খুঁজুন
শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৫, ৮ কার্তিক, ১৪৩২

সদরপুরে বিএনপির কমিটি বাতিলের তিনদিন পরই ফের বহাল

শিশির খাঁন, সদরপুর:
প্রকাশিত: শনিবার, ২৮ জুন, ২০২৫, ৬:১৩ পিএম
সদরপুরে বিএনপির কমিটি বাতিলের তিনদিন পরই ফের বহাল

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কাজী বদরুত জামান ও সদস্য সচিব মো. তরিকুল ইসলাম এর সমন্বয়ে গঠিত ৩১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি বহাল রাখা হয়েছে। শুক্রবার (২৭ জুন) রাতে নতুন করে এ সিদ্ধান্তের কথা জানা গেছে। এ ঘোষণায় সদরপুর বিএনপিতে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

তবে সদরপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে দফায় দফায় সিদ্ধান্ত বদল করে সর্বশেষ এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে কেন্দ্র।

কেন্দ্র থেকে সিদ্ধান্ত আসছে বলে জেলা কিংবা সদরপুর উপজেলা কমিটির নেতৃবৃন্দের দ্বিধাহীন চিত্তে তা মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই বলে জানিয়েছে জেলা ও ওই উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।

জন্মলগ্ন থেকে সদরপুর উপজেলা বিএনপির কমিটির সাথে বিতর্ক ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। জেলা বিএনপির ৩১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ২০২২ সালের ৩১ আগস্ট অনুমোদন দেয় বিএনপির মহা সচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ক্ষমতা হাতে পাওয়ার পর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলী ও সদস্য সচিব এ কে এম কিবরিয়া স্বপন সদরপুর উপজেলা, আলফাডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর এবং ভাঙ্গা পৌর কমিটির অনুমোদন দেয়। ৩১ সদস্য বিশিষ্ট সদরপুর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয় ২০২৩ সালের ২৬ জানুয়ারি।

জেলা বিএনপির সূত্রে জানা গেছে, ওই কমিটি চারটি গঠনের প্রক্রিয়া এবং যোগ্যব্যক্তিদের মূল্যায়ন না করে ‘পকেট কমিটি’ করা হয়েছে মর্মে জেলা বিএনপির কায়েকজন যুগ্ম আহ্বায়ক ও সদস্যসহ নয়জন এ অভিযোগ কেন্দ্রীয় বিএনপির কাছে লিখিতভাবে জানালে গঠনের এক সপ্তাহের মধ্যে সদরপুরসহ নব ঘোষিত চারটি কমিটির কাযক্রম স্থগিত করে কেন্দ্র। চলতি বছর ২০২৫ সালের ২০ মার্চ কেন্দ্রীয় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্থগিত করা চারটি কমিটির মধ্যে শুধুমাত্র সদরপুর উপজেলা কমিটির স্থগিতাদের প্রত্যাহার করেন।

এর মধ্যে গত ২ জুন এক চিঠিতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবকে একটি চিঠি দিয়ে জানান, জেলার আওতাধীন সকল ইউনিট কমিটি আগামী জুলাই মাসের মধ্যে গঠন করে ১২ জুলাইয়ের মধ্যে জেলা বিএনপি’র সম্মেলন আয়োজন করতে না পারলে ভেঙ্গে দেওয়া হবে চলমান জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি।

এ প্রেক্ষাপটে গত ১৪ জুন জেলা বিএনপি আগে গঠন করা চারটি ইউনিট কমিটি বাদে জেলার বাকি ১০টি ইউনিট কমিটি বিলুপ্ত করে ১৬ জুন থেকে ২৫ জুনের মধ্যে কর্মী সভা করে সম্মেলন প্রস্তুত আহ্বায়ক কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেয়। নতুন চারটি কমিটি ব্যাপারে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সে বিষয়ে কেন্দ্রর সিদ্ধান্ত জানতে চায়। ওই দিন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ প্রক্রিয়ার চলমান অবস্থায় গত ২২ জুন ফরিদপুর বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত বিএনপির পুনর্গঠন সংক্রান্ত সাংগঠনিক টিম প্রধান বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক (ফরিদপুর বিভাগ) শামা ওবায়েদ ও ফরিদপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই সহ সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান ও সেলিমুজ্জামান সেলিম স্বাক্ষরিত জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবকে দেওয়া চিঠিতে জানান, ‘‘ইতিপূর্বে আলফাডাঙ্গা উপজেলা, আলফাডাঙ্গা পৌর, ভাঙ্গা পৌর এবং সদস্য স্থগিত প্রত্যাহারকৃত সদরপুর উপজেলা কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন করে কর্মীসভার মাধ্যমে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠনে”-এর নির্দেশ দেয়।

