খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৩ পৌষ, ১৪৩২

ফরিদপুরে বসুন্ধরা শুভ সংঘের নতুন কমিটির পরিচিতি ও কর্মপরিকল্পনা সভা

স্টাফ রিপোর্টার:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৫:০৩ পিএম
ফরিদপুরে বসুন্ধরা শুভ সংঘের নতুন কমিটির পরিচিতি ও কর্মপরিকল্পনা সভা

ফরিদপুরে বসুন্ধরা শুভ সংঘের জেলা কার্যনির্বাহী নতুন কমিটির পরিচিতি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় শহরের রাজেন্দ্র কলেজের ক্যান্টিনে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির সামনের দিনে কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

আলোচনা সভায় সংগঠনের উপদেষ্টাবৃন্দ, সভাপতি ও সম্পাদকসহ কমিটির সদস্যরা বিভিন্ন মতামতের সাথে কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন বক্তারা। সভা শেষে কলেজ চত্বরে শহীদ মিনারের সামনে ভাষার মাসে কমিটির সকলকে নিয়ে ছবি তোলা হয়।

কর্মপরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে, হতদরিদ্র নারীদের সেলাই মেশিন প্রশিক্ষণ, শিশু কিশোরদের সাহিত্য প্রতিযোগিতার আয়োজন, বই পড়ার আয়োজন, অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তির, বাল্যবিবাহ রোধে সচেতনতা, ময়লা-আবর্জনার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, বৃক্ষ রোপন, বৃদ্ধাশ্রম বা এতিমখানায় পিঠা উৎসবসহ বিভিন্ন ক্যাম্পেইন করার কর্ম পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়।

পরিচিতি সভায় সংগঠনের ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি তন্ময় রায়ের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সোনীয়া সুলতানার সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা প্রফেসর এস এম আব্দুল হালিম, বাংলা নিউজের জেলা প্রতিনিধি হারুন অর রশিদ, কালের কণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি মো. নুর ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অনুপম রায়, দপ্তর সম্পাদক তিহান আহমেদ, কর্ম ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক এহসানুল হক মিয়া, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক বাসুদেব বিশ্বাস, ক্রীড়া সম্পাদক মহানন্দ দত্ত, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আলিম মৃধা, আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক বিপ্লব বিশ্বাস, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মো. ফয়সাল, কার্যকরী সদস্য সজল সরকার, মুক্তা খানম, রনি রায় ও অমিত রায় প্রমুখ।

ফরিদপুর জেলা শুভ সংঘের কমিটিতে আরো যাঁরা রয়েছেন তারা হলেন, প্রধান উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের জেলা প্রতিনিধি কামরুজ্জামান সোহেল, উপদেষ্টা নুরুল ইসলাম নুরুল ও আজহারুল ইসলাম, সহসভাপতি আদি শরীফ আমির ও সৈয়দ মাহাবুব সেলিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুম আক্তার ও তৌফিক রাজ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাজেদুল হক লিটু, অর্থ সম্পাদক সুজাউজ্জামান, নারী বিষয়ক সম্পাদক সায়মা আজিজ স্বর্না, ইভেন্ট সম্পাদক সাহেল আক্তার, প্রচার সম্পাদক ও নিউজ ২৪ ফোর টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি সোহাগ জামান, স্বাস্থ্য ও মানব সম্পাদক ডা. আরমান দিপ্ত, নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক উম্মে হাবিবা মৌ, শিক্ষা ও পাঠ্যচক্র বিষয়ক সম্পাদক কাকলি সরকার, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক তামান্না আফরোজ, কার্যকরী সদস্য সনত চক্রবর্তী, সম্রাট শেখ, আরজিৎ, মো. মারুফ ও সঞ্জয় রায়।

