খুঁজুন
রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫, ৮ আষাঢ়, ১৪৩২

ফরিদপুরের ঈশান গোপালপুর গণহত্যার ৫৪তম বার্ষিকী পালিত

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২ মে, ২০২৫, ৫:৪৪ পিএম
ফরিদপুরের ঈশান গোপালপুর গণহত্যার ৫৪তম বার্ষিকী পালিত
ফরিদপুর সদরের ঈশান গোপালপুর গ্রামের গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে। ১৯৭১ সালের ২ মে দুপুরের দিকে ঈশান গোপালপুর গ্রামের স্থানীয় ঈশান সরকারের জমিদার বাড়িতে ওই বাড়ির সদস্য, গ্রামবাসী ও আশ্রয় নেওয়া ২৮ ব্যক্তিকে একত্রিত করে গুলি করে হত্যা করে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী।
পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হাতে শহীদ ব্যক্তিবর্গের মধ্যে ছিলেন, আশুতোষ সরকার, যোগেশ চন্দ্র ঘোশ, গৌরগোপাল ঘোষ, বাবলু ঘোষ প্রমুখ।
মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ফরিদপুর শহরের সম্ভ্রান্ত হিন্দু পরিবারের সদস্যরা আত্মরক্ষার জন্য ওই সরকার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। পাকিস্তানী বাহিনীর এ গণহত্যায় মদদ দিয়েছিল ওই এলাকাসহ আশেপাশের এলাকার স্বাধীনতা বিরোধীরা। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ২১ এপ্রিল পাকিস্তানী হাদনাদার বাহিনী ফরিদপুরে প্রবেশ করে। ফরিদপুরে প্রবেশের পথে শহরের গোয়ালচামট মহল্লার শ্রীধাম শ্রীঅঙ্গনে কীর্তনরত নয় সাধুকে হত্যা করে।  ২ মে ঈশান গোপালপুর গ্রামের জমিদার বাড়িতে এ হত্যাকান্ড ছিল বৃহত্তর ফরিদপুরের প্রথম পরিকল্পিত গণহত্যা।
হত্যাকান্ডের পর পাকসেনারা চলে যাওয়ার পর এলাকাবাসী সরকার বাড়ির পুকুর পাড়ে ২৮ জনের মৃতদেহ গণসমাধি দেয়।
শহীদ পরিবারের সন্তান বিশিষ্ট বামপন্থী নেতা চিত্ত ঘোষ বলেন, ২০১০ সালের ২মে শহীদ পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসীর যৌথ উদ্যোগে সেখানে ২৮ শহীদের নাম ফলক সহ একটি স্মৃতি ফলক নির্মাণ করা হয়। পরবর্তীতে ২০২০ সালে সরকারের উদ্যোগে গণহত্যার শহীদদের উদ্দেশ্যে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়।
এ গণহত্যার স্মরণে শুক্রবার (০২ মে) সকাল ৯টায় সমাধী ফলকের কাছে স্থাপিত মন্দিরে গীতাপাঠ ও নারয়াণ পূজার আয়োজন করা হয়। গীতা পাঠ ও পূজা করেন দীপক ঠাকুর। পরে সম্বলিত সৌধে ফুল অর্পণ করে এবং মোমবাতী প্রজ্জ্বলন করে শহীদদের আত্মার সগতি কামনা করা হয়। বেলা ১১টার দিকে উপস্থিত ব্যক্তিবর্গের মাঝে পূজার প্রসাদ বিতরণ করা হয়। এ সময় শহীদ পরিবারের সদস্য ক্ষিতিশ বিশ্বাস, অভী ঘোষসহ স্থানীয় গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন।

ভাঙ্গায় মহাসড়কে ৫ জন নিহতের ঘটনায় অভিযুক্ত চালক আটক

ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫, ৪:২৩ পিএম
ভাঙ্গায় মহাসড়কে ৫ জন নিহতের ঘটনায় অভিযুক্ত চালক আটক
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের বাবলাতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সড়কে ৫ জন নিহতের ঘটনায় মোড়ল এক্সপ্রেস পরিবহনের চালককে আটক করেছে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানা পুলিশ।
আটককৃত চালক হলেন- ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার ডুবলি গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মাদ মিয়ার পুত্র রবিউল মিয়া (২৫)।
রবিবার (২২ জুন) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভাঙ্গা হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ রোকিবুজ্জামান।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের বাবলাতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অজ্ঞাত বাস মাহিন্দ্রার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ৫ জন নিহত হন। পরবর্তীতে হাইওয়ের পুলিশ ওই অজ্ঞাত বাসকে সনাক্ত করতে সক্ষম হয়। এর পর থেকে বাস চালক গা ঢাকা দেয়। পরবর্তীতে ভাঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ নিজস্ব সোর্সের মাধ্যমে মোড়ল পরিবহনের ওই বাস চালক মো. রবিউল মিয়াকে সনাক্ত করতে সক্ষম হয়। অতঃপর তার নানা বাড়ি ঝালকাঠি জেলার নলছিটি থেকে শনিবার রাত ১১ টার সময় তাকে আটক করে। এই মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের তিনজনসহ মোট ৫ নিহত হন।
এই বিষয়ের ভাঙ্গা হাইওয়ের থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ রোকিবুজ্জামান বলেন, গত ৪ জুন ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের বাবলাতলা নামক স্থানে মোড়ল এক্সপ্রেসের সাথে মাহিন্দ্রার সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে ৪ জন ও হাসপাতালে ১ জন নিহত হন। এই ঘটনায় ১ জন অভিযুক্ত আসামী রবিউল ইসলামকে সোর্স, তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে ঝালকাঠির নলছিটি তার নানা বাড়ি থেকে আটক করতে সক্ষম হই। রবিবার তাকে ফরিদপুরের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

