খুঁজুন
শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

ফরিদপুরে বসুন্ধরা শুভ সংঘের নতুন কমিটির পরিচিতি ও কর্মপরিকল্পনা সভা

স্টাফ রিপোর্টার:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৫:০৩ পিএম
ফরিদপুরে বসুন্ধরা শুভ সংঘের নতুন কমিটির পরিচিতি ও কর্মপরিকল্পনা সভা

ফরিদপুরে বসুন্ধরা শুভ সংঘের জেলা কার্যনির্বাহী নতুন কমিটির পরিচিতি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় শহরের রাজেন্দ্র কলেজের ক্যান্টিনে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির সামনের দিনে কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

আলোচনা সভায় সংগঠনের উপদেষ্টাবৃন্দ, সভাপতি ও সম্পাদকসহ কমিটির সদস্যরা বিভিন্ন মতামতের সাথে কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন বক্তারা। সভা শেষে কলেজ চত্বরে শহীদ মিনারের সামনে ভাষার মাসে কমিটির সকলকে নিয়ে ছবি তোলা হয়।

কর্মপরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে, হতদরিদ্র নারীদের সেলাই মেশিন প্রশিক্ষণ, শিশু কিশোরদের সাহিত্য প্রতিযোগিতার আয়োজন, বই পড়ার আয়োজন, অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তির, বাল্যবিবাহ রোধে সচেতনতা, ময়লা-আবর্জনার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, বৃক্ষ রোপন, বৃদ্ধাশ্রম বা এতিমখানায় পিঠা উৎসবসহ বিভিন্ন ক্যাম্পেইন করার কর্ম পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়।

পরিচিতি সভায় সংগঠনের ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি তন্ময় রায়ের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সোনীয়া সুলতানার সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা প্রফেসর এস এম আব্দুল হালিম, বাংলা নিউজের জেলা প্রতিনিধি হারুন অর রশিদ, কালের কণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি মো. নুর ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অনুপম রায়, দপ্তর সম্পাদক তিহান আহমেদ, কর্ম ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক এহসানুল হক মিয়া, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক বাসুদেব বিশ্বাস, ক্রীড়া সম্পাদক মহানন্দ দত্ত, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আলিম মৃধা, আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক বিপ্লব বিশ্বাস, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মো. ফয়সাল, কার্যকরী সদস্য সজল সরকার, মুক্তা খানম, রনি রায় ও অমিত রায় প্রমুখ।

ফরিদপুর জেলা শুভ সংঘের কমিটিতে আরো যাঁরা রয়েছেন তারা হলেন, প্রধান উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের জেলা প্রতিনিধি কামরুজ্জামান সোহেল, উপদেষ্টা নুরুল ইসলাম নুরুল ও আজহারুল ইসলাম, সহসভাপতি আদি শরীফ আমির ও সৈয়দ মাহাবুব সেলিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুম আক্তার ও তৌফিক রাজ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাজেদুল হক লিটু, অর্থ সম্পাদক সুজাউজ্জামান, নারী বিষয়ক সম্পাদক সায়মা আজিজ স্বর্না, ইভেন্ট সম্পাদক সাহেল আক্তার, প্রচার সম্পাদক ও নিউজ ২৪ ফোর টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি সোহাগ জামান, স্বাস্থ্য ও মানব সম্পাদক ডা. আরমান দিপ্ত, নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক উম্মে হাবিবা মৌ, শিক্ষা ও পাঠ্যচক্র বিষয়ক সম্পাদক কাকলি সরকার, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক তামান্না আফরোজ, কার্যকরী সদস্য সনত চক্রবর্তী, সম্রাট শেখ, আরজিৎ, মো. মারুফ ও সঞ্জয় রায়।

