খুঁজুন
রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৭ বৈশাখ, ১৪৩২

নারী পুলিশের ওপর হামলাকারীকে পুলিশে দিলেন বিএনপি নেতা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ১১:১৯ এএম
নারী পুলিশের ওপর হামলাকারীকে পুলিশে দিলেন বিএনপি নেতা

ঢাকার সাভারে তুচ্ছ ঘটনায় পুলিশের এক নারী কনস্টেবলকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করার অভিযোগে নিজের গাড়ি চালককে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন এক বিএনপি নেতা।

রোববার (৯ মার্চ) রাতে অভিযুক্ত সোহেল বাবুকে সাভার মডেল থানায় সোপর্দ করেন সাভার পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান উল্লাহ।

এর আগে গতকাল দুপুরে ওই নারী কনস্টেবলের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।

 

ভুক্তভোগী ওই নারী কনস্টেবলের নাম ইতি খানম। তিনি গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানায় কর্মরত আছেন এবং সাভার মডেল থানার কোয়ার্টারে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। অভিযুক্ত সোহেল বাবু সাভার পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান উল্লাহর গাড়ি চালক হিসেবে কাজ করতেন। ঘটনার পর তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

ভুক্তভোগী পুলিশ কনস্টেবল ইতি খানম জানান, তিনি গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানায় দায়িত্ব পালন করছেন। বাসায় তার প্রতিবন্ধী সন্তানের পরিচর্যা করতে একটু দেরি হয়। এদিকে সড়কে যানজট সৃষ্টি হওয়ায় রিকশা চালককে দ্রুত এক পাশ দিয়ে যেতে বলেন তিনি। এসময় সোহেল নামে ওই চালককে অনুরোধ করে সাইড দিতে বলেন ইতি খানম। সাইড দিতে বলার সঙ্গে সঙ্গে তুই-তোকারি করে অকথ্য ভাষায় গালাগাল দিতে থাকে সোহেলে এবং একপর্যায়ে লোহার রড দিয়ে মারতে শুরু করেন।

পুলিশ জানায়, দুপুরে ওই নারী কনস্টেবল রিকশাযোগে এনাম মেডিকেলের দিকে যাচ্ছিলেন। তিনি এনাম মেডিকেলের পিছনে পৌঁছালে প্রাইভেটকার চালক সোহেল বাবু তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে লোহার রড় নারী কনস্টেবলের ওপর হামলা করেন। পরে স্থানীয়রা ইতি খানমকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। চিকিৎসা শেষে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী।

বিএনপি নেতা আহসান উল্লাহ বলেন, অভিযুক্ত সোহেল বাবু আমার গাড়ির চালক হিসেবে কাজ করতেন। ঘটনার সময় হয়তো আমি গাড়িতে থাকলে এমন কিছু ঘটতো না। খবর পেয়ে আমি গাড়ি চালক সোহেল বাবুকে অব্যাহতি দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছি। আমি কখনই অন্যায়ের পক্ষে ছিলাম না এবং থাকবও না। অপরাধের পরিচয় কেবল অপরাধীই। সে যেই হোক তাকে আইনের আওতায় জন্য সহযোগিতা করা আমাদের সবার দায়িত্ব। সেই দায়িত্ববোধ থেকেই আমি আমার গাড়ির চালককে থানায় সোপর্দ করেছি।

সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) জুয়েল মিয়া জানান, এব্যাপারে থানায় অভিযোগ হলে বিষয়টি গাড়ির মালিককে অবগত করা হয়। পরে তিনি নিজেই সেই চালককে থানায় নিয়ে দিয়ে যান।

তিনি আরও বলেন, অভিযোগ ভিত্তিতে অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে যথাযথ আইনি ব‍্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে নারী দালাল আটক

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:৩৮ পিএম
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে নারী দালাল আটক
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে হেলেনা আক্তার (৪৫) নামের এক নারী দালালকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
রবিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
থানা ও এলাকা সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিয়োগকৃত কর্মচারী না হয়েও রোগীদের জিম্মি করে অর্থ আদায় করে আসছিলেন হেলেনা আক্তার। হাসপাতালের আইডি কার্ড ব্যবহার করে রোগীদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে নানা সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ওই নারীর বিরুদ্ধে।
বিষয়টি জানতে পেরে রবিবার দুপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরাসহ স্থানীয়রা হেলেনা আক্তারকে হাতে নাতে আটক করে। পরে পুলিশের কাছে তাকে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় হাসপাতালের পক্ষ থেকে কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেছে।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পিযুষ কান্তি বিশ্বাস জানান, হাসপাতালের কর্মচারী না হয়েও দীর্ঘদিন যাবত হাসপাতালে আসা রোগীদের সাথে প্রতারণা করছিল হেলেনা আক্তার। এমন অভিযোগে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা তাকে হাতে নাতে আটক করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালে ওই নারীকে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় হেলেনা আক্তারের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাদি হয়ে মামলা করেছেন।

