খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫, ২ শ্রাবণ, ১৪৩২

ফরিদপুরের সোনালী হরিণের গল্প: শখ থেকে স্বপ্নের পথে

তামিম ইসলাম, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫, ২:৩৮ পিএম
ফরিদপুরের সোনালী হরিণের গল্প: শখ থেকে স্বপ্নের পথে

ফরিদপুর শহরতলীর পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের শ্যামসুন্দরপুর গ্রামে এক অনন্য উদ্যোগের জন্ম হয়েছে, যা এখন সারা জেলায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। এই গল্পের কেন্দ্রে রয়েছেন মো. ফরিদ শেখ, একজন মাদ্রাসা পরিচালক, যিনি শখের বশে শুরু করা হরিণ পালনকে একটি সমৃদ্ধ বাণিজ্যিক উদ্যোগে রূপান্তর করেছেন। তার এই প্রচেষ্টা শুধু আয়ের নতুন পথই খুলেনি, বরং এতিম শিশুদের জন্য একটি আশ্রয়স্থল গড়ে তুলেছে। “ফরিদাবাদ শেখ ফেলু দাখিল মাদ্রাসা ও এতিমখানা”র পাশে অবস্থিত ফরিদ শেখের হরিণের খামার এখন ফরিদপুরের গর্ব।

শখ থেকে বাণিজ্যিক সাফল্য:

২০১৭ সালে মাত্র দেড় লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে ফরিদ শেখ ঢাকা চিড়িয়াখানা থেকে দুটি হরিণ কিনে আনেন। শুরুটা ছিল কেবল শখ। কিন্তু আড়াই মাসের মধ্যেই হরিণ দুটি থেকে জন্ম নেয় একটি শাবক। ধীরে ধীরে তার খামারে হরিণের সংখ্যা বাড়তে থাকে। যখন হরিণের সংখ্যা ১২-এ পৌঁছায়, তিনি শৌখিন লাইসেন্সকে বাণিজ্যিক লাইসেন্সে রূপান্তর করেন। এখন পর্যন্ত তিনি প্রায় ৫০টি হরিণ বিক্রি করেছেন, যার প্রতিটির দাম এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা। এই আয় সরাসরি মাদ্রাসার তহবিলে যোগ হয়, যা দিয়ে এতিম শিশুদের পড়াশোনা, থাকা-খাওয়ার খরচ মেটানো হয়।

হরিণ পালন: সহজ ও লাভজনক

হরিণ পালনের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এর স্বল্প খরচ ও ন্যূনতম রোগব্যাধি। মো. ফরিদ শেখ জানান, “হরিণ তৃণভোজী প্রাণী। নেপিয়ার ঘাস, কলমি ঘাস, ছোলা, ভুসি, বাঁধাকপি, মিষ্টি কুমড়া, লাউ দিয়েই আমি হরিণ পালন করি। প্রতিটি হরিণের পেছনে দৈনিক খরচ মাত্র ১০০-১৫০ টাকা। অন্যান্য পশুদের তুলনায় হরিণের রোগবালাই কম, তাই ওষুধ বা ভ্যাকসিনের খরচও প্রায় নেই।” এই সহজ পদ্ধতি এবং কম খরচই তার উদ্যোগকে লাভজনক করে তুলেছে।

বন অধিদপ্তরের নিয়মকানুন:

হরিণ পালনের জন্য বন অধিদপ্তর থেকে শৌখিন এবং বাণিজ্যিক লাইসেন্স দেওয়া হয়। শৌখিন লাইসেন্সের জন্য বিভাগীয় বন অফিসে আবেদন করতে হয়। বন বিভাগ সরেজমিনে পরিদর্শন করে জায়গার উপযুক্ততা যাচাই করে অনুমতি দেয়। হরিণের সংখ্যা ১১-এর বেশি হলে বাণিজ্যিক লাইসেন্স প্রয়োজন, যার জন্য আগারগাঁও বন অফিসে আবেদন করতে হয়। এই লাইসেন্সে প্রতিটি হরিণের জন্য বছরে ১২০০ টাকা ভ্যাট দিতে হয়।

শুধু হরিণ নয়, আরও বৈচিত্র্য:

ফরিদ শেখের উদ্যোগ শুধু হরিণ পালনেই সীমাবদ্ধ নয়। তার গরু, দুম্বা এবং বিশাল মাছের খামারও রয়েছে, যেখান থেকে তিনি প্রতি বছর মোটা অঙ্কের আয় করেন। এই খামারগুলোতে ৩০ জনেরও বেশি শ্রমিক কাজ করেন, যা স্থানীয় বেকার যুবকদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে।

পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত খামার:

ফরিদপুরে হরিণ পালনের এমন উদ্যোগ আর কোথাও নেই। ফরিদ শেখের খামার এখন শুধু ব্যবসা নয়, একটি পর্যটন কেন্দ্রও। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসেন এই সোনালী হরিণগুলো দেখতে। মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা হরিণদের লাফালাফি দেখে আনন্দ পায় এবং সময় পেলে তাদের খাবার দেয়, খেলে। মাদ্রাসার শিক্ষকরা জানান, এই খামার মাদ্রাসার পরিচিতি বাড়িয়েছে। দর্শনার্থীরা হরিণ দেখতে এসে ছবি তুলেন, খেলেন এবং এতিম শিশুদের সঙ্গে সময় কাটান। এই খামার মাদ্রাসাটিকে ফরিদপুরের একটি অনন্য স্থানে পরিণত করেছে।

ফরিদ শেখের বক্তব্য:

মো. ফরিদ শেখ বলেন, “আমার শখের শুরু ছিল এই হরিণ পালন। কিন্তু এটি এখন আমার জীবনের একটি বড় অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই খামার থেকে আয় দিয়ে আমি এতিম শিশুদের শিক্ষা ও জীবিকার ব্যবস্থা করছি। আমি বিশ্বাস করি, দৃঢ় ইচ্ছা আর পরিশ্রম থাকলে যেকোনো শখকেও সফল ব্যবসায় রূপান্তর করা সম্ভব। আমি চাই, আমার এই উদ্যোগ অন্য তরুণদেরও অনুপ্রাণিত করুক।”

একটি মহৎ উদ্যোগ:

ফরিদ শেখের এই উদ্যোগ শুধু ব্যবসায়িক সাফল্যের গল্প নয়, এটি একটি মানবিক মিশন। তার হরিণের খামার থেকে আয় দিয়ে তিনি “ফরিদাবাদ শেখ ফেলু দাখিল মাদ্রাসা ও এতিমখানা” পরিচালনা করছেন, যেখানে এতিম শিশুরা শিক্ষা ও আশ্রয় পাচ্ছে। এই উদ্যোগ তরুণদের জন্য অনুপ্রেরণা, যারা স্বপ্ন দেখে নিজের পায়ে দাঁড়াতে। ফরিদপুরের এই সোনালী হরিণের খামার এখন শুধু একটি খামার নয়, এটি আশা, স্বপ্ন আর সম্ভাবনার প্রতীক।

এনসিপির ওপর হামলা : ভাঙ্গায় এক্সপ্রেসওয়েতে টায়ার জালিয়ে সড়ক অবরোধ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ জুলাই, ২০২৫, ৭:৩৮ পিএম
এনসিপির ওপর হামলা : ভাঙ্গায় এক্সপ্রেসওয়েতে টায়ার জালিয়ে সড়ক অবরোধ

জাতীয় নাগরিক কমিটি (এনসিপি) নেতৃবৃন্দের ওপর গোপালগঞ্জে হামলার প্রতিবাদে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটির ভাঙ্গা উপজেলা শাখার নেতাকর্মীরা।

বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেল সাড়ে চারটা থেকে যশোর- খুলনা-ভাঙ্গা-ঢাকা হাইওয়ে এক্সপ্রেসওয়ে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার সামনে টায়ার জালিয়ে এ সড়ক অবরোধ করে রাখা হয়।

এ সময় দুই দিকে শত শত দূর পাল্লার যানবাহন আটকা পড়ে।

ঘটনাস্থলে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানা পুলিশ, লোকাল থানা পুলিশ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসে আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চেষ্টা চালিয়া যান।