সংগঠনের সভাপতি তন্ময় রায় এবং সাধারণ সম্পাদক সোনীয়া সুলতানা বলেন, উপদেষ্টাগণের পরামর্শক্রমে নতুন কমিটির পরিচিতি সভায় আমরা বেশ কিছু কর্ম পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। এক একটা করে পরিকল্পনা গুলো বাস্তবায়নের চেষ্টা চালিয়ে যাব। তারা বলে, গঠনের সদস্যদের সাথে নিয়ে শুভ কাজে সাধারণ মানুষদের উদ্বুদ্ধ সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাব।

সালথায় ঈদের দিনে জিকা গাছে ঝুলছিল যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ 

সালথা প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ১:০২ পিএম
সালথায় ঈদের দিনে জিকা গাছে ঝুলছিল যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ 
ফরিদপুরের সালথায় ঈদুল আজহার দিনে আকাশ মোল্লা (২০) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (০৭ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের কাউলিকান্দা মোল্লার মোড় নামক একটি জিকা গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত আকাশ মোল্লা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের মৃত হারুন মোল্লার ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আকাশের মা দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎ ফরিদপুর সদরের তালতলা এলাকায় একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। গতকাল (৬ জুন) শুক্রবার  রাত ১১টার দিকে ওই বাসা থেকে অজ্ঞাত কারণে বের হয় আকাশ। পরে শনিবার ঈদের দিন সালথা’র কাউলিকান্দা মোল্লার মোড় মেইন সড়কের পশ্চিম পাশে একটি জিকা গাছের সাথে লাইলনের রশি পেঁচানো আকাশের ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, আকাশ মাদকাসক্ত হওয়ায় দীর্ঘদিন ফরিদপুর রিহ্যাব সেন্টারে থেকে চিকিৎসা নিয়ে তিন মাস পূর্বে বের হয়। গতকাল রাতে ভাড়া বাসা থেকে অজ্ঞাত কারণে বের হওয়ার পর ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
সালথা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মারুফ হাসান রাসেল বলেন, খবর পেয়ে যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ফরিদপুরে উৎসের উদ্যোগে স্বামীহারা এক নারীর দোকান ‘সকাল টি স্টোর’ পুনর্গঠন ও হস্তান্তর

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ১০:১১ এএম
ফরিদপুরে উৎসের উদ্যোগে স্বামীহারা এক নারীর দোকান ‘সকাল টি স্টোর’ পুনর্গঠন ও হস্তান্তর

ফরিদপুরের একটি মানবিক উদ্যোগে আবারও প্রমাণ হলো-একটি সামান্য সহায়তাও বদলে দিতে পারে একটি মানুষের জীবন। কুরবানির পবিত্র সময়কে সামনে রেখে ধলার মোড়ে উৎস সোশ্যাল অর্গানাইজেশন এর পক্ষ থেকে এক স্বামীহারা নারীর জীবিকার একমাত্র উৎস ‘সকাল টি স্টোর’ নতুনভাবে নির্মাণ ও পূর্ণ মালপত্রসহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

দোকানটির টিনের চালা ছিল চৌচির আর ভেতরে ছিল না ন্যূনতম প্রয়োজনীয় মালামাল। এমন অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে জীবন চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন ওই নারী। বিষয়টি জানতে পেরে উৎস সোশ্যাল অর্গানাইজেশন তার পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়।

উৎস-এর স্বেচ্ছাসেবীরা দোকানটি নতুনভাবে নির্মাণ করে, ছাউনির সমস্যা মেরামত করে এবং প্রয়োজনীয় চা-নাস্তার মালামাল সরবরাহ করে পুনরায় ব্যবসা শুরু করার উপযোগী করে তোলে।
সংগঠনের এক স্বেচ্ছাসেবক বলেন,

“এই ঈদে আমরা শুধু পশু কোরবানি নয়, ত্যাগ ও ভালোবাসার কোরবানিকেই সবচেয়ে বড় করে দেখেছি। একজন মায়ের মুখে হাসি ফোটাতে পারা-এটাই আমাদের ঈদের আনন্দ।”

‘সকাল টি স্টোর’ এখন শুধুই একটি দোকান নয়, বরং একজন নারীর আত্মমর্যাদায় ফিরে আসার প্রতীক হয়ে উঠেছে।