সংগঠনের সভাপতি তন্ময় রায় এবং সাধারণ সম্পাদক সোনীয়া সুলতানা বলেন, উপদেষ্টাগণের পরামর্শক্রমে নতুন কমিটির পরিচিতি সভায় আমরা বেশ কিছু কর্ম পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। এক একটা করে পরিকল্পনা গুলো বাস্তবায়নের চেষ্টা চালিয়ে যাব। তারা বলে, গঠনের সদস্যদের সাথে নিয়ে শুভ কাজে সাধারণ মানুষদের উদ্বুদ্ধ সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাব।

ফরিদপুরে মাদ্রাসায় পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ

এন কে বি নয়ন, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৫:৫৭ পিএম
ফরিদপুরে মাদ্রাসায় পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নের কাটাগড় শাগীর শাহ্ দেওয়ান দাখিল মাদ্রাসায় চলমান পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক অনিয়ম ও আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। উক্ত মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট এবং ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে যোগ্য প্রার্থীদের উপেক্ষা করে অদক্ষ প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়ার অপচেষ্টার অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবর লিখিত আবেদন জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) জমা দেওয়া ওই অভিযোগপত্রে পরীক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন যে, বর্তমান নিয়োগ প্রক্রিয়াটি প্রচলিত আইন ও বিধিবিধানের পরিপন্থী এবং এতে অনৈতিকভাবে অর্থ লেনদেনের ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগকারী পরীক্ষার্থী রিয়াজুল, হাসিব খাঁন, আশিক মৃধা, আজিজুর রহমান ও নাঈম ইসলাম মাদ্রাসার সুষ্ঠু পরিবেশ ও যথাযথ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছ নিয়োগ দানে চলমান নিয়োগ কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছেন।

তাদের অভিযোগ, উপজেলার কাটাগড় গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক মোল্যার ছেলে রাকিব মোল্যাকে অবৈধ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ দিতে মোটা অঙ্কের আর্থিক লেনদেন করেছেন মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট। বিষয়টি নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে একটি স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অন্যান্য নিয়োগ প্রত্যাশীরা। আবেদনের সাথে তারা নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্র ও বিজ্ঞপ্তির কপি সংযুক্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদ্রাসাটির সুপার মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ও অর্থ লেনদেনের বিষয়টি সঠিক নয়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও সকলের উপস্থিতিতে শতভাগ মেধার ভিত্তিতে যোগ্য প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়া হবে।

মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মাওলানা ফরিদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। তাছাড়া অর্থ লেনদেনের কোনো প্রশ্নই উঠে না। নিয়োগ প্রার্থীদের মধ্যে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় যে প্রথম হবে তাকেই নিয়োগ প্রদান করা হবে।

বোয়ালমারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. জালাল উদ্দীন বলেন, অভিযোগ সম্পর্কে জানতে পেরেছি। এ নিয়োগ পরীক্ষায় আমি একজন সদস্য মাত্র। পরীক্ষা বন্ধ করার ক্ষমতা আমার হাতে নেই। আমার হাতে নিয়োগ বন্ধ করার ক্ষমতা থাকলে নিয়োগ বন্ধ করে দিতাম। তাছাড়া আমার স্ত্রী অসুস্থ এ কারনে নিয়োগ পরীক্ষায় আমি উপস্থিত থাকতে পারবোনা। আমার একজন প্রতিনিধি থাকবেন।

বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস.এম রকিবুল হাসান বলেন, আমি নির্বাচনী ট্রেনিংয়ে গত দুই দিন ঢাকায় অবস্থান করছি। যার কারণে অভিযোগ সম্পর্কে জানা নেই। তারপরও যেহেতু অভিযোগ উঠেছে অবশ্যই অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

লোকগানের কিংবদন্তী শিল্পী হাজেরা বিবির স্মরণে

মফিজ ইমাম মিলন
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৫:৪২ পিএম
লোকগানের কিংবদন্তী শিল্পী হাজেরা বিবির স্মরণে

