খুঁজুন
শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

সালথায় চলছে মাটিকাটা ও বালু উত্তোলনের মহোৎসব

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৯:৩৭ এএম
সালথায় চলছে মাটিকাটা ও বালু উত্তোলনের মহোৎসব

faridpur protidin

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বিভিন্ন স্হানে চলছে ভেকু দিয়ে মাটিকাটা, মাটি বিক্রি ও অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন। প্রশাসন কঠোর ভাবে ব্যবস্হা না নেওয়ায় থামছেনা মাটিকাটা, মাটি বিক্রি ও বালু উত্তোলন। তবে, প্রশাসন বলছে তারা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছেন।
উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের খালিশপট্টি হাজী বাড়ির পাশে, যদুনন্দি ইউনিয়নের বড় খারদিয়া শেখ পাড়া, সোনাপুর ইউনিয়নের রাঙ্গারদিয়া, বড় বাংরাইল, বল্লবদী ইউনিয়নেরর ফুলবাড়িয়া গ্রামের কুমার নদীর পাড়ের মাটি কেটে বিক্রি করছেন মাটি ব্যবসায়ীরা। আর এতে নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক। এছাড়া গট্রি ইউনিয়নর জয়ঝাপ,  বটদিয়া বাজারের পাশে কুমার  নদ থেকে অবৈধভাবে খননযন্ত্র -ড্রেজার মেশিন- দিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। বালু উত্তোলন করায় নদীর দুই পাড়ে থাকা পাকা সড়ক চরম হুমকির  মুখে পড়েছে। যে কোন সময় নদীর পাড় থেকে সড়কের কিছু অংশ ভাঙনের ঝুঁকির মুখে পড়বে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
প্রশাসন দেখেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় দৃশ্যমান কোন প্রতিবাদ জানাচ্ছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রশাসনের মতো তারাও নিশ্চুপ রয়েছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কয়েকজন বাসিন্দা জানিয়েছেন, উপজেলা প্রশাসন অবগত করলে কোনো প্রতিকার মিলছে না। ইউনিয়নের ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা এসে দেখে যায় কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
কুমার নদের দুই পাড়ের বাসিন্দারা বলেন, মাত্র কয়েক দিন  আগে কোটি কোটি টাকা খরচ করে নদের দুই পাড়ে থাকা পাকা সড়ক সংস্কার করেন কর্তৃপক্ষ। সেই সড়ক দুটি এখন চরম ঝুঁকিতে। এর আগে নদটি খনন করেন পানি উন্নয়ন বোর্ড। নদ খননের পর দুই পাড় ধ্বংসের আশঙ্কায় রয়েছে এমনিতেই। এরমধ্যে আবার নতুন করে কয়েক দিন ধরে নদের ভিতর অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছেন একটি মহল।
সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনিচুর রহমান বালী দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছেন। এই অভিযান আরও জোরদার করা হবে।

ফরিদপুরে মাত্র ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেলেন ২৭ জন

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫, ৫:৪৪ পিএম
ফরিদপুরে মাত্র ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেলেন ২৭ জন
কোনো তদবির কিংবা ঘুষ ছাড়াই মাত্র ১২০ টাকার আবেদন ফিতে পুলিশে কনস্টেবল পদে নিয়োগ পেয়েছেন ফরিদপুর জেলার ২৭ জন চাকরিপ্রার্থী।
শতভাগ মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগের এ প্রক্রিয়া পরিচালনা করেছেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আব্দুল জলিল।
সম্প্রতি পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। এ প্রক্রিয়ায় কোনো প্রার্থীকে অর্থ, পৃষ্ঠপোষকতা বা সুপারিশের আশ্রয় নিতে হয়নি। নিয়োগপ্রাপ্তদের অধিকাংশই দিনমজুর বা নিম্ন আয়ের পরিবারের সন্তান।
বুধবার (১৪ মে) রাতে ফরিদপুর পুলিশ লাইন্সে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন এসপি মো. আব্দুল জলিল।
এ তালিকায় ২৭ জনকে নিয়োগ ও আরও পাঁচজনকে অপেক্ষমাণ (ওয়েটিং) তালিকায় রাখা হয়। ফলাফল ঘোষণার পর উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে আনন্দ-উল্লাস ও আবেগঘন মুহূর্তের সৃষ্টি হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে পুলিশ কনস্টেবল পদে যাঁচাই-বাছাই কার্যক্রম শুরু হয়। জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে চাকরি প্রার্থীরা আবেদন করেন। এর মধ্যে ৪ মে অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন ৩৫৩ জন, যাদের মধ্যে ৯১ জন উত্তীর্ণ হন। পরে ১৪ মে দিনব্যাপী মৌখিক (ভাইভা) পরীক্ষা নেওয়া হয় এবং সেদিন রাতেই চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিয়োগপ্রাপ্তদের একজন  বলেন, আমার কোনো সুপারিশ ছিল না। ভেবেছিলাম চাকরিটা হবে না। কিন্তু চূড়ান্ত তালিকায় নিজের নাম সবার ওপরে দেখে বিশ্বাস করতে পারিনি। এ স্বচ্ছ ও ন্যায্য প্রক্রিয়ার জন্য বর্তমান পুলিশ প্রশাসন ও নিয়োগ বোর্ডকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
ফরিদপুর জেলা পুলিশ জানায়, নিয়োগ প্রক্রিয়াটি শতভাগ স্বচ্ছতা ও নিয়ম অনুযায়ী সম্পন্ন হয়েছে। তিনটি ধাপ—শারীরিক, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় যারা যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন, তারাই নিয়োগ পেয়েছেন।

