নানা আয়োজনে ফরিদপুরে পালিত হলো জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস

faridpur protidin
faridpur protidin
ফরিদপুরে ভারি বৃষ্টিতে ডুবছে পাটক্ষেত। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন পার করছে কৃষকরা। পাট বাংলাদেশের অন্যতম অর্থকরী ফসল। এক সময় বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম উৎস ছিল এই ‘সোনালি আঁশ’। এখনো দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে পাটশিল্প।
ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলা, পাট উৎপাদনে দেশের শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। চলতি মৌসুমে উপজেলাজুড়ে ১৬ হাজার ১০৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে বলে জানা গেছে।
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় বর্ষা মৌসুমের অতিবৃষ্টিতে পাটক্ষেতে অস্বাভাবিক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। জমিতে পানি জমে থাকলে পাটগাছ পচে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যার প্রভাব পড়তে পারে জাতীয় পর্যায়ের পাট উৎপাদন ও বাজার ব্যবস্থায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে পাটক্ষেতে পানি জমে আছে। বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের কৃষক আব্দুর রাজ্জাক জানান, ‘হঠাৎ অতিবৃষ্টিতে জমিতে হাঁটু পানি জমে গেছে। যদি এভাবে পানি জমে থাকে, তাহলে গাছ পচে যাবে।’
বাজিতপুর গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম জানান, ‘টানা বৃষ্টির কারণে পাটের আগা মারা যাচ্ছে, ‘এজন্য ফলন আশানুরূপ হচ্ছে না।’
চতুল গ্রামের আরেক কৃষক ওমর আলী শেখ বলেন, ‘প্রতিবছর পাট চাষ করে কিছু লাভ হয়। এই বছরও আশা করেছিলাম ভালো ফলন পাব। কিন্তু বৃষ্টির পানি জমে গাছগুলোর গোড়া পচে যাচ্ছে। ফলে পাটের বৃদ্ধি ভালো হচ্ছে না।’
এ বিষয়ে বোয়ালমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলভীর রহমান জানান, ‘অতিবৃষ্টির কারণে নিচু জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে, যা পাটের স্বাভাবিক বৃদ্ধিকে ব্যাহত করছে।’
তিনি বলেন, ‘কৃষকদের নালা কেটে দ্রুততম সময়ে পানি নিষ্কাশনের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে, যাতে পরবর্তী মৌসুমে তাদের সহায়তা দেয়া যায়।’
তিনি আরো বলেন, ‘ফরিদপুর অঞ্চলের পাট উৎপাদন জাতীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। যদি এখানকার উৎপাদন ব্যাহত হয়, তাহলে দেশে মোট পাট উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এতে বাজারে পাটের দামও প্রভাবিত হতে পারে।’
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ‘সোনালি আঁশের ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে হলে কৃষকবান্ধব উদ্যোগ ও ত্বরিত পদক্ষেপ নেয়া এখন সময়ের দাবি। বোয়ালমারীর মতো গুরুত্বপূর্ণ পাট উৎপাদক এলাকায় সমস্যাগুলো দ্রুততম সময়ে সমাধান না হলে জাতীয় অর্থনীতিতেই এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।
নীরব আকাশ, চুপ করে আজ,
তোমার কথা মনে পড়ে বারবার।
ছায়ার মতো ছিলে পাশে,
আজ নেই, তবু আছো হৃদয় জুড়ে সারাক্ষণ।
তোমার কণ্ঠের ডাক নেই আজ,
ঘরে ফিরে পাই না হাসিমুখ।
তবু মন বলে, বাবার স্পর্শ
আজো মিশে আছে হাওয়ার সুখ।
যখন কষ্টে ভেঙে পড়ি,
তোমার কথা মনে পড়ে খুব।
তুমি বলতে, “সব ঠিক হবে”,
আজ সে শব্দ শুধুই রূপ।
তোমায় ছাড়া জীবনটা এখন
অপূর্ণ এক উপন্যাস।
তবু বিশ্বাস, তুমি আছো
আমার প্রতিটি নিঃশ্বাস।
ঘুমের দেশে রয়েছো তুমি,
আলো হয়ে আমার পাশে।
যতদিন বাঁচি, তুমি থাকবে—
ভালোবাসার গোপন ভাসে।
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় দুইশত পিস ইয়াবাসহ এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)।
শনিবার (২১ জুন) বিকেল ৫ টার দিকে উপজেলার ঢেউখালি ইউনিয়নের বাবুরচর নতুন ডাঙ্গী গ্রামের একটি ভাড়া বাসা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- ঢেউখালী ইউনিয়নের বাবুরচর নতুন ডাঙ্গী গ্রামের মৃত তৈয়ব আলী মাতুব্বরের পুত্র দাদন মাতুব্বর (৫০) ও তার স্ত্রী শিউলি আক্তার (৪০)।
জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় আমি বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে সদরপুর থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেছি। দাদন মাতুব্বর দীর্ঘদিন যাবত মাদক বিক্রির সাথে জড়িত। সে এলাকায় ত্রাস হিসেবে পরিচিতির কারণে তার বিরুদ্ধে সবাই স্বাক্ষী দিতে ভয় পেত।
তিনি আরও বলেন, তাকে গ্রেপ্তারের সময় সাক্ষী নিতে গেলে এলাকাবাসী বলেন, আমরা এই ব্যাপারে কথা বললে দাদন জেল থেকে বের হয়ে লোকজন নিয়ে আমাদের উপরে হামলা করবে। মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
আপনার মতামত লিখুন
Array