খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৩ পৌষ, ১৪৩২

আয়কর আদায়ে সরকার পুরোনো পথে হাঁটছে কেন?

আনোয়ার ফারুক তালুকদার
প্রকাশিত: সোমবার, ২১ জুলাই, ২০২৫, ২:৫৪ পিএম
আয়কর আদায়ে সরকার পুরোনো পথে হাঁটছে কেন?

টেলিভিশনের একটি বিজ্ঞাপনে দেখা যায়, মাটি যতই চাপ দিক না কেন, তাদের পণ্যটি ১২৫০ ফুট গভীরে যেয়েও সেই চাপ নিতে পারবে। আমাদের দেশের কেউ কেউ করদাতাদেরও ওই পণ্য মনে করেন। অর্থাৎ আপনাকে যতই চাপ দেওয়া হোক, আপনি সেই চাপ নিতে পারবেন। আপনি তা নিতে বাধ্য। আপনার কাছে কোনো উপায় নেই। কারণ আপনার বেতনদাতা বেতন দেওয়ার সময়ই আপনার কাছ থেকে কর কেটে রাখে। এটা আমাদের কর কর্তৃপক্ষের কাছে কর আদায়ের অনেক সহজ সমাধান। বাড়তি কর দরকার– করের হার বাড়িয়ে দাও। তাতে আপনার আয় কত কমলো, সে জন্য তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। এত সহজভাবে সরকারের আয় বাড়ানোর উপায় বোধ হয় এই দুনিয়ায় আর কোথাও নেই। যারা ব্যক্তি করদাতা বিশেষ করে বেসরকারি চাকরিজীবী, তাদের কপালে বছর ঘুরলেই নেমে আসে বাড়তি করের এ খড়্গ। 

প্রতিবছর বাজেট আসে; আর করদাতারা আশায় বুক বাঁধেন, কিছুটা বুঝি করের বোঝা কমবে। বাস্তবে দিন দিন এই বোঝা বেড়েই চলেছে। এদিকে নজর দেওয়ার যেন কেউ নেই। বিগত সরকার গণবিরোধী বলে পরিচিত ছিল। তাই গণআন্দোলনের মুখে সরকারটি চলে যাওয়ার পর বেসরকারি চাকরিজীবী এবং নিয়মিত করদাতারা ভেবেছিলেন, এবার হয়তো সেই দুঃখের দিনের অবসান ঘটবে। অন্তত তাদের জন্য ভালো কিছু একটা হয়তো আসবে।

এখন যিনি সরকারপ্রধান তিনি বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তি, অর্থনীতিরও শিক্ষক। বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে যারা আছেন তাদেরও অনেকে স্বনামধন্য অর্থনীতিবিদ। তারা সব সময় দেশের মানুষ, অর্থনীতি নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করে আসছেন। তাদের কাছে ন্যায়পরায়ণতা ও জনহিতৈষী পদক্ষেপ আশা করা খুব বেশি কিছু ছিল না। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, বাজেটে এ নিয়ে সদর্থক চিন্তা-চেতনার প্রতিফলন ঘটেনি। মানুষ হতাশ বললে অতিরঞ্জন হবে না।
আরও হতাশার বিষয়, পূর্বের ধারাবাহিকতায় এসেছে গতানুগতিক এক বাজেট। যেখানে সহজ পন্থায় রাজস্ব বাড়ানোর চিরাচরিত পথেই হেঁটেছে বর্তমান সরকার। যারা নিয়মিত কর দেন তাদের করের বোঝা আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। করের হার ও ধাপ বাড়িয়ে এ অপকর্মটি করা হয়েছে। আগের আয়ে যে কর আসত, নতুন নিয়মে অর্থাৎ ২০২৫-২৬ করবর্ষে তার চেয়ে ৯ শতাংশ হারে করের বোঝা বেড়ে গেছে অনেক করদাতার। আর ২০২৬-২৭ করবর্ষে কারও বার্ষিক করযোগ্য আয় (৫০ হাজার প্রতি মাসে) যদি হয়, তাঁর আয়কর বাড়বে ১২ দশমিক পাঁচ শতাংশ। এভাবে আসলে সবার করই বেড়ে গেল। তার মানে, চলমান অর্থবছর থেকে আপনার বেতন কমে গেল। এ দুঃসংবাদটা এমন সময়ে এসেছে যখন মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের ব্যয়যোগ্য আয় কমে গেছে। অর্থাৎ কর বৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষ দ্বিগুণ হারে ক্ষতিগ্রস্ত হলো। একদিকে দেখানো হয়েছে, আপনার কর রেয়াত বেড়েছে। অন্যদিকে করহার বাড়িয়ে যা রেয়াত দেওয়া হয়েছে, তার চেয়ে অধিক পরিমাণে টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে। এটাকে শুভঙ্করের ফাঁকি বললেও কম বলা হয়।

