খুঁজুন
শুক্রবার, ৪ জুলাই, ২০২৫, ২০ আষাঢ়, ১৪৩২

ফরিদপুরে কয়লা কারখানায় যৌথ বাহিনীর অভিযান, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫, ১২:০১ পিএম
ফরিদপুরে কয়লা কারখানায় যৌথ বাহিনীর অভিযান, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে অবৈধ কয়লার কারখানায় সেনা ক্যাম্প, থানা পুলিশ ও জেলা বন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে কারখানার তত্ত্বাবধানে দায়িত্বে থাকা যুবলীগ নেতা মির্জা আব্বাস মিলনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মঙ্গলবার (১৩ মে) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অভিযানে আদালত পরিচালনা করেন বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর হাসান চৌধুরী।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সহস্রাইল দেউলি এলাকায় মৃধা ট্রেডার্স নামে একটি কয়লার কারখানা নির্মাণ করে গাছ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করে আসছিল কারখানাটি। ওই কারখানার দায়িত্বে ছিলেন উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও শেখর ইউনিয়নের সহস্রাইল গ্রামের বাসিন্দা মির্জা আব্বাস মিলন। যৌথ বাহিনীর অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর হাসান চৌধুরী, জেলা বন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর মো. জাহিদ হাসান।
এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর হাসান চৌধুরী ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে কারখানার দায়িত্বে থাকা মির্জা আব্বাস মিলনকে বায়ুদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২২ আইনে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে আগামী ৭ দিনের মধ্যে কারখানাটি অপসারণ করার নির্দেশ দেন। অপসারণ না করলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর হাসান চৌধুরী বলেন, কয়লা কারখানার তত্ত্বাবধায়কে থাকা মির্জা আব্বাস মিলনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ সময় কারখানাটি আগামী ৭ দিনের মধ্যে অপসারণ করে নেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

‘যেভাবে আসা বাংলানিউজে’

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৪ জুলাই, ২০২৫, ২:২৯ পিএম
‘যেভাবে আসা বাংলানিউজে’

সময় বহমান। তাইতো সে থেমে থাকেনা কখনোই। এই সময়ের বহতায় কত স্মৃতিই-না জড়িয়ে থাকে। জড়িয়ে থাকে নানা অভিজ্ঞতা, নানা শিক্ষা। যা কখনোই ভুলা যায়না।

এমনই করে নানা অভিজ্ঞতা আর স্মৃতি জড়িয়ে আছে প্রিয় প্রতিষ্ঠান বাংলানিউজ২৪-এর সাথে।

২০১০ সালের ১লা জুলাই বাংলানিউজের আত্মপ্রকাশ হলেও আমার পথচলা শুরু হয় ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে। এখানকার সহকর্মীদের আন্তরিকতা আর সৌহার্দ্যপূর্ণ মনোভাব সত্যিই বিমোহিত। এছাড়া অফিসের নিউজ বিভাগের সাথে জড়িয়ে থাকা দক্ষ সাব-এডিটরগণ আমাদের পাঠানো নিউজ নিপুণভাবে নির্ভূল সংবাদ পরিবেশনে ভূমিকা রাখার বিষয়টি সত্যিই প্রশংসনীয়।

২০১২ সাল থেকে আমার মফস্বলের সংবাদকর্মী হিসেবে পথচলা। তখন নানা স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকা এবং অনলাইনে কাজ করতে থাকি। তখন বাংলানিউজের নাম সব সাংবাদিকদের মুখে মুখে শোনা যেত। ওই সময়টায় ফরিদপুরে স্টাফ করেসপন্ডেন্ট হিসেবে কাজ করতেন রেজাউল করিম বিপুল। যিনি সংবাদকর্মী হিসেবে ছিলেন দক্ষ ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। তাকে দেখতাম যেকোনো ঘটনা সবার আগে বাংলানিউজে পাঠাতেন। এমনও দেখেছি কোনো একটি ঘটনার ৮-১০ পর্ব ফলোআপ নিউজ করতে। এসময় মনে মনে ভাবতাম যদি বাংলানিউজে কাজ করার একদিন সুযোগ পেতাম।

এভাবে অপেক্ষার পালা শেষ হয় ২০২১ সালে। কারণ, এসময় রেজাউল করিম বিপুল বাংলানিউজ ছেড়ে অনলাইন নিউজ পোর্টাল বার্তা২৪-এ যোগদান করেন। ফরিদপুর ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্টের পদ শূন্য হলেও চলে জেলার অভিজ্ঞ অন্তত ৮-১০ জন সংবাদকর্মীর সাথে আমার প্রতিযোগিতা। পাঁচ মাস নিউজ পাঠানোর প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার পর অতঃপর আমার কাজ করার পুরোপুরি সুযোগ হয় বাংলানিউজে।

এরপর চলে যেকোনো নিউজ ফরিদপুর জেলা থেকে সবার আগে পাঠানোর প্রতিযোগিতা। সেই প্রতিযোগিতায় নিজেকে কতটা মেলে ধরতে পেরেছি সেটা পাঠকরাই বলতে পারবেন। তবে, চেষ্টা করেছি অবিরত।

গ্রামের মাঠে-ঘাটে ও প্রত্যন্ত এলাকায় নিউজের জন্য যখন যাই তখন বাংলানিউজের কথা বললে মানুষ খুব আন্তরিকতা ও ভালোবাসা দেখান। তথ্য দিয়েও খুব সহযোগিতা করেন। অপেক্ষায় থাকেন নতুন কিছুর। নতুন কোনো ঘটে যাওয়া নিউজের।

