খুঁজুন
বুধবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৫, ২৯ শ্রাবণ, ১৪৩২

আলফাডাঙ্গায় পৌর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে ছাত্র জনতার বিক্ষোভ মিছিল

আলফাডাঙ্গা প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বুধবার, ২৫ জুন, ২০২৫, ৮:১৩ পিএম
আলফাডাঙ্গায় পৌর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে ছাত্র জনতার বিক্ষোভ মিছিল

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা পৌরসভার প্রকৌশলী জাকারিয়া আলম ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিক্ষুব্ধ ছাত্রজনতা।

বুধবার (২৫ জুন) দুপুর ১২ টার দিকে বিক্ষোভ মিছিলটি আলফাডাঙ্গা সদর বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পৌর সভা কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করেন।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি জুবায়ের হোসেন রবিন, রায়হান রনি ও এম এফ আরিফ।

সমাবেশে ছাত্র জনতার প্রতিনিধি হিসেবে বক্তৃতায় তারা বলেন, পৌর সভার প্রকৌশলী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা ঈদ-উল-ফিতর এ ভিজিএফ চাউল বিতরণ অনিয়ম, চাউল বিতরণ মাস্টাররোল ৪ মাস পর অফিসে বসে স্বাক্ষর জাল করে নতুন করে তৈরী করা, নাগরিক সেবা থেকে জনসাধারণকে ভোগান্তিতে ফেলা, পৌর সভার অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে টেন্ডার ও নোটি বিহীন, কোটেশন ও পিআইসির মাধ্যমে কয়েকটি নামমাত্র প্রতিষ্ঠান এর নাম ব্যবহার করে নিজেরা ২০২৪/২০২৫ অর্থ বছরের টিআর, এডিপি সকল প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। অনেক প্রকল্প সম্পূর্ণ কাজ শেষ না করে এই অর্থ বছর প্রকল্পের টাকা উত্তোলন করে নিয়েছেন।

এ বিষয়ে প্রকৌশলী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেন, আমরা কোন অনিয়ম বা কোন ধরনের দুর্নীতি করিনি।

জানতে চাইলে পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাসেল ইকবাল বলেন, বিক্ষোভ মিছিল শেষে আমার নিকট ছাত্র প্রতিনিধির একটি দল এসেছিল, তারা আমার নিকট একটি লিখিত আবেদন করেছে। আবেদনটি খতিয়ে দেখে যদি কোন অনিয়ম পাওয়া যায় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যদি কোন অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয় তাহলে অভিযোগ কারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফরিদপুরে এনসিপি নেতার পদত্যাগ 

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫, ৭:৩৫ পিএম
ফরিদপুরে এনসিপি নেতার পদত্যাগ 

ফরিদপুরে মো. রুবেল মিয়া (হৃদয়) নামের জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এক নেতা পদত্যাগ করেছেন। তিনি এনসিপির ফরিদপুর জেলা কমিটির সদস্য।

সোমবার (১১ আগস্ট) সন্ধ্যায় রুবেল মিয়া (হৃদয়) পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পদত্যাগপত্রে রুবেল মিয়া হৃদয় উল্লেখ করেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে দলের কর্মকাণ্ড, বিভিন্ন ধরনের অনিয়মের অভিযোগ, দলের কার্যক্রম সিদ্ধান্ত এবং অবস্থানগুলো জুলাই বিপ্লবের নীতি ও নৈতিকতার পরিপন্থী বলে মনে হওয়ায় এবং দলটির বর্তমান পথচলা আমার ব্যক্তিগত আদর্শ ও মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায়, আমি গভীরভাবে হতাশ ও বিচলিত।’

তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘আমি আর দলের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পারছি না। তাই আমি বিনীতভাবে জাতীয় নাগরিক পার্টি, ফরিদপুর জেলা-এর সকল কার্যক্রম ও পদ থেকে পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করছি।’

পদত্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে মো. রুবেল মিয়া (হৃদয়) বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের পর থেকে আমি যেমনটা ভেবেছিলাম তার সাথে বর্তমান কার্যক্রমের কোনো মিল খুঁজে পাচ্ছিনা। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে দলের কর্মকাণ্ড, বিভিন্ন ধরনের অনিয়মের অভিযোগ, দলের কার্যক্রম সিদ্ধান্ত এবং অবস্থানগুলো জুলাই বিপ্লবের নীতি ও নৈতিকতার পরিপন্থী বলে মনে হওয়ায় আমি পদত্যাগ করেছি।’

ফরিদপুর জেলার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রধান সমন্বয়কারী সৈয়দা নীলিমা দোলা বলেন, ‘রাজনীতি দীর্ঘ দিনের পথচলা। সেখানে অনেকে হতাশ হয়ে যান। এমনটা রুবেল মিয়া হৃদয়ের মধ্যেও রয়েছে। সে হতাশ। তাই পদত্যাগ করেছেন তিনি।’