এভাবে কিন্তু খুব বেশি আয়কর সরকার পায়, তা নয়। বিশেষ করে বেসরকারি খাতে এমন পরিস্থিতিতে ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। এই যে বছরে যে পরিমাণ রিটার্ন জমা পড়ে, তার ধারকদের কিয়দংশও আয়কর দেয় না। তার কারণ বের করতে হলেও আলোচ্য বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হবে আমাদের নীতিনির্ধারকদের।
আমাদের সুস্পষ্ট প্রস্তাব হচ্ছে; করের আওতা বাড়িয়ে কর আদায় বাড়ানো হোক। করমুক্ত আয়সীমা পাঁচ লাখ টাকায় উন্নীত করার কথাও অনেক দিন যাবৎ বলা হচ্ছে। করের ধাপগুলো সমন্বয় করার গুরুত্বও উপলব্ধি করা দরকার। আমরা বলেছি, পাঁচ লাখের পরবর্তী ১,০০,০০০ পর্যন্ত ৫ শতাংশ,  পরবর্তী চার লাখ ১০ শতাংশ, পরবর্তী পাঁচ লাখ ১৫ শতাংশ, পরবর্তী ছয় লাখ ২০ শতাংশ, পরবর্তী ৩০ লাখ ২৫ শতাংশ, এর পর ৩০ শতাংশ হতে পারে। সর্বজনীন পেনশন স্কিমের মধ্যে যারা কর দিচ্ছেন, তাদের করের টাকা থেকে একটা অংশ পেনশন স্কিমে রেখে করদাতাদের জন্য আজীবন পেনশনের ব্যবস্থা করা যায়। কর থেকে সবার জন্য পেনশন স্কিমের সঙ্গে সঙ্গে হেলথ ইন্স্যুরেন্সেরও ব্যবস্থা করা কঠিন কিছু না। সহনীয় মাত্রায় কর আরোপ হলে এবং করদাতার জন্য ভবিষ্যৎ পেনশনের ব্যবস্থা করলে অধিক সংখ্যক মানুষ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে কর প্রদান করবেন– এ কথাও জোর গলায় বলা যায়।

আনোয়ার ফারুক তালুকদার: অর্থনীতি বিশ্লেষক

 

সদরপুরে সার্ভেয়ারকে কুপিয়ে জখম

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২:২৯ পিএম
সদরপুরে সার্ভেয়ারকে কুপিয়ে জখম

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জেরে এক সার্ভেয়ারকে কুপিয়ে গুরুতর জখম ও পকেট থেকে দুই লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চরবিষ্ণুপুর গ্রামের বাসিন্দা মাজাহার মোল্লা (৬৩) পেশায় সার্ভেয়ার। গত ১৫ ডিসেম্বর বিকেল আনুমানিক ৫টার দিকে তিনি মাগরিবের নামাজের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় একই গ্রামের রুবেল খান (৩৭) ও তার বাবা ইলিয়াস খান (৬২) পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মোটরসাইকেলে করে তার বসতবাড়িতে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে।