এ চিঠি পাওয়ার পর জেলা বিএনপি যখন ওই কমিটিগুলি বিলুপ্ত করে কর্মীসভা আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল ঠিক সেই সময় গত ২৫ জুন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ফরিদপুরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক কমিটি ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবকে এক চিঠি দিয়ে জানান, ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলা বিএনপির কমিটি বহাল থাকবে। এছাড়া অন্য উপজেলার নতুন কমিটি গঠন করতে হবে।

ওই চিঠিতে রুহুল কবির রিজভী জানান, ২৫ জুন বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিসে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপস্থিতিতে ফরিদপুর বিভাগীয় নেতৃবৃন্দকে নিয়ে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

রুহুল কবিরের এ নির্দেশনামূলক চিঠিটি শুক্রবার (২৭ জুন) রাতে জেলা ও সদরপুর উপজেলা বিএনপির হাতে এসে পৌঁছায়।

সদরপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কাজী বদরুত জামান বলেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এ নির্দেশনামূলক চিঠিটি গত শুক্রবার রাতে আমরা পেয়েছি। আমাদের কমিটি ভাঙ্গা হচ্ছে না এবং আমরা যথারীতি বহাল আছি। এটি আমাদের কাছে একটি আনন্দের সংবাদ। ঘোষিত চারটি কমিটির মধ্যে সদরপুর বহাল রেখে অন্য তিনটি ভেঙ্গে দেওয়ায় ‘এক যাত্রায় দুই ফল হল কেন’-জানতে চাইলে সদরপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কাজী বদরুত জামান বলেন, কেন্দ্র যেটা ভালো মনে করেছে সেটা করেছে।

প্রতিক্রিয়া জানিয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ কে এম কিবরিয়া বলেন, কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের সাথে আমাদের দ্বিমত পোষন করার সুযোগ নেই। আমরা কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মেনে নেব।

ইস্কনের দ্বারা গুম-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টির আহ্বান তাহাফফুজে দ্বীন পরিষদের

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৫, ৬:২৩ পিএম
ইস্কনের দ্বারা গুম-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টির আহ্বান তাহাফফুজে দ্বীন পরিষদের

বাংলাদেশে সম্প্রতি ইসকন কর্তৃক পরিচালিত খুন, গুম এবং মুসলমানদের উপর নির্যাতন ও প্ররোচণামূলক কর্মকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তাহাফফুজে দ্বীন পরিষদ বাংলাদেশ।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে গণমাধ্যম পাঠানো
এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মাদ জাকির হুসাইন ফরিদী এবং মহাসচিব মুফতী মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ইসকনের নামে দেশে যে ধরনের গুম, খুন এবং উসকানিমূলক ও বিদ্বেষপূর্ণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে, তা বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি, শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক হুমকি।’

নেতৃদ্বয় বলেন, “আমরা দেশের সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমান ও আলেম সমাজকে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। বিশেষ করে, দেশের সব মসজিদের সম্মানিত ইমাম ও খতিবদের প্রতি আমাদের অনুরোধ— ‘আজকের জুমার খুতবায় যেন মুসল্লিদের সামনে ইসকন কর্তৃক পরিচালিত এই সন্ত্রাস ও নির্যাতনের বিষয়টি তুলে ধরা হয়, যাতে মানুষ সত্যটি জানতে পারে এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে পারে।”

সংগঠনটি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলে—
“ধর্মীয় সম্প্রীতি ও জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার্থে উগ্রবাদী সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে হবে। ইসকন একের পর এক উসকানিমূলক ও ঘৃণাবাদী জঙ্গি কার্যক্রম চালাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্ত ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি।”

রাতে বাসর, সকালে সালথায় আখক্ষেতে মিলল বরের ঝুলন্ত লাশ

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৫, ৫:৫৮ পিএম
রাতে বাসর, সকালে সালথায় আখক্ষেতে মিলল বরের ঝুলন্ত লাশ

পারিবারিকভাবে হয় বিয়ে। ধুমধামে বরযাত্রী নিয়ে কনেকে আনা হয় বরের বাড়িতে। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে রাতে নবদম্পতিকে পাঠানো হয় বাসরঘরে। তবে ভাগ্যের নির্মম পরিহাস- সকালেই আখক্ষেতের বেড়ার বাঁশের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় বরের লাশ পাওয়া যায়।

ঘটনাটি ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের পিসনাইল গ্রামে ঘটে।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকালে পিসনাইল গ্রামের মাঠে একটি আখক্ষেতের বেড়ার বাঁশের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় বরের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত বরের নাম মো. জামাল ফকির (২৮)। সে পিসনাইল গ্রামের মো রোজব ফকিরের ছেলে। চার ভাই ও দুই বোনের মধ্যে জামাল ছিলেন সেজো। তবে বরের এই মৃত্যু নিয়ে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে। পরিবারের দাবি, জামাল গলায় গামছা পেঁচিয়ে আখক্ষেতের বেড়ার বাঁশের আড়ার সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। আর স্থানীয়রা বলছেন, আখক্ষেতের বেড়ার ওই বাঁশের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করা অসম্ভব।

