খুঁজুন
শনিবার, ১ নভেম্বর, ২০২৫, ১৬ কার্তিক, ১৪৩২

ফরিদপুরে তিন গুণীজন পেলেন হুমায়ূন কবির সাহিত্য পুরস্কার

পান্না বালা, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৪:২৫ পিএম
ফরিদপুরে তিন গুণীজন পেলেন হুমায়ূন কবির সাহিত্য পুরস্কার

কীর্তিমান কথাসাহিত্যিক, কবি, শিক্ষাবিদ, দার্শনিক ও ভারতের সাবেক কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী হুমায়ূন কবিরের (১৯০৬-১৯৬৯) নামে তাঁর জন্মস্থান ফরিদপুরে এই প্রথম একটি সাহিত্য পুরস্কার চালু করা হয়েছে। ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদ নামে একটি প্রতিষ্ঠান চলতি বছর থেকে এ পুরস্কার প্রবর্তন করেছে। এ বছর তিনজন গুণীকে ‘হুমায়ূন কবির সাহিত্য পুরস্কার-২০২৫’ নামে এ পুরস্কার দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। পুরস্কারপ্রাপ্ত এই তিনজন হলেন ইতিহাস গবেষণায় মোহাম্মদ আলী খান, কথাসাহিত্যে তাপস কুমার দত্ত এবং সাংবাদিকতায় সাদিয়া মাহ্জাবীন ইমাম।

 

শুক্রবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এ পুরস্কার বিতরণ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান ফরিদপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক জালাল আহমেদ। সম্মানিত অতিথির বক্তব্য দেন দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার সম্পাদক তাসমিমা হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল আহসান মোল্লা ও পুলিশ সুপার আবদুল জলিল। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের সভাপতি আলতাফ হোসেন এবং সঞ্চালনা করেন সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মফিজ ইমাম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জালাল আহমেদ হুমায়ূন কবিরের বর্ণাঢ্য জীবন সম্পর্কে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, হুমায়ূন কবির ছিলেন একজন ক্ষণজন্মা মহাপুরুষ। তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শন, ইতিহাস ও অর্থনীতিতে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অর্জন করেন, যা উপমহাদেশে প্রথম ছিল। পাশাপাশি তিনি প্রগতিশীল রাজনীতিবিদ ছিলেন।

দৈনিক ইত্তেফাক সম্পাদক তাসমিমা হোসেন বলেন, ‘আমাদের বাঙালির ঐতিহ্যের ইতিহাসকে যাঁরা সমৃদ্ধ করেছেন, তাঁদের আমরা জনসমক্ষে, আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনায় দেখি না। ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদ যেটি করেছে, সেই ধারাকে আবার পুনরুজ্জীবিত করবে। বাংলাদেশ আবার মাথা তুলে দাঁড়াবে। কাজেই আমাদের যার যতটুকু শক্তি আছে, ভালো কাজের সঙ্গে থাকব।’

অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্ত তিনজনকে নিয়ে নির্মিত তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এ তথ্যচিত্র তিনটি নির্মাণ করেছেন কথাসাহিত্যে পুরস্কারপ্রাপ্ত তাপস কুমার দত্ত। পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে সনদ, ক্রেস্ট ও নগদ ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন অনুষ্ঠানের অতিথিরা।

অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্ত তিন গুণী তাঁদের অনুভূতি প্রকাশ করে আবেগঘন বক্তব্য দেন। পুরস্কার পেয়ে সাংবাদিক সাদিয়া মাহ্জাবীন ইমাম বলেন, ‘নিজের শহর থেকে পুরস্কার পেয়ে আনন্দিত। অন্যান্য পুরস্কারের তুলনায় এতগুলো স্বজনের মধ্যে পুরস্কার পাওয়া আমার জন্য সারা জীবনের গর্ব।’

ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের সভাপতি আলতাফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদ এ বছর প্রথম কবি হুমায়ূন কবির সাহিত্য পুরস্কার প্রবর্তন করল। আমরা চাইছি এ পুরস্কার প্রতিবছর দিতে। প্রথমবার বলে এবারের আয়োজনে কিছু ভুলত্রুটি থাকতে পারে। এবারের আয়োজনের অভিজ্ঞতার আলোকে আগামী বছর থেকে সমগ্র উদ্যোগকে ঢেলে সাজানো হবে।’

 

চরভদ্রাসনে পদ্মার ভাঙনে ৩০ মিটার জিওব্যাগের বাঁধ বিলীন

মুস্তাফিজুর রহমান শিমুল, চরভদ্রাসন:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:৫২ পিএম
চরভদ্রাসনে পদ্মার ভাঙনে ৩০ মিটার জিওব্যাগের বাঁধ বিলীন

oplus_0

ফরিদপুরের চরভদ্রাসনের সদর ইউনিয়নের টিলারচর গ্রামে হঠাৎ করে দেখা দিয়েছে পদ্মা নদীর ভাঙ্গন।

গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকালে এ ভাঙনে ওই এলাকার নদী পাড়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জিওব্যাগের ডাম্পিং করা প্রায় ত্রিশ মিটার বাঁধ ও ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

ভাঙন এলাকা হতে প্রায় ৯০ মিটার দূরে রয়েছে এমপি ডাঙ্গী ও জাকেরেরশুরা হয়ে জেলা শহর ফরিদপুরের যাতায়াতের পাকাসড়ক, শতশত বসত বাড়ি ও সরকারী স্কুল।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পদ্মা নদীর পানি কমতে থাকা অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে হঠাৎ করে নদী ভাঙন দেখা দেওয়ায় আতঙ্কে রয়েছে নদী পাড়ের মানুষ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সরজমিনে ভাঙন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, এখানে নদীর তীর রক্ষা স্থায়ী বাঁধের সাথে আপদকালীন সময়ে জিওব্যাগের ডাম্পিং করা বাঁধের বড় একটা অংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া কয়েকটি অংশের মাটিতে ফাটল দেখা দিয়েছে।

ভাঙনের বিষয়ে নদী পাড়ের বসতি শেক মেতালেব (৫৩) ও মো. ইমারত হোসেন (২৫) জানায়, বুধবার সকাল থেকে ওই এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। কিছু সময় পর পর মাটির বড় বড় অংশ পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে।

তারা বলেন, দ্রুত ভাঙন রোধে কাজ না করলে বিলীন হয়ে যাবে ফসলি জমি, পাকা সড়ক সহ স্থানীয় শত শত বসত বাড়ি।

ভাঙনের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনিরা খাতুন বলেন, “আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার নিকট থেকে ওই এলাকায় নদী ভাঙনের খবর পেয়েছি। জায়গাটি পরিদর্শন করে দ্রুত ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলব।

ভাঙনের বিষয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন বলেন, “ টিলারচর গ্রামের কয়েকটি পয়েন্টে আপদকালীন ভাঙন রোধে বর্ষা মৌসুমে জিওব্যাগের ডাম্পিং করা হয়েছিল। ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া ভাঙন রোধে চরভদ্রাসন উপজেলার কয়েকটি পয়েন্ট মিলে ৩.১৫ কি.মি. জায়গায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের একটি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে রয়েছে বলেও জানান পাউবোর এই নির্বাহী প্রকৌশলী।

ফরিদপুরে কলেজ গেট স্টেশনে ট্রেন থামানোর দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:৩৬ পিএম
ফরিদপুরে কলেজ গেট স্টেশনে ট্রেন থামানোর দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

ফরিদপুর শহরের এডুকেশন জোন খ্যাত বাইতুল আমান কলেজ গেট স্টেশনে ট্রেন থামানোর দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাতে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন ফরিদপুর রেল স্টেশন পরিদর্শনে আসলে তার কাছে বাইতুল আমান এলাকাবাসী ও আশেপাশে কলেজগুলোতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা তাদের এই দীর্ঘদিনের দাবি তুলে ধরেন এবং স্মারকলিপি প্রদান করেন।

