খুঁজুন
সোমবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৫, ২৫ কার্তিক, ১৪৩২

ফরিদপুরের চরাঞ্চলের মানুষের মধ্যে ভেড়া বিতরণ

তামিম ইসলাম, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৬:০৪ পিএম
ফরিদপুরের চরাঞ্চলের মানুষের মধ্যে ভেড়া বিতরণ

ফরিদপুর সদর উপজেলার সুবিধাবঞ্চিত ও পিছিয়ে পড়া চর অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে “সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের” অধীনে ভেড়া বিতরণ করা হয়েছে।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) নদী-বিধৌত চর এলাকার মানুষের অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতা নিশ্চিত করতে এই প্রকল্পের আওতায় ফরিদপুর সদর উপজেলার চারটি ইউনিয়নের ১০৭ জন সুফল ভোগীর মাঝে প্রত্যেকের জন্য দুটি ভেড়ি ও একটি ভেড়া দেওয়া হয়েছে।

এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো প্রান্তিক কৃষকদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি ঘটানো। ভেড়া বিতরণের পাশাপাশি এই অঞ্চলের মানুষদের দুই দিনের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা সঠিকভাবে পশুপালন করতে পারে। এছাড়াও, ভেড়া ও ছাগলের ঘর তৈরির জন্য ১১,০০০ টাকা এবং হাঁস-মুরগির ঘর তৈরির জন্য ৮,৮০০ টাকা করে প্রণোদনাও দেওয়া হয়েছে।

প্রকল্পের অধীনে ফরিদপুর সদর উপজেলার মোট ৫৮৩৫ জন সুফল ভোগীকে বিভিন্ন ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে। এরই অংশ হিসেবে ১৩০ জনকে উন্নত জাতের হাঁস, ২৫ জনকে দেশি মুরগি এবং ২৫ জনকে ছাগলও দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ১৫৫ জন সুফলভোগী তিন কিস্তিতে মোট ২২৬ কেজি হাঁস-মুরগির খাবার পেয়েছেন।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- প্রকল্পের পরিচালক ডা. মো. আব্দুর রহিম। তিনি বলেন, “আমাদের এই সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পটি ৭টি জেলার ৩১টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। ৬৫,২৯০ জন সুফল ভোগীকে বিভিন্ন ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। ফরিদপুরে আমরা বিশেষ করে নদী-বিধৌত চর অঞ্চলের মানুষদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে কাজ করছি।”

সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ফরিদপুরের জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এ.কে.এম আমজাদ।

তিনি বলেন, “ভেড়া বিতরণ কেবল একটি কর্মসূচি নয়, এটি প্রান্তিক মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির একটি বড় সুযোগ। আমরা আশা করি, এই ভেড়াগুলো চর এলাকার গ্রামীণ অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং স্থানীয় মানুষদের স্বাবলম্বী করে তুলবে।”

সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মিজানুর রহমান বলেন, “সদর উপজেলার চর এলাকার মানুষের জন্য এই প্রকল্পটি একটি বড় প্রাপ্তি। আমরা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি যে প্রকল্পের সকল সুবিধা প্রকৃত সুফল ভোগীদের কাছে সঠিকভাবে পৌঁছায়।”

এই সহায়তা পেয়ে খুশি চর অঞ্চলের বাসিন্দারা। চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের আকবর মোল্লা বলেন, “আমরা চর এলাকার মানুষ, আমাদের জীবন অনেক কষ্টের। এই ভেড়াগুলো পেয়ে আমরা খুব খুশি। শুধু ভেড়াই নয়, তারা আমাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে এবং ঘর বানানোর টাকাও দিয়েছে। এতে আমাদের মতো গরিব মানুষেরা একটু মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে।”

ডিগ্রিরচর ইউনিয়নের মো. হাবিব জানান, “আমাদের আগে ভেড়া পালনের কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না। কিন্তু প্রকল্পের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ পেয়ে আমরা এখন ভেড়া পালন করতে পারব। আশা করি, এই ভেড়াগুলো বড় হলে বিক্রি করে আমরা ভালো লাভ পাব এবং আমাদের পরিবারের অভাব কিছুটা হলেও দূর হবে।”

নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের আসমার আক্তার বলেন, “আমাদের মতো মহিলাদের জন্য এই প্রকল্প একটি বড় সুযোগ। ভেড়া পালন করে আমরাও পরিবারের আয়ে সাহায্য করতে পারব। এই ধরনের সহযোগিতা পেলে আমরাও স্বাবলম্বী হতে পারব।”