মাজাহার মোল্লা গালিগালাজে বাধা দিলে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে রুবেল খান কাঠের বাটাম দিয়ে তার মাথায় আঘাত করলে বাঁম কপালে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। অপরদিকে ইলিয়াস খান বাঁশের লাঠি দিয়ে আঘাত করলে তার বাঁম কানের ওপর কাটা জখম হয়। পরে তার প্যান্টের পকেটে থাকা নগদ দুই লাখ টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

তার চিৎকারে স্ত্রী-সন্তান ও স্থানীয়রা এগিয়ে এলে অভিযুক্তরা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। আহত মাজাহার মোল্লাকে স্থানীয়দের সহায়তায় সদরপুর হাসপাতালে নেওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

অভিযোগে আরও বলা হয়, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা তাকে ও তার পরিবারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে। এতে তিনি ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। অভিযোগকারী দাবি করেন, রুবেল খানের বিরুদ্ধে এলাকায় আগে থেকেই একাধিক অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে মাজাহার মোল্লা সদরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আল মামুন শাহ্ বলেন, এ বিষয়ে এখনও কোন অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সদরপুরে মাদ্রাসার শীতার্ত শিক্ষার্থীদের গায়ে কম্বল জড়িয়ে দিলেন ইউএনও

শিশির খাঁন, সদরপুর:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২:১৯ পিএম
সদরপুরে মাদ্রাসার শীতার্ত শিক্ষার্থীদের গায়ে কম্বল জড়িয়ে দিলেন ইউএনও

সারা দেশে জেঁকে বসেছে শীত। এই শীতে প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্রের অভাবে সবচেয়ে বেশি কষ্ট করেন গরিব অসহায় ছিন্নমূল মানুষ। শীতের তীব্রতার সঙ্গে বাড়ে তাদের কষ্টও। অসহায় এসব মানুষের কষ্ট লাঘবে কম্বল নিয়ে ছুটে যাচ্ছেন ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শরীফ শাওন।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) তিনি ছুটে যান সদরপুর উপজেলার পিয়াজখালি এতিমখান ও নলেরটেক এন্তেজামিয়া মাদ্রাসার এতিম, দুস্থ ও গরীব শিক্ষাদের কাছে। এ সময় তিনি শীতার্ত শিক্ষার্থীদের শরীরে কম্বল জড়িয়ে দেন। শীতার্ত শিক্ষার্থীরা ইউএনও প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

অফিসের দাফতরিক কাজ করে বিকালে কম্বল নিয়ে নিজেই ছুটে যান শীতার্ত মানুষের কাছে। সরকারের ত্রাণ তহবিল থেকে আসা কম্বল নিজে উপস্থিত থেকে বিতরণ করছেন ইউএনও শরীফ শাওন। সদরপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকার মাদ্রাসায় গিয়ে অসহায়, এতিম ও গরীব শিক্ষার্থী-মানুষদের গায়ে কম্বল জড়িয়ে দিচ্ছেন ইউএনও।

এ বছর চাহিদার তুলনায় শীতবস্ত্রের বরাদ্দ কম কিন্তু দরিদ্র মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায় প্রকৃত অসহায়, গরিব ও দুস্থদের কাছে কম্বল বিতরণ করতে এমন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তিনি। ত্রাণ তহবিলের এসব কম্বল পেয়ে হাসি ফুটছে শীতার্ত শিক্ষার্থীদের মুখে।

এই ব্যাপারে সদরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শরীফ শাওন বলেন, আমরা প্রত্যন্ত এলাকার মাদ্রাসায় গিয়ে দুস্থ, এতিম ও গরীব, শিক্ষার্থীদের কম্বল তুলে দিচ্ছি। প্রয়োজনে বেসরকারিভাবে আরও কম্বল সংগ্রহ করে অসহায় শীতার্তদের মাঝে বিতরণ করা হবে। আমাদের বিতরণের এ ধারা অব্যাহত থাকবে।

