খুঁজুন
শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৫, ৮ কার্তিক, ১৪৩২

‘এ.কে আজাদের গাড়ীবহরের হামলায় যুবদলের কোনো নেতাকর্মী যুক্ত নয়, দাবি যুবদলের’

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৫, ২:৪৫ পিএম
‘এ.কে আজাদের গাড়ীবহরের হামলায় যুবদলের কোনো নেতাকর্মী যুক্ত নয়, দাবি যুবদলের’

oppo_0

ফরিদপুর জেলা যুবদল সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেছেন- ‘গত রবিবার (১৯ অক্টোবর) ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের পরমানন্দপুর বাজারে শেখ হাসিনার ডামি নির্বাচনের স্বতন্ত্র এমপি এ.কে আজাদের গাড়ি বহরে হামলা সংক্রান্ত বিষয়ে কয়েকটি গণমাধ্যমে অতিরঞ্জিত ও উদ্দেশ্য-প্রণোদিত সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় সাধারণ জনমনে ছাড়াও দলের নেতাকর্মী ও সমর্থনের মাঝে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া সারাদেশে যুবদলের ভাবমূর্তিকে ক্ষুন্ন করার অপপ্রয়াসের একটি অংশ বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। ফরিদপুর জেলা যুবদল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ওই সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছে। এছাড়া ঘটনার সঙ্গে যুবদলের কোনো নেতাকর্মী যুক্ত নয় বলে দাবি করা হয়।’

বুধবার (২২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ফরিদপুর জেলা যুবদলের উদ্যোগে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ‌সেখানে জেলা যুবদল এ দাবি করেন।

ফরিদপুর প্রেসক্লাবের ‌মরহুম অ্যাডভোকেট শামসুদ্দিন মোল্লা মিলনায়তনে ‌এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন- জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ‌মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘গত রবিবার সদর উপজেলার পরনন্দপূর বাজারে যুবদলের নেতৃত্বে এ.কে আজাদের গাড়ি বহরে হামলার যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা ভিত্তিহীন। প্রকৃতপক্ষে, ওইদিনের ঘটনা সাথে ফরিদপুর জেলা যুবদলের কোন নেতাকর্মী বা কোন ইউনিটের নেতৃবৃন্দের সংশ্লিষ্টতা নেই, তারা কেউ ঘটনাস্থলে উপস্থিতও ছিলেন না। যা ওইদিনের ঘটনায় প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজেই পরিষ্কার রেকর্ড রয়েছে। বরং সম্প্রতি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ.কে আজাদ যুবদলকে জড়িয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে যেই বক্তব্য দেন, সেই মিথ্যা ভিত্তিহীন বক্তব্যের সত্যতা যাচাই-বাছাই ছাড়াই কয়েকটি মিডিয়ায় প্রকাশিত ও প্রচারিত হওয়ায় এই বিভ্রান্তির অবতারণা হয় বলে প্রতীয়মান হয়েছে। স্পষ্টভাবে জানাচ্ছি যে, ওই ঘটনায় জেলা যুবদলের ন্যূনতম সম্পৃক্ততা নেই, যুবদলের কোন নেতৃবৃন্দের কোন উপস্থিতি বা সংশ্লিষ্টতা সেখানে ছিলোনা। ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নে যুবদলের সংগঠনিক কমিটি বিদ্যমান নেই।”

লিখিত বক্তব্যে আর বলেন, ‘বাস্তবতা হলো- জনরোষের শিকার হয়ে ওইদিন এ.কে আজাদ তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতির মুখে ওই স্থান ত্যাগ করতে বাধ্য হন। কারণ এ.কে আজাদের গাড়িবহরের সাথে নিষিদ্ধঘোষিত পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মামলার আসামীদের দেখতে পেয়ে স্থানীয় জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। তখন তারা ফ্যাসিবাদবিরোধী নানা স্লোগান দিতে থাকলে পাল্টা স্লোগানে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। ওইদিন ঘটনাস্থলে জাতীয়তাবাদী যুবদলের কোন লিফলেট বিতরণ বা অন্য কোন কর্মসূচিও ছিলোনা।’

