‘আ’লীগ জনগণকে শোষণ করে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে’ – শামা ওবায়েদ

ফরিদপুরে নকল ওষুধ ও প্রসাধনী সামগ্রী প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানায় অভিযান চালিয়েছে যৌথবাহিনী। এ সময় বিভিন্ন কোম্পানীর নামে প্যাকেটজাত করা বিপুল পণ্য জব্দ করা হয়। সেগুলো নকল বিএসটিআই লোগো ও কোম্পানীর নামে প্যাকেট করে বাজারজাত করা হতো। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে রিয়াজ শিকদার (২৬) নামে এক বিক্রয় প্রতিনিধিকে একমাসের কারাদন্ড প্রদান করা হয়। এছাড়া পলাতক মালিকের বিরুদ্ধে ওষুধ ও প্রসাধনী সামগ্রী আইনে মামলা দেয়ার নির্দেশ দেন আদালত।
সোমবার (০৭ জুলাই) দুপুরে জেলা ড্রাগ সুপার মো. রোকনুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে রোববার (০৬ জুলাই) বিকেলে ফরিদপুর শহরের পশ্চিম খাবাসপুরে একটি ৩ তলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় এই অভিযান চালানো হয়।
এ সময় সেনাবাহিনী, কোতয়ালী থানা পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফজলে রাব্বি ও জেলা ড্রাগ সুপার মো. রোকনুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
মানব শরীরের ব্রনসহ চর্মজনিত সমস্যার ওষুধ তৈরি করে প্যাকেটজাত করা হতো এখানে। এছাড়া শ্যাম্পু, ফেসওয়াশ, বডিওয়াশ, সাবান, শিশুদের ব্যবহৃত সাবান তৈরিসহ অসংখ্য পণ্য ও কেমিক্যাল সামগ্রীও রয়েছে। এখান থেকে কিটোজেল, পারনিক্স, পারকিট সহ অসংখ্য নামি-বেনামি কোম্পানীর প্যাকেটজাত করা হতো।
স্থানীয় ও অভিযান সূত্রে জানা যায়, পশ্চিম খাবাসপুর মাওলানা আব্দুল আলিম সড়কের রহিমের মোড় এলাকায় জুয়েল নামের এক ব্যক্তির ভাড়াটিয়া মাহফুজুর রহমান শিপন (৩৫) নয় মাস আগে বাসাটি ভাড়া নেন। এরপর থেকে লোকচক্ষুর আড়ালে এসব কর্মকান্ড শুরু করেন। অভিযানের সময় তিনি পালিয়ে যান। শিপনের বাড়ি জেলার সদরপুর উপজেলার বেপারীডাঙ্গী এলাকায়।
জেলা ড্রাগ সুপার মো. রোকনুজ্জামান জানান, দুই ইউনিট ভাড়া বাসায় অবৈধ কারখানা গড়ে তুলেন। কারখানাটিতে লাইসেন্স বা ওষুধ উৎপাদনের কোনো বৈধতা নেই। সেক্ষেত্রে ওষুধ প্রশাসন আইনানুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি বলেন, যেহেতু কোনো অনুমোদন ছাড়াই ওষুধসহ এসব উৎপাদন করে আসছিলেন সেক্ষেত্রে এগুলো নিম্মমানেরও হতে পারে এবং মানবদেহের জন্য ক্ষতি বয়ে আনতে পারে। তবে এগুলোর নমুনা নিয়ে পরীক্ষাগারে পাঠিয়ে গুনগত মান পরীক্ষা করা হবে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফজলে রাব্বি জানান, অবৈধভাবে পণ্য উৎপাদন করায় আটক একজন কর্মচারীকে ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ এর ৪৫ ধারা মোতাবেক এক মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া মালিকের বিরুদ্ধে ওষুধ ও কসমেটিকস আইন ২০২৩ এর ১৪(১) ধারা মোতাবেক মামলা করার জন্য ড্রাগ সুপারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও এর সাথে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও তিনি জানান।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের মহেশ্বরদী গ্রামে অটোভ্যানের সাথে সংঘর্ষে আব্দুল্লাহ (২৫) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।
সোমবার (০৭ জুলাই) সকালে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
সে একই উপজেলার ছোট মুচকুরনী গ্রামের কাচামাল ব্যবসায়ী আজিজুল মোল্লার ছেলে।
এর আগে রোববার (০৬ জুলাই) রাত ১০ টার দিকে ভাঙ্গার পুকুরিয়া বাজারে কাঁচামালের ব্যবসার কাজ শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে মহেশ্বরদী বাগমারা মোড়ে মোটরসাইকেলের সাথে অটোরিকশার সংঘর্ষে সে গুরুত্বর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা হাসপাতালে। পরে অবস্থার অবনতি হলে রাতেই ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, পুখুরিয়া বাজারে কাঁচামালের ব্যবসা শেষ করে প্রতিদিনের মতো মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন আব্দুল্লাহ। এসময় বাগমারা মোড় এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে একটি অটোভ্যানের সাথে তার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় গুরুতর আহত অবস্থায় আব্দুল্লাহকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা থেকে ফরিদপুর মেডিকেলে ভর্তি করে। সোমবার সকাল ৬ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লেগে খাদে পড়ে যায়। তবে এতে বড় ধরনের হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন।
রবিবার (০৬ জুলাই) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে উপজেলার ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের নওপাড়া সংলগ্ন প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটে সামনে এ দূর্ঘটনা ঘটে। তবে প্রাথমিকভাবে আহতদের নাম পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।
হাইওয়ে পুলিশ,এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দর্শনাগামী পূর্বাশা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লেগে খাদে পড়ে যায়।
স্থানীয় মাইক্রোবাস সমিতির সভাপতি মো. খোকন শেখ জানান, এ ঘটনায় কোন নিহতের ঘটনা না ঘটলেও কমপক্ষে ১৫ জনের মতো বাস যাত্রী আহত হয়েছেন।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রোকিবুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। চালকের চোখে ঘুম ছিল। যার কারণে বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লেগে খাদে পড়ে যায়। তবে এতে বড় ধরনের কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। অল্প কয়েকজন যাত্রী হালকা-পাতলাভাবে আহত হয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন
Array