ফরিদপুরের অবৈধ পাঁচ দোকানঘর ভেঙ্গে দিল ইউএনও

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:৩৫ পিএম
ফরিদপুরের অবৈধ পাঁচ দোকানঘর ভেঙ্গে দিল ইউএনও
ফরিদপুরের সদরপুরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে ৫টি দোকান ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। অভিযানকালে ৫টি দোকান ঘর ভাঙ্গা ছাড়াও সদর বাজারের একটি শেড ঘর দখলমুক্ত করা হয়।
রবিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলা সদরের স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন ইউএনও জাকিয়া সুলতানা।
অভিযান সূত্রে জানা যায়, জেলার সদরপুর উপজেলা সদর বাজারে সরকারি জায়গায় অবৈধবাবে দোকানঘর উঠিয়ে ব্যবসা করছিল কিছু প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা। উপজেলা প্রশাসন থেকে দোকানঘর সরিয়ে নিতে বার বার নোটিশ দেওয়া হলেও ওই ব্যবসায়ীরা তা কর্নপাত করেনি। এ সময় ৫টি দোকানঘর উচ্ছেদ করে সরকারি জায়গা দখল মুক্ত করা হয়।
সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিয়া সুলতানা জানান, সরকারি জায়গায় অবৈধভাবে দোকানঘর উঠিয়ে ব্যবসা করে আসছিল কতিপয় ব্যবসায়ীরা। তাদেরকে এর আগে দোকান সরিয়ে নিতে নোটিশ দেওয়া হলেও তারা তা ভেঙ্গে না নেওয়ায় অভিযান চালিয়ে ৫টি দোকান ঘর ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। এ সময় বাজারের একটি শেড ঘরও দখলমুক্ত করা হয়। এধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ভাঙ্গায় সরকারি রাস্তা দখল করে দেয়াল নির্মাণের অভিযোগ

সোহাগ মাতুব্বর, ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৪:১১ পিএম
ভাঙ্গায় সরকারি রাস্তা দখল করে দেয়াল নির্মাণের অভিযোগ
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সরকারি রাস্তা দখল করে দেওয়াল নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে বদিউজ্জামান নামে এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে।
উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের শরীফাবাদ এলাকায় ঘারুয়া টু শরীফাবাদ আঞ্চলিক সড়কে এই ঘটনা ঘটেছে। বদিউজ্জামান আব্দুল হক ব্যপারীর ছেলে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার ঘারুয়া বাজার টু শরীফাবাদ আঞ্চলিক সড়কের শরীবাদ স্কুল মোড় ব্রিজের সামনে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডির পাকা রাস্তার পশ্চিম পাশ দখল করে বাড়ির ইটের দেয়াল নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে বড় যানবাহন চলাচলে মারাত্মক দুর্ঘটনা, ব্যঘাত সৃষ্টিসহ ভবিষ্যতে রাস্তা প্রশস্তকরণেও নানা ব্যাঘাত পোহাতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, সরকারি রাস্তা ঘেঁষে বিশাল দেয়াল নির্মাণ করার কারণে বড় যানবাহন চলাচল করতে পারবে না। রাস্তা প্রশস্ত করার পথও বন্ধ করে দিচ্ছে বদিউজ্জামান। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
এই বিষয়ে বদিউজ্জামান বলেন, সরকারি রাস্তা দখলের প্রশ্নই আসে না। আমার জায়গায় রাস্তা। আমি জায়গা না দিলে রাস্তা হতো না। আমার জায়গায় আমি বাড়ির দেয়াল নির্মাণ করছি। আমাকে আপনাদের চেয়ে বড় এসিল্যান্ড ইউএনও জায়গা বুঝিয়ে দিছেন।
এই বিষয়ে ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমি ইতিমধ্যেই খবর পেয়েছি। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।