খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

‘আ’লীগ জনগণকে শোষণ করে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে’ – শামা ওবায়েদ

সালথা প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৭:১৮ পিএম
‘আ’লীগ জনগণকে শোষণ করে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে’  – শামা ওবায়েদ
বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম বলেছেন, ”আ.লীগের আমলে ঘরে ঘরে ডেভিল তৈরি হয়েছে। অপারেশন ডেভিল হান্টের নামে শয়তান ধরার যে অভিযান শুরু করেছে, আমরা চাই এরা তাদের ধরুক। আ’লীগ জনগণকে শোষণ করে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে অথচ গ্রামে একটা রাস্তা বানাতে পারে নাই।’
সোমবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের পুরুরা মৃধাপাড়া অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক পরিবারের দুর্দশা সরেজমিনে পরিদর্শনকালে শামা ওবায়েদ এসব কথা বলেন।
শামা ওবায়েদ বলেন, আমরা একটি গণতান্ত্রিক সরকার চাই। যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করবে। নিজেদের নয় বরং জনগণের ভাগ্যের উন্নয়ন করবে।’
এসময় তিনি মৃধাপাড়া ও পার্শ্ববর্তী তুঘলদিয়া গ্রামে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ছয়টি কৃষক পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ সহায়তা করেন। তিনি অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক পরিবারগুলো যাতে পুনর্বাসনের জন্য সরকারের সহায়তা পায় সে ব্যাপারেও তাদের আশ্বস্ত করেন।
এসময় সালথা উপজেলা বিএনপির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী এমদাদ আলী খসরু, সিনিয়র সহ-সভাপতি বাবুল তালুকদার, সালথা উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ফরিদপুরে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ কর্মীকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিল জনতা

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫, ৮:৩২ পিএম
ফরিদপুরে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ কর্মীকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিল জনতা
ফরিদপুরে আকাশ ওরফে লিংক টু আকাশ (২৯) নামের এক ছাত্রলীগ কর্মীকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে আমজনতা।
বুধবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় ফরিদপুর শহরের খাবাসপুর মোড় এলাকা থেকে তাকে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দেওয়া হয়।
আকাশের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলকে পিছন থেকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া পতিত আ’লীগ সরকারের সময়ে নানা অপকর্মে জড়িত ছিল আকাশ।
ফরিদপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সৈয়দ আদনান হোসেন অনু বলেন, ‘বিগত আ’লীগ সরকারের সময়ে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্মী আকাশ একটি প্রোগ্রামে কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম বাবুলকে পিছন থেকে কুপিয়ে জখম করেন। এছাড়া নানা সময়ে আমাদের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করেছে সে। এ ধরনের একজন অপরাধীকে উৎসুক জনতা ধরে পুলিশে দেওয়াকে স্বাগত জানাই।

ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মোরশেদ জানান, এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নিতে পুলিশ কাজ করছে।

ফরিদপুরে কয়লা কারখানায় যৌথ বাহিনীর অভিযান, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫, ১২:০১ পিএম
ফরিদপুরে কয়লা কারখানায় যৌথ বাহিনীর অভিযান, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে অবৈধ কয়লার কারখানায় সেনা ক্যাম্প, থানা পুলিশ ও জেলা বন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে কারখানার তত্ত্বাবধানে দায়িত্বে থাকা যুবলীগ নেতা মির্জা আব্বাস মিলনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মঙ্গলবার (১৩ মে) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অভিযানে আদালত পরিচালনা করেন বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর হাসান চৌধুরী।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সহস্রাইল দেউলি এলাকায় মৃধা ট্রেডার্স নামে একটি কয়লার কারখানা নির্মাণ করে গাছ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করে আসছিল কারখানাটি। ওই কারখানার দায়িত্বে ছিলেন উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও শেখর ইউনিয়নের সহস্রাইল গ্রামের বাসিন্দা মির্জা আব্বাস মিলন। যৌথ বাহিনীর অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর হাসান চৌধুরী, জেলা বন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর মো. জাহিদ হাসান।
এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর হাসান চৌধুরী ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে কারখানার দায়িত্বে থাকা মির্জা আব্বাস মিলনকে বায়ুদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২২ আইনে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে আগামী ৭ দিনের মধ্যে কারখানাটি অপসারণ করার নির্দেশ দেন। অপসারণ না করলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর হাসান চৌধুরী বলেন, কয়লা কারখানার তত্ত্বাবধায়কে থাকা মির্জা আব্বাস মিলনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ সময় কারখানাটি আগামী ৭ দিনের মধ্যে অপসারণ করে নেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ফরিদপুরে আট মাস ধরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন দেড় হাজার পরিবারে

