ফরিদপুরে ছাত্রীদের সঙ্গে শিক্ষকের নাচের ভিডিও ভাইরাল!
ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৬:৪৪ পিএম

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছাত্রীদের সঙ্গে দ্বীন মোহাম্মদ (মাসুম) নামে এক শিক্ষকের তাল মাতাল নাচের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। শিক্ষকের এমন বিতর্কিত নাচের ঘটনায় আলোচনা সমালোচনার শুরু হয়েছে অভিভাবক ও সচেতন মহলে।
ছাত্রীদের সঙ্গে ভাইরাল হওয়া ওই শিক্ষক আলফাডাঙ্গা উপজেলার কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমীর ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ২১ সেকেন্ডের ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, শিক্ষক দ্বীন মোহাম্মদ একটি হিন্দি গানের তালে তালে বিভিন্ন অঙ্গ-ভঙ্গিতে নাচানাচি করছেন। আর তাকে ঘিরে বিদ্যালয়ের একদল ছাত্রীরাও হৈ-হুল্লোড় করে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গিতে নাচানাচি করছে।
জানা যায়, চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমীতে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। ওইদিন অনুষ্ঠানের এক ফাঁকে শিক্ষক দ্বীন মোহাম্মদ বিদ্যালয়ের নবম ও দশম শ্রেণির একদল ছাত্রী নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের পাশে গান বাঁজিয়ে তালমাতাল অঙ্গভঙ্গিতে নাচানাচি করেন। পরবর্তীতে অশালীন অঙ্গভঙ্গির এমন নাচের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে অভিভাবক ও স্থানীয়দের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া জম্ম দিয়েছে। সচেতন মহলের কেউ কেউ ওই শিক্ষকের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটিতে হামিম খান নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট করা হয়েছে। এতে তিনি লিখেছেন, শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগর। নৈতিকতার শিক্ষা দেন। তিনি আমার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তিনিও শিক্ষক; নৈতিকতার শিক্ষা দিচ্ছেন কি? প্রশ্ন রেখে গেলাম?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক জানান, ‘তিনি বিদ্যালয়ে নতুন যোগদান করেছেন। ওনার জ্ঞানবুদ্ধি একটু কম আছে।’
বিষয়টি নিয়ে কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমির প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন বলেন, শিক্ষক দ্বীন মোহাম্মদ একটু সাংস্কৃতিকমনা মানুষ। অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে নাচানাচি করেনি তিনি। তবে ওইভাবে নাচানাচি করাও তার ঠিক হয়নি।
নাচানাচি করা ভুল হয়েছে স্বীকার করে শিক্ষক দ্বীন মোহাম্মদ (মাসুম) বলেন, প্রথমে আমি ছেলেদের সঙ্গে নেচেছি। পরে মেয়েরা বললে তাদের সাথেও নাচি। কিন্তু মেয়েদের সঙ্গে নাচের যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে, সেটি এডিট করে অন্য গান যুক্ত করা হয়েছে। এসব করা গোনাহের কাজ বলে তিনি জানান।
রবিবার বিকেলে এ ব্যাপারে আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিদ্যালয়ের সভাপতি রাসেল ইকবাল বলেন, বিষয়টি কিছুক্ষণ আগেই জানতে পেরেছি। যেহেতু কমিটির সভাপতি হিসেবে আমিই (ইউএনও) দায়িত্ব পালন করছি। ওইদিন কোন রিহাসেল বা অনুষ্ঠান ছিলো কি-না খোঁজ খবর নিয়ে বিষয়টি দেখা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন
Array