খুঁজুন
রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৫, ২ ভাদ্র, ১৪৩২

পাঁচ দফা দাবি আদায়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের চলছে একাডেমিক শাটডাউন

ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৬:৪৩ পিএম
পাঁচ দফা দাবি আদায়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের চলছে একাডেমিক শাটডাউন
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা পাঁচ দফা দাবিতে একাডেমিক শাটডাউনের ঘোষণা দিয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন। কলেজের শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা এই কর্মসূচি পালন করছে।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) সকাল থেকে কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ ধরনের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
এ প্রসঙ্গে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, আমাদের দাবি পূরণের কোনো পরিবেশ দেখছি না। কর্তৃপক্ষের এই উদাসীনতায় আমরা ক্ষুব্ধ। আমরা মনে করি, আমাদের দাবিগুলোতে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। তাই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত দেশের অন্যান্য সকল মেডিকেল কলেজের সাথে একাত্মতা পোষণ করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের সকল শিক্ষার্থী সোমবার একাডেমিক শাটডাউন ও ২৫ ফেব্রুয়ারি লংমার্চ টু হাইকোর্ট কর্মসূচি পালন করবে। এর পরও দাবি মেনে না নেওয়া হলে কর্মসূচি আরও কঠোর হবে বলে তিনি জানান।
আরেক শিক্ষার্থী সিয়াম তালুকদার জানান, আমাদের যে পাঁচ দফা দাবি এ দাবি সরকারকে মেনে নেয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। স্বাস্থ্য খাত একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। ‌এখানে সবাইকে গুরুত্ব দেওয়ার অনুরোধ করবো স্বাস্থ্য বিষয়ে। যে কাউকে ডাক্তার বানানো হলে স্বাস্থ্য সেবা ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, দশম গ্রেডে শূন্য পদে নিয়োগ, সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে নতুন পদ তৈরিসহ চার দফা দাবিতে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ঢাকায় বিক্ষোভ করেন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলের (ম্যাটস) শিক্ষার্থীরা। সরকারের আশ্বাসে তাদের বিক্ষোভ কর্মসূচি আপাতত স্থগিত রয়েছে। এবার সারাদেশে তাদের পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে কর্মসূচি শুরু করেছেন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি হলো—
১. এমবিবিএস/বিডিএস ব্যতীত কেউ ডাক্তার লিখতে পারবে না—বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) এ আইনের বিরুদ্ধে করা রিট ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে ও বিএমডিসির রেজিস্ট্রেশন শুধুমাত্র এমবিবিএস/বিডিএস ডিগ্রিধারীদের দিতে হবে। ২০১০ সালে হাসিনা সরকার ডিপ্লোমা অব মেডিকেল ফ্যাকাল্টি ইন মেডিকেল এ্যাসিসট্যান্ট ট্রেনিং কোর্স-ম্যাটসদেরকে বিএমডিসি থেকে রেজিস্ট্রেশন দেয়া শুরু করেছে, এই ম্যাটসদের বিএমডিসি থেকে রেজিস্ট্রেশন দেওয়া অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
২. চিকিৎসা ব্যবস্থার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ওভার-দ্য-কাউন্টার (ওটিসি) তালিকা নবায়ন করতে হবে। এমবিবিএস ও বিডিএস ছাড়া অন্য কেউ ওটিসি তালিকার বাইরে ওষুধ পেসক্রিপশন করতে পারবে না। রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ফার্মেসিগুলো ওটিসি তালিকার বাইরে কোনো ওষুধ বিক্রি করতে পারবে না।
৩. স্বাস্থ্য খাতে চিকিৎসকের সংকট নিরসনে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। যথা—
ক. দ্রুত ১০,০০০ জন ডাক্তার নিয়োগ দিয়ে সকল শূন্য পদ পূরণ করতে হবে। আলাদা স্বাস্থ্য কমিশন গঠনের পূর্বের মতো সপ্তম গ্রেডে নিয়োগ দিতে হবে।
খ. প্রতিবছর ৪,০০০-৫,০০০ ডাক্তার নিয়োগ দিয়ে স্বাস্থ্যখাতের ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে ও
গ. ডাক্তারদের বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) বয়সসীমা ৩৪ বছর করতে হবে।
৪. ম্যাটস ও মানহীন সরকারি ও বেসরকারি কলেজসমূহ বন্ধ করে দিতে হবে। ইতিমধ্যে পাস করা ম্যাটস শিক্ষার্থীদের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (সেকমো) পদবি রহিত করে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে এবং
৫. চিকিৎসক সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।

চরভদ্রাসনে পুলিশের ওপেন হাউজ ডে

মুস্তাফিজুর রহমান শিমুল, চরভদ্রাসন:
প্রকাশিত: শনিবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৫, ৮:১২ পিএম
চরভদ্রাসনে পুলিশের ওপেন হাউজ ডে

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন থানা পুলিশের আয়োজনে ওপেন হাউজ ডে উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১৬ আগস্ট) বিকেল ৪ টার দিকে চরভদ্রাসন থানা চত্বরে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

চরভদ্রাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রজিউল্লাহ খানের সভাপতিত্বে এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আজমীর হোসেন।

থানাটির এস,আই রফিকুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- এসআই ফরহাদ হোসেন, এসআই মাহমুদুল হাসান, উপজেলা বিএনপি’র সন্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহবায়ক মো. ওয়াহিদুজ্জামান মোল্যা, উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও প্রস্তুুতি কমিটির সদস্য মো. শাহজাহান সিকদার, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও সন্মেলন প্রস্তুত কমিটির সদস্য এজিএম বাদল আমীন, সদস্য মো. মঞ্জুরুল হক মৃধা, মো. কুদ্দুস আলী, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি শেখ সোলায়মান, সমাজ সেবক মো. মোস্তফা কবীর ও ছাত্রনেতা পিএম কামরুল হাসান প্রমুখ।

এছাড়া শিক্ষক, ব্যাবসায়ী, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা ফরিদপুরের চরভদ্রাসন শেষ সীমানা পাটপাশা সহ উপজেলার গুরত্বপূর্ণ কয়েকটি স্থানে পুলিশ টহল জোরদারের পাশাপশি চরাঞ্চলের মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্য নদীপথে পুলিশ বোড দিয়ে টহলের জোর দাবী জানান।

এছাড়া চরভদ্রাসন উপজেলার সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির পাশাপাশি বল্যবিবাহ ও মাদক নির্মূলে পুলিশের বিশেষ অভিযান অব্যাহত রাখার জোর দাবী জানানো হয়।

ফরিদপুরে অসুস্থ গরু জবাই করে পালিয়ে গেল কসাই 

তৈয়বুর রহমান কিশোর, বোয়ালমারী:
প্রকাশিত: শনিবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৫, ৭:৫৮ পিএম
ফরিদপুরে অসুস্থ গরু জবাই করে পালিয়ে গেল কসাই 

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ময়না ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামে অসুস্থ গরু জবাই করে চামড়া ছাড়ানোর সময় গরু ফেলে পালিয়ে যায় কসাই।

শনিবার (১৬ আগস্ট) মাধবপুর গ্রামের এহসানুল হক কলি তার একটি গর্ভবতী গাভী গরু অসুস্থ হলে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: শওকত আলীকে জানান।

প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বেলা ১১ টার দিকে তার বাড়িতে গিয়ে গরুটি সিজার করে বাচ্চাটি বের করেন। বের করার কিছুক্ষণের মধ্যে বাচ্চাটি মারা যায়। প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা চলে যাওয়ার পর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এহসানুল হক কলি মধুখালী উপজেলার এক কসাইয়ের নিকট ৩৫ হাজার টাকায় ওই অসুস্থ গরুটি বিক্রি করে দেন। কসাই গরু জবাই করে ছাড়ানোর সময় সাংবাদিক এসেছে এমন কথা শুনে গরু ফেলে পালিয়ে চলে যায়।

