ফরিদপুরের হঠাৎ দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন, আতঙ্কে মানুষ

অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান ঘটলো। জানা গেল এবারের ব্যালন ডি’অর জয়ীর নাম।
রোনালদিনহো মঞ্চে উঠে ঘোষণা করলেন পুরুষদের ব্যালন ডি’অর বিজয়ীর নাম। এবারের এই সম্মান উঠেছে উসমান দেম্বেলের হাতে।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে এবারের ব্যালন ডি’অর পুরস্কার বিজয়ীদের সম্মানিত করা হয়।
দেম্বেলের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন লামিন ইয়ামাল। তবে অনুষ্ঠানে অতিথিদের মধ্যে “উসমান! উসমান!” ধ্বনির জোয়ার বইছিল। শেষ পর্যন্ত তার হাতেই ওঠে এই পুরস্কার।
ফ্রান্স ও পিএসজির উইঙ্গার দেম্বেলে এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার প্রথমবার জিতলেন। পিএসজির হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের মতো অসাধারণ সাফল্য তাকে এই সম্মানের যোগ্য দাবিদার করে তুলেছে। এই জয় শুধু দেম্বেলের নয়, প্যারিসের জন্যও উৎসবের মুহূর্ত হয়ে দাঁড়াল।
এশিয়া কাপ সুপার ফোরে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে ফখর জামানের আউটকে ঘিরে নতুন করে অভিযোগ তুলেছে পাকিস্তান। টিভি আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট হয়ে আইসিসিকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়েছে পাকিস্তানের টিম ম্যানেজমেন্ট।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘এনডিটিভি’ এমনটাই জানিয়েছে।
রোববার দুবাইয়ে ম্যাচের শুরুতেই ওপেনিংয়ে পাঠানো হয় ফখর জামানকে। হার্দিক পান্ডিয়ার বলে এজ হয়ে বল যায় উইকেটকিপার সঞ্জু স্যামসনের হাতে। মাঠের আম্পায়ার গাজী সোহেল এবং রুচিরা পল্লিয়াগুরুগে নিশ্চিত না হয়ে সিদ্ধান্ত পাঠান টিভি আম্পায়ারের কাছে। রিপ্লে দেখে পল্লিয়াগুরুগে ক্যাচকে বৈধ ঘোষণা করেন।
তবে এক কোণ থেকে পাওয়া রিপ্লেতে বল মাটিতে লেগে গ্লাভসে উঠেছে বলে সন্দেহ হয়। ১৫ রানে আউট হওয়ার পর ফখর ক্ষোভ প্রকাশ করে কিছুক্ষণ ক্রিজে দাঁড়িয়ে থাকেন এবং মাথা নাড়িয়ে মাঠ ছাড়েন।
পাকিস্তান দলের ম্যানেজার নাভিদ চিমা অভিযোগ নিয়ে যান ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটের কাছে। তবে পাইক্রফট জানান, এটি তার এখতিয়ারভুক্ত নয়। পরে চিমা আইসিসিকে ই-মেইল পাঠিয়ে অভিযোগ জানান। পাকিস্তানের দাবি, যথেষ্ট ‘স্পষ্ট ও নিশ্চিত প্রমাণ’ ছাড়াই ফখরকে আউট দেওয়া হয়েছে এবং সব ক্যামেরা অ্যাঙ্গেলও পর্যালোচনা করা হয়নি।
ম্যাচ শেষে অধিনায়ক সালমান আলি আগা বলেন, ‘আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে নিশ্চিত নই। আম্পায়ারদের কাজ সিদ্ধান্ত দেওয়া, তারা ভুল করতেই পারে। তবে আমার মনে হয়েছে বল মাটিতে লেগে তারপর কিপারের হাতে গেছে। ফখর যদি পাওয়ার প্লে–তে খেলতে পারত, আমরা হয়তো ১৯০ রান তুলতে পারতাম। ’
গুলশান ইস্টার্ন হাউজিংয়ে প্লটের মালিক ছিলেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহেনার মেয়ে ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক। তদুপরি ঢাকা বা তার আশপাশে কোনো ফ্ল্যাট বা প্লট নেই দেখিয়ে পূর্বাচলে ১০ কাঠা প্লট নেন তিনি।
এ সংক্রান্ত মামলায় রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলমের আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে কয়েকজন সাক্ষী একথা জানান।
এদিন আদালতে সাক্ষ্য দেন ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেডের নির্বাহী মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ ফরহাদুজ্জামান, ইস্টার্ন হাউজিংয়ের অপারেটর শেখ শমশের আলী, ইস্টার্ন হাউজিংয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট এক্সিকিউটিভ সদস্য হিমেল চন্দ্র দাস এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আক্তার জাহান।
জবানবন্দিতে তারা আরও বলে, টিউলিপ সিদ্দিক ফ্ল্যাটটি পরবর্তীতে তার বোন আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তিকে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে হস্তান্তরের দাবি করেন। কিন্তু আইন অনুযায়ী রেজিস্ট্রেশনবিহীন দলিল দিয়ে হস্তান্তর আইনগতভাবে কার্যকর নয়। তাই এখনো তিনি এই ফ্ল্যাটের মালিক।
আসামিরা পলাতক থাকায় জেরা হয়নি। আদালত ৬ অক্টোবর পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন।
দুদক প্রসিকিউটর খান মো. মঈনুল হাসান (লিপন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ১৩ আগস্ট তিনটি মামলার তিনজন বাদীর জবানবন্দির মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
এর আগে প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে গত জানুয়ারিতে পৃথক ছয় মামলা করে দুদক। যার মধ্যে শেখ রেহানা ও তার সন্তানদের নামে তিনটি মামলা হয়। চার্জগঠন শুনানির সময়ে আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
তিন মামলার একটিতে টিউলিপ সিদ্দিকসহ ১৭ জন, আরেকটিতে আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তি, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববিসহ ১৮ জন এবং আরেকটিতে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববিসহ ১৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, সাবেক অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন, সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আল আসাদ, সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) নুরুল ইসলাম, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সাবেক সদস্য সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-২) শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপপরিচালক হাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবার ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। অযোগ্য হলেও তারা পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরে ১০ কাঠা করে প্লট বরাদ্দ নেন।
গত ৩১ জুলাই এসব মামলায় একই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
আপনার মতামত লিখুন
Array