‘তারেক রহমানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকে অনেকের গা জ্বলতেছে’ — শামা ওবায়েদ
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় মোটরসাইকেল চোরচক্রের একজন সক্রিয় সদস্যকে চোরাইকৃত মোটরসাইকেল ও একটি মাস্টার চাবিসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেছে মধুখালী থানা পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার মেগচামী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মধুখালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মাসুদের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স অভিযান পরিচালনা করে ওই ব্যক্তিকে আটক করে।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর উপজেলার হরেকৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত আব্দুল শুকুর মোল্লার ছেলে। অভিযানের সময় তার হেফাজত থেকে একটি চোরাইকৃত মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত মোটরসাইকেলটির রেজিস্ট্রেশন নম্বর কুষ্টিয়া হ-১৬-০২২৫। এছাড়া মোটরসাইকেল চুরিতে ব্যবহৃত একটি মাস্টার চাবিও জব্দ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে গ্রেফতারকৃত আসামিকে ফরিদপুরের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফকির মো. তাইজুর রহমান বলেন, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মধুখালী থানা পুলিশের একটি দল মোটরসাইকেল চোরচক্রের একজন সক্রিয় সদস্যকে চোরাইকৃত মোটরসাইকেল ও মাস্টার চাবিসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। চোরচক্রের সঙ্গে জড়িত অন্য সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে পুলিশি তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।”
তিনি আরও জানান, এর আগে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় একাধিক মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটলেও সেগুলোর কোনোটিই উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে গ্রেফতারকৃত আসামির মাধ্যমে এসব চুরির রহস্য উদঘাটনের সম্ভাবনা রয়েছে।
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় স্মার্ট ভূমি উন্নয়ন করের ভুয়া দাখিলা তৈরি করে জমি রেজিস্ট্রির চেষ্টার অভিযোগে এক যুবকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আকোটের চর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা দেবাশীষ রায় বাদী হয়ে সদরপুর থানায় মামলাটি করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাত আনজুম পিয়া।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, সদরপুর উপজেলার আকোটের চর ইউনিয়নের কৃষ্ণমঙ্গলের ডাঙ্গী মৌজার নামজারি মামলা নং ৪৩৬৯-এর আওতাভুক্ত ২৬৫৪ খতিয়ানের ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের জন্য মো. মোস্তফিজুর রহমানের পক্ষে তার আত্মীয় কামরুল ইসলাম ভূমি অফিসে উপস্থিত হন। সে সময় ভূমি কর্মকর্তা জানান, বদলিজনিত কারণে নামজারি আইডি সচল না থাকায় খতিয়ান সমন্বয় ও দাখিলা প্রদান এই মুহূর্তে সম্ভব নয়।
পরবর্তীতে কামরুল ইসলাম দাখিলা নিয়ে জমি রেজিস্ট্রেশনের জন্য গেলে সাব-রেজিস্ট্রার স্ক্যানের মাধ্যমে যাচাই করে দাখিলাটি সন্দেহজনক মনে করেন এবং বিষয়টি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে অবহিত করেন। দলিলদাতাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, কামরুল ইসলাম তার এক আত্মীয়ের মাধ্যমে দাখিলাটি সংগ্রহ করেছিলেন।
পরবর্তীতে কামরুল ইসলাম জানান, আকোটের চর ইউনিয়নের মোলামের ডাঙ্গী এলাকার আব্দুল ছত্তার বেপারীর ছেলে রাকিবুল ইসলাম ওরফে রাকিব মিয়ার মাধ্যমে তিনি দাখিলাটি পেয়েছেন। যাচাই-বাছাই শেষে দাখিলাটি জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া যায়।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্ত রাকিবুল ইসলামের মোবাইল ফোন তল্লাশি করে একটি যুক্তরাজ্যের নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে ভুয়া দাখিলা প্রেরণের প্রমাণ পাওয়া যায়। বিনিময়ে অভিযুক্ত ২ হাজার ৪০০ টাকা বিকাশের মাধ্যমে প্রদান করেন। এ ঘটনায় দণ্ডবিধি ১৮৬০-এর ৪৬৫ ও ৪৬৮ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাত আনজুম পিয়া বলেন, “স্মার্ট ভূমি উন্নয়ন করের ভুয়া দাখিলা দিয়ে জমি রেজিস্ট্রির চেষ্টা করা হচ্ছিল। সাব-রেজিস্ট্রারের সন্দেহের ভিত্তিতে আমরা তদন্ত করে জাল দাখিলা প্রস্তুতকারককে শনাক্ত করতে সক্ষম হই। পরে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
সদরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল-মামুন শাহ্ জানান, “ঘটনাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।”
প্রসঙ্গত, ভূমি প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনলাইন প্রতারণা বিষয়ে সাধারণ জনগণকে সতর্ক করা হয়েছে। ভূমিসেবা গ্রহণের সময় অবশ্যই https://land.gov.bd অথবা https://www.land.gov.bd ওয়েবসাইট ব্যবহার করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। পাশাপাশি দাখিলায় প্রদত্ত QR কোড স্ক্যান করে https://www.ldtax.gov.bd/dakhila অথবা https://ldtax.gov.bd/dakhila ইউআরএল নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়।
ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রতারক চক্রগুলো https://www.portal.gov.bd অথবা https://portal.ldtax.gov.bd এর সঙ্গে অতিরিক্ত অক্ষর বা ডোমেইন যুক্ত করে ভুয়া ওয়েবসাইট তৈরি করছে। এ ধরনের প্রতারণাকে ইউআরএল স্পুফিং বলা হয়, যার মাধ্যমে ফিশিং, হ্যাকিংসহ বিভিন্ন সাইবার অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। এতে ব্যক্তিগত ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি ডিভাইসে ম্যালওয়্যার প্রবেশের ঝুঁকিও রয়েছে।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন) আসন থেকে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ফরিদপুরের আলোচিত সমাজসেবক ও মানবিক কর্মী রায়হান জামিল।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঢাকার উত্তরায় অবস্থিত জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, তৃণমূল পর্যায়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা, দীর্ঘদিনের সামাজিক ও মানবিক কর্মকাণ্ড এবং সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতার কারণেই কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে রায়হান জামিলকে এই আসনে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়। এর আগে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালালেও দেশ ও মানবতার বৃহত্তর স্বার্থে জাতীয় পার্টির ব্যানারে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
প্রার্থীতা প্রসঙ্গে রায়হান জামিল বলেন,“জনগণের আস্থাই আমার সবচেয়ে বড় শক্তি। নির্বাচিত হলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান ও অবকাঠামো উন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবো। সাধারণ মানুষের অধিকার ও ন্যায্য প্রাপ্য নিশ্চিত করাই হবে আমার প্রধান লক্ষ্য।”
উল্লেখ্য, মুফতি রায়হান জামিল ফরিদপুর-৪ আসনে দীর্ঘদিন ধরে সমাজসেবা ও মানবিক কার্যক্রমের মাধ্যমে পরিচিত মুখ। ব্যতিক্রমী উদ্যোগের মাধ্যমে তিনি দেশব্যাপী আলোচনায় আসেন। গত ১৭ সেপ্টেম্বর ১০ টাকায় ইলিশ মাছ বিতরণ, ৩০ নভেম্বর ১ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস এবং ১১ জুলাই ২ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণের মতো উদ্যোগ সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলে।
আপনার মতামত লিখুন
Array