খুঁজুন
শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৫, ৮ কার্তিক, ১৪৩২

ফরিদপুরে নর্দমার পঁচা পানিতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে শতাধিক পরিবার, ছড়াচ্ছে রোগবালাই

মাহবুব হোসেন পিয়াল, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫, ৩:৪৪ পিএম
ফরিদপুরে নর্দমার পঁচা পানিতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে শতাধিক পরিবার, ছড়াচ্ছে রোগবালাই

ফরিদপুরে নর্দমার পঁচা পানিতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে শতাধিক পরিবার ও একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি নর্দমায় দীর্ঘদিনের পঁচা পানি থেকে সৃষ্ট মশা ও পোঁকায় ডেঙ্গু আতঙ্কে দিন কাটছে সেখানকার বাসিন্দাদের, ছড়িয়ে পড়ছে রোগবালাই। এমনকি বৃষ্টি হলে বাসাবাড়িতে ময়লাযুক্ত পানি উঠে যাওয়াসহ তলিয়ে যায় একমাত্র সড়কটিও। ফরিদপুর পৌরসভার ২২ নং ওয়ার্ডের কমলাপুর এলাকায় এমন পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই এলাকার শাহ পাগলা সড়ক সংলগ্ন প্রায় এক কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃতি রয়েছে নর্দমাটি। নর্দমা সংলগ্ন রয়েছে শেখ শাহাবুদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শেখ শাহাবুদ্দিন জামে মসজিদ। চারপাশে শতাধিক বাসিন্দাদের বসবাস, গড়ে উঠেছে একাধিক বহুতল ভবন। পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় সেখানে দীর্ঘদিন যাবৎ পানি জমে পঁচা দূর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন বাসাবাড়ি থেকে পয়ঃবর্জ্যও নর্দমাটিতে এসে জমা হচ্ছে। সেখানে জমে থাকা পঁচা পানি থেকে জন্ম নিচ্ছে মশা সহ পোকামাকড়। এছাড়া এলাকাটির অন্তত পাঁচটি স্থানে এমন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ দেখা যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা মনোয়ার হোসেন মান্নি অভিযোগ করে বলেন, “এটি ছিল একটি বড় ড্রেন বা খাল। কালের পরিক্রমায় কিছু অসাধু লোকজন, যারা সমাজ সভ্যতা কিছুই তোয়াক্কা করে না, তাঁরা দখল করে খালটি বন্ধ করে দিয়েছে। যার ফলে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় পানি জমে পঁচে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে, এডিস মশার উৎপত্তিস্থলে পরিণত হয়েছে। যার পাশে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ক্লাস করতে হচ্ছে, মসজিদের মুসল্লিরা ময়লা পানি ডিঙিয়ে মসজিদে যাচ্ছে। এই এলাকার প্রতিটি ঘরে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছে, মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে।”

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বছরের পর বছর এমন পরিবেশের বিষয়ে পৌর কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। দীর্ঘদিন যাবৎ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাঁদের। যার কারণে নানা রোগসহ ডেঙ্গুও ছড়িয়ে পড়েছে এলাকাটিতে। তাঁরা অতিদ্রুত পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।

নর্দমাটিতে ড্রেন নির্মাণের দাবি জানিয়ে পৌর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন স্থানীয় বাসিন্দা ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. এমদাদুল হক এমদাদ।

তিনি বলেন, “এই নর্দমা থেকে সৃষ্ট মশার উৎপাতে স্থানীয়রা ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বিগত দিনে এই নর্দমায় একটি বাচ্চা পড়েও মারা গেছে। আমি এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে অনতিবিলম্বে ড্রেন নির্মাণের দাবি জানাই। এই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ থেকে আমাদের মুক্ত করা হোক।” এছাড়া স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের নানা দুর্ভোগের কথা তুলে ধরেন।

এ বিষয়ে ফরিদপুর পৌরসভার প্রশাসক ও ফরিদপুর স্থানীয় সরকার বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক সোহরাব হোসেন বলেন, “এলাকাবাসী পূর্বে পৌরসভাকে অবগত করেছে কি-না সে বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে এলাকাবাসী পুনরায় অবগত করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশক নিধন অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”

ভাঙ্গায় নকশা পরিবর্তন করে বহুতল ভবন নির্মাণ, ১৫ দিনের মধ্যে অপসারণের নির্দেশ

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:৫৮ পিএম
ভাঙ্গায় নকশা পরিবর্তন করে বহুতল ভবন নির্মাণ, ১৫ দিনের মধ্যে অপসারণের নির্দেশ

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৌরসভার নকশা পরিবর্তন করে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় অনুমোদন বহির্ভূত ভবনের অংশ অপসারণের জন্য পৌর কতৃপক্ষ নির্দেশ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে (২৩ অক্টোবর) হোগলাডাংগী সদরদী গ্রামের মো. আমিনুল ইসলাম খালাসী ওরফে আদমকে চিঠি দেওয়া হয়েছে এবং তাকে অপসারণের জন্য ১৫ দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। পৌর কর্তৃপক্ষের আদেশ অমান্য করিলে ভবন মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে পৌর কর্তৃপক্ষ।

ওই ভবনের মালিক আমিনুল ইসলাম আদমের বাড়ি ভাঙ্গা পৌরসভার ০৮ নং ওয়ার্ডের হোগলাডাঙ্গী সদরদী গ্রামে। সে ওই গ্রামের আলেপ খালাসীর পুত্র।