তিনি বলেন, ‘তাকে অনুরোধ করার পরও পদত্যাগ থেকে পিছপা হননি। তাই তার পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে।’

 

জন্মনিবন্ধন সনদ পেল ফরিদপুরের যৌনপল্লীর শিশুরা, কাটল স্কুলে ভর্তির জটিলতা 

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫, ৬:০৪ পিএম
জন্মনিবন্ধন সনদ পেল ফরিদপুরের যৌনপল্লীর শিশুরা, কাটল স্কুলে ভর্তির জটিলতা 

এক সময় তারা পরিচয় দিতে পারতো না, স্কুলে ভর্তি হতে পারতো না! সেই অবহেলিত ফরিদপুরের যৌনপল্লীর শিশুরা অবশেষে আলোর মুখ দেখতে শুরু করেছে। এসব শিশুদের মাঝে দেওয়া শুরু হয়েছে জন্মনিবন্ধন সনদ। বঞ্চিত এসব শিশুরা এখন থেকে যেতে পারবে স্কুলে, পড়ালেখার পাশাপাশি কাজকর্মে পড়তে হবে না কোনো জটিলতায়।

গত শনিবার (০৯ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে ফরিদপুর পৌরসভার হলরুমে শাপলা মহিলা সংস্থার আয়োজনে প্রথম পর্যায়ে ফরিদপুরের রথখোলা ও সিএন্ডবি ঘাটের দুইটি যৌনপল্লীর ৩৫ জন শিশু ও যৌনকর্মীকে জন্মসনদ দেওয়া হয়েছে।

সনদ বিতরণকালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব ড. আবু নছর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।

এ সময় প্রধান অতিথি বলেন, এই জন্মসনদের মাধ্যমে সকল নাগরিক সুবিধা ভোগ করবে যৌনপল্লীর বঞ্চিত শিশুরা। এসব শিশুদেরকে সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করা হবে বলে তিনি বক্তব্যকালে উল্লেখ করেন।

শাপলা মহিলা সংস্থা সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুর জেলা সদরের রথখোলা ও সিএন্ডবি ঘাটের দুইটি যৌনপল্লীতে ৩৮৯ জন যৌনকর্মী রয়েছে। এসব যৌনকর্মীদের শিশু সন্তান রয়েছে ২৯৬ জন। এদের মধ্যে অনেকেরই জন্ম নিবন্ধন করতে না পারায় স্কুলে ভর্তি জটিলতায় ভুগছিল। বিষয়টি নিয়ে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ‘জন্মনিবন্ধন জটিলতায় স্কুলে ভর্তি হতে পারছে না যৌনপল্লীর শিশুরা’ শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। যৌনকর্মীর সন্তানদের আবাসিকের পাশাপাশি পড়ালেখার সুবিধা দিয়ে আসছে ‘শাপলা মহিলা’ নামে একটি বেসরকারী সংস্থা। এসব শিশুদের আবাসনের জন্য শহরতলীর গেরদায় গড়ে তোলা হয়েছে ভবন। বর্তমানে সেখানে ৫০ জন মেয়ে ও ৩৫ জন ছেলে রয়েছে। দি ফ্রিডম ফান্ডে’র সহযোগিতায় এসব শিশু ও যৌনকর্মীদের জন্মসনদ দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করে সংস্থাটি। সেই ধারাবাহিকতায় বাবার নাম পরিচয় ছাড়াই বিশেষভাবে এই জন্মসনদ তৈরি করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। যা ফরিদপুর পৌরসভার মাধ্যমে বিতরণ করা হয়।

জন্মসনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও পৌর প্রশাসক মো. সোহরাব হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত জাহান, দ্যা ফ্রিডম ফান্ডে’র বাংলাদেশের প্রতিনিধি খালেদা আক্তার ও শাপলা মহিলা সংস্থার উপ-নির্বাহী পরিচালক শ্যামল প্রকাশ অধিকারী প্রমূখ।

ফরিদপুরে স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যায় স্বামীর যাবজ্জীবন

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫, ৫:৫৯ পিএম
ফরিদপুরে স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যায় স্বামীর যাবজ্জীবন

ফরিদপুরে স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যায় স্বামী রয়েল মণ্ডলকে (৪৬) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক শামীমা পারভীন এ রায় দেন।

রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিল।

পরে পুলিশ পাহারায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, দুই লাখ টাকা যৌতুক না দেওয়ায় ২০১১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রাতে মলিনা বেগম (২৫) নামের ওই গৃহবধূকে নির্মমভাবে পিটিয়ে ও শরীরে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে হত্যা করেন রয়েল মণ্ডল।

মলিনা একই উপজেলার তাম্বুলখানা গ্রামের আব্দুর রহমানের মেয়ে। ঘটনার একদিন পর কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন তার বাবা।