এই প্রকল্প ফরিদপুরের চর অঞ্চলের গ্রামীণ অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে এবং প্রান্তিক মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।

ভাঙ্গা ডিজিটাল হাইস্কুলে আন্তঃক্রীড়া ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত

সোহাগ মাতুব্বর, ভাঙ্গা
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:১৩ পিএম
ভাঙ্গা ডিজিটাল হাইস্কুলে আন্তঃক্রীড়া ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ভাঙ্গা ডিজিটাল হাইস্কুলে আন্তঃক্রীড়া ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে দশম শ্রেণি একাদশ অষ্টম শ্রেণি একাদশকে ১-০ গোলে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়।

রবিবার (০৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে সরকারি কাজী মাহাবুব উল্ল্যাহ্ বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে এই ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়।

ভাঙ্গা ডিজিটাল হাইস্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক কে.এম শিহানের সঞ্চালনায় ও ভাঙ্গা ডিজিটাল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ঈসমাইল মোল্লার সভাপতিত্বে এসময় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- সরকারি কাজী মাহবুব উল্লাহ্ বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের উপাধ্যক্ষ সরোয়ার হোসেন।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-
ভাঙ্গা ডিজিটাল হাইস্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মাহফুজুর রহমান আলমগীর, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভাঙ্গা পৌর শাখার ৩ নং ওয়ার্ডের সভাপতি শাহজান মুন্সী, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো. হাফিজ আহমেদ ও সবুজ মাতুব্বর।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- সহকারী শিক্ষক হাফিজা আক্তার মিতু , তিশা রহমান, সিনথিয়া আক্তার, শিলা আক্তার ও মাহিন আহমেদ।

এসময় ভাঙ্গা ডিজিটাল হাইস্কুলে আন্তঃক্রীড়া ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ পরিচালনা করেন সহকারী শিক্ষক দিলীপ কুমার। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীবৃন্দ।

অনুষ্ঠান শেষে ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মেডেল ট্রফি ও উপহার হিসাবে বৃক্ষের চারা প্রদান করা হয়।

বোয়ালমারীতে বিএনপির সংঘর্ষে পাল্টাপাল্টি মামলা, আসামি ৮ শতাধিক

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:০৩ পিএম
বোয়ালমারীতে বিএনপির সংঘর্ষে পাল্টাপাল্টি মামলা, আসামি ৮ শতাধিক

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় স্থানীয় নেতৃত্বদানকারী কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ-সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার নাসিরুল ইসলাম এবং বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দীন মিয়া ঝুনুকে (ভিপি ঝুনু) প্রধান আসামি করে পাল্টাপাল্টি দুইটি মামলা হয়েছে।

রবিবার (০৯ নভেম্বর) বিকেলে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুল হাসান।

এর আগে গত ৭ নভেম্বর বিএনপির দুইগ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় শনিবার (০৮ নভেম্বর) দিবাগত রাতে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে থানায় এ মামলা দুটি রুজু করা হয়। পৃথক মামলায় ২২৬ জনের নাম উল্লেখ করে ৬৫০ জনকে দুই মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় ফরিদপুর-১ (মধুখালী-বোয়ালমারী-আলফাডাঙ্গা) আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ-সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার নাসিরুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে অপর মনোনয়ন প্রত্যাশী শামসুদ্দীন মিয়া ঝুনুর অনুসারী বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবুর রহমান বাবু বাদি হয়ে ১৮৮ জনের নাম উল্লেখ করে ২০০-৩০০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করে বিম্ফোরক আইনে মামলা করেন। মামলা নম্বর-১০।

অপর দিকে কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ-সভাপতি ও বিএনপি থেকে মনোয়ন প্রত্যাশী খন্দকার নাসিরুল ইসলামের অনুসারী উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বাদি হয়ে অপর মনোনয়ন প্রত্যাশী বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দীন মিয়া ভিপি ঝুনুকে প্রধান আসামি করে ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে ৩০০-৪০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে বিস্ফোরক আইনে মামলা করেছেন। মামলা নম্বর-১১।

এ মামলায় বিএনপিসহ বিভিন্ন দল থেকে ফরিদপুর-১ আসনের ৪ বারের সাবেক সংসদ সদস্য কেন্দ্রীয় জনতা পার্টির উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ মো. আবু জাফরকে ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় ৩ নম্বর আসামি করা হয়েছে পাশের সালথা উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের বড় খারদিয়া গ্রামের বাসিন্দা মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারকে।

থানা ও এলাকা সূত্রে জানা যায়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্প্রতি বিএনপি থেকে ২৩৭ আসনের মধ্যে ফরিদপুর জেলার ৪টি আসনের তিনটিতে দলীয় মনোনয়ন ঘোষণা করে দলটি। এর মধ্যে জেলার বোয়ালমারী, মধুখালী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-১ আসনে দলীয় মনোনয়ন ঘোষণা স্থগিত রাখে। তবে আসনটিতে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহসভাপতি, সাবেক এমপি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম এবং বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ভিপি শামসুদ্দীন মিয়া ঝুনু মিয়া আলাদা আলাদা দলীয় সভা-সমাবেশ চালিয়ে আসছিল। দুই নেতার সভা-সামাবেশে বিভিন্ন সময় পক্ষে-বিপক্ষে কথা চালাচালিও করতে শোনা গেছে। এ নিয়ে দুই নেতার সমর্থকদের মধ্যে কয়েকবার ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। খন্দকার নাসিরুল ইসলাম ও শামসুদ্দীন মিয়া ঝুনুর নেতৃত্বে এলাকাটিতে বিএনপি দুই ভাগে বিভক্ত থাকলেও নাসিরুল ইসলামের সাথেই তিন উপজেলার বেশির ভাগ নেতাকর্মীরা। গত ২১ অক্টোবর ১০ বছর পরে বোয়ালমারী, মধুখালী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটি গঠিত হয়। কমিটিতে খন্দকার নাসিরুল ইসলামের অনুসারীরা বড় পদ গুলোতে স্থান পায়। কমিটি নিয়ে দুই নেতার সমর্থকদের মধ্যে তীব্র অন্তোকোন্দল চলতে থাকে। এ কমিটি গঠনের পরেরদিন থেকে বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গায় বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল চালিয়ে যাচ্ছিল ভিপি ঝুনু অনুসারীরা। এক পর্যায়ে গত শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিল্পবী ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বোয়ালমারী পৌর বাজারে দুই পক্ষ আলাদা জায়গায় সমাবেশ করে। সমাবেশ করে মিছিল করে আসার সময় মাঝকান্দি-বোয়ালমারী-ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের বোয়ালমারী ওয়াবদা মোড়ে মুখোমুখি অবস্থানে পৌছিলে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, ভাংচুর ও একাংশের বিএনপির কার্যালয়সহ ১০-১২টি মোটরসাইকেলে অগ্নি সংযোগ করে বিক্ষুব্ধরা। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের ৪০-৫০ জন কমবেশী আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এ ঘটনার পরেরদিন শনিবার দিবাগত রাতে ২২৬ জনের নাম উল্লেখ করে স্থানীয় থানায় পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে। দুই মামলায় ৬৫০জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। তবে আজ রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোন মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান বলেন, বিএনপির দুইপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় শনিবার দিবাগত রাতে বোয়ালমারী থানায় দুইটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।

ফরিদপুরে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে আ’লীগের তিন নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

নুর ইসলাম, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৫, ৫:৫৮ এএম
ফরিদপুরে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে আ’লীগের তিন নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের একটি মামলায় ইউপি সদস্যসহ আওয়ামী লীগের তিন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (০৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গ্রেপ্তারকৃতদের ফরিদপুর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল আলম।

এর আগে শুক্রবার (০৭ নভেম্বর) গভীর রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার পাঁচুড়িয়া ইউনিয়নের চরচাঁদড়া গ্রামের ইউপি সদস্য ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ মোল্যা (৬৭), গোপালপুর ইউনিয়ন মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি চর চান্দরা গ্রামের বাসিন্দা কাজী রুবেল (৩৫) এবং টগরবন্দ ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিন মোল্যা (৩৫)।

থানা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি আলফাডাঙ্গা থানায় আওয়ামী লীগের ১৭০ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে একটি বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেন আলফাডাঙ্গা পৌর সদরের বুড়াইচ এলাকার বাসিন্দা নিনমজুর ইদ্রিস সর্দারের ছেলে বিএনপির সমর্থক লাভলু সর্দার। মামলাটিতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক ও সাংবাদিকদের আসামি করা হয়। এ মামলায় আড়াই থেকে তিন হাজার অজ্ঞাতনামা আসামি রয়েছে। মামলার অজ্ঞাত আসামি হিসেবে ওই তিন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আলফাডাঙ্গা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল আলম বলেন, একটি বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শনিবার তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।