ফরিদপুরে সরিষা ফুলে হলুদ গালিচা, কৃষকের মুখে হাসি

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১:৫৯ পিএম
ফরিদপুরে সরিষা ফুলে হলুদ গালিচা, কৃষকের মুখে হাসি

ফরিদপুরের মাঠজুড়ে এখন চোখ জুড়ানো সরিষা ফুলের হলুদ আভা। জেলার সদরসহ ভাঙ্গা, বোয়ালমারী, মধুখালী, সালথা ও নগরকান্দা উপজেলার বিস্তীর্ণ কৃষিজমিতে সরিষা ফুলে ছেয়ে গেছে চারপাশ। শীতের শেষে বসন্তের আগমনে এই হলুদ গালিচা প্রকৃতি যেমন সাজিয়েছে, তেমনি আশার আলো দেখাচ্ছে কৃষকদের চোখে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে ফরিদপুর জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গাছে গাছে ভালো ফুল এসেছে এবং ফলনও আশাব্যঞ্জক হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সরিষা চাষি কৃষকরা জানান, এবার বীজ বপনের পর পর্যাপ্ত শীত ও কুয়াশা না থাকায় গাছের বৃদ্ধি ভালো হয়েছে। পাশাপাশি পোকার আক্রমণ তুলনামূলক কম হওয়ায় চাষে বাড়তি খরচও হয়নি। ফলে উৎপাদন খরচ কমে লাভের সম্ভাবনা বেড়েছে।

ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষক রহিম মোল্যা ‘ফরিদপুর প্রতিদিন‘কে বলেন, “গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার সরিষা খুব ভালো হয়েছে। ফুল দেখে বুঝা যাচ্ছে ফলন ভালো হবে। বাজার দাম ঠিক থাকলে লাভবান হবো।”

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার সংবাদকর্মী আবু নাসের হোসাইন ‘ফরিদপুর প্রতিদিন‘কে বলেন, ‘সরিষা ফুল সৌন্দর্যের প্রতীক। এছাড়া সরিষার তেল মানবদেহের জন্য খুবই উপকারী। তাইতো, কৃষকরা অন্য ফসলের পাশাপাশি সরিষার আবাদ করে থাকে। অন্যদিকে, সরিষার দাম ও চাহিদা ভালো থাকায় কৃষকরা সরিষা চাষে ঝুঁকছেন।’

এদিকে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষকদের পাশে থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। মাঠপর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা নিয়মিত জমি পরিদর্শন করছেন।

ফরিদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ডিডিএ) কৃষিবিদ মো. শাহাদুজ্জামামান ‘ফরিদপুর প্রতিদিন’কে বলেন, “চলতি মৌসুমে ফরিদপুর জেলায় সাড়ে ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। আবহাওয়া এখন পর্যন্ত অনুকূলে রয়েছে। রোগবালাই কম হওয়ায় ফলন ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”

তিনি বলেন, ‘সরিষা চাষে উদ্বুদ্ধ করতে জেলায় ১২ হাজার কৃষকদের প্রণোদনা হিসেবে সার ও বীজ দেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, “কৃষকদের আধুনিক চাষ পদ্ধতি ও উন্নত জাতের বীজ ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে, কৃষকদের সঙ্গে নিয়মিত গ্রুপ মিটিং করা হচ্ছে যাতে তেলজাত ফসল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করা যায়।”

সরিষা ফুলের সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিনই গ্রামের পাশাপাশি শহর থেকেও মানুষ ভিড় করছেন মাঠের ধারে। অনেকেই ছবি তুলছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করছেন এই হলুদ সৌন্দর্যের দৃশ্য।

কৃষি বিভাগ আশা করছে, সরিষা উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে ভোজ্যতেলের ঘাটতি কমবে এবং কৃষকরা আর্থিকভাবে আরও শক্তিশালী হবেন। একই সঙ্গে ফরিদপুরের কৃষি অর্থনীতিতে সরিষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।