হাজেরা বিবি। তিনি শুধু লোকগানের জনপ্রিয় শিল্পী ছিলেন না। ছিলেন আধ্যাত্মিক জগতের এক অক্লান্ত পরিব্রাজক ও কৃতি সাধিকা। তাঁর সংগীত জীবনের সাফল্যগাথা কলমের আঁচড়ে হয়তো কাগজের বুকে এঁকে দেয়া যায়। কিন্তু তাঁর আধ্যাত্ম সাধনার নিরন্তর অন্তরজ্বালা ও ক্রমাগত দহন, সমাজের কাছ থেকে পাওয়া উপেক্ষা অবজ্ঞা, ভ্র-কুঞ্চন আর রক্তচক্ষুর আস্ফালনজাত বিষাদ ও ক্লান্তির কড়চা যথার্থভাবে পরিস্ফুটনের শক্তি আমার কলমে নেই।

মানবজীবনতো শুধুই ক্রমাগত ক্লেশ আর ক্ষরণের নয়। হাজেরা বিবিও একদিন জয় করেন জীবন ও সমাজের সমূহ উষ্মা ধারাবাহিক বিরূপতা ।

১৯৬০ সালে ফতেহ লোহানী পরিচালিত ‘ আসিয়া ‘ চলচ্চিত্রে প্রথম গান করেন তিনি। এর আগে রেডিও পাকিস্তান, পিটিভি, স্বাধীনতার পরে রেডিও বাংলাদেশ, বাংলাদেশ বেতার ও বিটিভির নিয়মিত শিল্পী ছিলেন। তবে তাঁর বেশি জনপ্রিয়তা ছিল দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে পালাগান, বিচারগান, জারী ও মুর্শীদা গানের শিল্পী হিসেবে ।

হাজেরার প্রকৃত নাম ছিল ননীবালা। বাবা রাজকুমার ছিলেন পেশায় কাঠমিস্ত্রি। মা শ্যামাদাসী করতেন পুরোপুরি ঘরসংসারী। তাদের কয়েকটি সন্তান হয়ে মারা গেলে পরে ননীবালার ( হাজেরা) জন্ম হলে মানত অনুযায়ী কোলে কোলে বিয়ে দেন একই গ্রামের শিশু হিতিশের সাথে।

খুবই অল্প বয়সে একটি ছেলে হলে নাম রাখেন মন্টু। মন্টুর জন্মের কিছু দিন পরেই স্বামী হিতিশ মৃত্যু বরণ করেন। মন্টুও বেঁচে ছিল মাত্র ১১ মাস। এর কিছু দিন পরেই বাবা রাজকুমার, মা শ্যামাদাসীও পৃথিবী ছাড়েন। ফলে, সংসার নয় নিজের জীবনই দুর্বিষহ হয়ে ওঠে নিজের কাছে ।

স্বামী সন্তান বাবা-মা হারিয়ে আশ্রয় নেন মামা বাড়ি ফরিদপুরের ঈশান গোপালপুরে। এখানে সান্নিধ্য পান বনকু সাধুর। সাধু সনাতন ধর্মের অনেক তথ্য ও তত্ত্বকথা শিখিয়েছিলেন ননীবালাকে। যা পরবর্তীকালে বিচার গানে তুলে এনেছেন তিনি।

এমনই এক গানের অনুষ্ঠানে পরিচয় হয় কবি জসীম উদদীন এর সাথে। কবি তাঁর গান শুনে মুগ্ধ হন। ননীবালা কবিকে বাবা বলে সম্বোধন করেন। তাঁর কণ্ঠে কবি বিচার গানের ভবিষ্যৎ দেখতে পান। নিঃসঙ্গ জীবনে পথের অবসান ঘটাতে কবি পেশা হিসেবে গানকে বেছে নিতে উদ্বুদ্ধ করেন তাকে।

ননীবালার এভিডেভিড করে নাম রাখা হয় হাজেরা। কবির নিজের ধর্মপুত্র আজাহার মন্ডলের সাথে বিয়ে দেন তাকে। আজাহার মন্ডলেরও ছিল গান-বাজনা পেশা। শুরু হয় হাজেরা বিবি নামে এক গায়িকার নতুন জীবন সতীনের সংসারে।

