খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট, ২০২৫, ৬ ভাদ্র, ১৪৩২

ফরিদপুরে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল কিশোরের

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ৬:৩১ পিএম
ফরিদপুরে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল কিশোরের
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে ইয়াসিন খালাসী (১৬) নামে এক ওয়ার্কশপ শ্রমিক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় রায়হান ও সজীব নামে দুই যুবককে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়।
রবিবার (১১ মে) দুপুরে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শনিবার (১০ মে) দিনগত রাত ১০টার দিকে উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের থানমাত্তা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইয়াসিন খালাসী ওই গ্রামের জাহাঙ্গীর খালাসীর ছেলে।
এদিকে ইয়াসিনের মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে প্রতিপক্ষ বাদশা শরীফের বাড়িসহ অন্তত ১০-১২টি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটের ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার থানমাত্তা গ্রামে বহু পুরাতন একটি বটগাছ রয়েছে। সেই বটগাছের নিচে স্থানীয় নুরা নামে একজন আসর বসিয়ে রাতভর গানবাজনা করতেন। গত দুই বছর হলো তিনি মারা যান। এরপর থেকে তার স্ত্রী হালিমা সেখানে বসবাস করেন। গত কয়েক মাস আগে বটগাছের একটি ডাল দোকানের ওপর পড়লে ডালটি কেটে ফেলেন শরীফ গ্রুপের দোকান মালিক। সেই ডাল কাটাকে কেন্দ্র করে হালিমার পক্ষ নেন জাহাঙ্গীর খালাসী। অন্য গ্রুপের পক্ষ নেন বাদশা শরীফ ও আলমগীর শরীফ।
এ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এর জের ধরে শনিবার রাত ১০টার দিকে থানমাত্তা বটতলা এলাকা থেকে ইয়াসিন খালাসীকে পার্শ্ববর্তী কালামৃধা ইউনিয়নের ফুলমাল্লিক গ্রামের আউয়াল বেপারীর ছেলে ইসমাইল বেপারীকে দিয়ে ইয়াসিনকে ডেকে নেয়। পরে পার্শ্ববর্তী নির্জন এলাকায় ব্রিজের নিচে ধানক্ষেতে নিয়ে ইয়াসিনকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়।
নিহত ইয়াসিনের বাবা জাহাঙ্গীর খালাসি জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা ডেকে নিয়ে নির্জন স্থানে ধানক্ষেতে আমার ছেলেকে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। কিন্তু খুনিদের ভেতরে দুইজন আহত হলে তাদের লোকজনের খবরে আমার ছেলেকে দেখতে পাই। তা না হলে ছেলের মরদেহও পাওয়া যেত না। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আলমগীর সরদার বলেন, খুনে অভিযুক্তদের পক্ষে দুজন ঠেকাতে গিয়ে তারাও আহত হয়েছেন। তারা হচ্ছেন ওই গ্রামের ফকু শেখের ছেলে রায়হান শেখ (১৮) ও তার আত্মীয় সজীব মাতব্বর। তার বাড়ি কাশেমপুর এলাকায়।
আজিমনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাজাহান হাওলাদার বলেন, যতটুকু জানতে পেরেছি নিহত ইয়াসিনের সঙ্গে কালামৃধা গ্রামের কয়েকজন কিশোরের পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, মৌখিকভাবে ঘটনা জানতে পেরেছি। পূর্ব শত্রুতার জেরে ডেকে নিয়ে খুন করা হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল থেকে নিহতের মরদেহ এসে পৌঁছেনি। অফিসিয়াল কোনো কাগজপত্রও পাইনি। নিহতের মরদেহ আসার পর বিস্তারিত তথ্য জানানো সম্ভব হবে।

ফরিদপুরে মাদকসেবনকারী দুই যুবকের কারাদণ্ড-অর্থদণ্ড

আলফাডাঙ্গা প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বুধবার, ২০ আগস্ট, ২০২৫, ৮:২৬ পিএম
ফরিদপুরে মাদকসেবনকারী দুই যুবকের কারাদণ্ড-অর্থদণ্ড

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় টিটোল মল্লিক (৩৭) ও মেহেদী হাসান (২৬) নামে দুই মাদকসেবনকারী যুবককে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।এছাড়া একজনকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও দুই মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আরেক জনকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

বুধবার (২০ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার হেলেঞ্চাহাটি গ্রামে এ অভিযান চালান উপজেলা সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম রায়হানুর রহমান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং পুলিশ সদস্যরা।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, টিটোল মল্লিক উপজেলার হেলেঞ্চাহাটি গ্রামের আতিয়ার মল্লিকের ছেলে। মেহেদী হাসান একই গ্রামের আতিয়ার রহমানের ছেলে। তারা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক কারবারসহ সেবন করে আসছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের মাদকসেবন অবস্থায় আটক করা হয়।

বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম রায়হানুর রহমান বলেন, দুই জনের স্বীকারোক্তির প্রেক্ষিতে তাদেরকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক বাবুলের মুক্তির দাবিতে ফরিদপুরে বিক্ষোভ 

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২০ আগস্ট, ২০২৫, ৭:৫৩ পিএম
কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক বাবুলের মুক্তির দাবিতে ফরিদপুরে বিক্ষোভ 

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খান বাবুলের সাজা বাতিল ও নি:শর্ত মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ফরিদপুর জেলা ও মহানগর কৃষক দল।

বুধবার (২০ আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে বিক্ষোভ মিছিলটি ফরিদপুর প্রেসক্লাব চত্বর থেকে শুরু হয়ে জনতা ব্যাংকের মোড়ে গিয়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন নেতাকর্মীরা।

ফরিদপুর মহানগর কৃষকদলের সভাপতি অ্যাড. মামুন অর রশিদের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ কে এম কিবরিয়া স্বপন, যুগ্ন আহবায়ক আজম খান, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রশিদুল ইসলাম লিটন, জেলা কৃষকদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ভিপি শহিদুল ইসলাম, মহানগর কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জহির, জেলা কৃষকদলের সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক বুলেট মেম্বার, যুগ্ন আহবায়ক মো. সোহেব শেখ, মহানগর কৃষকদলের সিনিয়র সহসভাপতি আবু বকর সিদ্দিক, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রতন প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আমলে মিথ্যা মামলায় শহিদুল ইসলাম বাবুলকে সাজা প্রদান করা হয়েছে। তারা অনতিবিলম্বে বাবুলের সাজা বাতিল করে নি:শর্ত মুক্তির দাবি জানান।

চরভদ্রাসনে পদ্মার ভাঙন রোধে জিওব্যাগ ডাম্পিং, মানুষের মাঝে স্বস্তি

মুস্তাফিজুর রহমান শিমুল, চরভদ্রাসন:
প্রকাশিত: বুধবার, ২০ আগস্ট, ২০২৫, ৫:১২ পিএম
চরভদ্রাসনে পদ্মার ভাঙন রোধে জিওব্যাগ ডাম্পিং, মানুষের মাঝে স্বস্তি

ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে পদ্মা নদীর ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগের ডাম্পিং করায় মানুষের মাঝে স্বস্তি দেখা দিয়েছে। গত কয়েকদিন পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি ও তীব্র স্রোতের কারণে উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাজীডাঙ্গী গ্রামে পাকা সড়কে ধসের পাশাপাশি একই ইউনিয়নের টিলারচর গ্রামে দেখা দেয় নদী ভাঙন। খবর পেয়ে ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেন ও স্থানীয় মানুষের সার্বিক খোঁজখবর নেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা খাতুন ও ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন।

বুধবার (১৯ আগস্ট) ভাঙন প্রতিরোধে আপদকালীন প্রকল্পের আওতায় সদর ইউনিয়নের হাজীডাঙ্গী গ্রামের পাকা এইচবিবি সড়ক রক্ষায় ডাম্পিং কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

সরেজমিনে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, গত কয়েকদিন স্রোতের তোরে হাজীডাঙ্গী সড়কের ধসে পড়া স্থানে জিওব্যাগ ফেলা হচ্ছে। ভাঙন রোধে ডাম্পিং কাজ শুরু হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করে নদী পাড়ের বসতি সুফিয়া বেগম (৬৭) ও নুরজাহান(৫২) বলেন, গত কয়েক রাত নদী ভাঙনের ভয়ে তারা ঘুমাতে পারে নাই। এখন তারা শান্তিতে বসবাস করতে পারবে।

ভাঙন প্রতিরোধের ডাম্পিংয়ের বিষয়ে ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন বলেন, “হাজীডাঙ্গী গ্রামের ধসে যাওয়া পাকা সড়কে আপদকালীন ভাঙন রোধে জিও ব্যাগের ডাম্পিং কাজ চলমান রয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ওই এলাকার সড়ক রক্ষায় ৪৫ মিটার জায়গায় জিওব্যাগ ফেলা হবে। এছাড়া টিলারচর গ্রামের অংশটা পানির নিচে থাকায় কাজ করা সম্ভব হচ্ছেনা। পানি কমে নদীর পাড় জাগলে ওইখানে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া ভাঙন রোধে চরভদ্রাসন উপজেলার কয়েকটি পয়েন্ট মিলে ৩.১৫ কি:মি : যায়গায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের একটি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে রয়েছে বলেও জানান পাউবোর এই নির্বাহী প্রকৌশলী”।