স্মারকলিপি প্রদানের সময় ফরিদপুর কলেজ গেট স্টেশনে ট্রেন থামানো দাবি কমিটির সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর সৈয়দ আলাওল হোসেন তনু, ফরিদপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সৈয়দ আদনান হোসেন অনু, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি মো. পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাহিম, ফরিদপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের সভাপতি মো. পার্থ আহমেদ, মোহাম্মদ আতিয়ার রহমান,মোহাম্মদ রোমন চৌধুরী, মো. আব্দুস সালাম সহ স্থানীয় এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, বাইতুল আমান কলেজগেটে বহু আগে থেকেই রেলের একটি স্টেশন রয়েছে, সেখানে আগে ট্রেন এসে থামতো, অজ্ঞাত কারণে এখন আর এখানে ট্রেন থামে না । এলাকাটি ফরিদপুরের মধ্যে এডুকেশন জোন নামে খ্যাত। যেখানে রয়েছে‌ ফরিদপুরের ঐতিহ্যবাহী সরকারী রাজেন্দ্র কলেজ, ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, সরকারি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট, ফরিদপুর সরকারি কলেজ, ফরিদপুর সিটি কলেজ সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ।

সবগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মিলে ৫০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। এই শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের একেক জেলার একেক প্রান্ত থেকে তারা শিক্ষা লাভের জন্য কেউ বাসে, কেউ লঞ্চে করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এবং অধিক ভাড়া দিয়ে তারা ফরিদপুর থেকে যাতায়াত করেন। অথচ বায়তুল আমান কলেজগেট স্টেশন থেকে কলেজের কোনোটির দূরত্ব ৪০০ মিটার, ৫০০ মিটার, ৬০০ মিটার। বাইতুল আমান কলেজ গেট স্টেশনে যদি ট্রেন থামানো হয় তাহলে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি দূর হবে তাদের সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমবে, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য স্বল্প ভাড়ায় তারা বাড়িতে যাতায়াত করতে পারবে।

এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি দূর করতে বাইতুল আমান রেলগেট স্টেশনে পুর্বের মতো ট্রেন থামানো নির্দেশনার মতো একটি সুন্দর সিদ্ধান্ত নিতে রেলের মহাপরিচালকের কাছে আবেদন এলাকাবাসী ও প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষার্থীর।

‘আমি এমপি হলে আমার কাছে আসতে কোন নেতা ধরতে হবে না’ — স্থপতি মুজাহিদ বেগ

সোহাগ মাতুব্বর, ভাঙ্গা:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:১৩ পিএম
‘আমি এমপি হলে আমার কাছে আসতে কোন নেতা ধরতে হবে না’ — স্থপতি মুজাহিদ বেগ

‘আমি এমপি হলে আমার কাছে আসতে কোন নেতা ধরতে হবে না। সরাসরি আমার সাথে দেখা করতে পারবেন। কথা বলতে পারবেন বলে মন্তব্য করেছেন ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মো. মুজাহিদ বেগ।’

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার তুজারপুর ইউনিয়নের উচাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এক উঠান বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মুজাহিদ বেগ বলেন, ‘আমি যদি ফরিদপুর-৪ আসনের এমপি নির্বাচিত হতে পারি তাহলে আমি আপনাদেরকে নিয়ে এই আসনটি এমনভাবে সাজাবো যাতে বাংলাদেশের মধ্যে রোল মডেল হিসেবে তৈরি হয়।’

এসময় তিনি আরো বলেন, ফরিদপুর-৪ আসনের একটা যুবক ভাই বেকার থাকবে না। যুবক ভাইয়েরা আমার হৃদয়ে আছে। তাদের শিক্ষা নিশ্চিত করা, খেলাধুলা করার সুযোগ তৈরি করার জন্য সব করব।

হাফেজ কুব্বাত মাতুব্বরের সভাপতিত্বে ও সাগর বেগের সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন- হায়দার হোসেন, সোবাহান হোসেন, বাকী মাতুব্বর, সেলিম মাহমুদ, সহিদুল ইসলাম, আল-আমিন, মো. রাসেল মোল্লা ও সৌরভ বিশ্বাস প্রমূখ।