সংবাদ সম্মেলন থেকে বলা হয়, ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল সবসময় উদার গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাসী। তারা সব ধরনের মত ও পথের অবাধ বিচরণে বিশ্বাসী। বিএনপি সবসময় জনগণের শক্তিতে বলিয়ান একটি রাজনৈতিক দল। জনগণই তাদের ক্ষমতার একমাত্র উৎস। নির্বাচন কমিশনের বিদ্যমান আইন মেনে যে বা যারাই মাঠ পর্যায়ে তাদের তৎপরতা চালাবে, গণতান্ত্রিক দল হিসেবে তাদের কর্মকান্ডকে তারা স্বাগত জানায় এবং শ্রদ্ধাশীল। কোন বিশেষ ব্যক্তি বা সংগঠনের প্রতি প্রতিহিংসাবশত কোন তৎপরতায় তারা বিশ্বাসী নয় কিংবা কখনো সমর্থনও করেনা। এমতাবস্থায়, তারা ফরিদপুরের বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতার নিরসনে এবং আগামীর গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে সাংবাদিকদের বস্তুনিষ্ট ও নিরপেক্ষ ভূমিকা প্রত্যাশা করেন।’

ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি আশরাফুজ্জামান দুলালের সভাপতিত্বে এবং প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন পিয়ালের সঞ্চালনায় ‌এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ‌মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। বক্তব্য রাখেন- জেলা যুবদলের সভাপতি মো. ‌রাজিব হোসেন।

এ সময় ফরিদপুর মহানগর যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এম ইউসুফ,‌ মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ‌আলী রেজাওয়ান বিশ্বাস তরুণ, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি ‌জাহিদুর রহমান, যুবদল নেতা ‌হেমায়েত হোসেন হেলাল, সহ-সাধারণ সম্পাদক‌ মো. নাসির খান, কোষাধ্যক্ষ ইলিয়াস মোল্লা, মৎস্য ও প্রাণী বিষয়ক সম্পাদক‌‌ গালিব ইবনে হান্নান‌‌ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলন শেষে যুবদলের পক্ষ থেকে ‌ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহর প্রদক্ষিণ করে ‌জনতা ব্যাংকের মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে ‌সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন- ‌মহানগর যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এম ইউসুফসহ ( ভিপি ইউসুফ) যুবদলের নেতৃবৃন্দ।

ইস্কনের দ্বারা গুম-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টির আহ্বান তাহাফফুজে দ্বীন পরিষদের

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৫, ৬:২৩ পিএম
ইস্কনের দ্বারা গুম-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টির আহ্বান তাহাফফুজে দ্বীন পরিষদের

বাংলাদেশে সম্প্রতি ইসকন কর্তৃক পরিচালিত খুন, গুম এবং মুসলমানদের উপর নির্যাতন ও প্ররোচণামূলক কর্মকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তাহাফফুজে দ্বীন পরিষদ বাংলাদেশ।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে গণমাধ্যম পাঠানো
এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মাদ জাকির হুসাইন ফরিদী এবং মহাসচিব মুফতী মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ইসকনের নামে দেশে যে ধরনের গুম, খুন এবং উসকানিমূলক ও বিদ্বেষপূর্ণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে, তা বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি, শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক হুমকি।’

নেতৃদ্বয় বলেন, “আমরা দেশের সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমান ও আলেম সমাজকে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। বিশেষ করে, দেশের সব মসজিদের সম্মানিত ইমাম ও খতিবদের প্রতি আমাদের অনুরোধ— ‘আজকের জুমার খুতবায় যেন মুসল্লিদের সামনে ইসকন কর্তৃক পরিচালিত এই সন্ত্রাস ও নির্যাতনের বিষয়টি তুলে ধরা হয়, যাতে মানুষ সত্যটি জানতে পারে এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে পারে।”

সংগঠনটি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলে—
“ধর্মীয় সম্প্রীতি ও জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার্থে উগ্রবাদী সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে হবে। ইসকন একের পর এক উসকানিমূলক ও ঘৃণাবাদী জঙ্গি কার্যক্রম চালাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্ত ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি।”

রাতে বাসর, সকালে সালথায় আখক্ষেতে মিলল বরের ঝুলন্ত লাশ

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৫, ৫:৫৮ পিএম
রাতে বাসর, সকালে সালথায় আখক্ষেতে মিলল বরের ঝুলন্ত লাশ

পারিবারিকভাবে হয় বিয়ে। ধুমধামে বরযাত্রী নিয়ে কনেকে আনা হয় বরের বাড়িতে। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে রাতে নবদম্পতিকে পাঠানো হয় বাসরঘরে। তবে ভাগ্যের নির্মম পরিহাস- সকালেই আখক্ষেতের বেড়ার বাঁশের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় বরের লাশ পাওয়া যায়।

ঘটনাটি ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের পিসনাইল গ্রামে ঘটে।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকালে পিসনাইল গ্রামের মাঠে একটি আখক্ষেতের বেড়ার বাঁশের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় বরের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত বরের নাম মো. জামাল ফকির (২৮)। সে পিসনাইল গ্রামের মো রোজব ফকিরের ছেলে। চার ভাই ও দুই বোনের মধ্যে জামাল ছিলেন সেজো। তবে বরের এই মৃত্যু নিয়ে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে। পরিবারের দাবি, জামাল গলায় গামছা পেঁচিয়ে আখক্ষেতের বেড়ার বাঁশের আড়ার সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। আর স্থানীয়রা বলছেন, আখক্ষেতের বেড়ার ওই বাঁশের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করা অসম্ভব।