লোকগানের শিল্পী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন হাজেরা। কবি জসীম উদদীন তাঁকে অলইন্ডিয়া রেডিওতে গান গাইবার ব্যবস্থা করে দেন। ঢাকার রমনা পার্কের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও তাকে দিয়ে গান গাইয়েছিলেন।

গান গাইবার অপরাধে হাজেরাকে এক ঘরে করা হয়েছিল গ্রাম্য শালিসিতে। আগে হিন্দু ছিল সে অভিযোগে ‘৭১ সালে তাঁর বাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। স্বামী অজানা রোগে অন্ধত্ব বরণ করে ও মারা যায়। অসহায় হাজেরা গানের দলের দোহার মনিরুদ্দিন ফকিরের আশ্রয় নেন। গ্রামের মানুষ তাদের বিয়ে দিয়ে দেন। এ স্বামীও অন্ধ হয়ে রোগে ভুগে মৃত্যুবরণ করেন।

জীবনের শেষ প্রান্তে এসে দুঃখ-কষ্ট অভাব অভিযোগে হিমসিম খেতে থাকেন। কণ্ঠ ভেঙে গিয়েছিল। গান গাওয়া বন্ধ হয়ে যায় ।

হাজেরা বিবি সারাজীবন লোকসংস্কৃতির মাধ্যমে মানুষের সেবা ও আনন্দ দিলেও তাঁর ব্যক্তি জীবন ছিল ভাঙা-গড়া বিরহ-বিচ্ছেদ দুঃখ কষ্টে ভরা। তাকে দেখতে চিত্রশিল্পী আনোয়ার হোসেন, পরিচালক খান আতাউর রহমান, সুরকার আজাদ রহমান, নন্দিত কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ এসেছেন ফরিদপুরে।

২০০৬ সালের ১৮ ডিসেম্বর লোক গানের কিংবদন্তি শিল্পী হাজেরা পৃথিবী ছেড়েছেন শতবছর বয়সে।

 

লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক, ফরিদপুর। 

ফরিদপুরে শুরু হয়েছে প্রবাসী মেলা ও জব ফেয়ার ‌

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৫:০৭ পিএম
ফরিদপুরে শুরু হয়েছে প্রবাসী মেলা ও জব ফেয়ার ‌

ফরিদপুরে শুরু হয়েছে‌‌ আশ্বাস প্রকল্প ও এসডিএস এর সহযোগিতায় প্রবাসী মেলা ও জব ফেয়ার।

বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ‌ সকাল ৯ টার দিকে এর উদ্বোধন করেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামরুল হাসান মোল্লা।

ফরিদপুর জেলা প্রশাসন ‌এবং জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক ‌অভিবাসী দিবস ‌ও প্রবাসী দিবস উপলক্ষে এ মেলা ও জব ফেয়ারের আয়োজন করা হয়। এতে মোট ২৫টি স্টল অংশগ্রহণ করে।

এ সময় ‌সঠিক ‌‌নিয়ম অনুযায়ী এবং বৈধভাবে‌ বিদেশে কর্মী প্রেরণের ‌ উপর গুরুত্ব দেয়া হয়। এক্ষেত্রে ‌ সরকার ‌ বৈধভাবে বিদেশ গমনেচ্ছুদের ‌সব রকম সহায়তা প্রদান করবেন বলে ‌জানানো হয়।

এদিকে, মেলায় ‌ অংশগ্রহণকারী সটল মালিকেরা জানান, ‌ এ মেলা থেকে ‌‌ বিদেশে যাওয়ার সঠিক নিয়মকানুন মেনে ‌ লোকজন বিদেশে যাবে ‌‌ এবং তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবেন।

এসময় নির্ধারিত সাংস্কৃতিক মঞ্চে জনসচেতনমূলক বিভিন্ন কর্মকান্ডের অংশ হিসেবে গান ও পথ নাটক অনুষ্ঠিত হয়। এতে শিল্পীরা ‌জনসাধারণকে সচেতন করে তুলতে ‌ তাদের বিভিন্ন পরিবেশন উপস্থাপন করেন।