পৌরসভার চিঠি সূত্রে জানা যায়, বিগত ১৯/০১/১২ তারিখে ভাঙ্গা পৌরসভা প্রকৌঃ ২০১২/৩৪৪ স্মারক মূলে আমিনুল ইসলামকে পাঁচতলা ইমারত নির্মাণের অনুমোদন দেন পৌরসভা। কিন্তু বিল্ডিং এর মালিক আমিনুল ইসলাম ওরফে আদম নকশা পরিবর্তন করে পাঁচতলার উপর অবৈধভাবে ছয়তলা ভবন নির্মাণ করেন। যাহা ইমারত নির্মাণ আইন বহির্ভূত। তাই পৌর কর্তৃপক্ষ ১৫ দিনের মধ্যে অবৈধ অংশটি ভেঙে ফেলার জন্য নির্দেশ দিয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযোগকারী পার্শ্ববর্তী ভবনের মালিক হাজী আব্দুল মান্নান বলেন, নকশা পরিবর্তন করে ভবনের মালিক আমিনুল ইসলাম আদম পৌরসভার নিয়ম বহির্ভূতভাবে নকশা পরিবর্তন করে ৫ তলার স্থলে ৬তলা ভবন নির্মাণ করাতে ভবনটি ঝুঁকিতে পড়েছে। তার বিডিং এর পাশে আমার ভবনটি ও ঝুঁকিতে পড়েছে। আদমের ছয়তলা ভবনটি যেমন ঝুঁকিপূর্ণ ঠিক তেমনি আমার ভবনটিও ঝুঁকিতে পড়েছে। তাই পৌর কর্তৃপক্ষ দ্রুত অবৈধ ৬তলার অংশটি ভেঙে ফেলার জন্য পৌর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।

এ বিষয়ে ভবনের মালিক আমিনুল ইসলাম খালাসী ওরফে আদম বলেন, আমি বিষয়টির না বুঝতে পেরে পাঁচতলার পরিবর্তে ছয় তলা ভবন নির্মাণ করেছি। আমি অতিরিক্ত ৬তলার অংশটি ভেঙে ফেলব।

এ ব্যাপারে পৌরসভার সার্ভেয়ার মো. রাকিব জানান, আমিনুল ইসলাম ওরফে আদম পৌরসভার নকশা ৫তলা অনুমোদন নিয়ে তিনি নকশা পরিবর্তন করে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ৬ তলা নির্মাণ করেছে। আমরা অবৈধ অংশ টি ভেঙে ফেলার জন্য ১৫ দিন সময় দিয়েছি। ১৫দিনের মধ্যে অবৈধ অংশটি না ভাঙলে এবং পৌরসভার আইন অমান্য করিলে তার বিরুদ্ধে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মধুখালীতে বাস-নসিমন মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ গেল নসিমন চালকের

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:০৬ পিএম
মধুখালীতে বাস-নসিমন মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ গেল নসিমন চালকের

ফরিদপুরের মধুখালীতে সোহাগ পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে অপর দিক থেকে আসা নসিমনের মুখোমুখি সংঘর্ষে মামুন শেখ (৩৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তি নসিমন চালক ছিলেন বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার বোয়ালিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত নসিমন চালক মামুন শেখ বোয়ালমারী উপজেলার ভীমপুর-সাতৈর গ্রামের তৈয়ব শেখের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুর্ঘটনার সময় সোহাগ পরিবহনের বাসটি ফরিদপুর থেকে মাগুরার দিকে যাচ্ছিল আর নছিমনটি মধুখালী থেকে ফরিদপুরমুখী ছিল। মুখোমুখি সংঘর্ষের পর নছিমনটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং মামুন সেখ গুরুতরভাবে আহত হন। স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

দুর্ঘটনার পরপরই সোহাগ পরিবহনের বাসচালক ও হেলপার পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে করিমপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং দুর্ঘটনাগ্রস্ত যান দুটি উদ্ধার করে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, মহাসড়কের ওই অংশে অতিরিক্ত গতির কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে, যা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

ফরিদপুরের করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন চৌধুরী বলেন, এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

চরভদ্রাসনের গোপালপুর ঘাটে লাইফ জ্যাকেট ও বয়া বিতরণ

মুস্তাফিজুর রহমান শিমুল, চরভদ্রাসন:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫, ৬:৪১ পিএম
চরভদ্রাসনের গোপালপুর ঘাটে লাইফ জ্যাকেট ও বয়া বিতরণ

ফরিদুপরের চরভদ্রাসন উপজেলার গোপালপুর ও চরমইনুট নৌ পথে স্পীডবোট যাত্রীদের জানমাল রক্ষায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে লাইফ জ্যাকেট ও বয়া বিতরণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টবর) বিকেল ৫ টার দিকে উপজেলার গোপালপুর ঘাটে স্পীডবোট চালকদের হাতে এসকল সামগ্রী তুলেদেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনিরা খাতুন।

জানা যায়, গোপালপুর ঘাট অংশের স্পীডবোট গুলোতে তিনটি করে ত্রিশটি বয়া ও বিভিন্ন সাইজের চল্লিশটি লাইফ জ্যাকেট বিতরণ করা হয়।

ইউএনও মনিরা খাতুন বলেন, গোপালপুর হতে মইনুট ঘাটে যাতায়াতকারী যাত্রীদের ভেতর অনেক শিশু থাকে। এদের মধ্যে অনেকে আবার লাইফ জ্যাকেট পরেননা। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে লাইফ জ্যাকেটের পাশাপাশি প্রতিটি বোটে তিনটি করে বয়া দেওয়া হয়েছে, যাতে করে নৌ দুর্ঘটনায় যাত্রীরা ভেসে থাকতে পারে।

এসময় স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ও স্পীডবোট চালকরা উপস্থিত ছিলেন।