বরের পরিবার জানান, গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে পারিবারিকভাবে পাশ্ববর্তী নগরকান্দা উপজেলার পুরাপাড়া ইউনিয়নের ঘোনাপাড়া গ্রামের মো. লিটন ভূঁইয়ার মেয়ে রোকেয়া আক্তারকে (২৩) বিয়ে করেন জামাল ফকির। বিকেলে কনেকে নিয়ে বাড়িতে আসেন বর। রাতে নবদম্পতি বাসরঘরে শুয়ে ছিলেন।

শুক্রবার সকালে পিসনাইল গ্রামের মাঠে নিজ বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে একটি আখক্ষেতের বেড়ার বাঁশের সাথে গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় বর জামালের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান স্থানীয় কৃষকরা। পরে পরিবারের সদস্যরা গিয়ে লাশটি নামিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসেন।

স্থানীয়রা জানান, গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় আখক্ষেতের বেড়ার বাঁশের যেভাবে মরদেহ ঝুলে ছিল, তাতে মনে হয় না সে আত্মহত্যা করেছে। কারণ বাঁশের আড়ার উচ্চতা ছিল ২ থেকে আড়াই ফুট। সেখানে ঝুলে আত্মহত্যা করলে পা মাটিতে মিশে যাবে।

 

নিহত বরের স্ত্রী রোকেয়া বলেন, সকালে মানুষের চিৎকার শুনে দরজা খুলতে গেলে দেখি দরজার বাইরে শিকল লাগানো। পরে প্রতিবেশীরা দরজা খুলে দিলে দেখি আমার স্বামীর লাশ জমির মধ্যে পড়ে আছে।

নিহতের বড় ভাই জালাল ফকির বলেন, আমার ভাইয়ের মৃত্যুর বিষয়টি খুবই রহস্যজনক। সে কারও সঙ্গে কোনো শত্রুতা করেনি। ঠিক কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল, বুঝে উঠতে পারছি না।

 

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার ওই ছেলেটি বিয়ে করেন। রাতে বাসর ঘরে নতুন বউকে তিনি শুয়ে ছিলেন। সকালে বাড়ির পাশে একটি আখক্ষেতের বেড়ার বাঁশের আড়া থেকে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান পরিবার। ধারণা করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

ফরিদপুরে বাসের পিছনে ট্রাকের ধাক্কা, নিহত ২

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৫, ১২:৪৩ পিএম
ফরিদপুরে বাসের পিছনে ট্রাকের ধাক্কা, নিহত ২

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের ভাঙ্গামুখী লেনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসের পেছনে দ্রুতগামী ট্রাকের ধাক্কায় দু’জন নিহত হয়েছেন। এতে কমপক্ষে ৭ জন আহত হয়।

শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) ভোর রাতে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার তারাইল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে শিবচর হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে হতাহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

নিহতরা হলেন, মাগুরার শালিখা উপজেলার ঘোষগাতী গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে মিনহাজুর রহমান সাকিব (২৪) এবং পাবনার বেড়া উপজেলার বনগ্রাম এলাকার জুয়েল রানার স্ত্রী ফারজানা ইয়াসমিন (৩০)।

শিবচর হাইওয়ে থানা সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সাতক্ষীরাগামী যমুনা লাইন পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা মেট্রো ব-১৫-৯১৪৯) দ্রুতগতিতে চলার সময় প্রথমে অজ্ঞাত একটি গাড়ির পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে বাসটির সামনের অংশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দুর্ঘটনার পর যাত্রীরা নেমে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকলে, একই লেনে থাকা ঝিনাইদহগামী একটি ট্রাক (ঝিনাইদহ ট-১১-১৬৬১) এসে বাসটির পেছনে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই পরিবহনের যাত্রী মিনহাজুর রহমান সাকিব নিহত হন এবং অন্তত ৭ জন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক গুরুতর আহত ফারজানা ইয়াসমিনকে মৃত ঘোষণা করেন।

ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রোকিবুজ্জামান বলেন, ঘটনাটি ভাঙ্গা উপজেলার মধ্য হলেও এটি শিবচর হাইওয়ের এরিয়ার মধ্যে। এ কারণে বিষয়টি শিবচর হাইওয়ের থানা পুলিশ দেখবেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে শিবচর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম জানান, ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনায় দুইজন মারা গেছেন এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।