আজ ১লা জুলাই ২০২৫। বাংলানিউজ২৪.কম ১৫ পেরিয়ে ১৬ বছরে পা রাখলো। এই শুভদিনে বাংলানিউজের জন্য শুভকামনা রইলো। বাংলানিউজ তার সুনাম অক্ষুণ্ণ রেখে এগিয়ে যাক দূর থেকে বহুদূর এই কামনা সবসময়।

 

 

লেখক: হারুন-অর-রশীদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, ফরিদপুর, বাংলানিউজ২৪

ফরিদপুরে ভেজাল শিশু খাদ্য কারখানায় অভিযান, জরিমানা

মফিজুর রহমান শিপন, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৪ জুলাই, ২০২৫, ২:১৫ পিএম
ফরিদপুরে ভেজাল শিশু খাদ্য কারখানায় অভিযান, জরিমানা

ফরিদপুরের একটি খাদ্য কারখানায় অভিযান চালিয়ে ভেজাল শিশু খাদ্য তৈরির অভিযোগে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে যৌথ বাহিনী।

বৃহস্পতিবার (০৩ জুলাই) সন্ধ্যার পর ফরিদপুর সদরের কানাইপুর ইউনিয়নে এ অভিযান পরিচালনা করা হয় বলে জানিয়েছেন নির্বাহী হাকিম ও ফরিদপুর সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) শফিকুল ইসলাম।

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর ১৫ আরই ব্যাটেলিয়নের সদস্য ও পুলিশ সদস্যরা।

নির্বাহী হাকিম শফিকুল বলেন, জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়নে সেইফ ফুড প্রডাক্টস কারখানায় অভিযান পরিচালনা করা হলে সেখানে উৎপাদন করা ভেজাল চানাচুর, রিং চিপস, ভুমরা, কুর-মুড়ি, ঝালমুড়ি, অরেঞ্জ জুস, সিপসিপসহ বিভিন্ন শিশু খাদ্য পাওয়া যায়।

এ সময় ফ্যাক্টরির মালিক শফিকুল ইসলাম (৪৬) এর কাছে ফ্যাক্টরি পরিচালনা করার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও আয়কর পরিশোধের তথ্য চাওয়া হলেও তিনি কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।

পরবর্তীতে ভেজাল খাদ্য উৎপাদন করার অপরাধে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয় বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

তিনি আরও বলেন, শিশুসহ সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে এই ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।

ফরিদপুরে মৎস্যজীবী হত্যার তিন নম্বর আসামি র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৪ জুলাই, ২০২৫, ২:০৯ পিএম
ফরিদপুরে মৎস্যজীবী হত্যার তিন নম্বর আসামি  র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে মৎস্যজীবী সৌখিন খান (২৬) হত্যা মামলার ৩ নম্বর আসামি ফরিদ হোসেন সানিকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে ফরিদপুর র‍্যাব-১০।

শুক্রবার (০৪ জুন) দুপুরে আসামিকে ফরিদপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (০৩ জুলাই) দুপুরে জেলার মধুখালী উপজেলার নওয়াপাড়া এলাকা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য প্রযুক্তি সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ফরিদ হোসেন সানি মধুখালী উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের ইস্রাফিল শেখের ছেলে। বোয়ালমারী থানা পুলিশ রাতেই র‍্যাব ক্যাম্প থেকে আসামিকে থানায় নিয়ে আসে।

গত ২৫ জুন বুধবার দিবাগত রাত আড়াটার দিকে ফরিদপুরের বোয়ালমারী ও মধুখালী উপজেলা এবং মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী মধুমতী নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে প্রতিপক্ষ মৎস্যজীবী মধুখালী উপজেলার নওপাড়া গ্রামের মৃত সোলেমান মোল্যার ছেলে জব্বার মোল্যার (৩৭) হাতে থাকা বৈঠার আঘাতে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয় মৎস্যজীবী সৌখিন খান। (২৬ জুন) বৃহস্পতিবার ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল অভিযান চালিয়েও নিখোঁজ মৎস্যজীবী সৌখিন খানের সন্ধান পায়না।

৩ কিলোমিটার ভাটিতে ৩০ ঘণ্টা পর শুক্রবার (২৭ জুন) সকালে মহম্মদপুর উপজেলা চরপাচুড়িয়া খেয়াঘাট এলাকা সৌখিনের লাশ ভেসে উঠলে লাশটি উদ্ধার করা হয়। মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মাগুরা সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান।

নিখোঁজ মৎস্যজীবী শোখিন খান মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার দীঘা ইউনিয়নের পাল্লা চরপাড়া গ্রামের ছাত্তার খানের ছেলে। তার এক মেয়ে এক ছেলে। মেয়েটি জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী সৌখিন খানকে (২৬) হত্যার ঘটনায় শুক্রবার (২৭ জুন) রাতে বোয়ালমারী থানায় হত্যা মামলা হয়। সৌখিন খানের বাবা সাত্তার খান বাদী হয়ে মধুখালী উপজেলার নওপাড়া গ্রামের মৃত সোলেমান মোল্যার ছেলে জব্বার মোল্যাকে (৩৭) প্রধান আসামি করে তিনজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে ৩ আসামিই পলাতক ছিল।

বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে ফরিদপুর র‍্যাবের একটি দল সৌখিন খান হত্যা মামলার ৩ নম্বর আসামি ফরিদ হোসেন সানিকে তার নিজ এলাকা মধুখালী উপজেলার নওয়াপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়। শুক্রবার দুপুরে আসামিকে ফরিদপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।