এহসানুল হক কলি বলেন, গরুটি ফুড পয়জন হয়েছিল তাই বিক্রি করে দিয়েছি।

কসাইদের না পাওয়ার কারণে তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শওকত আলী বলেন, গাভী গরুটি অসুস্থ ছিল যেহেতু তার পেটের বাচ্চা ৯ মাস বয়স হয়েছিল তাই সিজার করে বাচ্চাটি বের করা হয়েছিল। পরে বাচ্চাটি মারা যায়। তবে ওই অসুস্থ গরুটি জবাই করে তারা নিজেরা মাংস খেতে পারে। ওই মাংস বাজারে বিক্রি করা নিষিদ্ধ।

বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর হাসান চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে এহসানুল হক কলির বাড়িতে গিয়ে গরুটি দেখেশুনে বলে এসেছি মাংস যদি খেতে চান নিজেরা খেতে পারেন। এক টুকরা মাংস বাহিরে বিক্রি করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হবে।

ফরিদপুরে ফুল সজ্জিত গাড়িতে শিক্ষকদের রাজসিক বিদায়

মধুখালী প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৫, ৮:১০ পিএম
ফরিদপুরে ফুল সজ্জিত গাড়িতে শিক্ষকদের রাজসিক বিদায়

ফরিদপুরের মধুখালীতে নানা আয়োজনে ও ফুল সজ্জিত গাড়িতে দুই শিক্ষক ও এক অফিস সহকারীকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার মেগচামী স্কুল অ্যান্ড কলেজে এ আয়োজন হয়।

এসময় বিদায়ী শিক্ষকদের গলায় গাঁদা ফুলের মালা পরিয়ে মঞ্চ থেকে গাড়িতে নেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা গাড়ির দুই পাশে দাঁড়িয়ে করতালির দিয়ে অভিবাদন জানান। পরে ফুল সজ্জিত গাড়িতে শিক্ষকদের স্কুল থেকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়। এর আগে স্কুল অ্যান্ড কলেজ স্কাউট দল গার্ড অব অনার প্রদান করে।

বিদায়ীরা হলেন- সিনিয়র শিক্ষক ক্ষিতিশ চন্দ্র দাস, সরজিৎ চক্রবর্তী ও অফিস সহকারী মহিউদ্দিন মৃধা। তাদের প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-কর্মচারী, বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা এ সংবর্ধনা দেয়। বিদায় বেলায় এমন আয়োজনে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন বিদায়ী শিক্ষক-কর্মচারী।

বিদ্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক ক্ষিতিশ চন্দ্র দাস ১৯৮৭ সালে স্কুলে যোগদান করেন, সিনিয়র শিক্ষক সরজিৎ চক্রবর্তী ১৯৮৪ সালে স্কুলে যোগদান করেন। তারা দীর্ঘ কর্মজীবনের ইতি টেনে অবসরে গেছেন। তাই প্রিয় শিক্ষকদের বিদায় জানাতে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীরা এসব আয়োজন করেন। দীর্ঘদিনের সহকর্মী ও ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে এমন সম্মান পেয়ে গর্ববোধ করেন তারা।

বিদায় অনুষ্ঠানে মেগচামী স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলম মৃধা সভাপতিত্ব করেন।

সিনিয়র শিক্ষক কৃষ্ণ চন্দ্র কুন্ডুর সঞ্চালনায় বিদায়ী শিক্ষকরাসহ অন্যান্য শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন। এসময় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিদায়ী শিক্ষকদের উপহার প্রদান করেন।

মেগচামী স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলম মৃধা বলেন, দীর্ঘদিনের কর্মজীবন শেষ করে গুণী শিক্ষক ও একজন অফিস সহকারী অবসরে গেছেন। তাই প্রিয় শিক্ষকদের বিদায় জানাতে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এসব আয়োজন করেন।