খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১ আশ্বিন, ১৪৩২

সালথার খোয়াড় গ্রামে শাপলার নয়নাভিরাম সৌন্দর্য, দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড়

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: রবিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৫, ৫:৩৭ পিএম
সালথার খোয়াড় গ্রামে শাপলার নয়নাভিরাম সৌন্দর্য, দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড়

‘ভাসমান বিল-দোপ কিংবা পুকুরের পানি ডিঙিয়ে তাৎক্ষণিক সৌন্দর্যখচিত সাদা শাপলা ফুলগুলোকে একটু স্পর্শ করার সাধ সত্যিই অতুলনীয়। কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে সেই ইচ্ছে কিছুটা পূর্ণতা পায় তখন। শাপলার কোমলতা যেমন মন ছুঁয়ে যায়, তেমনি এর সরল সৌন্দর্যে লুকিয়ে থাকে এ গ্রামের নিঃশব্দ কাব্য।’

কথাগুলো বলছিলেন ফরিদপুরের সালথার আটঘর ইউনিয়নের খোয়াড় গ্রামের মো. হেমায়েত ফকির (৪০)। তিনি পেশায় একজন চাকরিজীবী।

এই খোয়াড় গ্রাম ঘেঁষে রাস্তার দক্ষিণ পাশে দোপের (বিল) পানিতে সবুজ পাতার ওপর মাথা উঁচু করে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে সাদা শাপলা। আর এ সৌন্দর্য এক নজর দেখতে প্রতিদিন সকালে ও বিকেলে অসংখ্য মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন। এসময় কেউ করছেন ক্যামেরাবন্দী কেউবা সৌন্দর্য উপভোগ করছেন শাপলার।

আর এ গ্রামটির সৌন্দর্যে ঘেরা মায়াভরা শাপলা ফুলের বর্ণনা এভাবেই করছিলেন হেমায়েত ফকির।

হেমায়েত ফকির বলেন, ‘মায়াময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর আমার শৈশব-কৈশোরের বেড়ে উঠা গর্বের ছোট্ট একটি গ্রাম ‘খোঁয়াড় গ্রাম’। যে গ্রামটির সৌন্দর্য বর্ষাকালে আরো বহুগুণ বাড়িয়ে দেয় জাতীয় ফুল শাপলা। সাদা শাপলা যেমন বাংলাদেশের জনগণের প্রতীক। তেমনিভাবে শাপলার সাদা রং আমাদের গ্রামের সহজ-সরল মানুষের আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে, তেমনি পাপড়িগুলোর মতোই সুন্দর এদের মন। গ্রামের উত্তর ও দক্ষিণ পাশের বর্ষার থইথই পানি আর সাথে সাদা শাপলা ফুল আমাদের গ্রামটিকে এক নৈসর্গিক সৌন্দর্য রুপে ধরা দেয়। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন থেকে এ সৌন্দর্য রক্ষাতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে গ্রামটি হতে পারে ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য তীর্থস্থান এবং গ্রামীণ জনপদের জীবন-জীবিকার অন্যতম প্রতিচ্ছবি।’

‘দখিনা হওয়ায় এ গ্রামটিতে আকাশের তারারা যেন খসে পড়েছে জলের ওপর। বিপুল জলরাশির উপরিভাগে ফুটে থাকা অজস্র শাপলা শোভা পাচ্ছে। নয়নাভিরাম সৌন্দর্য। দেখলে মন ভরে যায়। গ্রাম-বাংলার অকৃত্রিম রূপ ছায়া মায়া সবই যেন ধারণ করে আছে এই শাপলার বুকে। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ এই শাপলার মাঝে সৌন্দর্য খুঁজে পায়। বর্ষা এলে এ গ্রামে শুধু মাটি নয়, হৃদয়ও জেগে ওঠে। আর সেই জাগরণের নিঃশব্দ সাক্ষী হয়ে ওঠে শাপলা ফুল। সাদা, সবুজ আর গোলাপি রঙে সে জানান দেয় প্রকৃতির শুদ্ধ সৌন্দর্যের গল্প।’ – কথাগুলো বলছিলেন গ্রামটির আরেক চাকরিজীবী মাফিকুল ইসলাম।

মাফিকুল ইসলাম বলেন, ‘খোয়াড়ের এ দোপে গেলে চারিদিক থেকে ভেসে আসে বিভিন্ন প্রজাতির পাখির কোলাহল। হাঁটার মধ্যে ভেসে আসা মৃদু বাতাস বেশ ভালোই লাগে, এছাড়াও রয়েছে দেশী প্রজাতির হরেক রকমের মাছের আনাগোনা। এটি আশেপাশের পরিবেশকে মনোমুগ্ধকর করে তুলেছে।’