তানভীর তুহিন, সদরপুর (ফরিদপুর)
প্রকাশিত: বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫, ১১:২৬ এএম
ফরিদপুরে আট মাস ধরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন দেড় হাজার পরিবারে
হঠাৎ করে সাবমেরিন ক্যাবলে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় প্রায় ৮ মাস ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার দিয়ারা নারিকেল বাড়িয়া ও চরনাসিরপুর ইউনিয়নের বাসিন্দারা। এতে চরম দুর্ভোগে দিন পার করছে ইউনিয়ন দুটির প্রায় দেড় হাজার পরিবার। দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে। চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
জানা গেছে, জনবসতি স্থাপনের ২ যুগেরও বেশি সময় পর ২০২০ সালে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয় ইউনিয়ন দুটিতে। বিদ্যুৎ পৌঁছে যাওয়ায় বদলে যায় চরের ২০ হাজার বাসিন্দাদের জীবনযাত্রা। কিন্তু গত ৮ মাস আগে সাবমেরিন ক্যাবলটিতে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখনো মেরামত না হওয়ার বিদ্যুৎহীন দুই চরের বাসিন্দারা। নষ্ট হয়ে গেছে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম। স্বাভাবিক জীবনযাপনের পাশাপাশি ব্যহত হচ্ছে ব্যবসা ও শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা।
চরনাসিরপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা আমেনা খাতুন বলেন, আমার স্বামী পরিশ্রম করে বাড়িতে এসে গরমে কষ্ট করে। টাকা পায়সা খরচ করে বাড়িতে ফ্রিজ এনেছি, বিদ্যুৎ এর লাইন নিয়েছি। এই সবইতো এখন কাজে আসছে না৷
দিয়ারা নারিকেল বাড়িয়া ইউনিয়নের এসএসসি পরীক্ষার্থী লিমা আক্তার বলেন, বাসায় বিদ্যুৎ নেই। অন্ধকারের মধ্যে লেখাপড়া করতে হচ্ছে। এই গরমে এতো কষ্ট করে পরীক্ষা দিয়ে ভালো ফল করতে পারবো বলে মনে হয়না। আমরা তাড়াতাড়ি বিদ্যুৎ চাই।
দিয়ারা নারিকেল বাড়িয়া ইউনিয়নের আরেক বাসিন্দা রাজা মিয়া বলেন, ঘরে ঘরে ফ্রিজ ও টেলিভিশন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ডিস ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। এলাকাবাসী অনেকটা আপসেট রয়েছে যে এই বিদ্যুৎ আবার কবে আসবে।
দিয়ারা নারিকেল বাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির সরদার বলেন, কর্তৃপক্ষেকে জানাতে চাই, যত দ্রুত সম্ভব আমাদের এ ইউনিয়নে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হোক৷ আমাদের এ ইউনিয়নের বাসিন্দারা এই গরমে অনেক কষ্টে আছে।
সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিয়া সুলতানা বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ এর জিএমকে বিষয়টি আমি পত্রের মাধ্যমে বলেছি এবং ওভার ফোনে আমি রেগুলার কমিনিউকেশন করছি। উনি খুব দ্রুতই এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিবে। আবার যাতে বিদ্যুৎ এই জনপদে আসে উনি এটা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
পল্লী বিদ্যুৎ-২ ঢাকা অঞ্চলের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মো. শাখাওয়াত হোসেন মুঠোফোন বলেন, বহুবার চেষ্টা করা হয়েছে, ক্যাবলের উপর এমন বালি পড়ে এটা দিয়ে হয়না৷ বিকল্প কিভাবে বিদ্যুৎ দেওয়া যায় এটা নিয়ে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের বড় একটা কমিটি কাজ করছে।