এ ঘটনার ভাঙ্গা উপজেলা নাগরিক কমিটির সমন্বয়ক মো. আশরাফ হোসেন বলেন, গোপালগঞ্জে নাগরিক কমিটির নেতা কর্মীদের অবরুদ্ধ ও হামলার প্রতিবাদে আমরা ভাঙ্গায় সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছি। গোপালগঞ্জ থেকে যতক্ষণ পর্যন্ত নেতাকর্মীরা নিরাপদে ফিরে না আসবে, আমরা ভাঙ্গায় ততক্ষণ পর্যন্তই সড়ক অবরোধ করে রাখবো।

ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রোকিবুজ্জামান জানান, বিকেল সাড়ে চারটা থেকে নাগরিক কমিটির উদ্যোগে ভাঙ্গার নেতাকর্মীরা হাইওয়ে এক্সপ্রেসের শুরুতে অবরোধ করে রেখেছে। অবরোধের কারণে সব ধরনের যানবাহন দুই পাশে জড়ো হয়ে গেছে। বিশেষ ব্যবস্থায় অ্যাম্বুলেন্স গাড়ী গুলো পাড় করে দেওয়া হচ্ছে।

এ ঘটনায় ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন জানান, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

এ বিষয় ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করছি। এখনও পর্যন্ত শান্তিপূর্ন রয়েছে তাদের কর্মসূচি। আমরা চেষ্টা করছি আটকে থাকা যানবাহন চলাচল শুরু করতে।

ফরিদপুর-ভাঙ্গা মহাসড়কে চারলেনের কাজ শুরুর প্রেক্ষিতে ব্লকেড কর্মসূচি স্থগিত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ জুলাই, ২০২৫, ৭:২০ পিএম
ফরিদপুর-ভাঙ্গা মহাসড়কে চারলেনের কাজ শুরুর প্রেক্ষিতে ব্লকেড কর্মসূচি স্থগিত

ফরিদপুর টু ভাঙ্গা মহাসড়কের অংশে চারলেনে উন্নীতকরণের জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ আন্দোলনের মুখে আবার শুরু করা হয়েছে।

বুধবার (১৬ জুলাই) থেকে জেলা প্রশাসন থেকে দাপ্তরিক কাজ শুরু করেছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। একইসাথে তারা জানান, এ বছরের মধ্যেই চারলেনের মহাসড়ক তৈরির কাজ শুরু করা হবে।

সাম্প্রতিক বৃষ্টিতে মহাসড়কের এই অংশ একেবারেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ার প্রেক্ষিতে সম্প্রতি মহাসড়কটি চারলেনে উন্নীত করার আন্দোলন শুরু হয়। গত ১৩ জুলাই ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন শেষে এ কাজ শুরুর জন্য এক সপ্তাহের আল্টিমেটাম দেন আন্দোলনকারীরা।

এরপর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে মতবিনিময় সভার আহ্বান করা হয়। মঙ্গলবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভা থেকে এসব সিদ্ধান্ত জানানো হয়। সভায় জেলার সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে চারলেন বাস্তবায়ন আন্দোলন কমিটির প্রতিনিধি দলের পাশাপাশি পরিবহন মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধি এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

ফরিদপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান মোল্লার সভাপতিত্বে সভায় ফরিদপুর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খালিদ সাইফুল্লাহ সরদার, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মো: বাকাইদ হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধি হিসেবে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এএফএম কাইয়ুম জঙ্গি, জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুত তাওয়াব, জেলা বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি কামরুজ্জামান সিদ্দিকী, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক কাজী রিয়াজ, সদস্য সচিব সোহেল রানা এবং চারলেন বাস্তবায়ন আন্দোলন কমিটির প্রতিনিধি দলের সদস্য আবরার নাদিম ইতু, কাজী রিয়াজ, ভিপি গিয়াস, শেখ আরিফ, সেলিম মিয়া, মাহমুদউল্লাহ, ওয়ালিদ হাসান প্রমুখ সভায় যোগ দেন।

সভায় আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, চারলেন বাস্তবায়ন কাজে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ চরম অবহেলা করছেন। এজন্য তাদের এই পথে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিটি মৃত্যুর দায় নিতে হবে। এ কথায় সভায় কিছুটা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

জেলা বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি কামরুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, এই রুটে যানবাহন চলাচল করানোটা এখন দুঃসাধ্য ব্যাপার। জনগণের ভোগান্তির কথা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এই কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে।

সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খালিদ সাইফুল্লাহ সরদার বলেন, দীর্ঘদিন অচলাবস্থার পর চলতি বছর সেখানে সংস্কার কাজের জন্য দু’টি টেন্ডার করা হয়। কাজ শুরুর সময় অতিবৃষ্টিতে আটকে যায়। এরপর ভারি বর্ষণের ফলে সেখানে খুবই খারাপ অবস্থা সৃষ্টি হয়। আমরা পরিস্থিতি অনুধাবন করে দ্রুতই ব্যবস্থা নেবো। তবে বৃষ্টির মধ্যে কাজ করলে সেটি যথেষ্ট হবেনা বলেই আবহাওয়া ভালো হওয়ার অপেক্ষায় সময় লাগছে।

ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, মহাসড়কের এই অংশ চারলেনে উন্নীতকরণের কাজ আটকে যায় কিছু মামলা জটিলতায়। এ মামলাগুলো অনেক পুরনো। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরে আমরা আবার এই কাজ শুরু করেছি। আশা করছি দ্রুতই এ কাজ শুরু করবো।

চারলেন বাস্তবায়ন আন্দোলন কমিটির সদস্য আবরার নাদিম ইতু বলেন, প্রশাসনের আন্তরিকতা বিবেচনায় এ দাবিতে ২৩ জুলাই রোড ব্লকেড কর্মসূচী স্থগিত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আবহাওয়া অনুকূল হলেই মহাসড়ক চলনসই করার জন্য প্রয়োজনীয় মেরামত ও সংস্কার কাজ শুরু করা হবে। পাশাপাশি চারলেনের জন্য জমি অধিগ্রহনের কাজ দ্রুত শেষ করবে। একাজে কোন রকম অবহেলা বা দীর্ঘসূত্রিতা মেনে নেওয়া হবে না। সেক্ষেত্রে আমরা যেকোন সময় রোড ব্লকেড, কার্যালয় ঘেরাও বা এ জাতীয় কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।

ফরিদপুরে এনসিপি নেতাকর্মীর বিক্ষোভ মিছিল

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ জুলাই, ২০২৫, ৭:১৬ পিএম
ফরিদপুরে এনসিপি নেতাকর্মীর বিক্ষোভ মিছিল

oppo_0

ফরিদপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টির ‌ (এনসিপি) ‌বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা ‌ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার‌ (১৬ জুলাই) বিকেলে ফরিদপুর শহরের জনতা ব্যাংকের মোড়ে ‌ উক্ত কর্মসূচির ‌ আয়োজন করা হয়।

গোপালগঞ্জে এনসিপির ‌ শান্তিপূর্ণ পদযাত্রায় ‌ কাপুরুষিত ‌ আওয়ামী সন্ত্রাসীদের ‌ হামলার প্রতিবাদে ‌ উক্ত ‌ বিক্ষোভ মিছিল ও ‌পথসভা ‌ অনুষ্ঠিত হয়।

এনসিপি জেলা কমিটির ‌ প্রধান সমন্বয়কারি ‌ সৈয়দা নীলিমা দোলার সভাপতিত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি শহর প্রদক্ষিণ শেষ ‌সূচনা স্থানে ফিরে আসে ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ‌ ১ নং যুগ্ম সমন্বয়কারী এসএম জাহিদ হোসেন ,‌ যুগ্ম সমন্বয়কারী সাইফ খান , যুগ্ম সমন্বয়কারী ‌ জিল্লুর রহমান, যুগ্ম সমন্বয়কারী বাইজিদ হোসেন ‌ শাহেদ , মোঃ কামাল হোসেন, শ্রমিক উইং এর ফরিদপুর জেলা শাখা সমন্বয়কারী জুনায়েদ জিতু, সদস্য এস এম ‌ ‌ আকাশ ‌, বাচ্চু শেখ প্রমুখ।

সংক্ষিপ্ত সভায় বক্তারা ‌ গোপালগঞ্জে ‌ এনসিপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে ‌ আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী ‌ সংগঠনের সন্ত্রাসীদের ‌ হামলার নিন্দা জ্ঞাপন করেন। এছাড়া অবিলম্বে ‌ এই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ‌ আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। এ সময় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ‌ উপস্থিত ছিলেন।