বরের পরিবার জানান, গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে পারিবারিকভাবে পাশ্ববর্তী নগরকান্দা উপজেলার পুরাপাড়া ইউনিয়নের ঘোনাপাড়া গ্রামের মো. লিটন ভূঁইয়ার মেয়ে রোকেয়া আক্তারকে (২৩) বিয়ে করেন জামাল ফকির। বিকেলে কনেকে নিয়ে বাড়িতে আসেন বর। রাতে নবদম্পতি বাসরঘরে শুয়ে ছিলেন।

শুক্রবার সকালে পিসনাইল গ্রামের মাঠে নিজ বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে একটি আখক্ষেতের বেড়ার বাঁশের সাথে গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় বর জামালের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান স্থানীয় কৃষকরা। পরে পরিবারের সদস্যরা গিয়ে লাশটি নামিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসেন।

স্থানীয়রা জানান, গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় আখক্ষেতের বেড়ার বাঁশের যেভাবে মরদেহ ঝুলে ছিল, তাতে মনে হয় না সে আত্মহত্যা করেছে। কারণ বাঁশের আড়ার উচ্চতা ছিল ২ থেকে আড়াই ফুট। সেখানে ঝুলে আত্মহত্যা করলে পা মাটিতে মিশে যাবে।

 

নিহত বরের স্ত্রী রোকেয়া বলেন, সকালে মানুষের চিৎকার শুনে দরজা খুলতে গেলে দেখি দরজার বাইরে শিকল লাগানো। পরে প্রতিবেশীরা দরজা খুলে দিলে দেখি আমার স্বামীর লাশ জমির মধ্যে পড়ে আছে।

নিহতের বড় ভাই জালাল ফকির বলেন, আমার ভাইয়ের মৃত্যুর বিষয়টি খুবই রহস্যজনক। সে কারও সঙ্গে কোনো শত্রুতা করেনি। ঠিক কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল, বুঝে উঠতে পারছি না।

 

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার ওই ছেলেটি বিয়ে করেন। রাতে বাসর ঘরে নতুন বউকে তিনি শুয়ে ছিলেন। সকালে বাড়ির পাশে একটি আখক্ষেতের বেড়ার বাঁশের আড়া থেকে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান পরিবার। ধারণা করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

ফরিদপুরে বাসের পিছনে ট্রাকের ধাক্কা, নিহত ২

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৫, ১২:৪৩ পিএম
ফরিদপুরে বাসের পিছনে ট্রাকের ধাক্কা, নিহত ২

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের ভাঙ্গামুখী লেনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসের পেছনে দ্রুতগামী ট্রাকের ধাক্কায় দু’জন নিহত হয়েছেন। এতে কমপক্ষে ৭ জন আহত হয়।

শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) ভোর রাতে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার তারাইল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে শিবচর হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে হতাহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

নিহতরা হলেন, মাগুরার শালিখা উপজেলার ঘোষগাতী গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে মিনহাজুর রহমান সাকিব (২৪) এবং পাবনার বেড়া উপজেলার বনগ্রাম এলাকার জুয়েল রানার স্ত্রী ফারজানা ইয়াসমিন (৩০)।

শিবচর হাইওয়ে থানা সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সাতক্ষীরাগামী যমুনা লাইন পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা মেট্রো ব-১৫-৯১৪৯) দ্রুতগতিতে চলার সময় প্রথমে অজ্ঞাত একটি গাড়ির পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে বাসটির সামনের অংশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দুর্ঘটনার পর যাত্রীরা নেমে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকলে, একই লেনে থাকা ঝিনাইদহগামী একটি ট্রাক (ঝিনাইদহ ট-১১-১৬৬১) এসে বাসটির পেছনে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই পরিবহনের যাত্রী মিনহাজুর রহমান সাকিব নিহত হন এবং অন্তত ৭ জন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক গুরুতর আহত ফারজানা ইয়াসমিনকে মৃত ঘোষণা করেন।

ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রোকিবুজ্জামান বলেন, ঘটনাটি ভাঙ্গা উপজেলার মধ্য হলেও এটি শিবচর হাইওয়ের এরিয়ার মধ্যে। এ কারণে বিষয়টি শিবচর হাইওয়ের থানা পুলিশ দেখবেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে শিবচর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম জানান, ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনায় দুইজন মারা গেছেন এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।