ফরিদপুরের আড়িয়াল খাঁ নদে যৌথবাহিনীর অভিযান, ৬ ড্রেজার জব্দ, আটক ৩

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫, ৪:২০ পিএম
ফরিদপুরের আড়িয়াল খাঁ নদে যৌথবাহিনীর অভিযান, ৬ ড্রেজার জব্দ, আটক ৩
ফরিদপুরের ভাঙ্গা ও সদরপুর উপজেলার বেষ্টিত আড়িয়াল খাঁ নদে যৌথ বাহিনীর অভিযানে বালু উত্তোলনের দায়ে ৬টি অবৈধ ড্রেজার জব্দ সহ ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার (২১ জুন) দিবাগত রাতভর যৌথ বাহিনী এই অভিযান পরিচালনা করেন ।
অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে রবিবার (২২ জুন) বিকেলে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ হোসেন জানিয়েছেন, আড়িয়াল খাঁ নদীতে বহুদিন ধরেই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন (ড্রেজিং) চলে আসছে একটি চক্র। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২১ জুন শনিবার রাত সাড়ে ১১ থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত ভাঙ্গা ও সদরপুর উপজেলাধীন আড়িয়াল খাঁ নদীতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সেনাবাহিনী ও পুলিশের এক যৌথ অভিযান চলানো হয়।
অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফজলে রাব্বি জানান, আড়িয়াল খাঁ নদে অভিযানে মোট ৬টি অবৈধ ড্রেজার জব্দ করা হয় এবং এসময় ৩ জন দুষ্কৃতিকারীকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট এলাকায় অভিযানের ফলে স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে এবং নদী রক্ষায় সরকারের সক্রিয় ভূমিকার প্রতিফলন ঘটেছে বলে জানান তিনি।

ফরিদপুরে পদ্মার বুকে বাদাম চাষ, বিঘায় আয় ৪০ হাজার

সিকদার সজল
প্রকাশিত: রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫, ১০:৩১ এএম
ফরিদপুরে পদ্মার বুকে বাদাম চাষ, বিঘায় আয় ৪০ হাজার

ফরিদপুরের পদ্মা চরে আবাদ হচ্ছে বাদাম। কিছুদিন পরই ফসল ঘরে তুলবেন চাষিরা। এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন বাদাম পরিচর্যায়। স্বল্পখরচে বেশি মুনাফা পাওয়ায় এই ফসল চাষে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন চরের কৃষকরা। চলতি বছর ১১৫ কোটি টাকা বাণিজ্যের আশা করছে কৃষি বিভাগ।

বহমান পদ্মায় বুকে জেগে উঠছে অসংখ্য বালুচর। এসব চরে বাদাম চাষে ভাগ্য ফেরাচ্ছেন কৃষকরা। বাদাম গাছের সবুজ পাতায় ছেয়ে গেছে ধূধূ বালু চর। কিছুদিন পরেই ঘরে তুলবেন ফসল।

 

এখন পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষকরা। তারা জানান, চরে বাদামের ভালো ফলন দেখা যাচ্ছে। গত বছর রাসেল ভাইপার সাপের আতঙ্কে জমি থেকে বাদাম তোলা যায়নি পর্যাপ্ত পরিমাণে। সেই ক্ষতি কাটিয়ে এবার বাম্পার ফলনের আশা রয়েছে।
 
চাষিরা জানান, প্রতি বিঘা জমিতে বাদাম আবাদ ও তোলায় খরচ ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। বিঘা প্রতি উৎপাদন ৬ থেকে ৮ মণ। প্রতি মণ ৫ হাজার টাকা হিসেব করলে আয় ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা। লাভের পরিমাণ বেশি হওয়ায় জেলায় অনেকে ঝুঁকছেন বাদাম চাষে।
 
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, অপ্রচলিত এই ফসল আবাদে তারা কৃষকদের সব ধরনের সহায়তা করা হচ্ছে। ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. শাহাদুজ্জামান বলেন, বাজারের বাজারমূল্য যথেষ্ট ভালো আছে। তাই এবার ১১০-১১৫ কোটি টাকার বাদাম উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে।
 
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, এ বছর জেলায় ৪ হাজার ৫৬৪ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে। জেলায় এবার বাদামের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮ হাজার ২২০ মেট্রিক টন।