বহু জেলে পদ্মায় কাঙ্খিত ইলিশ না পাওয়ায় পেশা পরিবর্তন করে ফেলছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হঠাৎ করে পদ্মায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মাছ আগের মতো পাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়াও মেঘনা নদী ও সমূদ্র উপকূলে অধিক পরিমাণে ইলিশ শিকার হওয়ায় পদ্মায় আর তেমন ইলিশ ঢুকতে পারে না৷ পদ্মায় যে ইলিশ পাওয়া যায় তা আকারে ছোট, যদিও বড় কিছু পাওয়া যায় তাও খুব অল্প পরিমাণে৷ যে কারণে সেসব বড় ইলিশের প্রচুর দাম হয়ে থাকে। যা সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে।

উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সদরপুর উপজেলার দিয়ারা নারিকেল বাড়িয়া, ঢেউখালী, আকোটের চর ও চর নাসিরপুর ইউনিয়নের জেলেরা মূলত ইলিশ শিকার করে থাকেন। এ ইউনিয়ন গুলোর প্রায় ৭ হাজার মানুষ ইলিশ শিকার পেশায় জড়িত রয়েছে। যার মধ্যে কার্ডধারী জেলে রয়েছে প্রায় ৬৫০ জনের মতো। তবে দ্রুত কার্ডধারী জেলের সংখ্যা আরো বাড়ানো হবে।

নদীতে মাছ ধরতে আসা জেলে মো. মোকলেছুর রহমান জানায়, ‘গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি উপেক্ষা করে পদ্মায় গিয়ে এক প্রকার খালি হাতেই ফিরে এসেছি। ৬/৭ জন মিলে যাও কয়টা ইলিশ পেয়েছি তা বেঁচে তেলের পয়সাও ঠিক মতো উঠে না৷ আমাদের খাটুনির কথাতো বাদই দিলাম৷’

আরেক জেলে আবুল ফরাজি জানায়, ‘গত এক সপ্তাহ ধরে নদীতে জাল ফেলে কাংঙ্খিত ইলিশের দেখা পাচ্ছি না। কালেভদ্রে দু’একটি পেলেও তা সাইজে অনেক ছোট। আমাদের পেশা ইলিশ ধরা। আমরা যদি ইলিশই না ধরতে পারি তাহলে পরিবার নিয়ে বাঁচবো কিভাবে। বাপ-দাদার পেশা চাইলেও পরিবর্তন করতে পারিনা৷’

ঢেউখালী ইউনিয়নের পিয়াজখালী বাজারের ইলিশ মাছ ব্যবসায়ী মো. জয়নাল মোল্যা জানান, ‘ভাদ্র মাস গেলে সামনে ভালো পরিমাণে ইলিশ মাছ পাওয়া যাবে। ১০/২০ বছর আগের তুলনা এখন আর দিয়ে লাভ নাই। বিগত কয়েক বছর ধরে ইলিশ খুব কমই পওয়া যাচ্ছে পদ্মায়। আগে ইলিশ পাওয়া যেত বেশি, দাম ছিলো কম৷ আর এখন ইলিশ পাওয়া যায় কম, কিন্তু দাম অনেক বেশি। বর্তমানে পদ্মার একটি ১ কেজি সাইজের ইলিশ ৩/৪ হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ছোট সাইজও ১/২ হাজারের কম না।’

আকোটের চর ইউনিয়নের কালিখোলা বাজারে ইলিশ কিনতে আসা ক্রেতা শহিদুল মুন্সী জানান, বাড়িতে মেহমান আসছে, তাই সেই ফরিদপুর সদর থেকে আসছিলাম পদ্মার তাজা ইলিশ কিনতে। এসে দেখলাম ইলিশ কিছু আছে তবে দাম আকাশছোঁয়া। সাইজেও ছোট সব৷ যদিও এক ডালা ছোট সাইজের ইলিশ কিনেছি তবে অনেক দাম দিয়ে৷ যদি বাজারে ইলিশের পরিমাণ বেশি থাকতো তাহলে হয়তো আরো কম দামে কিনতে পারতাম।

সদরপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান জানান, ‘পানি প্রবাহের সাথে ইলিশের আনাগোনার একটা ভালো সম্পর্ক রয়েছে। নদীতে পনি বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন জেলেদের জালে তুলনামূলক ইলিশ কম ধরা পড়ছে। বিগত ২ সপ্তাহ হলো মেঘনাতে বেশ ভালো পরিমাণে ইলিশ ধরা পরছে। সে হিসাবে আমরা আশা করতে পারি পানি একটু কমলে পদ্মায়ও ভালো পরিমাণে ইলিশ ধরা পড়বে।’

এ বিষয়ে সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকিয়া সুলতানা জানান, ‘আমরা যদি ইলিশের প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ ধরা বন্ধ করি এবং জাটকা ইলিশ ধরা থেকে বিরত থাকি তাহলে কিন্তু ইলিশের উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হবে। আমরা উপজেলা প্রশাসন সরকারি নিষেধাজ্ঞার সময় নিয়মিত পদ্মায় অভিযান পরিচালনা করি। ওই সময়ে পদ্মায় ইলিশ শিকার করলে জেলেদের জেল-জরিমানাও করি কিন্তু তার পরেও বহু জেলে লুকিয়ে এবং রাতের আধারে ইলিশ শিকার করে। এতো বিশাল পদ্মায় ২৪ ঘন্টা অভিযান পরিচালনা করেও একেবারে ইলিশ শিকার বন্ধ করা সম্ভব হয়না। জেলেরা যদি প্রতি বছর সরকারি নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি মানতো তাহলে হয়তো ইলিশ সংকট কিছুটা হলেও দূর করা যেত।’

ফরিদপুরে মাদকসেবনকারী দুই যুবকের কারাদণ্ড-অর্থদণ্ড

আলফাডাঙ্গা প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বুধবার, ২০ আগস্ট, ২০২৫, ৮:২৬ পিএম
ফরিদপুরে মাদকসেবনকারী দুই যুবকের কারাদণ্ড-অর্থদণ্ড

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় টিটোল মল্লিক (৩৭) ও মেহেদী হাসান (২৬) নামে দুই মাদকসেবনকারী যুবককে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।এছাড়া একজনকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও দুই মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আরেক জনকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

বুধবার (২০ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার হেলেঞ্চাহাটি গ্রামে এ অভিযান চালান উপজেলা সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম রায়হানুর রহমান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং পুলিশ সদস্যরা।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, টিটোল মল্লিক উপজেলার হেলেঞ্চাহাটি গ্রামের আতিয়ার মল্লিকের ছেলে। মেহেদী হাসান একই গ্রামের আতিয়ার রহমানের ছেলে। তারা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক কারবারসহ সেবন করে আসছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের মাদকসেবন অবস্থায় আটক করা হয়।

বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম রায়হানুর রহমান বলেন, দুই জনের স্বীকারোক্তির প্রেক্ষিতে তাদেরকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক বাবুলের মুক্তির দাবিতে ফরিদপুরে বিক্ষোভ 

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২০ আগস্ট, ২০২৫, ৭:৫৩ পিএম
কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক বাবুলের মুক্তির দাবিতে ফরিদপুরে বিক্ষোভ 

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খান বাবুলের সাজা বাতিল ও নি:শর্ত মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ফরিদপুর জেলা ও মহানগর কৃষক দল।

বুধবার (২০ আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে বিক্ষোভ মিছিলটি ফরিদপুর প্রেসক্লাব চত্বর থেকে শুরু হয়ে জনতা ব্যাংকের মোড়ে গিয়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন নেতাকর্মীরা।

ফরিদপুর মহানগর কৃষকদলের সভাপতি অ্যাড. মামুন অর রশিদের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ কে এম কিবরিয়া স্বপন, যুগ্ন আহবায়ক আজম খান, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রশিদুল ইসলাম লিটন, জেলা কৃষকদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ভিপি শহিদুল ইসলাম, মহানগর কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জহির, জেলা কৃষকদলের সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক বুলেট মেম্বার, যুগ্ন আহবায়ক মো. সোহেব শেখ, মহানগর কৃষকদলের সিনিয়র সহসভাপতি আবু বকর সিদ্দিক, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রতন প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আমলে মিথ্যা মামলায় শহিদুল ইসলাম বাবুলকে সাজা প্রদান করা হয়েছে। তারা অনতিবিলম্বে বাবুলের সাজা বাতিল করে নি:শর্ত মুক্তির দাবি জানান।