খোয়াড় গ্রামের আবু মুসা নামের এক যুবক বলেন, ‘এই শাপলার দোপে শুকনোর সময় পেঁয়াজ আর পেঁয়াজ শেষে পাটের চাষ করা হয়। আর এই ক্ষেতে প্রাকৃতিকভাবে প্রতি বছর গজায় শাপলা ফুলের গাছ। আর এ মনোমুগ্ধকর পরিবেশে শাপলা ফুলের হাসি দেখতে আশপাশের এলাকার তরুণ-তরুণীসহ নানা বয়সের মানুষ প্রতিদিন সেখানে ভিড় জমায়।’

স্থানীয় মোস্তফা কামাল নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘ভাদ্র-আশ্বিন মিলে শরৎ। শরৎ মানেই নদীর তীরে কাশফুল, গাছে গাছে শিউলি, বেলি, জুঁই, শেফালি আর বিলে-ঝিলে শাপলা ফুলের সমারোহ। তবে শুধু সৌন্দর্যই নয়, আমাদের জীবিকারও সুযোগ সৃষ্টি করেছে জাতীয় ফুল শাপলা। খোয়াড় গ্রামের শাপলা ফুল দেখতে নৌকা নিয়ে ভাসতে দেখা যায় অসংখ্য মানুষকে। আমরাও এ শাপলার সৌন্দর্য উপভোগ করি।’

মামুনুর রশিদ নামের এক যুবক বলেন, ‘এ গ্রামের দোপের চারিদিকে সবুজ আর সবুজ। তার মাঝখানে চোখ জুড়ানো সাদা শাপলা ফুলের সমারোহ। পানির উপর ফুটে থাকা সাদা শাপলা ফুলের অপরূপ সৌন্দর্য যে কাউকে মুগ্ধ করবে। চোখে না দেখলে নজরকাড়া সৌন্দর্যের উপলব্ধি করা যাবে না। নীরব, শান্ত এক দুপুরে শাপলা হয়ে উঠতে পারে আপনার মানসিক প্রশান্তির দিশারি।’

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ‘এ গ্রামের মানুষ শাপলার ভাসমান ফুলের মধ্য দিয়ে ডিঙি নৌকা কিংবা তাল গাছের ডোঙা চালিয়ে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যান। যেতে যেতে অপরূপ সৌন্দর্য অবলোকন করেন। কেউ কেউ হাত বাড়িয়ে তুলে নেয় দু-একটি শাপলা ফুল। দুরন্ত কিশোর-কিশোরীরা আবার নিজেরাই ছোট নৌকা নিয়ে বের হয়ে পড়ে। নৌকার পাটাতন ভর্তি করে শাপলা নিয়ে বাড়ি ফেরে তারা।’

তাদের দাবি, ‘একসময় এ গ্রামের মানুষ ও কিশোর-কিশোরীরা বিলঝিলে ও দোপে ডুব দিয়ে শালুক তুলে আনত। শাপলার শেকড়ের সঙ্গে যুক্ত শালুক সেদ্ধ করে খেয়ে জীবন বাঁচাতেন অনেকে। এখন গ্রামীণ অর্থনীতিও দ্রুত বদলাচ্ছে। মাটির নিচ থেকে শালুক তুলে খাওয়ার লোক তেমন চোখে পড়ে না। তবে অনেকেই শাপলা ফুল সবজি হিসেবে রান্না করে খাচ্ছেন।’

সালথা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুদর্শন শিকদার বলেন, ‘এ উপজেলার খাল-বিল ও পুকুরে প্রতিবছরই বর্ষায় শাপলা ফুল ফোটে। এ সৌন্দর্য উপভোগ করতে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ ছুটে আসে। আমরাও মাঝেমধ্যে ছুটির দিনে এ সৌন্দর্য উপভোগ করতে যাই। বাংলাদেশে সারা বছর শাপলা কম বেশি সব জায়গায়ই হয়। তবে বেশি হয় বর্ষা আর শরৎকালে। শাপলা গ্রামের মানুষ সবজি হিসেবে খেতে খুব পছন্দ করে। আর এ ফুলের বীজ ও গুঁড়ো দিয়ে খই বানানো হয়।’

শাপলা ভাজি করে খেতে খুব মজা। এতে পুষ্টিগুণও আছে। জলজ সবুজ ডাটায় আছে ভিটামিন, খনিজ ও আঁশ রয়েছে বলে যোগ করেন এ কৃষি কর্মকর্তা।

যেভাবে যেতে পারেন এ শাপলাফুলের রাজ্যে:

ফরিদপুর শহর থেকে বাস কিংবা অটোতে করে ০৮-১০ কি.মি পেরিয়ে ঠেনঠেনিয়া কিংবা বালিয়াগট্টি বাজারে প্রথমে নামবেন। এখান থেকে পুনঃরায় অটোরিকশা বা ভ্যানে করে খোয়াড়গ্রামে গেলেই দেখতে পাবেন শাপলা ফুলের এই মায়াবী সৌন্দর্য।

 

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় তান্ডব : পুলিশের ৮ গাড়ি ও ১৯ মোটরসাইকেল ভাঙচুর

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১১:১৭ পিএম
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় তান্ডব : পুলিশের ৮ গাড়ি ও ১৯ মোটরসাইকেল ভাঙচুর

ফরিদপুর-৪ আসনের ভাঙ্গা উপজেলার দুটি ইউনিয়ন পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ-আন্দোলনের অংশ হিসেবে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে থানা, হাইওয়ে থানা ও উপজেলা পরিষদে আগুন-হামলা-ভাঙচুর চালিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, আন্দোলনকারীরা প্রথমে উপজেলা পরিষদের হল রুমে ঢুকে শতাধিক চেয়ার, ১০টি ফ্যান ও ৩৫ টির বেশি লাইট ভাঙচুর করে। এরপর তিনতলা বিশিষ্ট উপজেলা পরিষদ ভবনের প্রতিটি তলায় সাতটি করে মোট ২১টি কক্ষে ভাঙচুর চালানো হয়। এ সময় সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয় এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের বিভিন্ন কক্ষের কাচ ও আসবাবপত্র ভাংচুর করা হয়। এসময় উপজেলা পরিষদ চত্বর ও অফিসার্স ক্লাবের গ্যারেজে থাকা সাতটি মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া উপজেলা অফিসার্স ক্লাবও ভাঙচুর করা হয়।

এদিকে, ভাঙ্গা থানায় হামলা চালিয়ে পুলিশের তিনটি গাড়ি ও একটি বড় রিজার্ভ ভ্যান ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। থানা চত্তরে থাকা অন্তত চারটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়। থানার ব্যানার ও ভবনের কাচ সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাংচুর করা হয়।

অপরদিকে, ভাঙ্গা হাইওয়ে থানায় আন্দোলনকারীরা ব্যাপক হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে। আন্দোলনকারীরা চারটি পিক-আপ, একটি রেকার, একটি জলকামান গাড়ী, আটটি মোটরসাইকেল, একটি এম্বুলেন্স ও দুইটি আলামতের গাড়ী ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।

ভাঙ্গা বাজার ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম জানান, থানা, হাইওয়ে ও উপজেলায় ভাঙচুরের সময় লোকজন হঠাৎ করে রামদা-লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করে। ওইসব অস্ত্র দিয়ে তাণ্ডব চালায় এবং পেট্রল দিয়ে মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। আর এসব করতে আধা ঘণ্টার মতো সময় লাগে।

ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. রোকিবুজ্জামান বলেন, হামলা-ভাংচুরের সময় কয়েকজন কনস্টেবলকে কৌশলে থানা থেকে বের করে দেওয়া হয়। আর আমরা কয়েকজন থানার রান্না ঘরের পাশে একটি বাথরুমে আশ্রয় নেই। হামলাকারীরা গাড়ী, মোটরসাইকেলসহ অফিসের ল্যাপটপ, টিভি থেকে শুরু করে এমন কোথাও নেই যে ভাংচুর করতে বাকি রেখেছে। তারপরও বিস্তারিত দেখে পরবর্তীতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণের তথ্য জানানো যাবে।

ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মিজানুর রহমান এ ব্যাপারে কোন কথা বলতে রাজি হননি।

প্রসঙ্গত, ফরিদপুর-৪ আসনের ভাঙ্গা উপজেলা থেকে আলগী ও হামিরদী নামে দুটি ইউনিয়ন কেটে নিয়ে ফরিদপুর-২ আসনের নগরকান্দায় সংযুক্ত করার প্রতিবাদে দুই সপ্তাহ ধরে আন্দোলন করে আসছেন স্থানীয় জনতা। তারা আসনগুলোর পূর্বের অবস্থায় বহাল চান। আন্দোলনের অংশ হিসেবে রোববার থেকে টানা তিন দিন বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সোমবার দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচি চলছে। বেলা ১১টা থেকে ঢাকা-বরিশাল ও ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। এরপর ভাঙ্গা উপজেলা সদরে এসে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটানো হয়।