ফরিদপুরে বেহাল মহাসড়কে ঈদ যাত্রায় ভোগান্তি, ডাকাতির শঙ্কা

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫, ৬:২৪ পিএম
ফরিদপুরে বেহাল মহাসড়কে ঈদ যাত্রায় ভোগান্তি, ডাকাতির শঙ্কা

 

 

ভাঙ্গা উপজেলা থেকে ফরিদপুর জেলা সদর পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় এবারের ঈদ যাত্রায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ঘর মুখো মানুষকে।

একদিকে খানাখন্দে ভরপুর সড়ক দিয়ে চলাচলে প্রায়শ ভেঙ্গে যাচ্ছে যানবাহনের যন্ত্রপাতি, অন্যদিকে ওই সড়ক অতিক্রমে ভোগান্তির পাশাপাশি ধীর গতির কারণে যথাসময়ে গন্তব্যে পৌছাতে না পারাসহ রাতে ছিনতাই ও ডাকাতির শংকা রয়েছে ঘরমুখো যাত্রীদের মাঝে। যদিও ফরিদপুরের পুলিশ সুপার বলছেন, ঘরমুখো যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ওই অংশে রাতের বেলায় পুলিশ টহল বাড়ানো হয়েছে। তাই শংকিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।

বরিশাল-ফরিদপুর মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলা এক্সপ্রেসওয়ের শেষ প্রান্ত থেকে ফরিদপুরের দুরত্ব ৩০ কিলোমিটার, যা দীর্ঘদিন প্রয়োজনীয় সংস্কারের অভাবে খানাখন্দে ভরে গেছে। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে বেড়েছে খানা-খন্দের পরিমান।

এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ওই সড়ক ব্যবহার করে যাতায়াত করা ফরিদপুরসহ অন্তত ১০ জেলার মানুষ। ফরিদপুরের সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মকর্তাদের এই সড়কটির ব্যাপারে উদাসীনতাকে দায়ি করছে এই সড়কে যাতায়াতকারীরা।

ওই সড়ক ব্যবহারকারী যানবাহন চালক ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খানাখন্দের কারণে প্রায়শ গাড়ীর যন্তপাতি ভেঙ্গে যাচ্ছে। এছাড়া ধীর গতিতে যানবাহন চালাতে হচ্ছে, ফলে নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পেছানো যাচ্ছেনা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা।

এই সড়ক দিয়ে ঢাকাগামী মাইক্রোচালক আবুল হোসেন বলেন, এয়ারপোর্টে যাচ্ছি যাচ্ছি আনতে ভাঙ্গা থেকে ফরিদপুর পর্যন্ত সড়কের যে অবস্থা তাতে গাড়ির গতিসিমা সর্বোচ্চ ১৫ বেশি চালানো যায় না। মহাসড়কের গতি যদি এরকম হয় সে ক্ষেত্রে ডাকাতি সহ নানা পদের ঝামেলার আশঙ্কা থাকে।

এদিকে গাড়ী নষ্ট হওয়া ও ধীর গতির কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন ঘরমুখো মানুষেরাও। এছাড়া রাতে ধীর গতির কারণে ছিনতাই বা ডাকাতির মতো ঘটনার শংকাও রয়েছে তাদের মধ্যে। সড়কটি দ্রুত সংস্কার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবী তাদের।

যদিও ছিনতাই ও ডাকাতির বিষয়টি মাথায় রেখে ওই অংশে পুলিশ টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল।

তিনি জানান, ৩০ কিলোমিটার মহাসড়ককে চারটি ভাগে ভাগ করে পুলিশ টহলের ব্যবস্থা করা হযেছে। কোনো ধরনের সমস্যা বা সন্দেহ হলে দ্রুত পুলিশকে জানানোর আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। এদিকে জেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শফিকুর রহমান জানিয়েছে, আপাতত চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক করতে সড়কটির সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে।