খুঁজুন
সোমবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৫, ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

ফরিদপুরের সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রীর এপিএস ফুয়াদের সাড়ে ৫ কোটি টাকার সম্পত্তি ক্রোক

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: সোমবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৫, ৪:৪৫ পিএম
ফরিদপুরের সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রীর এপিএস ফুয়াদের সাড়ে ৫ কোটি টাকার সম্পত্তি ক্রোক

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের (এলজিআরডি) সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশারফ হোসেনের এপিএস এএইচ এম ফুয়াদের ৫ কোটি ৪৪ লাখ ৯৫ হাজার ৫৮৬ টাকার সম্পত্তি ক্রোক করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ফরিদপুরের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত সম্পত্তি ক্রোক করার এ আদেশ দেন।

সোমবার (২৪ নভেম্বর) সম্পত্তি ক্রোকের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান। ক্রোক করা সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে একটি ফ্ল্যাটসহ মোট ৩৮.৯৩৩ শতাংশ জমি।

জসীম উদ্দিন খান জানান, মানিলন্ডারিং তদন্তে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ফুয়াদ ছিলেন সাবেক মন্ত্রীর মন্ত্রণালয়কালীন এপিএস। সেই সময় ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হোসেন রুবেলকে সঙ্গে নিয়ে তিনি ‘হেলমেট বাহিনী’ নামে একটি গ্রুপ গঠন করেন। এই বাহিনী ব্যবহার করে এলজিইডি, স্বাস্থ্য প্রকৌশলী, শিক্ষা অধিদপ্তর, গণপূর্ত, বিএডিসি, পাসপোর্ট অফিস, বিআরটিএ, রোডস অ্যান্ড হাইওয়েসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করতেন। এসব টেন্ডার থেকে বড় অঙ্কের কমিশন গ্রহণ করে বিপুল সম্পদ গড়ে তোলেন।

তিনি আরও জানান, এছাড়া বিভিন্ন ব্যক্তিকে ভয়ভীতি দেখিয়েও অর্থ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তদন্তে আরও বেরিয়ে আসে, নিজের নামে ছাড়াও তার প্রথম স্ত্রী ফারজানা ফোয়াদ, দ্বিতীয় স্ত্রী তাছলিমা আক্তার বাবলী, দ্বিতীয় পক্ষের শাশুড়ি নাদিরা বেগমসহ আত্মীয়দের নামে বেনামে বহু জমি কেনার তথ্য। এসব সম্পত্তির দখল বর্তমানে তার ভাই ও ভাগিনার হাতে রয়েছে। এমনকি বেনামে বিলাসবহুল বাস কিনে পরিবহন খাতেও বিনিয়োগ করেছেন তিনি।

অনুসন্ধান শেষে সিআইডি বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন গত আগস্ট মাসে একটি মামলা দায়ের করে। বর্তমানে মামলার তদন্ত সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট পরিচালনা করছে। অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে সিআইডির অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মধুখালীতে নকল কীটনাশক জব্দ, প্রস্তুতকারককে ১ বছরের কারাদণ্ড

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: সোমবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৫, ৬:৪০ পিএম
মধুখালীতে নকল কীটনাশক জব্দ, প্রস্তুতকারককে ১ বছরের কারাদণ্ড

ফরিদপুরে অবৈধভাবে নকল সার, কীটনাশক তৈরি ও বাজারজাত করার অভিযোগে দাউদ মোল্লা (৩৫) নামে এক যুবককে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অনাদায়ে তাকে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

সোমবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে জেলার মধুখালী উপজেলার বাগাট ইউনিয়নের বাগাট গ্রামের কবির মোল্লার ছেলে মো. দাউদ মোল্লাকে এ দণ্ড প্রদান করা হয়।

মধুখালী কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মাহবুব এলাহী বলেন, গ্রাম পুলিশকে সোর্স হিসেবে ব্যবহার করে সোমবার দুপুরে সেখানে অভিযান চালানো হয়। এসময় প্রায় লক্ষাধিক টাকার নকল সার ও কীটনাশক জব্দ করা হয় এবং প্রায় ৫০ লক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন কৃষি উপকরণে (বালাইনাশক ও অনুখাদ্য) মোড়ক জব্দ করে ধ্বংস করা হয়। পরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯-এর ৪৩ ধারায় দাউদ মোল্লাকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু রাসেল জানান, দীর্ঘদিন ধরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, বাগাট দাখিল মাদরাসার পূর্ব পাশে গোরস্থানসংলগ্ন একটি বসতবাড়িতে দাউদ মোল্লা বিভিন্ন পরিচিত কোম্পানির লোগো ও প্যাকেট ব্যবহার করে নকল সার–কীটনাশক প্রস্তুত ও বাজারজাত করছেন।

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন মধুখালী থানা পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর তন্ময় সাহা সঙ্গীয় ফোর্সসহ স্থানীয় কৃষক ও সাধারণ মানুষ।

‘নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিবাহ বৈধ নয়’ — ফরিদপুরের ডিসি

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: সোমবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৫, ৬:২৬ পিএম
‘নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিবাহ বৈধ নয়’ — ফরিদপুরের ডিসি

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদ হলরুমে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে অংশীজনদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

সোমবার (২৪ নভেম্বর) সকাল ১১টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক,শিক্ষাথী,সাংবাদিক, এনজিও কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় প্রধান অতিথি ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান মোল্যা বলেন, নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিবাহ সম্পন্ন করা কোনোভাবেই বৈধ নয়। নোটারি বিবাহের আইনি স্বীকৃতি নেই। এটি প্রতারণা ও দণ্ডনীয় অপরাধ। তিনি বাল্যবিবাহ রোধে ভ্রাম্যমাণ আদালতসহ সব ধরনের আইনি ব্যবস্থা আরও জোরদার করার ঘোষণাও দেন।

বক্তারা বলেন, বাল্যবিবাহ শুধু একটি আইনি অপরাধ নয়; এটি শিশুর শারীরিক-মানসিক স্বাস্থ্য, শিক্ষাজীবন ও সমাজে দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে পরিবার, সমাজ ও প্রশাসনের সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তারা।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন চরভদ্রাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রজিউল্লাহ খান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হাফিজুর রহমান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন, গাজিরটেক ইউপি চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী, সাংবাদিক আব্দুস সবুর মোল্লা (কাজল) ও লিতাকত আলী (লাভ্লু) আব্দুস সালাম মোল্লা প্রমুখ।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জাহিদ তালুকদার। সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরা খাতুন।

জেলা প্রশাসন জানায়, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে নিয়মিত সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি আইন প্রয়োগে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

আলফাডাঙ্গায় জুতার দোকানে ভয়াবহ আগুন, ২০ লাখ টাকার ক্ষতি

মো. ইকবাল হোসেন, আলফাডাঙ্গা:
প্রকাশিত: সোমবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৫, ৬:০৯ পিএম
আলফাডাঙ্গায় জুতার দোকানে ভয়াবহ আগুন, ২০ লাখ টাকার ক্ষতি

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় ভয়াবাহ আগুনে জুতার দোকানের গোডাউনে থাকা মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ অগ্নিকান্ডে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দোকান মালিক।

রোববার (২৩ নভেম্বর) দিনগত রাত দেড়টার দিকে আলফাডাঙ্গা সদর বাজারে বাশার সু-স্টোরে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। বৈদ্যুতিক সট সার্কিট থেকে এ আগুণের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

বাজার ব্যবসায়ী সূত্রে জানা যায়, রবিবার রাত দেড়টায় সদর বাজারের মেসার্স বাশার সু স্টোরের দোকানের মধ্যে থেকে আগুনের ধোঁয়া দেখতে পেয়ে দোকান মালিককে ফোন করে জানানো হয়। এর মধ্যে আলফাডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। ফায়ার সার্ভিস প্রায় এক ঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে নেয়। এসময়ের মধ্যে দোকানের গোডাউন আন্ডার গ্রাউন্ডে থাকা প্রায় ২০ লাখ টাকার বাটাসহ বিভিন্ন কোম্পানির জুতা-সেন্ডেল পুড়ে যায়।

বাশার সু স্টোরের মালিক আবুল বাশার শেখ জানান, রাত দেড়টার দিকে এক ব্যবসায়ীর মাধ্যমে জানতে পারলাম আমাদের দোকানে আগুন লেগেছে। এসে দেখি দোকানের নিচ তলার গোডাউনের আন্ডার গ্রাউন্ডের মধ্যে থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। এরমধ্যে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে প্রায় এক ঘন্টা চেষ্টা করে আগুণ নিয়ন্ত্রণে আনে। দোকানে কত টাকার মালামাল ছিল তার কোনো সঠিক হিসেব নেই তার কাছে। তবে ধারণা করছে প্রায় ২০ লাখ টাকার জুতা-সেন্ডেল পুড়ে গেছে।

আলফাডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন লিডার (ভারপ্রাপ্ত) ওবাইদুল রহমান জানান, জুতার দোকানের নিচে একটি গোডাউন ছিল আমরা সেখানে গিয়ে শুধু ধোঁয়া দেখতে পাই। পানির পাইপ ঢুকিয়ে ভিতরে পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিট থেকে এ আগুণের সূত্রপাত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে আমাদের সঠিক ধারণা দিতে পারছি না। তবে গোডাউনে থাকা মালামাল পুড়ে গেছে।