উপস্থিত ছিলেন খন্দকার নাসিরুল ইসলাম / নরওয়ের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সাথে বিএনপির প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১১:০৮ পিএম
উপস্থিত ছিলেন খন্দকার নাসিরুল ইসলাম / নরওয়ের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সাথে বিএনপির প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ

নরওয়ের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আন্দ্রেয়াস ক্রাভিক এর সাথে সাক্ষাৎ করেন বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল।
এসময় বিএনপি প্রতিনিধি দল নরওয়ের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সাথে বাংলাদেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। বিশেষ করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে এক দীর্ঘ সময় আলোচনা হয়।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর এক টার দিকে নরওয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অসলোতে সাক্ষাৎকারটি অনুষ্ঠিত হয়।

বিএনপির প্রতিনিধি দলের অন্যতম নেতা, ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

বিএনপির প্রতিনিধি দল মন্ত্রীকে বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ১৬ বছর ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত এবং আগামী সংসদ নির্বাচনে ভোট দেয়ার অধির আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছে। বিএনপি বাংলাদেশে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চায় এবং আগামী নির্বাচন পর্যবেক্ষন করতে মন্ত্রী আন্দ্রেয়াস ক্রাভিক সহ নরওয়ের সরকারের প্রতিনিধি দলকে বাংলাদেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষন করতে আমন্ত্রন জানান এবং মন্ত্রী আন্দ্রেয়াস ক্রাভিক বিএনপি প্রতিনিধি দল কে ধন্যবাদ জানিয়ে তাদের আমন্ত্রন গ্রহণ করেন এবং বাংলাদেশে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

এ সময়ে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, নরওয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র উপদেষ্টা ক্রিস্টিন লুন্ডেন, দক্ষিন এশিয়া বিষয়ক সহকারী পরিচালক ট্রিম ওস্ট সোনস্টেড। বিএনপির প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন, ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এবং মিটিংয়ের সমন্বয়কারী মোহাম্মদ খায়রুজ্জামান লিংকন, নরওয়ে বিএনপির সভাপতি বাদল ভূঁইয়া প্রমুখ।

সালথা প্রেসক্লাবের সভাপতি নুরুল ইসলাম নাহিদ, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম

সালথা প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৯:৩৭ পিএম
সালথা প্রেসক্লাবের সভাপতি নুরুল ইসলাম নাহিদ, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম

ফরিদপুরের সালথা প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন (২০২৫-২৬) অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকার প্রতিনিধি নুরুল ইসলাম নাহিদ ও সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন দৈনিক সমকালের সাইফুল ইসলাম।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

সভাপতি পদে নুরুল ইসলাম নাহিদ পেয়েছেন ১২ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী দৈনিক খোলা কাগজ ও ‘চ্যানেল এস’ টিভির প্রতিনিধি আবু নাসের হুসাইন পেয়েছেন ১১ ভোট।

আর সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী দৈনিক সমকালের সাইফুল ইসলাম পেয়েছেন ১৭ ভোট।তার প্রতিদ্বন্দ্বী দৈনিক আজকালের খবর পত্রিকার প্রতিনিধি মনির মোল্যা পেয়েছেন ০৬ ভোট।

অন্যান্য পদের মধ্যে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে বাংলানিউজ২৪.কম ও দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার প্রতিনিধি হারুন-অর-রশীদ ১৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

এছাড়া সহ-সভাপতি পদে দৈনিক পল্লী বাংলা পত্রিকার প্রতিনিধি লিয়াকত হোসেন মিঞা, দৈনিক দিনকালের প্রতিনিধি মো. আজিজুর রহমান (আজিজ) ও দৈনিক নয়াদিগন্তের প্রতিনিধি মো. রেজাউল করিম নির্বাচিত হয়েছেন।

এ নির্বাচনে অর্থ-সম্পাদক পদে দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন পত্রিকার প্রতিনিধি মোশাররফ হোসেন মাসুদ নির্বাচিত হন।

যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার প্রতিনিধি মো. শফিকুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক পদে দৈনিক সময়ের আলো পত্রিকার প্রতিনিধি মো. লাভলু মিয়া , সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার প্রতিনিধি মো. পারভেজ মিয়া, সাহিত্য ও পাঠাগার সম্পাদক পদে দৈনিক সমাজের বাণীর নিজাম তালুকদার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে দৈনিক কালবেলার প্রতিনিধি আকাশ সাহা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়।

অন্যদিকে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে দৈনিক যায়যায়দিন ও ডেইলি অবজারভার পত্রিকার প্রতিনিধি এম কিউ হোসাইন বুলবুল, দৈনিক মানবজমিনের শরিফুল হাসান ও দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার প্রতিনিধি জাকির হোসেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।