সালথায় ৭শ’ পিস ইয়াবাসহ মাদক কারবারি আটক

ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫, ৩:৫৯ পিএম
সালথায় ৭শ’ পিস ইয়াবাসহ মাদক কারবারি আটক
ফরিদপুরের সালথায় ৭শ’ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ রমজান মোল্যা (৩৫) নামে এক মাদক কারবারীকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুরে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান।
আটককৃত রমজান মোল্যা উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের নারানদিয়া গ্রামের আফজাল মোল্যার ছেলে।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে নারানদিয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে রমজান মোল্যাকে আটক করা হয়। এসময় তার ঘরের মধ্যে থেকে ৭’শ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। আটককৃতর বিরুদ্ধে মাদকদ্র্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ফরিদপুরে ব্যানার-ফেস্টুন উচ্ছেদ: শহরের সৌন্দর্য ও পরিবেশ রক্ষায় শিক্ষার্থীরা

ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫, ৩:৪৭ পিএম
ফরিদপুরে ব্যানার-ফেস্টুন উচ্ছেদ: শহরের সৌন্দর্য ও পরিবেশ রক্ষায় শিক্ষার্থীরা
ফরিদপুর শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি এবং সড়কের ডিভাইডারে লাগানো গাছগুলো সংরক্ষণের লক্ষ্যে ব্যানার-ফেস্টুন উচ্ছেদে নেমেছে ফরিদপুর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকাল সাড়ে দশটা থেকে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে এই সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন তারা।
শহরের ভাঙ্গা রাস্তার মোড়, মেডিকেল সড়ক, নদী গবেষণা সড়ক, রাজবাড়ী রাস্তার মোড়সহ বিভিন্ন সড়কের ডিভাইডারে রোপণ করা গাছের উপর ঝুলে থাকা ব্যানার ও ফেস্টুন অপসারণ করা হয়। এই কার্যক্রমে নেতৃত্ব দেন ফরিদপুর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক কাজী রিয়াজ, মুখপাত্র কাজী জেবা তাহসিন এবং সহ-মুখপাত্র উম্মে হাবিবাসহ অন্যান্য সদস্যরা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা জানান, ব্যানার-ফেস্টুনের কারণে ফরিদপুর শহরের সৌন্দর্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষ করে সড়কের ডিভাইডারে এসব ব্যানারের কারণে গাছগুলো মারা যাচ্ছে, যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এছাড়াও, এসব ব্যানার সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। তারা বলেন, “বিশেষ করে রাজনৈতিক ও প্রচারণামূলক ব্যানার বেশি দেখা যায়। আমরা সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাই, তারা যেন গাছের ওপর ব্যানার না ঝুঁলিয়ে পরিবেশ রক্ষায় এগিয়ে আসেন। আমাদের লক্ষ্য ব্যানার-ফেস্টুন মুক্ত একটি সুন্দর ফরিদপুর।”
এই উদ্যোগে স্থানীয় বাসিন্দারা খুশি প্রকাশ করেছেন। তারা মনে করেন, এই ধরনের কার্যক্রম ফরিদপুরকে একটি স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। স্থানীয় বাসিন্দারা আশা করছেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ফরিদপুর হবে একটি পরিচ্ছন্ন ও পরিবেশবান্ধব শহর।